মানুষের ওপর বিশ্বাস ও ভরসা
‘শুনহ মানুষ ভাই
সবার উপরে মানুষ সত্য
তাহার উপরে নাই’।
আমাদের জীবনের শুরুর দিকে চন্ডীদাসের এই বাণী দারুণভাবে আলোড়িত করলেও এখন আর করে না। কেউ বলতে পারেন, এটা তো হতাশার কথা হলো। মানুষ বাঁচে আশা নিয়ে। পৃথিবীতে বেঁচে থাকতে হলে আশা নিয়েই বাঁচতে হবে। হতাশ হওয়া চলবে না। হাল ছেড়ে দেওয়া যাবে না। এসব যে বুঝি না, তা নয়।
তারপরও চারদিকে যা সব ঘটতে দেখি, চেনা মানুষদের আচরণও যখন অচেনা মনে হয়, তখন কেন যেন ভেতর থেকে একটু হলেও দুর্বল হয়ে পড়ি, তখন নিজেকে কিছুটা কমজোরি মনে না করে পারি না। মানুষের ওপর বিশ্বাস রাখতেই চাই। ভরসা রাখতে চাই মানুষের সুবুদ্ধি ও কল্যাণচিন্তার ওপর। বিশ্বাস করতে চাই, মানুষের চেয়ে বড় কিছু নেই, মানুষের চেয়ে মহীয়ানও কিছু নেয়। কিন্তু আড়াল থেকে কে যেন বিদ্রূপের হাসি হেসে বলে বলে, আরে বোকা, এত দেখেও বুঝতে পারছো না, নতুন সময়ের সমবেত ধ্বনি : ‘ধর্মের চেয়ে বড় কিছু নেই নহে কিছু মহীয়ান' অথবা ‘সবার উপরে ধর্ম সত্য, তাহার উপরে নাই'।
ধর্মের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় মানুষ যেন দিনদিন পিছিয়ে পড়ছে। মানুষ এখন যেন ধর্ম পরিচয়ে পরিচিত হতে পছন্দ করছে। গর্ব করে বলছে, আমি মুসলমান, আমি হিন্দু অথবা অন্য কোনো ধর্ম। অথচ বাংলাদেশ রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠাতা, জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমান অহংকারের সঙ্গে বলেছিলেন, আমি মানুষ, আমি বাঙালি, আমি মুসলমান। না, এমন করে বলার মানুষ এখন কয়জন আছেন তা রীতিমতো গবেষণার বিষয়।
কেন মানুষ ধর্ম পরুচয়কে সামনে নিয়ে আসছে, তার সামাজিক-মনস্তাত্ত্বিক কারণ কি তা আমি জানি না। কিন্তু এটা বুঝতে পারছি, মানুষের এই ধর্মীয় পরিচয় নিয়ে মাতামাতি পৃথিবী জুড়েই শান্তি-স্বস্তির পরিবেশ নষ্ট করছে। ধর্মটা এখন অনেকের কাছে ব্যক্তিগত বিশ্বাস বা একার পালনের বিষয় থেকেও সমষ্টিকে নিয়ে উদযাপন এবং প্রদর্শনের বিষয় হয়ে দাঁড়াচ্ছে। নিজ ধর্মকে শ্রেষ্ঠ দাবি করে অন্যের ধর্মকে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করার একটি ভয়ংকর প্রবণতা মাথা চাড়া দিয়ে উঠছে। হিংসা ও হানিহানি বিস্তারেও তা ভূমিকা রাখছে।
আগে মানুষ সৃষ্টি হয়েছে না আগে ধর্ম – কিংবা ধর্মের জন্য মানুষ নাকি মানুষের জন্য ধর্ম এসব নিয়ে বিতর্ক করাও এখন নিরাপদ নয়। কারণ কখন কোনো কথায় কার ধর্মীয় অনুভূতি আঘাতপ্রাপ্ত হবে এবং তার জন্য কার বাড়িঘর দোকানপাট বা উপাসনালয় ভাঙচুর অগ্নিসংযোগের শিকার হবে, কার বিরুদ্ধে কে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করে জেলের ভাত খাওয়াতে বাধ্য হবে সেটা আগে থেকে বলা যাবে না।
খ.
সুনামগঞ্জ জেলার শাল্লা উপজেলার নোয়াগাঁও গ্রামের ঝুমন দাশ ৬ মাসের কিছু বেশি সময় কারাবাসের পর সম্প্রতি জামিনে মুক্তি পেলেও তিনি যে নির্ভয়ে এবং নিরাপদে জীবন কাটাতে পারবেন তার কোনো নিশ্চয়তা নেই। তাকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে আবারো কোনো মহল তৎপর হবে না, তারই বা গ্যারান্টি কি? একটি অদ্ভুত সময়ে বাস করছি আমরা। কেউ কারো বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ তুললে, কারো ফেসবুক আইডি হ্যাক করে উদ্দেশ্যমূলকভাবে ধর্ম নিয়ে আপত্তিকর কিছু লিখে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করতে চাইলে, সত্যাসত্য যাচাই না করেই কিছু মানুষ অন্য সম্প্রদায়ের মানুষের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ত এতটএকু দ্বিধা করছে না। একাধিক ঘটনায় এটা স্পষ্ট হয়েছে যে, মিথ্যা অভিযোগের ভিত্তিতেই এসব ঘটানো হচ্ছে পরিকল্পিতভাবে। তারপরও কেন একই ধরনের ঘটনা ঘটতে পারছে? আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব যাদের তারা প্রকৃত অপরাধীদের শনাক্ত করা বা ধরার পরিবর্তে নির্দোষ ব্যক্তিদের কেন জেলে রাখছে? একজনের অপরাধের দায় আরেকজনের ওপর চাপানোর এই খেলা কি বন্ধ হবে না?
এ বছর ১৬ মার্চ হেফাজতে ইসলামীর নেতা মামুনুল হককে নিয়ে ফেসবুকে একটি আপত্তিকর স্ট্যাটাস দেওয়ার অভিযোগ তোলা হয় শাল্লার ঝুমন দাশের বিরুদ্ধে। ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেওয়ার অভিযোগ প্রমাণের অপেক্ষা না করেই হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর চালানো হয় হামলা। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ঝুমন দাসকে গ্রেপ্তার করে ১৭ মার্চ থেকে কারাগারে রাখা হয়।
তার আইডি থেকে স্ট্যাটাস দেওয়া না হলেও তাকে মিথ্যা অভিযোগ থেকে মুক্তি মিলছে না। এ যে একজন মানুষের জীবনকে অনিরাপদ করে তোলা হলো এর দায় কি রাষ্ট্রের ওপর বর্তায় না? আমি যা করিনি, যার সঙ্গে আমার কোনো সম্পৃক্ততা নেই, আমাকে বিপদে ফেলার জন্য কেউ ষড়যন্ত্রমূলকভাবে কিছু একটা করলো অথচ রাষ্ট্র আমার পক্ষে না দাঁড়িয়ে দুষ্টচক্রের হাতের ক্রীড়নকের ভূমিকায় নামবে? আর গালভরা বুলি কপচানো হবে যে এই রাষ্ট্রের সব নাগরিকের অধিকার সমান? নিরপরাধ মানুষকে ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করে অপরাধীর পক্ষে দাঁড়ালে সেটা সুশাসনের চরম খেলাপ। এটা চলতে দেওয়া যায় না। ঝুমন দাসকে দ্রুত সব মিথ্যা অভিযোগ থেকে মুক্তি দেওয়া এখন রাষ্ট্রের চালকদের নৈতিক দায়িত্ব।
এর আগে উত্তম বড়ুয়া নামের এক ব্যক্তির ফেসবুকে পবিত্র কোরান অবমাননার ছবি প্রকাশ করার অভিযোগ তুলে কক্সবাজারের রামুতে ২০১২ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর ১২ প্রাচীন বৌদ্ধ বিহারসহ বৌদ্ধদের অসংখ্য বসতবাড়ি ধ্বংসস্তুপে পরিণত করা হয়েছিল। তারপর সরকার নতুন করে সব কিছু তৈরি করে দিলেও বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের মনে যে ক্ষত তৈরি হয়েছিল তা কি আসলে মেরামত করা গেছে?
উত্তম বড়ুয়া তখন থেকে নিখোঁজ। তার স্বজনেরাও জানে না উত্তম বেঁচে আছেন কি না। ভুয়া আইডি থেকে অপপ্রচার করে যে ধ্বংসযজ্ঞ চালানো হলো তার প্রকৃত অপরাধীদের চিহ্নিত করে শাস্তির আওতায় আনা হয়নি। প্রকৃত হামলাকারীদেরও আইনের আওতায় আনা হয়নি। যারা হামলা করেছিল তাদের অনেককে আসামি না করায় স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভ আছে। মানুষের মনে আস্থা ফিরিয়ে আনার কাজটি কেন করা হয় না– এই প্রশ্নের জবাবও কারো কাছে পাওয়া যায় না।
লক্ষ করা যাচ্ছে যে, ফেসবুক বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকে ধর্মীয় উগ্রবাদ ছড়ানো কিংবা ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানার গুজব ছড়িয়ে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করার একটি বাহন বা হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। মতলবাজরা এটা করছে। আর ভুগছে অসহায় মানুষ। গত কয়েক বছরে এমন বেশ কয়েকটি ঘটনা আমরা ঘটতে দেখলাম। ২০১২ সালে রামুতে শুরু তারপর ব্রাহ্মনবাড়িয়ার নাসিরনগর, রংপুর, ভোলার বোরহানউদ্দিনসহ আরো কয়েক জায়গায় ‘ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত' দেওয়ার অভিযোগ তুলে ‘তৌহিদি জনতা'র ব্যানারে একদল মানুষ সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বাড়িঘরে হামলা চালিয়ে তাদের জীবন ও সম্পদের ক্ষতি করেছেন।
সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষ এখন এক ধরনের আতঙ্ক ও অস্বস্তির মধ্যে থাকেন। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বাংলাদেশে ফেসবুক ব্যবহার করে সংখ্যালঘুদের জীবন বিপন্ন করার এক অদ্ভূত খেলা শুরু হয়েছে। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ভুক্ত কারো আইডি থেকে ইসলাম ধর্ম কিংবা নবীজি সম্পর্কে কটূক্তি ছড়ানোর গুজব প্রচার করে মানুষের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি করা হয়।
উত্তেজনা ছড়ানোর কাজে অনেক ক্ষেত্রে মসজিদের মাইক ব্যবহার করা হয়। যারা ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগে রাস্তায় নামেন, তারা সব সময়ই কাণ্ডজ্ঞানহীন আচরণ করেন। সবক্ষেত্রেই এটা প্রমাণ হয় যে, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের কেউ ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেওয়ার কাজটি করেন না। তাদের ফাঁসানো হয়। অথচ আক্রান্ত হয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের লোকজনই। যার বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তোলা হয়, আক্রমণ তার ওপর সীমাবদ্ধ থাকে না।
একের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে অনেককে শাস্তি দেওয়ার ক্ষেত্র প্রস্তুত করা হয়। বারবার একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটলেও একবারও প্রকৃত অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনা হয় না, উপযুক্ত শাস্তি দেওয়া হয় না। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করার কাজে যারা পরিকল্পিতভাবে নিয়োজিত আছেন, তাদের একপ্রকার অঘোষিত দায়মুক্তি দেওয়ার অঘটন অব্যাহতভাবে ঘটে চলেছে।
গত এক যুগ ধরে টানা ক্ষমতায় আছে আওয়ামী লীগ। মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগকে অসাম্প্রদায়িক আদর্শে বিশ্বাসী তথা সব ধর্মমতে বিশ্বাসী মানুষের স্বার্থানুকূল দল বলে মনে করা হয়। তবে বর্তমান আওয়ামী লীগ যে ধর্মনিরপেক্ষতার প্রশ্নে আগের দৃঢ় অবস্থানে নেই, বা তারা যে ভোটের রাজনীতি মাথায় রেখে সাম্প্রদায়িক শক্তির সঙ্গে আপসরফা করে চলতে চায়, সেটা নানা ঘটনা থেকেই বোঝা যাচ্ছে।
ধর্ম সাম্প্রতিক সময়ে রাজনীতির একটি বড় ফ্যাক্টর হওয়ায় আওয়ামী লীগও আর সংখ্যালঘুদের পক্ষে দৃঢ় অবস্থান নেওয়ার প্রয়োজন বোধ করে না। সংখ্যালঘুরা দিন দিনই সংখ্যায় কমছে। ভোটের রাজনীতিতে সংখ্যা একটি বড় বিবেচনার বিষয়। সংখ্যালঘু ভোট দেশে এখন সম্ভবত শতকরা দশ ভাগেরও নিচে। তাই সবার মনোযোগ এখন শতকরা ৯০ ভাগের বেশি ভোটের দিকে।
সংখ্যালঘু ভোট বিভক্ত হওয়ায় তাদের দরকষাকষির ক্ষমতাও এখন কমেছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার মধ্য দিয়ে দেশে ধর্মভিত্তিক পাকিস্তানি ধারার রাজনীতি শুরু হওয়া, সামরিক শাসক জিয়া, এরশাদের ইসলামপ্রীতি, সংবিধানে বিসমিল্লাহ ও রাষ্ট্র ধর্ম সংযোজন ইত্যাদি মিলিয়ে এক অদ্ভূত পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। সংখ্যালঘুরাও বিভিন্ন রাজনৈতিক ধারায় বিভক্ত হয়ে নিজেদের পায়ে কুড়াল মেরেছে বলে আমার মনে হয়।
গ.
সংখ্যালঘুদের স্বার্থ রক্ষার জন্য গড়ে উঠেছে একাধিক সংগঠন, একাধিক রাজনৈতিক ধারায়। এই সংগঠনগুলোর যারা নেতৃত্ব দিচ্ছেন তারা ব্যক্তিগতভাবে কিছু লাভবান হলেও হতে পারেন, কিন্তু সম্প্রদায়ের কল্যাণে তারা কতোটুকু কি করতে পারছেন, আমার কাছে অন্তত তা পরিষ্কার নয়। একটি জনগোষ্ঠী দিনের পর দিন ন্যায়বিচার বঞ্চিত হতে থাকলে তাদের মধ্যে আস্থাহীনতা তৈরি হওয়া কোনো অস্বাভাবিক বিষয় নয়।
নানা সময় নির্বাচনকেন্দ্রিক বিভিন্ন অঘটনের কারণে এখন সংখ্যালঘুরা দল বেধে এক মার্কায় ভোট না না। এতে তাদের বিপদও যেন বেড়েছে। ভোটের রাজনীতির সব পক্ষের ‘সফট টার্গেট' এখন সংখ্যালঘুরা। আগে আওয়ামী লীগ যেভাবে সংখ্যালঘুদের পাশে দাঁড়াতো এখন তেমন দাঁড়ায় না। ওবায়দুল কাদের একবার এক সমাবেশে বলেছিলেন, তাদের সময় ‘দু'একটি বিশৃঙ্খল ঘটনা ঘটেছে' তবে এটা ‘আওয়ামী লীগের পলিসি নয়', ওটা ‘দুর্বৃত্ত’রা করেছে এবং দুর্বৃত্তদের ব্যাপারে সরকারের নীতি ‘জিরো টলারেন্স’। তার এসব কথায় যথেষ্ট ফাঁকিজুকি আছে।
প্রথমত আওয়ামী লীগের শাসনামলে দুচারটি নয়, অসংখ্য ঘটনা ঘটেছে যাতে সংখ্যালঘুদের জীবন ও সম্পদ বিপন্ন হয়েছে। লুটপাট, অগ্নি সংযোগ, ধর্ষণের মতো গুরুতর অপরাধও সংঘটিত হয়েছে। আর যে দুর্বৃত্তরা এসব করেছে তাদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করতে দেখা যায়নি। সবচেয়ে দুঃখজনক বিষয় হলো, অনেক ক্ষেত্রেই দুর্বৃত্তদের মধ্যে আওয়ামী লীগের পরিচয়ধারীদেরও দেখা গেছে। তাদের বিরুদ্ধে শক্ত কোনো আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের খবর জানা যায়নি। মানুষ চোখে দেখা সত্যকে অস্বীকার করবে কীভাব?
সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষেরা যাতে নিজেদের সংখ্যালঘু না ভাবেন, সে পরামর্শ সরকার প্রধান থেকে শুরু করে দায়িত্বশীল অনেকেই দিয়ে থাকেন। সংখ্যালঘুরা কেন নিজেদের ‘সংখ্যালঘু' মনে করেন সেটা জানা-বোঝার চেষ্টা করতে হবে। কেউ স্বেচ্ছায় নিজেদের সংখ্যালঘু ভাবেন না। এটা তাদের ভাবতে বাধ্য করা হয়। দেশে নির্বাচন এলেই সংখ্যালঘুরা উদ্বিগ্ন, ভীত ও দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হয়ে পড়তো । নির্বাচনের আগে-পরে সংখ্যালঘু নির্যাতন অনেকটা যেন নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছে। এখন এরসঙ্গে যোগ হয়েছে নতুন ভীতি ফেসবুকে গুজব ছড়ানো। সরকার তথা আওয়ামী লীগের কাছে সংখ্যালঘুরা যে ধরনের নিরাপত্তার নিশ্চয়তা চান তা পাচ্ছেন বলে মনে হয় না। সংখ্যালঘুদের মনে আস্থা ফিরিয়ে আনার জন্য অনেক কিছু নয় শুধু অযথা হয়রানি বন্ধ করে প্রকৃত দোষীদের শাস্তির আওতায় আনলেই সুফল পাওয়া যাবে ।
লেখক : জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক। সহকারী সম্পাদক, আজকের পত্রিকা।
এইচআর/জিকেএস