সাবধান! কোভিড-নাইন্টিন বাড়াচ্ছে যুদ্ধ-ঝুঁকি
ভারত আর চীন সীমান্তে যুদ্ধ পাকাচ্ছে বলে আমাদের ফেসবুকবাসীদের ঘরে ঘরে আনন্দের সুর দেখে ভাবলাম, পাশের ঘরে আগুন লেগেছে বলে আলু পোড়াবেন বলে ব্যস্ত হয়ে লাভ নেই কিন্তু। আগুন কখন বাতাস পেয়ে যাবে আর আনন্দিতদের ঘর পোড়াবে বলে উদ্বাহু নৃত্য শুরু করবে, তা টের পেতে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েও কিন্তু লাভ হবে না। সারা বিশ্বের নিরাপত্তাকে ঝুঁকির ভেতর ফেলেছে কোভিড-নাইন্টিন, কাজেই নিজেকে নিরাপদ ভাবার মতো বোকামি কি করা যায়?
পৃথিবী মহামারি থেকে সেরে উঠতে যত বেশি দিন নেবে, যুদ্ধের ঝুঁকি তত বেশি বাড়বে। যে দেশ যত দ্রুত মহামারি সামলাতে পারবে, সামাজিক-অর্থনৈতিক পতন ঠেকাতে পারবে, যুদ্ধ ঝুঁকি থেকে বাঁচাতে পারবে তত বেশি। মুশকিল হচ্ছে, এই মহামারি ঠেকানোর আগাম প্রস্তুতি কোনো দেশেরই ছিল না। বিপদ যখন চলে এলো, সবাই তখন রোগ শনাক্ত করা, চিকিৎসা দেওয়া আর মৃত্যুর সংখ্যা নিয়ে হিমশিম খেতে খেতে অনুভব করে, স্বাস্থ্যসেবার মান বৃদ্ধিতে কাঙ্খিত মনোযোগ ছিল না বিধায় এই খাতের অবস্থা সঙ্গীন। ফলে কোভিড-নাইন্টিন ঠেকানোর যুদ্ধে প্রায় সব দেশেরই নাকাল অবস্থা। এর পাশাপাশি সত্যিকারের মানুষ-মারা যুদ্ধের দামামা বেজে উঠলে কোনো সচেতন মানুষই খুশি হতে পারেন না। কেননা, এ যুদ্ধ যে কোভিড-নাইন্টিনের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হিসেবে শুরু হয়েছে। ভাইরাসের সংক্রমণের মতো যুদ্ধও যে সংক্রমিত হবে না, সে রকম ভ্যাকসিন কি আছে আমাদের হাতে?
চীন-ভারতের যুদ্ধ সামনে দেখে বলছি না, বৈশ্বিক ঝুঁকি নিয়ে গবেষণা করেন এমন অনেক বোদ্ধার কথা ধার করে বলছি, সামনের মাসগুলো সত্যিই ঝুঁকিপূর্ণ। আমেরিকা-ইউরোপ নিজেদের ঘর সামলাতে সামলাতে আশা করছে মহামারির কেন্দ্র গরিব আর যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশগুলোতে সরে যাবে। ইরান, চীন, দক্ষিণ কোরিয়া, ইতালির অভিজ্ঞতার সাথে সিরিয়া, আফগানিস্তান, ইয়েমেন, লিবিয়া, সুদানের মতো দুর্বল স্বাস্থ্যখাত, দুর্বল রাষ্ট্রীয় সামর্থ্য, অন্তর্গত দ্বন্দ্বমুখর রাষ্ট্রগুলোতে তীব্র সংক্রমণের ফলে যে অবস্থার সৃষ্টি হতে যাচ্ছে, তা কি মিলবে? বাংলাদেশের মতো জনবহুল দেশ, যার ঘাড়ের উপর বোঝা হয়ে বসে আছে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী, তাকে ভাইরাস সংক্রমণে কত বেশি পর্যায়ে কত বেশি দিন ধরে কষ্ট করতে হবে, তা বলাই বাহুল্য।
অবৈধ অভিবাসীদের নিয়ে হিমশিম খাওয়া কলাম্বিয়া, ব্রাজিল ভেনেজুয়েলার সাথে নিজেদের সীমান্ত বন্ধ করে সংক্রমণ ঠেকাতে চাইছে, কিন্তু কত দিন? আমেরিকার প্রেসিডেন্ট মেক্সিকো সীমান্তে দেয়াল তুলতে চেয়েছিলেন বলে আগে মানুষের রোষানলে পড়লেও ভাইরাস সংক্রমণ ঠেকানোর যুক্তিতে এখন এই দেয়ালের পক্ষে যাবে আমেরিকানরা। সারা পৃথিবীতেই সবচেয়ে বিপদে পড়ছে নারীগণ। চাকরি হারানোর আতঙ্ক সব জায়গায়। ঘরের বাইরে গেলে ভাইরাস মারবে, ঘরের ভেতরে মারবে খিদে। যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশগুলোতে পুরুষহীন সংসারের নারীকে সন্তানের মুখে খাবার তুলে দিতে যে চাকরিটার খুব দরকার ছিল, তা না থাকলে তিনি কী করবেন?
এই সব পরিবারের শিশুদের অসহায়ত্ব কতখানি হবে, ভাবাই যায় না। মরার ওপর খাঁড়ার ঘায়ের মতো যুদ্ধের ঝুঁকিটা এমনই, আন্তর্জাতিক সব পক্ষ এখন নিজেদের ঘর সামলাতে ব্যস্ত, যুদ্ধ থামাতে কথা বলার সময়ের বড় অভাব হয়ে উঠছে। অন্যের ঘর সামলাতে গেলে নিজের ঘরের বেহাল দশা আরও বেড়ে যাবে, সেই ভয় তো আছেই। করোনাভাইরাস সংক্রমণ যুদ্ধের অস্ত্র, এ রকম বিশ্বাস অবিশ্বাস বাড়িয়ে তুলছে দেশগুলোর মাঝে। ভ্যাকসিন কে বানাবে, কারা কারা পাবে, তা নিয়েও মেরুকরণ গড়ে উঠছে।
১৯৫০ সালের ১ এপ্রিল তারিখের স্মরণে কোনো উৎসব হয়নি, মহামারি পার হলে উৎসব হবে এমন ঘোষণা এসেছিল দুই পক্ষ থেকেই। চীন ভারতকে মহামারি ঠেকাতে স্বাস্থ্যসামগ্রী পাঠিয়ে সাহায্যও করছিল। আমেরিকার সাথে গলা মিলিয়ে ভারত সরকারিভাবে চীনকে মহামারি ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য দোষারোপও করেনি। এরপরও শেষ রক্ষা হয়নি। সাম্প্রতিক যুদ্ধাবস্থার ফলে বলা হচ্ছে, চীন-ভারত নিজেদের সম্পর্কের ৭০ বছর পূর্তি উদযাপন করছে একে অন্যের সৈন্য মেরে। দক্ষিণ লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় যুদ্ধ চলছে, সেই উপত্যকাকে নিজের বলে দাবি করেছে চীন। লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে ভারতের সৈন্যদের নির্মমভাবে হত্যা করেছে চীন সৈন্যরা।
চীন-ভারতের যুদ্ধ বুঝিয়ে দিয়েছে, আঞ্চলিক সমস্যার সমাধান খুঁজতে দেশগুলো নিজেরাই নিজেদের যথাশক্তি প্রয়োগ করবে। কেননা, বিশ্বশক্তির মহামারি ঠেকানোর ব্যস্ততা আছে। আমেরিকা জর্জ ফ্লয়েডের হত্যাকাণ্ডের পর নিজেদের মানুষের ক্ষোভের আগুন থামাতে সামরিক বাহিনী নামিয়ে দিতে ব্যস্ত। রাশিয়া সবসময়ই সুযোগের সদ্ব্যবহার করে বুদ্ধিমানের মতো। চীন গোটা জাতিকে বিশ্ব মোড়ল হয়ে উঠতে ধৈর্যশীল বানানোর পাশাপাশি হংকংয়ের চীনা বিরোধিতা, জিনজিয়াংয়ের মুসলিমদের প্রতিরোধ ঠেকাচ্ছে, দক্ষিণ আর পূর্ব চীনা সাগরে শক্তি সঞ্চয়ের চেষ্টার মতো এভাবে আরও আরও সমস্যার সমাধান খুঁজতে যুদ্ধ যদি হয়ে যায় একমাত্র সমাধান, তবে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের দামামা বেজে যায় কি না, সে ভয় কিন্তু আছে।
আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকগণ অন্তত দশটি সম্ভাব্য যুদ্ধক্ষেত্র নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছেন, যার প্রথমেই আছে আফগানিস্তানের নাম। আফগানিস্তানে মৃত্যুর খবর এখন আর বিশ্ব মিডিয়ায় গুরুত্ব পায় না। ২০১৯-এর সেপ্টেম্বরের রাষ্ট্রপতি নির্বাচন নিয়ে বর্তমান রাষ্ট্রপতি আশরাফ ঘানির জয়কে তার নিকটতম প্রতিপক্ষ আব্দুল্লাহ ব্যাপক জালিয়াতির অভিযোগ তুলে ফলাফল প্রত্যাখ্যান করায় যে স্থবিরতা সৃষ্টি হয়েছিল, তা ক্ষমতা ভাগাভাগির প্রস্তাব এলেও কাটতে পারেনি আজও। তালেবানদের সাথে আলোচনার টেবিলে বসেছিল আমেরিকা। খসড়া চুক্তি হয়েছিল, যার ভিত্তিতে আমেরিকান সৈন্যদের সরিয়ে নেওয়া হবে এবং বিনিময়ে আল কায়েদা হামলা থেকে সরে আসবে বলে আশা করা হয়েছিল। সেপ্টেম্বরের গোড়ার দিকে ট্রাম্প এই আলোচনার সমাপ্তি ঘোষণা করেন কোনো কারণ ছাড়াই। এমন আশা দানা বাঁধলেও কোভিড-নাইন্টিন সে আশায় ছাই ঢেলে দিয়েছে। তালেবান মারছে এক দিক থেকে, ইসলামিক স্টেট মারছে আরেক দিক থেকে। যুদ্ধ নয় শান্তি চাই দাবিতে আমেরিকাকে শান্তিচুক্তির টেবিলে আবারও ফিরিয়ে আনা দরকার। নিজের ঘর সামলাতে ব্যস্ত প্রেসিডেন্ট এখন কি এসব নিয়ে ভাবছেন?
ইয়েমেন নিয়ে কেউ ভাবছে কি? একদিকে ইরান, অন্যদিকে আমেরিকা ও এর আঞ্চলিক মিত্রদের মাঝে মধ্যপ্রাচ্যে ক্ষমতা দখলের চাহিদা ইয়েমেনকে সৌদি-ইরান শক্তি প্রদর্শনের খেলার মাঠ বানিয়েছে। ২০১৮ সালে ইয়েমেনে আগ্রাসী হামলাকে জাতিসংঘ বলেছিল বিশ্বের সবচেয়ে খারাপ মানবিক সংকট। ইতোমধ্যে আরব বিশ্বের দরিদ্রতম দেশকে দুর্ভিক্ষের দিকে ঠেলে দেওয়া হয়েছে, আনুমানিক এক লাখ মানুষকে হত্যা করেছে সৌদি আরব ও ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীরা। এর পাশাপাশি দেশটির দূর্বল স্বাস্থ্যখাত কলেরার প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে দুর্বলতর হয়ে পড়েছে, ফলে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাড়ছে হু হু করে। জাতিসংঘের বিশেষ দূত ইয়েমেনের জন্য বিশেষ ফান্ড গড়ে তুলতে আহবান জানিয়েছেন। যুদ্ধবিরতি কার্যকর করা বা শান্তিচুক্তি স্বাক্ষর না করা হলে আর কোনো কিছুতেই কি দেশটির বিশেষ কোনো লাভ হবে? মনে তো হয় না।
পূর্ব আফ্রিকার সবচেয়ে জনবহুল দেশ ইথিওপিয়ার রাজনীতি উন্মুক্ত করার বলিষ্ট ঘোষণা এসেছিল প্রধানমন্ত্রী আবি আহমেদের কাছ থেকে, ২০১৮ সালের এপ্রিলে যখন তিনি ক্ষমতায় বসলেন। প্রতিবেশী ইরিত্রিয়ার সাথে কয়েক দশকের যুদ্ধ থামিয়ে, রাজনৈতিক বন্দীদের মুক্তি দিয়ে, নির্বাসিতদের দেশে ফিরে আসার আহ্বান জানিয়ে তিনি শান্তির যে সুবাতাস সৃষ্টি করেছিলেন, তার পুরস্কার হিসেবে ২০১৯ সালে নোবেল শান্তি পুরস্কার লাভ করেন। প্রধানমন্ত্রীর উদারতার সুযোগে দেশটিতে কেন্দ্রীয় শাসনের প্রতিপক্ষ দাঁড়িয়ে গেল ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী ভিত্তিক জাতীয়তাবোধ। গৃহযুদ্ধের হুমকিতে পড়ে গেছে দেশটি। প্রধানমন্ত্রী আবি আহমেদ চেষ্টা করছেন সবাইকে খুশি করে শান্ত করতে। কাজটি কঠিন। খুব কঠিন। ফলে ইথিওপিয়া সম্ভাব্য যুদ্ধক্ষেত্র হিসেবে চলে এসেছে আলোচনার টেবিলে।
২০১৬ সাল থেকে ইসলামিক মিলিশিয়া বাহিনী আনসারুল ইসলাম আফ্রিকার দেশ বুর্কিনা ফাসোর উত্তর অংশ দখল করে রেখেছে। প্রতিবেশী মালির জিহাদিদের কাছ থেকে তো বটেই, আল কায়েদা আর স্থানীয় ইসলামিক স্টেটের কাছ থেকে সমর্থন পাওয়া জিহাদি গ্রুপটি ইতোমধ্যে প্রায় আধা মিলিয়ন মানুষকে বাস্তুহীন করেছে। ২০২০ সালের নভেম্বরে নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। সংঘাত উপশমের সুযোগ হয়তো বা সৃষ্টি হতো সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন সরকারের হাতে ক্ষমতা গেলে। অনিশ্চিত হয়ে পড়া এর সবকিছুই কেবল এই দেশটিকে ভোগাচ্ছে না, পশ্চিম আফ্রিকা উপকূল বরাবর দেশটির সব প্রতিবেশীকেই ফেলেছে হুমকিতে। যৌথ সামরিক সহায়তা গড়ে তুলতে চাইছে দেশগুলো মিলে। কিন্তু সংঘাত প্রতিরোধে সব শক্তি ব্যয় করে ফেলা এই অঞ্চল করোনাভাইরাস থেকে মানুষকে বাঁচাতে কতটুকু ভূমিকা রাখতে পারছে? পারছে না। ফলে মহামারির ভয়ংকর রূপ দেখা যেতে পারে বলে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা হুঁশিয়ারি জানিয়েছে।
২০১৪ সালের সাধারণ নির্বাচনের পর লিবিয়ায় সমান্তরাল প্রশাসন চালু হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী ফায়েজ আল-সিরাজ ত্রিপোলির দখল রাখতে পারলেও পূর্ব লিবিয়া খলিফা হাফতারের বিদ্রোহী বাহিনীর দখলে। ইসলামিক স্টেট আর মিলিশিয়া বাহিনী লিবিয়ার তেলখনির দখল নিতে লড়ছে আর ওদিকে দক্ষিণের মরুভূমির দখল নিতে লড়ছে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র উপজাতিরা। হাফতার কায়রো-আবুধাবি-মস্কোর সমর্থন পেয়েছেন। সিরাজ পেয়েছেন তুরস্ক ও আমেরিকার। বার্লিনে বসে জাতিসংঘ এই বিরোধ মেটানোর চেষ্টা করলেও এখন সে চেষ্টার কার্যক্রম চলছে কি না স্পষ্ট নয়। একই অবস্থা কিন্তু ভেনিজুয়েলায়। স্থিতিশীল একক সরকার নেই, সে রকম সরকার প্রতিষ্ঠা না করা গেলে হানাহানি থামবে না, কিন্তু কীভাবে সেই সরকার প্রতিষ্ঠা হবে, জানা নেই।
ওদিকে আমেরিকা-ইরান-ইসরায়েল আর পারস্য উপসাগরের ঘনীভূত সংঘাত কি করোনাভাইরাসের আক্রমণে উবে গেছে? উত্তর কোরিয়া এই মহামারিকালেও ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করেছে, তা নিয়ে কথা বলার জন্য আমেরিকাকেও পাওয়া গেল না। ভারত-পাকিস্তান কাশ্মীর নিয়ে বাতাস তো গরম করে রেখেছে বহুকাল ধরে। কাশ্মীরের নিজস্ব শাসন ক্ষমতাকে মোদি সরকার কেন্দ্রের হাতে তুলে নিলে পাকিস্তানের পক্ষ থেকে আন্তর্জাতিক হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়েছিল। সাড়া মেলেনি। সেই ক্ষোভ কি মিশে যায়নি ভারতের সাথে চীনের দ্বন্দ্বের সম্প্রতি প্রকাশিত ঘটনার সমর্থনে? ক্ষোভ যত জোট বাঁধবে, ততই কিন্তু বাড়বে দ্বন্দ্বের আকার। এতে আশেপাশে থাকা দেশগুলো শান্তিতে থাকতে পারবে না। আর বাংলাদেশের মতো ভূরাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে ‘বিপদে’ থাকা দেশের বেলায় চোখ বন্ধ করে নিশ্চিন্তে থাকার উপায় থাকবে কি? এ নিয়ে ভাবতে হবে কিন্তু সবাইকে।
লেখক : কথাসাহিত্যিক।
এইচআর/বিএ/পিআর