শোকের মাস শেষে
জাফর ওয়াজেদ
শেষ হচ্ছে শোকের মাস। আজ ৩১ আগস্ট। হৃদয় ভারাক্রান্ত করে তোলা মাসটির বিদায়ের সঙ্গে ক্রন্দনমাখা এক দুঃসহ যন্ত্রণার কাঁপা কাঁপা সুর বেজে ওঠে। এই শোককে শক্তিতে পরিণত করার প্রেরণা বার বার জাগরুক হয়ে ওঠে জাতির জীবনের প্রণোদনায়। বাঙালির জীবনের শোকের মাসটি অতীতকে সামনে নিয়ে আসে। প্রশ্ন জিজ্ঞাসিত হয়, কেন এই নির্মম হত্যাযজ্ঞ? কেন, কার স্বার্থে, কারা এই নিষ্ঠুর হত্যাযজ্ঞে সংশ্লিষ্ট, তারও হদিস মেলে। কিন্তু পূর্ণচিত্র মেলে না।
বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার হয়েছে। খুনিরা শাস্তিদণ্ড পেয়েছে। তবে হত্যার নেপথ্যে যে রাজনৈতিক সম্পৃক্ততা এবং ষড়যন্ত্র ছিল, সে বিষয়গুলো চাপা পড়ে আছে। সে সব সত্য উদঘাটিত হবেই। কারণ, এই নির্মম পাপ চাপা থাকবে না। পাপিষ্ঠদের মুখোশ উন্মোচিত হবেই। যেভাবে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চার দশক পরও সম্ভব হয়েছে, তেমনি ষড়যন্ত্রের সব ক’টি ক্ষেত্রই সামনে আসবে এবং পর্যায়ক্রমে তার বিচারও হবে। জাতি দীর্ঘদিন ধরে সেই প্রত্যাশাই করে আসছে। বাঙালির রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে পাওয়া স্বাধীন সত্তাকে সেদিন বিসর্জিত করা হয়েছিল।
৪৬ বছর আগে ১৯৭৫-এর ১৫ আগস্ট তাই বাঙালির জাতীয় শোক দিবস। আর পুরো আগস্ট মাসই শোকের মাস। যে হত্যাকাণ্ডে স্তম্ভিত হয়ে গিয়েছিল জাতি। শোকে পাথরপ্রায়। সেদিন দেশব্যাপী মানুষকে অজানা আশঙ্কায় গ্রাস করেছিল। পুরো জাতি যখন নতুন সমাজ ব্যবস্থা ও নতুন সরকার পদ্ধতি প্রচলনের পথে ব্যস্ত, ঠিক তখনই আঘাত হানা হয়েছিল। বঙ্গবন্ধুর নিষ্ঠুর হত্যাকাণ্ডে বাংলাদেশে এক গভীর সঙ্কটের সৃষ্টি হয়েছিল। যার রেশ এখনও বহমান। ঘাতকরা এখনও উদ্যত। তারা মুছে দিতে চেয়েছিল বঙ্গবন্ধু এবং তাঁর সৃষ্ট বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রটিকে। স্বাধীনতার মাত্র চার বছরের মাথায় নানা চক্রান্ত, সন্ত্রাস ও পারস্পরিক হানাহানির মধ্যে জাতির স্থপতির হত্যাকাণ্ডে সমগ্র রাষ্ট্রীয় কাঠামো অস্থিতিশীল হয়ে পড়ে। বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের মধ্য দিয়ে রাষ্ট্রটিকে পাকিস্তানি ধারায় ফিরিয়ে নেয়া হয়েছিল। যে ধারার করাল গ্রাস থেকে জাতি এখনও পুরোপুরি মুক্ত হতে পারে নি।
কবি নাট্যকার দ্বিজেন্দ্রলাল রায় তাঁর এক নাটকে চরিত্রের মুখ দিয়ে বলিয়েছেন, ‘দুর্ভাগ্য সে দেশের নয়, যে দেশের বীর মরে, দুর্ভাগ্য সে দেশের যে দেশের বীর মরে না। শোকের মাস এলেই কথাটা ঘুরে ঘুরে মনে আসে। দেশে দেশে গৌরবের ইতিহাস রচিত হয়েছে রক্তের অক্ষরে বীরপুরুষদের আত্মত্যাগের কাহিনী দিয়ে। ডিএল রায়ের কথায়ও এসেছে- দেশরক্ষা, দেশের স্বাধীনতা রক্ষার প্রসঙ্গ। কিন্তু যুদ্ধক্ষেত্রই বীরত্ব প্রকাশের একমাত্র ক্ষেত্র নয়।
বীরের মৃত্যু প্রতিদিন প্রতিক্ষণ ঘরে-বাইরে যে কোন স্থানে, যে কোন মুহূর্তে ঘটতে পারে। যোদ্ধা নন, যুদ্ধ বিদ্যাবিশারদ নন, এমন অনেক মানুষ লোকহিতায় মৃত্যুবরণ করেছেন প্রকৃত বীরের মতো। যুদ্ধক্ষেত্রে যারা প্রাণ দেন, তারা বীরপুরুষ নন, নাটকে এমন কথা বলা হচ্ছে না। বলা হচ্ছে তারাও বীরপুরুষ। তবে দেশরক্ষী সৈনিক হিসেবে প্রয়োজন হলে তারা প্রাণ বিসর্জন দিতে অঙ্গীকারবদ্ধ। তদুপরি তারা বেতনভুক। এই বেতনভুকদের একটি বিপথগামী দল রাজনীতির সম্পৃক্ততার রাষ্ট্রনায়ক শুধু নয়, বাঙালি জাতির পিতাকে হত্যা করেছিল। জাতির পিতাকে হত্যা করেই তারা ক্ষান্ত হয়নি, মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত সব কিছুকেই ভূলুণ্ঠিত করার প্রক্রিয়া চালু করেছিল। যার মূল্য জাতিকে গত ৪৬ বছর ধরে দিতে হয়েছে।
আমরা তো জানি আপন স্বার্থে নয়, দেশ আর দশের স্বার্থে মৃত্যুর ঝুঁকি নিয়ে যিনি দেশসেবায় ব্রতী তিনিই প্রকৃত বীর। মানুষ ইতিহাসের মহত্তম অধ্যায় এরূপ মানুষের আত্মবিসর্জনের মহিমা নিয়ে রচিত। বঙ্গবন্ধু জনপ্রিয়তাকে লেশমাত্র মূল্য না দিয়ে জেনেশুনেই বিপদের পথে অগ্রসর হয়েছেন, আর সে কারণেই জীবন দিতে হয়েছে- এমনটা বলা হয়। জীবনদান আর জনপ্রিয়তা বিসর্জন সমান বীরত্বের দাবিদার হতে পারে। ডিএল রায়ের বাক্যটি দেশ সম্পর্কে যতটুকু সত্য, আমাদের দেশপ্রেমী রাজনৈতিক দলগুলো সম্পর্কেও ততখানিই সত্য। অর্থাৎ কবি নাট্যকারের বাক্য অনুসরণ করে বলা যায়, দুর্ভাগ্য সে দলের, যে দলের বীর মরে না।
আজকের সঙ্কীর্ণ দৃষ্টিতে বঙ্গবন্ধু এবং জাতীয় চার নেতাকে শুধু আওয়ামী লীগের নেতা বললে তাঁদের ছোট করে দেখা হয়। তাঁরা সমগ্র বাংলাদেশের। সমগ্র জাতির নেতা। তাই এটা বলা সঙ্গত হবে যে, আওয়ামী লীগ যে সম্মানের অধিকারী তা দেশের অন্য কোন রাজনৈতিক দলই সে সম্মান দাবি করতে পারে না। আরও দুঃখের বিষয় যে, দেশের এত সব দল এবং এত সব নেতার মধ্যে এখনও তেমন কোন বীরের আবির্ভাব ঘটেনি, কাউকে সেভাবে প্রাণ দিতে হয়নি।
সকলেই বুঝি অক্ষত দেহে নিরাপদে বসবাস করছেন। এটা প্রমাণিত যে, আওয়ামী লীগের বাইরে কোন নেতাকেই দেশবাসী বীরের মর্যাদা দিতে রাজি নয়। প্রশ্ন উঠতে পারে, দল বিরোধের ফলে দলীয় কর্মীরা প্রায়শই তো ঘায়েল হচ্ছে; কোথাও নিহত হচ্ছে। মরছে বটে, কিন্তু এ জাতীয় মৃত্যুর মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই। যুদ্ধে যে অখ্যাত সৈনিকরা প্রাণ দেয়, তাদের উদ্দেশ্যে ‘TO BE UNKNOWN SOLDIER’ (টু বি আননোন সোলজার) বা অজ্ঞাতনামা সৈনিকের নামে স্মৃতিসৌধ নির্মিত হয়। সেখানে সকলে শ্রদ্ধা জানায়। সেসব সৈনিক অজ্ঞাত হলেও অবজ্ঞাত নয়। কেননা তারা দেশের জন্য প্রাণ বিসর্জন দিয়েছেন। তবে বাংলাদেশে একালে যা হচ্ছে তা নিছক হাঙ্গামা বলা যায়। মারামারি, হানাহানি, খুনোখুনিকে কেউ সম্মানের চোখে দেখে না। ছুরি মেরে, গুলি ছুড়ে, পেট্রোলবোমা নিক্ষেপ করে নির্বিচার গুপ্তহত্যা, ব্লগার হত্যার মতো নির্মম ঘটনাও কাপুরুষতার চূড়ান্ত। এর মধ্যে বীরত্ব নেই। রাজনৈতিক দলগুলো যতদিন বোমাবাজি এবং খুন-খারাবিতে লিপ্ত থাকবে, ততদিন কেউ তাদের সম্মানের আসন দেয় না, দেবে না।
নেতৃবৃন্দ যদি বিপদের ঝুঁকি নিয়ে সাহস করে অনুগামীকে নিবৃত্ত করতে পারেন, তা হলে বরং কদাচিৎ বীরত্বের দাবি করতে পারবেন। এ যাবত বীরত্বের দাবি একমাত্র আওয়ামী লীগের। প্রাণ দিয়েছে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। শুরুটা হয়েছিল ষাটের দশক হতে এবং আজও তা চলছে। তাই আওয়ামী লীগই বলতে পারে রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে কণ্ঠ মিলিয়ে ‘তুমি মোর জীবনের মাঝে মিশায়েছ মৃত্যুর মাধুরী।’ আজকের আওয়ামী লীগ যেন ভুলে না যায় সে বাঙালির মুখপাত্র, দেশোন্নয়ন, জাতির অগ্রগতির চাবিকাঠি তার হাতে। এই বাংলার কথা বলতে গিয়ে বিশ্বটাকে কাঁপিয়ে দিয়েছিলেন যে বঙ্গবন্ধু, তাঁর নীতি ও আদর্শের মধ্যে রয়েছে বাঙালির বেঁচে থাকার, জেগে ওঠার প্রাণ ভোমরাটি। কিন্তু আওয়ামী লীগের আচরণ বা বাক্যবাণ যদি হয় অন্যান্য দলের মতো, তবে তাকেও মনে হবে অনুরূপ দল। অন্যসব দলও বুঝি তাকে তাদেরই সমান মাপের একটি দল হিসেবে দেখছে। আওয়ামী লীগ যেন ভুলে না যায় তার সর্বজনীন অবস্থান। যেন ভুলে না যায় সে হচ্ছে Parent Body বা পিতৃতুল্য। অন্যান্য দল অর্থাৎ মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের অন্য শক্তিগুলো তারই স্বজন। একদিন সকলকে নিয়ে সে দেশ জোড়া এক আন্দোলন সৃষ্টি করেছিল, যার পরিণতিতে যুদ্ধ এবং স্বাধীনতা, সে সময় সুবৃহৎ এক একান্নবর্তী পরিবারের সৃষ্টি করেছিল। ক্রমে সুপুত্ররা, স্বজনরা পিতৃগৃহ ছেড়ে এসে আলাদা হেঁশেল করে ছোট ছোট সংসার পেতে বসেছিল। সংসার পাতা সহজ, কিন্তু বনেদি হতে সময় লাগে। সেটা জীবনচর্যা সাপেক্ষ। সম্ভ্রান্ত জীবনচর্চার অভাবে প্রত্যেকটি দলেরই অবস্থা অনেকটা এরকম- হঠাৎ গজানো ভদ্দরনোকের মতো- চেঁচাচ্ছে, হাত-পা ছুড়ছে। আস্ফালনটাই বেশি- শোভন সুন্দর মার্জিত রুচির অভাব। আওয়ামী লীগেরও ছিল বনেদি স্বভাব। সে বার বার মার খেয়েছে, কিন্তু ফিরে বার বার মারেনি। একবারই জবাব দিয়েছে একাত্তরে। রবীন্দ্রনাথ তো বলেছেনই, ‘শান্ত যে, অজেয় তার বল।’
বঙ্গবন্ধু যুগে আওয়ামী লীগের মূলে ছিল এই ব্রত। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে অহিংস নিরস্ত্র জনগণের প্রচণ্ড তেজ যখন প্রবল পরাক্রান্ত পাকিস্তানি হানাদারের সশস্ত্র দখলদারিত্ব টলিয়ে দিয়েছিল। আজকের আওয়ামী লীগকে আবার সেই শক্তির চর্চা করতে হবে অগ্রগতি ও উন্নয়নের পথে সমৃদ্ধশালী দেশ গড়ার রথে আসীন হতে। তাকে বুঝতে হবে, অন্যান্য দল যা করে, যা বলে, যেমনভাবে চলে, আওয়ামী লীগকে তা মানায় না। তাকে জনগণের ভাষায় কথা বলতে হবে।
আওয়ামী লীগকে লোকে যখন একটি দল হিসেবে দেখে এবং আওয়ামী লীগাররাও যখন নিজেদের একটি দল হিসেবে ভাবে এবং সেভাবেই ব্যবহার করে, তখন রবীন্দ্রনাথের গোরা উপন্যাসের একটি উক্তি চলে আসে। গোরা বলেছিল, ‘হিন্দু কি একটা দল? হিন্দু একটা জাতি। ঢেউ যেমন সমুদ্র নয়, হিন্দু তেমনি দল নয়।’ আওয়ামী লীগের ক্ষেত্রেও ঠিক একই কথা প্রযোজ্য। আওয়ামী লীগ একটা দল নয়। আওয়ামী লীগ সমগ্র দেশ, আওয়ামী লীগই সমগ্র বাঙালী জাতি। একে ছোট করতে যাওয়া মানে আত্মঘাতী দুর্বুদ্ধি। এর শোচনীয় পরিণাম সর্বনেশে আকার ধারণ করে। দেশকে নিয়ে যায় বিশৃঙ্খলা, অরাজকতায়। পাকিস্তান বিদায় নিয়েছে। আওয়ামী লীগ সবে শাসনতক্তে বসেছে। আওয়ামী লীগ বিরোধীরা ভাবল, এই সুযোগ, আমরাও লড়াই করা বাংলাদেশ সরকার।
‘শুরু হলো ভাঙনের মহাযজ্ঞ; জ্বালাও-পোড়াও সব লোপাট করে দাও। যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশের কোটি কোটি টাকার সম্পদহানি কর। পাট, ধান, চাল, সার গুদাম পুড়িয়ে দাও। গুম, হত্যা, থানা, ফাঁড়ি ও অস্ত্র লুটপাট চালাও। অদ্ভুত দেশপ্রেম। কিন্তু এর উদ্দেশ্যটা কী? বঙ্গবন্ধু সরকার থিতিয়ে বসবার আগেই তাকে উচ্ছেদ? কর্মপন্থাটা যেমন স্থূল, ভবিষ্যত দৃষ্টিটাও সূক্ষ নয়।
দেশের দলনায়কদের এখন বুঝে নেয়ার সময় এসেছে যে, নিরর্থক বিরোধিতার দ্বারা নেতৃত্ব বজায় রাখা যায়, কিন্তু দেশবাসীর চোখে সম্ভ্রম বজায় রাখা যায় না। তদুপরি ভবিষ্যত ইতিহাসে তিরস্কৃত হওয়ারও আশঙ্কা থাকে। মতবিরোধ থাকতেই পারে। বিরুদ্ধমত প্রকাশের অবকাশও সুসভ্য সমাজে থাকবে। তথাপি দেশের বর্তমান দুর্দিনের কথা ভেবে শুভবুদ্ধিসম্পন্ন নেতা মাত্রেরই উচিত হবে মতানৈক্যগুলো আপাতত একপাশে সরিয়ে রেখে যেখানে অনৈক্য নেই সেইসব ব্যাপারে এগিয়ে গিয়ে সরকারের সঙ্গে সহযোগিতা করা। দৃষ্টিটাকে দল থেকে দেশের দিকে প্রসারিত করতে হবে। নিছক বিরোধিতার জন্য বিরোধিতায় নিজেদের শক্তি ক্ষয় মানে দেশের সম্পত্তি ক্ষয়।
বঙ্গবন্ধুর গড়া আওয়ামী লীগের নেতাদের মধ্যে উচ্চশিক্ষিত বুদ্ধিমান নেতা হয়তো আছেন অনেক। কিন্তু আশঙ্কা করি তারা বোধকরি ভুলে যাচ্ছেন যে, দলটি যদি ছোট হয় সে পুরো দেশের কথা ভাবতে পারবে না। ফলে তার দাবি-দাওয়া হবে ছোট। এসব ক্ষেত্রে দলীয় নেতা যতই বিদ্বান-বুদ্ধিমান হোন, দলের খাতিরেই নিজেকে ছেঁটে-কেটে ছোট করে নিতে হয়। একদিন এই দলে আমরা যে সব বড় বড় নেতৃত্ব দেখেছি, আজ সারাদেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাড়া সে প্রজ্ঞার নেতা একজনও নেই। ফলে দু’চারজন ছাড়া বাকি নেতারা ক্রমেই হাস্যকর হয়ে উঠছেন। এখন থেকে সাবধান না হলে একদিন তারাও হাস্যরসের উপকরণ যোগাবেন। দায়িত্বজ্ঞানহীন উক্তি কোন নেতৃস্থানীয় ব্যক্তির মুখে শোভা পায় না। মনে রাখা প্রয়োজন, উদ্দেশ্য সাধু হলেও কর্মপন্থায় যদি ভুল থাকে তা হলে হিতে বিপরীত হয়।
বাংলাদেশের দুর্ভাগ্য, সে দেশের, যে দেশের জ্ঞানী-গুণী ব্যক্তিরা মুখ ফুটে কিছু বলে না। বঙ্গবন্ধু হত্যার পর তাদের মুখ বন্ধ ছিল বিচারের দাবিতে। বাঙালির জন্য বঙ্গবন্ধু যা রেখে গেছেন তা অবিস্মরণীয়। বঙ্গবন্ধুর ঋণ পরিশোধ করা কঠিন। কিন্তু আমরা যেন বঙ্গবন্ধুর ঋণ স্বীকার করি।
লেখক : একুশে পদকপ্রাপ্ত সাংবাদিক ও মহাপরিচালক প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ।
এইচআর/জেআইএম