ভিডিও EN
  1. Home/
  2. মতামত

প্রতারণার ফাঁদ এবং রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের দুর্ভোগ

সম্পাদকীয় ডেস্ক | প্রকাশিত: ১০:০৩ এএম, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২১

সজীব ওয়াফি

বাংলাদেশে অর্থনীতির প্রধানতম অক্সিজেন শ্রমশক্তি রফতানি। উন্নয়নশীল দেশগুলোর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনেরও অন্যতম মাধ্যম এবং চালিকাশক্তি শ্রমশক্তি রফতানির বিনিময়ে অর্জিত রেমিট্যান্স। মহামারিকালীন যেটা আরো গভীরভাবে অনুভূত হয়েছে। অর্থনৈতিক সমস্ত ক্ষেত্রে ধস নামলেও রেমিট্যান্সের অবদান কমেনি, বেড়েছে। অথচ বরাবরের মতো পরিবার ও দেশের উন্নয়নে ত্যাগ স্বীকার করা এই যোদ্ধাদের সাথে আমরা কখনোই সৌজন্যমূলক আচরণ করিনি, করেছি স্বার্থবাদী আচরণ। বর্তমান সময়ে তাদের কে নামতে বাধ্য করেছি আন্দোলনের মাঠে।

উৎপাদনের অন্যতম উপাদান- ভূমি, শ্রম, মূলধন এবং সংগঠন। বাংলাদেশ জনবহুল দেশ হওয়ায় শ্রমশক্তিতে সমৃদ্ধ। কিন্তু স্বল্পতা আছে ভূমি এবং মূলধনে। আছে সাংগঠনিক এবং প্রযুক্তিগত দক্ষতার অভাব। শিল্পের পথে হাঁটলেও সে পথ অনেক দীর্ঘ। বাধ্য হয়ে অর্থনীতি নির্ভর করতে হচ্ছে রেমিট্যান্সের উপর। রেমিট্যান্স হলো বিদেশে কর্মরত বাংলাদশী নাগরিকদের পাঠানো আয়। দেশের জাতীয় উৎপাদন বৃদ্ধিতে যার ভূমিকা অনন্য। পরিবারের অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা ও চিকিৎসার পাশাপাশি জীবনযাত্রার মান, কর্মসংস্থান, অবকাঠামোগত উন্নয়ন এবং ব্যাংকের উন্নয়নে ভূমিকা রেখে চলেছে প্রবাসী আয় রেমিট্যান্স। বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির তথ্য মতে, প্রতি বছর প্রায় ২২ লাখ মানুষ শ্রমবাজারে প্রবেশ করছে। আন্তর্জাতিক শ্রমবাজারে প্রবেশ করছে যাদের প্রায় পাঁচ থেকে ছয় লাখ। যাঁরা কর্মরত আছেন বিশ্বের প্রায় ১৭৪টি দেশে। এদের ভেতরে বিদেশে অবস্থানরত শ্রমশক্তির তিন-চতুর্থাংশ নিয়োজিত আছেন মধ্যপ্রাচ্যে। প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স বাংলাদেশে অর্থনীতিতে জিডিপি'র প্রায় ১২ শতাংশ। তবে রেমিট্যান্সের বড় অংশটাই আসে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো থেকে। মধ্যপ্রাচ্যের অন্যতম দেশ ইউনাইটেড আরব আমিরাত। সেখানে আছেন আমাদের হাজার হাজার শ্রমিক।

করোনাকালীন নানান প্রতিকূলতা চ্যালেঞ্জ করে সদ্য সমাপ্ত ২০২০-২১ অর্থবছরে প্রবাসীরা ২৪.৭৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স দেশে পাঠিয়েছেন। যা বাংলাদেশের ইতিহাসে এক অর্থবছরে আহরিত রেকর্ড পরিমাণ রেমিট্যান্স। এর আগে ২০১৯-২০ বছরে প্রবাসীরা ১৮.২০ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছিলেন। প্রবাসীদের পাঠানো এই রেমিট্যান্সের ঢলে বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভ ৪৫ বিলিয়ন ডলারেরও উপরে গিয়ে ঠেকেছে। কিন্তু ক্রমেই কমতে শুরু করেছে ঊর্ধ্বমুখী ধারাবাহিকতা। গত অর্থবছরের কোন কোন মাসে দুইশ' কোটি মার্কিন ডলার ছাড়িয়ে গেলেও পর্যায়ক্রমে পতন ঘটেছে। মাত্র ১৮১ কোটি মার্কিন ডলার এসেছে সদ্য বিদায়ী আগস্ট মাসে। আর গেল জুলাই মাসে এসেছিলো ১৮৭ কোটি ১৪ লাখ ৯০ হাজার মার্কিন ডলার। নিম্নমুখী উত্থান-পতনে এই চিত্র প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ হালনাগাদ প্রতিবেদন।

করোনাকালে বিশ্বের সকল দেশ অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের মুখোমুখি হওয়া স্বাভাবিক। বাংলাদেশেও তার ব্যতিক্রম নয়। ধাক্কার প্রথম পর্যায়েই দেশের ছোটখাটো প্রতিষ্ঠানের পাততাড়ি গোছাতে হয়েছে। একমাত্র রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের বদৌলতে আমাদের এ যাত্রায় রক্ষা। তারল্যসংকট কাটাতে পেরেছে সরকারি-বেসরকারি ব্যাংকগুলো। এমনকি উৎপাদন খরচ বাদে পোশাক খাতের চেয়ে তিনগুণেরও বেশি বৈদেশিক মুদ্রা অর্জিত হয়েছে। এবং যা মোট রফতানি আয়ের অর্ধেক। শুধু আর্থিকভাবেই যে রক্ষা হয়েছে এটাও পুরোপুরি সঠিক নয়। বরং মহামারি মোকাবিলা করতে সরকারের মনোবল চাঙ্গা রাখতে পেরেছে এই রেকর্ড সংখ্যক রেমিট্যান্স। ব্যক্তি পর্যায়ে পরিবারগুলো দাঁড়াতে পেরেছে। শক্তিশালী অবস্থানে দাঁড়িয়েছে গ্রামীণ-আঞ্চলিক অর্থনীতি।

মহামারির দ্বিতীয় ঢেউয়ে বেশকিছু রাষ্ট্র বাংলাদেশের উপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। বন্ধ হয় নিষেধাজ্ঞা জারিকৃত দেশে বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক ফ্লাইট। আগস্ট মাস থেকে কয়েকটা দেশ তাদের নিষেধাজ্ঞা শিথিল করেছে। তবে নতুন করে শর্ত জুড়ে দিয়েছে তারা। কেউ চার ঘন্টা, কেউ ছয় ঘন্টা আবার কেউ ৮ ঘন্টার মধ্যে করোনার Rapid PCR Test-এর কথা উল্লেখ করেছে। এর ভিতরে আরব আমিরাতের দেশ একটি। তারা জানিয়েছে ভ্রমনপূর্ণ ৬ ঘন্টার মধ্যে বাংলাদেশ বিমানবন্দরে করোনার পিসিআর টেস্টের বাধ্যবাধকতা। জানানো হয়েছে টেস্টে নেগেটিভ রিপোর্ট প্রাপ্ত ব্যক্তিরা আরব আমিরাতে প্রবেশ করতে পারবেন। তবে আমিরাতে প্রবেশের পর পুনরায় হবে দ্বিতীয় টেস্ট। দিন অতিবাহিত হলেও শর্ত পূরণে অক্ষমতা দেখিয়েছে বাংলাদেশ। কারণ আমাদের করোনার এরকম দ্রুত টেস্টের পিসিআর মেশিন নেই। অথচ বিশ্বের প্রায় বিমানবন্দরেই হচ্ছে পিসিআর টেস্ট। ফলাফলে ভিসা-ফ্লাইট খুলে দিলেও আরব আমিরাতে ফিরতে পারছেন না ছুটিতে আসা কর্মরত বাংলাদেশীরা।

কোভিড-১৯ সংক্রমণের প্রভাবে বিশ্বব্যাপী জ্বালানি তেলের দরপতন, ব্যবসা-বাণিজ্য ও পর্যটন শিল্পে ধস, রাজনৈতিক নানা অস্থিরতায় প্রবাসীরা কেউ কেউ বিদেশে চাকরি হারিয়েছেন কিংবা হারানোর আশঙ্কা আছে। বেতন বন্ধসহ বহুবিধ সংকটের সম্মুখীনও হয়েছেন রেমিট্যান্স যোদ্ধারা। করোনার প্রথম ঢেউ পরবর্তী বিমান সংকট এবং রাষ্ট্রীয় দ্বিপাক্ষিক জটিলতায় অনেক বিদেশগামী শ্রমিক কাজ হারিয়েছেন। প্রবাসী কল্যাণ ভবন ও এয়ারলাইন্সের সামনে বিক্ষোভ এবং রাজধানীতে রাস্তা অবরোধ করেও অনেকের শেষ রক্ষা হয়নি। 'অ্যাড্রেসিং সিস্টেম্যাটিক চ্যালেঞ্জেস অব ওয়েজথেফট: বাংলাদেশি কোভিড-১৯ রিটার্নিজ ফ্রম দ্যা গালফ' শীর্ষক এক গবেষণায় উঠে এসেছে করোনায় বিদেশে চাকরি হারানোদের ভিতরে ছুটিতে এসে ২৯ শতাংশ কর্মী আর ফিরে যেতে পারেননি। আর এবারে যুক্ত হয়েছে করোনার পিসিআর টেস্টের যাঁতাকল। যাদের অনেকের ভিসার মেয়াদ শেষ হবে এ মাসেই, আবার আসার সময়ে ফিরতি টিকিট কেটেছেনও কেউ কেউ; অনেকের শেষ হতে যাচ্ছে ছুটির মেয়াদ। আরব আমিরাতে কর্মরত প্রায় ৭ হাজার প্রবাসী আটকে পরেছেন এই অনাকাঙ্ক্ষিত সংকটে। যথাসময়ে কর্মস্থলে হাজির হতে না পারলে তাদের কপালে জুটবে দুর্ভাগ্যজনক পরিস্থিতি।

জুলাই মাসে তৈরি হয়েছিলো টিকা অব্যবস্থাপনা। উপর্যুক্ত সময়ে স্পষ্ট করে সঠিক বার্তা না দেওয়ায় লকডাউনের ভিতরে মোটা অংকের টাকা খরচ করে, সৌদি আরব ও কুয়েতগামী প্রবাসীরা ঢাকায় এসেছিলেন টিকা নিতে। কিন্তু ঢাকায় এসে জানলেন তাদের টিকা দেওয়া হবে না। শুধু যাদেরকে মেসেজ পাঠানো হয়েছে তাদেরকেই দেওয়া হচ্ছে। তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের প্রস্তুতিহীনতায় অনেকে নিবন্ধন করতে পারেননি। কেউ কেউ নিবন্ধন করতে সফল হলেও মেসেজ পাননি এরকম অভিযোগ ছিলো। টিকা কেন্দ্রগুলোতে তৈরি হয়েছিলো বিশৃঙ্খলা, বিড়ম্বনা। যা হোক শেষ পর্যন্ত পরিস্থিতি সামাল দিয়ে টিকার ব্যবস্থা অনেকটা করা গেছে।

অন্যদিকে বিভ্রান্তিতে পড়া বিদেশগামীদের পুঁজি করে গড়ে উঠেছে প্রতারক চক্র। দ্রুত টিকা দেওয়ার আশ্বাসে তারা বাংলাদেশের অর্থনৈতিক দুর্দিনে লড়াই করা যোদ্ধাদের থেকে হাতিয়েছেন বিপুল পরিমাণ অর্থ। প্রবাসীদের অর্থ খুয়েছে, ভোগান্তি হয়েছে এই যা। করোনা কালীন পর্যাপ্ত টাকা পাঠাতে না পারায় বিদেশের মাটিতে পরিবারের কাছে অনেকে খারাপ আচরণও পেয়েছেন। সহ্য করে গেছেন মুখ বুঁজে। কেবলই চোখের জল মুছেছেন। জীবনকে মৃত্যুর মুখে ঢেলে ড্রামের ভিতরে ভূমধ্যসাগরে ভাসতে ভাসতে কেউ শখে বিদেশ পাড়ি দেয়?

বাংলাদেশ জনবহুল দেশ। যেখানে আমরা অতিক্রম করছি জনসংখ্যার বোনাস যুগ। জনসংখ্যার বোনাস যুগে বাংলাদেশ সুবিধা কাজে লাগাতে অন্যতম কৌশলপত্র হলো- বিদেশে শ্রমশক্তি রফতানি। মহামারি ধাক্কায় যা মুখ থুবড়ে পরেছে। দেশের অভ্যন্তরেও ছাঁটাই হয়ে কাজ হারিয়েছেন কর্মজীবী অসংখ্য মানুষ। বেড়েছে তুলনামূলক বেকারত্বের সংখ্যা। টিকে থাকা বেসরকারি কোম্পানিগুলোর অবস্থা টালমাটাল। অধিকাংশ রাষ্ট্র অর্থনৈতিক চরম ঝুঁকিতে পড়ায় বিদেশি বিনিয়োগ কমেছে জ্যামিতিক হারে। ২.৫ কোটি মানুষসহ অর্ধেকেরও বেশি জনসংখ্যা নতুন করে দারিদ্র্যসীমার নিচে নেমেছে। এর মধ্যেই হুঁ হুঁ করে বাড়ছে চাল, ডাল, তেলের মতো নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম। হঠাৎ করে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির ডামাডোল রাষ্ট্রীয় অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জের ইঙ্গিত।

এমতাবস্থায় ধারদেনা করেও অনেকে বিদেশ যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন; তাদের পরিণতিই বা কি হবে? বিদেশ যেতে কোনক্রমেই ব্যর্থ হলে এই মানুষগুলোই বা কোথায় যুক্ত হবেন; যেখানে দেশের অভ্যন্তরেই নাজুক পরিস্থিতি বিরাজ করছে! আমরা কি রেমিট্যান্সের মাধ্যমে অর্জিত অর্থ দিয়ে নিজ পায়ে দাঁড়িয়ে নতুন আবার কোন মেগা প্রজেক্ট করে বিশ্বকে দেখিয়ে দিতে পারবো না যে, বাংলাদেশ কোন 'তলাবিহীন ঝুড়ি' নয়! হারাতে বসেছি কি মধ্যে আয়ের দেশ অথবা ২০৪১ নাগাদ উন্নত রাষ্ট্রে পৌঁছাবার স্বপ্ন!

প্রবাসীদের দাবি অনুযায়ী পিসিআর টেস্টের ল্যাব বসাতে খরচ কত হবে? আমাদের পার্শ্ববর্তী রাষ্ট্রগুলো দ্রুত পিসিআর অপারেশনে যেতে সক্ষম হলে, আমরা কেন পারলাম না! যে রেমিট্যান্স যোদ্ধারা আমাদের অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের মুখ থেকে ফিরিয়ে এনেছেন তাদের প্রতি কি আমাদের কোন দায় নেই? কেন প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ নির্দেশের অপেক্ষায় বসে থাকতে হলো? একজন মানুষের উপর বারবার কেন এত চাপ তৈরি করা হচ্ছে! প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে দ্রুত সময়ের ভিতরেই হয়তো শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পিসিআর মেশিন এবং ল্যাব বসছে। আমাদের তিন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের চাহিদা অনুযায়ী সেটা পর্যাপ্ত নয়। বাকি দুই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরেও পিসিআর মেশিন বসানোর কথা বলেছেন; কিন্তু হাতে সময় থাকতে পিসিআর মেশিন গুরুতর প্রয়োজন। ঢাকা-চট্টগ্রাম-সিলেটে যেন প্রবাসীদের দাবি নিয়ে আর দাঁড়াতে না হয়। ভোগান্তিতে যেন আর না পরে দেশের হাজার হাজার বিদেশ কর্মজীবী।

"জীবিত থাকলে আমরা রেমিট্যান্স যোদ্ধা, মরলে বেওয়ারিশ"- প্রবাসীদের এই অভিমানী বক্তব্য ঘোচানোর দায়িত্ব এখন স্বয়ং রাষ্ট্রের। শুধু টাকায় যেন পারিবারিক সম্পর্ক আটকে না যায়; বরং হাজার হাজার মাইল দূরে থাকা পরিবারের কর্মজীবী সদস্যদের সাথে সৌজন্যমূলক মানবিক আচরণ অত্যন্ত কাম্য। নিয়মিত তাদের খোঁজখবর রাখাটা খুবেই জরুরি। প্রণোদনা সুবিধা এবং চাকরি যাওয়ার ভয়ে সঞ্চিত অর্থ পাঠিয়ে দেওয়া অথবা চাকরি হারিয়ে উপার্জিত অর্থ নিয়ে দেশে ফেরত আসায় গত অর্থবছরে হয়তো ইতিহাসের রেকর্ড পরিমাণ রেমিট্যান্স এসেছিলো। সেই বৈদেশিক মুদ্রায় বাংলাদেশও সামাল দিতে সক্ষম হয়েছিলো অতিমারি কালীন অর্থনীতি। কিন্তু বর্তমানে রেমিট্যান্স ক্রমেই নিম্নমুখী হওয়ায় আমাদের ভবিষ্যৎ অর্থনীতি চাপের মুখে পড়তে যাচ্ছে নিশ্চিত। প্রবাসী কর্মরতদের দাবি দ্রুত বাস্তবায়ন হোক। চোখের জল মুছে ফড়িংয়ের জীবন আবার ডানা মেলুক আকাশবীণায়।

এইচআর/এমএস