পরীমনি রাজনীতি ও মিডিয়া বেষ্টিত অপরাধ
নাট্যাঙ্গনে পরিচালক হিসেবে যখন পরিচিতি বাড়তে শুরু করেছে, ঠিক তখন থেকে কিছু প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয়েছে। প্রায়ই পরিচিত জনদের কাছ থেকে প্রশ্ন আসতো, অমুক নায়িকাকে চিনি কি না। আমি সেই নামের কোন নায়িকা তো দূরের কথা, নামই কখনো শুনিনি। এসব অজ্ঞাতনামা মেয়েরা নামি পরিচালকদের সেটে গিয়ে ছবি তুলে বা প্রমিনেন্ট নায়ক-নায়িকাদের সঙ্গে সুটিং সেটে ছবি তুলে নিজেকে ওই নাটকের নায়িকা বলে পরিচিতি বাড়াতো।
গত মাসে দুই/তিন জন আমার কাছে জানতে চাইল আমি কোন বিজ্ঞাপন করছি কি না। পরে জানতে পারলাম আমি বিজ্ঞাপণ নির্মাণ করছি এমন একটি বিজ্ঞাপন চিত্রের জন্য প্রডিউসার মডেল খুঁজছেন। ভুক্তভুগিদের কয়েকজন চেনা এবং কয়েকজন অচেনা। প্রডিউসারের কথার সত্যতা প্রমাণ করতে সরাসরি আমার সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছেন।
কয়েক মাস আগে এক ব্যক্তির সাথে পরিচয় করিয়ে দিলেন একজন। ব্যক্তি সম্পর্কে খুব উচ্ছ্বসিত উপস্থিত অনেকেই। পরিচয়ের এক পর্যায়ে আমাকে ভিজিটিং কার্ড দিলেন বিশিষ্ট ব্যক্তি। বললেন আমার ফেসবুকে একটা ফ্রেন্ড রিকুয়েস্ট পাঠান। যোগাযোগ রাখবেন অনেক কাজে লাগবে। আমি নিরুৎসাহিত হয়ে বললাম, ধন্যবাদ। এক পর্যায়ে জোর করে নিজের গুণগান করতে লাগলেন। বললেন অমুক নেতা আমার পরিচিত, অমুক বিশিষ্ট ব্যক্তি আমার পরিচিত। এই দেখেন আমার সাথে তাদের ছবি আছে। আমি ভীষণ বিরক্ত হয়ে বলতে বাধ্য হলাম, ভাই যাদের সাথে আপনার বিশেষ বিশেষ পরিচয়, তাঁরা প্রত্যেকেই আমার স্বজন। তবে এখনো পর্যন্ত তাদের ক্ষমতার ব্যবহার করতে হয়নি আমার। আপনাকে ধন্যবাদ। আমার কথায় ব্যক্তি হয়তো আশাহত হয়েছিলেন।
আমার নিতান্তই ব্যক্তিগত কিছু অভিজ্ঞতা শেয়ার করলাম। প্রসঙ্গটি এসেছে গত কয়েকমাস ধরে মিডিয়ায় বিশেষ কিছু চাঞ্চল্যকর নিউজের ব্যপকতা নিয়ে। গত ২৬ এপ্রিল, চাঞ্চল্যকর মুনিয়া হত্যাকাণ্ড থেকে উঠে আসে মিডিয়ার বর্তমান চেহারা। মিডিয়া সংশ্লিষ্ট দাবি করা মুনিয়া প্রতিমাসে এক লক্ষ টাকা ভাড়া দিয়ে থাকতেন অভিজাত এলাকায়। পারিবারিক ভাবে তার আয়ের সঠিক উৎস পরিলক্ষ্যিত ছিল না। মুনিয়ার আত্মহত্যা করার আগে পর্যন্ত তার মিডিয়ায় কাজ করা বা না করা, বিলাসী জীবন-যাপন, কোথায় যায়, কে আসে তার বাসায়, অথবা কোথা থেকে এত টাকা আসে তা নিয়ে কারো ভ্রুক্ষেপ ছিল না। এমনকি নিকটাত্মীয়রাও এ বিষয়ে কখনো জিজ্ঞাসা বা সমালোচনাও করেনি।
আজকাল কম বেশি সকলেই জানে উচ্চবিত্ত এলকায় বসবাস করা এমন অনেক মুনিয়াই আছেন। এরা গ্রামের অভাবী পরিবারে বেড়ে ওঠা স্বপ্নবাজ মানুষ। এই শহরে সত্যি টাকা ওড়ে কি না জানা নাই। তবে এ শহরে লটারি পাওয়া যায়। যার ভাগ্যে জুটে যায় সে রাতারাতি সুপার স্টার হয়ে যেতে পারে। এর জন্য অবশ্যই অনেক কষ্ট সহ্য করতে হয়! এ কারণেই সবাই সুপারস্টার বা বিত্তশালী হতে পারে না।
গত ১৩ জুন চিত্র নায়িকা পরীমনির স্টাটাস থেকে জানা যায়, ভীষণ বাজে রকম এক ঘটনার বর্ণনা। অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়। ধীরে ধীরে কেঁচো খুঁড়তে কেউটে বেরিয়ে আসতে শুরু করে। অনুসন্ধানের ভিত্তিতে একসময় অভিযুক্ত আড়ালে চলে যেতে থাকেন। তবে বেরিয়ে আসতে থাকে ভিক্টিমের অনেক অজানা তথ্য। তার সঙ্গে জড়িত আরও অনেক অপরাধের তথ্যও উঠে আসতে থাকে। এমকি বেরিয়ে আসে চিত্র নায়িকার আয়ের সঙ্গে বর্তমান সম্পদের ফারাক। মধ্য দুপুরের তেজোদীপ্ত সূর্য যেন সন্ধ্যার ম্লান আলো হয়ে অন্ধকারে মুখ লুকাতে শুরু করে। ধীরে ধীরে অভিযোগকারিণী, অভিযুক্তের কাঠগড়ায় চলে আসেন। তারই প্রেক্ষিতে জামিনে বেরিয়ে আসেন অভিযুক্ত আসামী। কেন মামলা, কেন জামিন এ বিষয়ে মিডিয়া, প্রশাসন বা আদালত থেকে আর কোন তথ্য বর্তমানে প্রচারিত হয় না। পরীমনি আটকের পর ঘটনা নতুন মোড় নিয়েছে।
সর্বশেষ মিডিয়ায় তোলপাড় করা ৩টি ঘটনা ঘটেছে। গৃহকর্মীকে নির্যাতনের অভিযোগে আটক হয়েছেন এক সময়ের ঢাকাই ছবির দাপুটে চিত্রনায়িকা একা। পাশের ফ্ল্যাট থেকে জরুরি সেবা কেন্দ্রে ফোন করে পুলিশ ডাকা হয়। রাজধানীর হাতিরঝিল থানায় নিয়ে আসা হয় চিত্রনায়িকা একাকে। তাকে দেখলে চেনার উপায় নাই হাজার ভক্তের হৃদয় কাঁপানো সেই রূপের রানী একা। বর্তমানে তিনি মাদকাসক্ত এবং মাদক ব্যবসার সাথে সম্পৃক্ত। তার বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন এবং মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে পৃথক দুটি মামলা হয়েছে।
এ ঘটনার ঠিক একদিন পর গোয়েন্দা সূত্রে খবর পেয়ে আটক করা হয় মডেল ফারিয়া মাহবুব পিয়াসা ও তথাকথিত মডেল মরিয়ম আক্তার মৌকে।
ডিবি পুলিশের চার ঘন্টা অভিযানের পর পিয়াসার ঘরের টেবিল থেকে চার প্যাকেট ইয়াবা, রান্নাঘরের ক্যাবিনেট থেকে ৯ বোতল বিদেশি মদ, ফ্রিজে একটি আইসক্রিমের বাক্স থেকে সিসা তৈরির কাঁচামাল এবং বেশ কয়েকটি ই-সিগারেট পাওয়া গেছে। ডিবি সূত্রে জানা যায়, পিয়াসার বাসায় একটি মিনি বারের সন্ধান পাওয়া গেছে। সুন্দরী রমণীদের দিয়ে মাদকের আসর বসিয়ে ফায়দা লুটতো পিয়াসা। তার ঘনিষ্ঠ সূত্রে জানা যায়, কয়েক বন্ধুর সহযোগিতায় একটি গরুর ফার্ম প্রতিষ্ঠা করেছে মডেল পিয়াসা। ওই ফার্মের জন্য টেকনাফ থেকে বার্মিজ গরু আনার সময় গরুর পেটে ঢুকিয়ে আনা হতো ইয়াবা চালান।
পিয়াসা ও মরিয়ম আক্তার মৌ একই সিন্ডিকেটে কাজ করে। মরিয়ম আক্তার মৌ-এর বাসার ভেতরের বেডরুমের একটি ড্রয়ার থেকে পাঁচ প্যাকেট ইয়াবা ট্যাবলেট, ড্রেসিং রুম থেকে এক ডজন বিদেশী মদ উদ্ধার করা হয়। ড্রইং রুমের পাশেই একটি মিনি বার দেখা গেছে।
অল্প সময়ে রাজনীতিতে এসে ব্যাপক আলোচনায় আসা ব্যক্তিদের মধ্যে সম্রাট, পাপিয়া, হেলেনা জাহাঙ্গীরের নাম উঠে আসে অনায়াসে। তারা রাজনীতিকে আশ্রয় করে অনৈতিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন। এছাড়া প্রভাবশালী নেতাদের সঙ্গে ফটো এডিটের কারসাজিতে দর্জি মনির নিজেকে প্রভাবশালী গড়ে তোলেন। এভাবে প্রভাবশালী থেকে বিত্তশালী হয়ে ওঠেন। একই কৌশলের মাধ্যমে বর্তমান সময়ে অনেকেই রাজনীতিকে ব্যবহার করে অঢেল সম্পদের অধিকারী হয়ে ওঠেন।
সময়ের আলোচিত সামলোচিত জয়যাত্রা টেলিভিশনের চেয়ারম্যান হেলেনা জাহাঙ্গীর অবশ্য দুটোই একসঙ্গে কাজে লাগিয়েছেন। তিনি রাজনীতি দিয়ে মিডিয়া বা মিডিয়া দিয়ে রাজনীতি নয়। বরং দুটোই পাশাপাশি রেখে একটাকে অন্যটার পরিপূরক হিসেবে কাজে লাগাতে সক্ষম হয়েছিলেন।
উপরে উল্লেখিত প্রত্যেকটি ঘটনার মূল সূত্র অনুসন্ধান করলে একটি বিষয়ে মিল খুঁজে পাওয়া যাবে, তা হলো সম্পদ। মানুষের কাছে যখন সম্পদ আসে তখন সে নিজেকে প্রভাবশালী মনে করতে শুরু করে। আবার প্রভাব খাটিয়ে অবৈধ সম্পদ গড়ে তোলার নজিরও রয়েছে ভুরি ভুরি। উনবিংশ শতাব্দীর বিখ্যাত ফরাসি উপন্যাসিক ও নাট্যকার মনরো দ্য বালজাক বলেছেন, ‘মানুষের প্রত্যেক ঐশ্বর্যের পেছনে রয়েছে এক একটি অপরাধ’। উপরের ঘটনাগুলো থেকে আমরা তেমনই ইঙ্গিত পাই।
কয়েকদিন ধরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি স্ট্যাটাস ঘুরে বেড়াতে দেখা যাচ্ছে। সেখানে অভিনয় শিল্পী সংঘের বরাত উল্লেখ করে বলা হচ্ছে, গণমাধ্যমকর্মীরা তাদের ভিউ বাড়াতে গ্রেফতারকৃতদের নামের আগে মডেল বা অভিনয় শিল্পী জুড়ে দেওয়া হয়েছে। অনেকেই আবার অভিযোগ করে বলছেন, আজকাল যাকে তাকে নায়িকা বা মডেল উপাধি দেওয়া সাংবাদিকদের অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। যৌক্তিক কারণ হিসেবে বোঝা যাচ্ছে, সুনির্দিষ্ট অপরাধের কারণে গ্রেফতার হওয়া একা, পিয়াসা বা মৌকে মিডিয়ার মানুষ হিসেবে স্বীকৃতি দিতে চাইছেন না অভিনয় শিল্পী সংঘ। অথচ বনানীর রেইনট্রি হোটেল কান্ডে পিয়াসা প্রথম আলোচনায় আসে। তখন অবশ্য তিনি প্রতিবাদী চরিত্রে রোল প্লে করেছিলেন। তাই তার নামের সাথে বহুবার মডেল শব্দটা যুক্ত হলেও শোবিজ অঙ্গনের কেউ একবারও প্রতিবাদ করেননি। তাহলে অভিনয় শিল্পী সংঘের হঠাৎ করে মডেল/অমডেলের বিষয়ে এত সোচ্চার হওয়ার কারণ কি?
সূত্র জানিয়েছে, ডিবি আটকৃত মামলার জিজ্ঞাসাবাদে পিয়াসা জানিয়েছে, পিয়াসা ও মৌ দুজনে একই সংঘবদ্ধ চক্রের সদস্য। তাদের অধীনে রয়েছে ১০০-১৫০ লাস্যময়ী নারী যাদের অধিকাংশ মিডিয়ার। পিয়াসা রাজধানীর বারিধারা, উত্তরা ও গুলশানের কয়েকটি বাসায় মাঝেমধ্যেই পার্টির আয়োজন করতেন। ওই পার্টিতে আমন্ত্রন জানানো হতো বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার প্রভাবশালী ব্যক্তিদের। সুন্দরী মেয়েদের দিয়ে আমন্ত্রিত অতিথিদের মাদকের যোগান দিতো পিয়াসা। পরবর্তীতে গোপন ক্যামেরায় ধারনকৃত ভিডিও দেখিয়ে এসব প্রভাবশালীদের বø্যাকমেইল করা হতো। সর্বশেষ ঘটনা ছিল, একটি অভিজাত বিপণিবিতানের মালিকের স্ত্রীর সঙ্গে অন্য এক ব্যক্তির অবৈধ সম্পর্কের বিষয়টি পুঁজি করে পিয়াসার ব্ল্যাকমেইলিং চলছিল। তবে ভিক্টিম বেঁকে বসাতে ঘটে যত বিপত্তি।
পিয়াসা ও মৌ গ্রেফতার হওয়া কি তাহলে মিডিয়ার ভিত নড়ে উঠেছে! তারা যদি মুখ খোলে তাহলে কি মিডিয়ার সভ্য জনপ্রিয় অভিনয় শিল্পীদের মুখোশ খুলে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে! নাকি শিল্পীদের বিভিন্ন সময়ে শেল্টার দেওয়া প্রভাবশালী প্রযোজক বা ব্যক্তিদের নাম প্রকাশ্যে চলে আসতে পারে! নাকি, এমন সম্ভাবনাকে আড়াল করতে ভিন্ন এ কৌশল অবলম্বন করা হচ্ছে(!)
আজ যাদের মিডিয়ার নয় বলে অভিনয় শিল্পী সংঘ প্রতিবাদ করছেন, তারা কিন্তু অতিতে ভীষণ জনপ্রিয় ছিল। মান্নার বিপরীতে একার অভিনীত সিনেমা ছিল ব্লকবাস্টার। পিয়াসার অভিনীত বিজ্ঞাপন চিত্র ছিল জনপ্রিয়। মরিয়ম আক্তার মৌ অভিনেত্রী না হলেও অভিনেত্রীদের দিয়ে ব্যবসা করতে সিদ্ধহস্ত। সুতরাং কোনভাবেই এরা মিডিয়ার বাইরে নয়।
৬ বছর ধরে মিডিয়ার কয়েকটি বিভাগে নির্বাচনের প্রচলন শুরু হয়েছে। অভিনয় শিল্পী সংঘ এর ব্যতিক্রম নয়। ভোট ব্যাংক বাড়ানোর লক্ষ্যে প্রতি নির্বাচনের আগে নাম সর্বস্ব কিছু নতুন ছেলে-মেয়েদের অভিনয় শিল্পী বানানো হয়। অভিনয় শিল্পী সংঘ হয়তো ভুলে যাচ্ছেন ভবিষ্যতে এসব তথা কথিত মডেল বা অভিনয় শিল্পীর কারণে গোটা শিল্পী সমাজ হুমকির মুখে পড়তে পারে। কারণ অতীতে অনেকেই মডেল বা অভিনয় শিল্পী পরিচয় দিয়ে নানা রকম অপকর্মে লিপ্ত হয়ে পড়ার নজির রয়েছে।
মিডিয়া এবং রাজনৈতিক অঙ্গনে অপরাধ ক্রমশ বেড়েই চলছে। এর কারণ অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসছে বিচিত্র তথ্য। এই দুটি অঙ্গনের সঙ্গে সম্পৃক্ততা রয়েছে সম্পদ, প্রভাব, ক্ষমতা। জাতীয় নির্বচনের প্রচার-প্রচারণার কাজে মিডিয়ার মানুষদের সক্রিয় করা হয়। শুধু জাতীয় নয়, সিটি কর্পোরেশন থেকে শুরু করে জেলা, উপজেলা এমনকি ইউনিয়ন নির্বাচনেও মিডিয়ার মানুষদের সম্পৃক্ত করা হয়। তাদের জনপ্রিয়তাকে কাজে লাগিয়ে রাজনৈতিক ভাবে লাভবান হয়।
আজকাল রাজনৈতিক অঙ্গনে উপঢৌকন হিসেবে মিডিয়ার মানুষদের ব্যবহার করার প্রচলন বেশ জনপ্রিয়। আবার মিডিয়ায় নাটক নির্মাণে প্রডিউসার পাওয়া, নাটক প্রচার করতে বিজ্ঞাপন পাওয়া, সরকারী গুরুত্বপূর্ণ কাজ পাওয়ার জন্য মিডিয়ার মানুষগুলো রাজনৈতিক শেল্টার ব্যবহার করেন। সুতরাং কারণ খুঁজতে গিয়ে একে একে দুই হয়ে যাচ্ছে। যেন রাজনীতি ও মিডিয়া একই সূত্রে গাঁথা। তাই অন্য সকল সেক্টরের তুলনায় এই দুই সেক্টরের অপরাধ খুব বেশি। যার কারণে খুব সহজেই প্রকাশ্যে চলে আসে। যতদিন না একে অপরের উপর থেকে প্রভাব কমে যাবে, ততদিন পর্যন্ত জন্মাতে থাকবে নতুন নতুন অপরাধ।
তাই মিডিয়া সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের শুধু অর্থ উপার্জনের দিকে মনোযোগ থাকলে হবে না। শৈল্পিক মানসিকতারও বিস্তার ঘটাতে হবে। এবং মিডিয়াকে রাজনৈতিক প্রভাব মুক্ত করতে হবে। তাহলেই দেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দুটি সেক্টরের অপরাধ কমতে শুরু করবে।
লেখক : সাংবাদিক, নাট্যকার ও নাট্যপরিচালক।
এইচআর/জিকেএস