ভিডিও EN
  1. Home/
  2. মতামত

করোনা সুরক্ষা সামগ্রী সিন্ডিকেট ও সাধারণের ভোগান্তি

মো. সাইফুল ইসলাম মাসুম | প্রকাশিত: ১২:১৫ পিএম, ০৪ মে ২০২০

ইতিহাসের একটি বিখ্যাত প্রবাদবাক্য- রোম যখন পুড়ছিল, নিরো তখন বাঁশি বাজাচ্ছিল। প্রবাদ বাক্যটির নিরো আসলে কে? রোমান সাম্রাজ্যের পঞ্চম সম্রাট ছিলেন এই নিরো। জুলিও-ক্লডিয়ান রাজতন্ত্রের সর্বশেষ রোমান সম্রাট এই নিরো। রোমান সাম্রাজ্যের সবচেয়ে বেশি অখ্যাত ও অ-জনপ্রিয় সম্রাট ছিলেন নিরো। অত্যাচার, নিপীড়ন, মানবহত্যা, রক্তপাত তার প্রিয় বিষয়বস্তু। ইতিহাসের অগণিত হত্যাকাণ্ডের মূলহোতা সম্রাট নিরো। সৎভাই ব্রিটানিকাসকে বিষ প্রয়োগ করে হত্যা করেছেন এই নিরো। ক্ষমতালোভী নিরো তার নিজের মাকেও হত্যা করতে পরোয়া করেননি। ইতিহাসে আরও প্রচলিত আছে যে- নিরো নাকি তার প্রথম স্ত্রী অক্টাভিয়াকেও হত্যার নির্দেশ দিয়েছিলেন এবং দ্বিতীয় স্ত্রী পপ্পেয়াকে অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় লাথি মেরে হত্যা করেন।

ইতিহাসের পাতায়, মানুষের মুখে মুখে আমরা যে কথাটি সবচেয়ে বেশি বলি, অগ্নিফলক হিসেবে চিহ্নিত, সেই কথার উৎপত্তি হয়েছিল রোমের যে অগ্নিকাণ্ড থেকে, ইতিহাসে যে অগ্নিকাণ্ডের কথা বলা হয়, সেটি ঘটেছিল ১৯ জুলাই, ৬৪ খ্রিস্ট পূর্বাব্দে। এটি ছিল রোমের ইতিহাসের সর্ববৃহৎ অগ্নিকাণ্ড। একটানা ছয়দিন ধরে আগুনের প্রজ্বলিত শিখা জ্বলতে থাকে। তখনকার রোমের প্রায় ১৪ জেলার ১০টিই আগুনে পুড়ে ছারখার হয়ে যায়। প্রাচীন রোমবাসীর ধারণা, এই অগ্নিকাণ্ড সম্রাট নিরো নিজেই ঘটিয়েছিলেন। কারণ ঘটনার পর পতিত ও পরিত্যক্ত ধ্বংসস্তূপের জায়গায় তিনি তার বিখ্যাত স্থাপত্যকর্ম 'ডোমাস অরিয়া' বা স্বর্ণগৃহ নির্মাণ করতে চেয়েছিলেন। এ ধারণাটি আরও সুস্পষ্টভাবে সত্য ও অকাট্য বলে প্রতীয়মান হয়, যখন দেখা যায় অগ্নিকাণ্ডের পর ধ্বংসস্তূপে নিরো তার স্থাপত্যকর্ম তৈরির জন্য পাগল পারা হয়ে ওঠেন।

আর এ স্থাপত্য তৈরির জন্য যখন নিরোর প্রচুর অর্থের দরকার হয়ে পড়ে তখন তিনি জনগণের ওপর কর বাড়ানো এবং মন্দিরগুলো থেকে অর্থ তুলতে শুরু করেন। অনেকের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করতে শুরু করেন। রোমের ইতিহাস নিষ্ঠুরতম সাক্ষ্য বহন করে- রোম যখন আগুনে পুড়ছিল, নিরো তখন তার প্রাসাদের বারান্দায় দাঁড়িয়ে বাঁশি বাজাচ্ছিলেন এবং এমনকি তখন সেদিকে তার কোনো ভ্রুক্ষেপও ছিল না বরং সে সময় তিনি উল্লাস করছিলেন।

পৃথিবীর নির্মম ও নিষ্ঠুরতার একটি পুরো ইতিহাস অত্যন্ত সংক্ষিপ্তভাবে তুলে ধরলাম। যে কারণে ঘটনাটি তুলে ধরলাম, তা হলো- আমাদের দেশে যখন প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস ব্যাপকভাবে আক্রমণ করে, যখন মৃত্যুভয়ে মানুষের অবস্থা নিদারুণ, যখন দেশের আপামর জনগণের পক্ষে কাজ করতে করতে সরকার হিমশিম খাচ্ছিল, যখন দেশের মানুষের জন্য কাজ করতে গিয়ে সরকারের অবস্থা ত্রাহি ত্রাহি, যখন দেশের প্রতিটা মানুষ তাদের জীবন বাতি পকেটে নিয়ে কর্মক্ষেত্রে যায়, যখন দেশের ধনী-গরিব আপামর সব মানুষ গভীর শঙ্কা আর আতঙ্ক নিয়ে স্রষ্টার কৃপা লাভে ব্যস্ত, যখন কিছু মানবিক মানুষ করোনা আক্রান্ত মানুষদের বাঁচাতে ব্যস্ত, তখন এক শ্রেণির নিরো বাঁশি বাজাচ্ছেন, উৎসবের বাজি। তারা মেতে উঠেছেন তাদের রমরমা বাণিজ্যে। তারা হলেন এই দেশের কতিপয় অসাধু ব্যবসায়ী যারা নির্দয়ভাবে তাদের নির্মমতার ছুরিকাঘাত করেছেন সাধারণ মানুষের ওপর। তারা চালিয়েছেন তাদের বিবেকহীনতার ধারালো খড়গ অসহায় মানুষের ওপর।

কী বলব, অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা যা সবাই জানে এবং এই অভিজ্ঞতার শিকার আমরা কমবেশি সবাই। যেখানে একদিকে মানুষের মৃত্যুর হাহাকার, সর্বশেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, নতুন করে দুইজন মারা গেছেন এবং বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত সরকারি হিসাব মতে, মোট মৃতের সংখ্যা ১৭৭। যখন বিশ্বে মোট মৃতের সংখ্যা আড়াই লাখ। যখন আমেরিকায় মৃতের সংখ্য ৬৫ হাজার ছাড়ালো, যখন যুক্তরাজ্যে মোট মৃতের সংখ্যা ২৭ হাজার ছাড়ালো, তখনও থামেনি এই সব অসাধু ব্যবসায়ীর তাণ্ডব।

গত ৮ মার্চ যখন বাংলাদেশে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়, তখন থেকেই শুধু না যখন চীনের উহান শহরে প্রথম করোনাভাইরাসের আক্রমণ তুঙ্গে, তখন থেকেই বাংলাদেশে আকাল পড়ে গেছে এইসব প্রয়োজনীয় এবং চিকিৎসক কর্তৃক প্রেসক্রাইবড সুরক্ষা সামগ্রীর। এদের মধ্যে রয়েছে- মাস্ক, হ্যান্ড গ্লাভস, হ্যান্ড স্যানিটাইজার, ডেটল, স্যাভলন, সকল প্রকার হ্যান্ডওয়াশ ইত্যাদি।

প্রথমেই অর্থাৎ সেই ৮ মার্চ থেকে শুরু হলো কৃত্রিম সংকট। প্রথমে ডেটল খুঁজতে গেলাম। বিশ্ব সংসার তন্নতন্ন করে খুঁজে পেলাম না একটি ডেটলের শিশিও। তারপর টানা এক সপ্তাহ পর প্রায় সব দোকানেই মিলল। ১০০ মি.লি. কাঁচের বোতল গায়ের দাম লেখা ৫২ টাকা অথচ ওরা বিক্রি করছে তা ৮০ টাকা করে। স্যাভলন পেলাম কাঁচের বোতল ১১২ মি.লি. সাইজের গায়ের দাম লেখা ৪৪ টাকা অথচ বিক্রি করছে তা ৯০ টাকা করে। হ্যাক্সিসল ৫০ মি.লি. ছোট বোতল গায়ে দাম ৪০ টাকা অথচ বিক্রি করছে ১০০ টাকা করে। কী আজব দেশে বাস করি। কেমন বিবেক ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের। যখন মানুষের ভাইরাস গার্ড প্রোটেকশন নিয়ে বাঁচা অপরিহার্য হয়ে পড়েছে, ঠিক তখন এসবের সাপ্লাইয়াররা কৃত্রিম মজুতদারি করে অতঃপর তা দুই-তিনগুণ দাম বাড়িয়ে আকাশছোঁয়া দামে বিক্রি করছে। সর্বশেষ পর্যায়ের গ্রাহক হিসেবে আমাদের ভোগান্তির সীমা নেই। যারা মধ্যস্বত্বভোগী, মজুতদার কৃত্রিম সংকট সৃষ্টিকারী তারাই আসল অপরাধী যে বা যারা মানুষের এত বড় বিপদেও এতটুকুও টলেনি।

এবার আসি মাস্ক নিয়ে। মাস্ক নিয়ে যে তেলেসমাতি হয়েছে তা আর ভাষায় বর্ণনা করা যাবে না। একটা আড়াই টাকা দামের মাস্ক এখন বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকা করে। তাও নেই। ফিল্টারসহ এক জাতের মাস্ক বাজারে পাওয়া যাচ্ছে যার ৩০ রকম কোয়ালিটি আছে, গড়পরতায় সবগুলোই প্রায় কাছাকাছি মানের। এগুলোর সর্বোচ্চ মানেরটার দামই খুব বেশি হলে ৪০/৫০ টাকার বেশি হওয়া উচিত নয়। আর নিম্নমানেরটার দাম ১০ টাকার বেশি নয়। একটা কৃত্রিম সংকট তৈরি করে বাজারে একটা হাহাকার অবস্থা তৈরি করে অতঃপর দোকানিরা তাদের বাক্স খুললেন। প্রতিটি মাস্কের দাম সর্বনিম্ন ১০০ টাকা (নিম্নমানের) আর ভালো মানেরটা ২০০ টাকাও দাম হাঁকাচ্ছে যা সাধারণের নাগালের বাইরে। আর এসবের মান নিয়ে যে ব্যাখ্যা আছে তা আরও বেশি ভয়ংকর। প্রতিটা মাস্কের ওপর একটা নিম্নমানের ফিল্টার লাগানো যা একদিন পরেই খসে পড়ে।

মাস্ক নিয়ে মাস্ক গবেষক, চিকিৎসকরা টিভিতে দুদিন পরপর নতুন নতুন তথ্য দিচ্ছে আর আমরা সাধারণ মানুষ সে মোতাবেক ছুটছি। এরপর এল এই ধারণা যে, যত মাস্কই ব্যবহার করি না কেন, সার্জিক্যাল মাস্ক হচ্ছে সবচেয়ে বেশি ফলপ্রসূ, এই ভাইরাসকে গার্ড করার জন্য। তখন শুরু হলো জনে জনে সার্জিক্যাল মাস্ক বানানো ও বিক্রি করা। আকাশী অথবা নীল রংটা ঠিক রেখে নানান রকম যে আজেবাজে উপাদান দিয়ে বানানো কখনো টিস্যু দিয়ে কখনো শপিং ব্যাগ বা শপিং পলিব্যাগের এই নিম্নমানের ফাইবার অথবা ফেব্রিক্স দিয়ে মাস্ক বানিয়ে তা অবাধে বিক্রি করছে, আর ঠেকায় পড়ে আমরাও কিনছি।

সবচেয়ে বেশি খারাপ লেগেছে শপিং ব্যাগের ফাইবারটা দিয়ে থ্রি ফোল্ড একটা শেপ দিয়ে মাস্ক বানিয়ে তা অবলীলায় বিক্রি করছে মানুষের কাছে ৩০ টাকা করে। হায় রে মানুষের মূল্যবোধ। এতটা নিচু মানুষের জীবনবোধ আর জীবনের মূল্যায়ন। সামান্য টাকার কাছে আমরা এতটাই নিচু হয়ে যাচ্ছি প্রতিনিয়ত? হ্যাঁ, বলছি জীবন চালাতে অবশ্যই টাকার প্রয়োজন, তাই বলে এভাবে? যে ফিল্টার বা ফেব্রিকের পারফোরেট দিয়ে সহজেই অন্যান্য জীবাণু বা ব্যাকটেরিয়া প্রবেশ করে ধ্বংস করে দিতে পারে আমাদের ফুসফুস। টাকার কাছে মানুষের জীবনও যেন অর্থহীন। আর এসব মাস্কের মান নিয়ে কথা বললে আজ আর লেখা ফুরাবে না।

এমন দুঃসময়ে এ শ্রেণির মাস্ক-সন্ত্রাসের কাছে যেন জিম্মি হয়ে গেছে গোটা দেশের মানুষ। আমাদের অবস্থা হয়েছে এমন যেন পড়েছি মোঘলের হাতে, খানা খেতে হবে একসাথে। মানুষের এ কেমন নিষ্ঠুরতা? জীবন নিয়ে মানবের এ কোন খেলা? মনে হচ্ছে যেন পাগলা ঘোড়া ক্ষেপেছে। ঘোড়ার লেজে যেন আগুন লেগেছে। এন-৯৫ মাস্কের নামে যে কেলেংকারি হয়েছে, তা জাতি জানে। মানুষের বিপদ আর হাহাকার নিয়ে এইবার মাস্ক-সন্ত্রাসীরা লাভের বাজিমাত করেছে। কী আশ্চর্য বিবেক বিক্রেতাদের, আর কী আশ্চর্য ঠেকাই না ঠেকলাম আমরা!

হ্যান্ড গ্লাভস। আরেক প্রয়োজনীয় সুরক্ষা সামগ্রী যা নিয়েও হয়েছে রমরমা বাণিজ্য। পলিথিনের ১/২ টাকা জোড়া গ্লাভস ৩০/৪০ টাকা জোড়াও বিক্রি হয়েছে। ভিনাইল গ্লাভস ২৫০ টাকার প্যাকেট ১২০০ টাকাও বিক্রি হয়েছে এবং এখনও হচ্ছে। ল্যাটেক্স হ্যান্ড গ্লাভস এক প্যাকেট ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা যার দাম, তা বিক্রি হচ্ছে ১৭০০-১৯০০ টাকা। যার কাছ থেকে যেমন রাখা যায়। এই সুযোগসন্ধানী প্রহসনমূলক চরিত্রটাই আমাদের জাতিটাকে শেষ করে দিয়েছে।

স্যানিটাইজারের আরেক জগৎ। যেখানে এতদিন কোনো স্যানিটাইজার পাওয়া যায়নি। ভালো কোম্পানির স্যানিটাইজারতো বাজারে নেই-ই বরং কিছু অখ্যাত বেনামি বা কাল্পনিক কোম্পানির স্যানিটাইজারে বাজারে সয়লাব। এগুলোই ছোট ছোট শিশিতে বিক্রি হচ্ছে যার গায়ে কলম দিয়ে দাম লিখে বিক্রি করা হচ্ছে। আদৌ নেই কোনো কোম্পানির লেভেল। আর এগুলোরই দাম ১৮০ থেকে ৩৮০ পর্যন্ত। এগুলোই একটা কিনে পেলাম না কোনো অ্যালকোহলিক ঝাঁজ অথবা কোনো পারফিউম। আদৌ জানি না এতে আছে কিনা ইথানল, আইসোপ্রোপাইল অ্যালকোহল, প্রোপাইলিন গ্লাইকল, গ্লিসারিন, ক্লোরহেক্সিডিন গ্লুকোনেট সলিউশন ইথানল, কার্বোমার, পলিথিলিন গ্লাইকল, পারফিউম অথবা ফ্রাগ্রান্স এবং অ্যাকোয়া।

সবগুলো খুলে শুধু কনডেন্সড অ্যাকোয়া বা ঘনপানি পেয়েছি। জানি না এতে আদৌ কোনো জার্মিসাইড বা জার্মকিলার বা অ্যান্টিজার্ম কেমিকেল ছিল কিনা। আমরা শুধুই প্রতারিত হচ্ছি। একে তো চড়া দাম, তারওপর ভুয়া জিনিস। ২৫০ এমএল হ্যাক্সিসল পাওয়া যাচ্ছে না। একটা দোকানে পেলাম। গায়ের দাম লেখা ১৩০ টাকা অথচ দোকানিরা রাখছে ২৫০/৩০০ টাকা করে। ওটিসল নামে ২৫০ এমএল সাইজের একটা হ্যান্ড রাব মেডিকন ফার্মাসিউটিক্যালস বের করেছে যার গায়ের দাম লেখা ১৩০ টাকা অথচ দোকানে রাখছে ২০০-২৫০ টাকা।

এরপর জীবাণুনাশকের দামের নাশকতা। স্যাভলন, ডেটল এগুলোতো পাওয়ায় যাচ্ছে না। এসবের বিকল্প কিছু অপ্রসিদ্ধ কোম্পানির বোতল পাওয়া যাচ্ছে যার গায়ে কোনো লেভেল তো নেই-ই বরং মনগড়া লেভেল বসিয়ে আকাশছোঁয়া দামে বিক্রি হচ্ছে বিভিন্ন ফার্মেসিতে।

এতসব পণ্যের অপরিহার্যতা নিয়ে গড়ে উঠেছে বিভিন্ন অনলাইন ভার্চুয়াল গ্রুপ, পেজ, সাইট; যেখান থেকে পরিচালিত হচ্ছে এসবের অবাধ বাণিজ্য এবং কুরিয়ারের মাধ্যমে পাঠানো। অনলাইনের একটা ভালো দিক হচ্ছে, তারা অন্তত না পাওয়া মানুষদের সাপ্লাই দিয়ে হেল্প করছে। কিন্তু আমি দেখেছি এই সবই কোনো না কোনোভাবে ম্যানেজ হয়ে যাচ্ছে বা যাবে যদি টাকা থাকে। কারও টাকা থাকলে এগুলো কোনো না কোনোভাবে কেনা যাবে, কিন্তু যাদের টাকা নেই তারা কী করবে, কোথায় পাবে এইসব? তবে কি বাঁচার অধিকার শুধু টাকাওয়ালাদের? তবে কি হাইজিনের অধিকার শুধু পয়সাওয়ালাদের?

প্রথমদিকে ঢাকার গুলশানে দুইটা ফার্মেসি সিলগালা করার কথা শোনা গেলেও এরপর থেকে লাগামহীনভাবে ব্যবসা করেছে ফার্মেসি ব্যবসায়ীয়া। তাদের জিজ্ঞেস করলে তারা দোষ দেয় আরও উপরের সিন্ডিকেটকে। বলে এইসব ঊর্ধ্বতন সিন্ডিকেটের বিষয়। আমাদের কাছে আসে চূড়ান্ত ভোক্তারা। তাদের অভিযোগ আমাদেরই শুনতে হয়।

কথা হচ্ছিল একজন ওষুধ বিক্রতার সাথে। অনেক উপরের সিন্ডিকেট নাকি এরা। এভাবে বাজার, স্টক, মজুতদারি কারবার করে যায়। একদিকে বিপন্ন মানুষের জীবন অন্যদিকে অসাধু কারবারিদের মেতে ওঠা বাণিজ্য। কারও পৌষ মাস আর কারও সর্বনাশ! একদিকে যমদূতের খামচি আর অন্যদিকে স্বজাত শকুনের ঠোকর, আমরা যাবটা কোন দিকে?

লেখক : ব্যাংকার ও কলামিস্ট

এইচআর/বিএ/জেআইএম