ভিডিও EN
  1. Home/
  2. মতামত

ভালোর জন্য আলোর জন্য

ড. শারমিন ইসলাম সাথী | প্রকাশিত: ১০:৩৫ এএম, ০১ জানুয়ারি ২০২১

কুসুমকুমারী দাশের কবিতাটি মনে পড়ছে, ' আমাদের দেশে হবে সেই ছেলে কবে কথায় না বড় হয়ে কাজে বড় হবে'। দুই হাজার একুশে আমরা কথায় বড় না হয়ে কাজে বড় হই। নিজের জন্য, চারপাশের জন্য ভালো ভালো কাজ করি। অপ্রাপ্তিগুলোকে সম্ভব হলে প্রাপ্তিতে রূপ দেই, সম্ভব না হলে ভুলে যাই। ভুলে যাই দুঃখ, গ্লানি, জরা। প্রণোদিত হই, প্রণোদিত করি।

দুই হাজার বিশ সালে আমাদের অনেক কাজ করা হয়নি, কিছু কাজ করতে গিয়েও কোভিড-১৯ এর কারণে থেমে গিয়েছি। সব থেকে বড় কথা, অপূরণীয় ক্ষতি হয়ে গেছে পৃথিবীর, দেশের, মানুষের। তবুও, মানুষ রোগ-শোক কাটিয়ে উঠে নতুন করে বাঁচতে শেখে, বেঁচে থাকার তাগিদে।

'যতক্ষণ শ্বাস ততক্ষণ আশ' এই প্রবাদ বাক্যটিকে মন্ত্র মনে করে বেঁচে থাকাই বুদ্ধিমানের। আমরা আশা করতে শিখি। বাঁচার আশা, ভালবাসার আশা, ভাল থাকার এবং অন্যদের ভালো রাখার আশা।

মনের মধ্যে, মগজের মধ্যে এলোমেলো চিন্তাগুলো যেগুলো কোনো কাজের নয় সেগুলো না রেখে সৃষ্টিকে নিয়ে ভাবি, সৃষ্টির জন্য কাজ করি। ডজন খানেক গাছ লাগাই নতুন বছরে। প্রতিদিন ত্রিশ মিনিট করে জোরে জোরে হাঁটার অভ্যাস গড়ে তুলি রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য।

আমাদের জীবন খুব বড় নয়, অল্প সময়ের। কেবল দুঃখী মানুষের কাছে জীবনটা দীর্ঘ মনে হয়। সুস্থ থাকলে, আনন্দে থাকলে একশ বছর বাঁচলেও কম মনে হবে।

মনের শক্তি বাড়াতে সাহিত্যের, শিল্পের বিকল্প কী হতে পারে? আমরা কাজের ফাঁকে দুটো গান শুনি, দুই পৃষ্ঠা বই পড়ি। জীবনের স্বাদ পেতে প্রকৃতির কাছে যাই বছরে এক দুবার। প্রকৃতির চেয়ে বড় শিক্ষক আর কে আছে? চলুন, আমরা ভালোটা শিখি, শেখাই। ভালোর জন্য, আলোর জন্য কাজ করি, করাই।

লেখক : শিক্ষক ও লেখক।

এইচআর/এমএস