বাড়িওয়ালা-প্রতিবেশীদের উল্টো যাত্রা এবং ভাবনার বিষয়
এই খবরটি দিয়েই শুরু করা যাক। চিকিৎসক-নার্সদের সঙ্গে ফ্ল্যাটের বাসিন্দা, বাসার মালিকসহ যে কেউ বিরূপ আচরণ করলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। জাগো নিউজসহ আরও নানা সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত এই খবরের প্রেক্ষাপট কী? প্রেক্ষাপট আরও কিছু টুকরো খবর। সেসবেরও কিছুটা জেনে নেয়ার আগে উল্লিখিত খবরের বিস্তারিত জানা হোক।
ঢাকা মহানগর পুলিশের মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মাসুদুর রহমানের বরাত দিয়ে খবরটি নিশ্চিত করেছে জাগো নিউজ। এতে তার বরাতে বলা হয়, ‘রাজধানীর বিভিন্ন জায়গায় অবস্থিত হাসপাতালে চিকিৎসক ও নার্সরা করোনা আক্রান্ত রোগীদের সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। পাশাপাশি করোনার বিস্তার বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে আক্রান্ত ব্যক্তিদের নিজ নিজ বাসা, ফ্ল্যাটে রেখে চিকিৎসা ব্যবস্থার পরামর্শ দিচ্ছেন। কিন্তু কিছু কিছু ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ফ্ল্যাটের অন্যান্য বাসিন্দা এতে বাধা দিচ্ছেন। এমনকি করোনা রোগীদের চিকিৎসাকাজে নিয়োজিত চিকিৎসক ও নার্সদের সঙ্গে বাড়ির মালিকদের বিরূপ আচরণের খবর পাওয়া যাচ্ছে। দেশের এই ক্রান্তিলগ্নে যা কোনোভাবেই কাম্য হতে পারে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘করোনাভাইরাসের সংক্রমণরোধে সম্মুখযোদ্ধার ভূমিকায় থাকা চিকিৎসক ও নার্সদের সঙ্গে বিরূপ আচরণের অভিযোগ পাওয়া গেলে সংশ্লিষ্ট বাড়ির মালিক ও সংশ্লিষ্ট ফ্ল্যাটের বাসিন্দাদের বিরুদ্ধে পুলিশ আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে। এ জন্য ফ্ল্যাটের মালিক ও বাসিন্দাদের সর্বাত্মক সহযোগিতা কামনা করেছে পুলিশ।’
এবার এমন সিদ্ধান্তের প্রেক্ষাপটটি দেখে নেয়া যাক। আরেক গণমাধ্যমে পুরো পরিস্থিতির যে টুকরো চিত্রটি তুলে আনা হয়েছে সেটি এ রকম, ‘নায়মুন নাহার (ছদ্মনাম) মিরপুরের বাসিন্দা। তিনি যে অ্যাপার্টমেন্টে থাকেন সেই ভবনে থাকে ৫০টি পরিবার। করোনা প্রকোপের শুরুতেই ভবনের কমিটি বসে সিদ্ধান্ত নেয়, অ্যাপার্টমেন্ট নিবাসী ছাড়া বাইরের কেউ বাসার ভেতরে প্রবেশ করতে পারবেন না। বাসার কাজের জন্য বাইরে থেকে যে সহকারী আসেন, বা ড্রাইভার, কেউই প্রধান গেটের ভেতরে আসতে পারবেন না। অথচ নায়মুন নাহারের অফিস খোলা। গণপরিবহন বন্ধ। তিনি বাসার বাইরে যাবেন কীভাবে, ড্রাইভার যদি না আসতে পারেন। কোনো যুক্তিই শুনতে রাজি নন অ্যাপার্টমেন্ট কমিটি। সোজা জানিয়ে দেয়া হয়- না মানতে পারলে বাসা ছেড়ে দেন।’
বেসরকারি টেলিভিশনে কাজ করেন এক নারী। সাবলেটে থাকেন। রোজ বের হতে হয়। বাইরে যাওয়ার সময় সুরক্ষার জন্য যা যা করণীয়, সেটা যেমন করেন, আবার বাসায় ফিরে পিপিই পরিত্যাগ করে ধুয়ে, গোসল করে ঘরে প্রবেশ করলেও তাকে নিয়ে শঙ্কায় আছেন বাড়িওয়ালা। তিনি রোজই নানাভাবে বলার চেষ্টা করেন বাসা ছেড়ে দেয়ার কথা। সবকিছু যখন বন্ধ, তখন বাসা বদলইবা করবেন কী করে, সেই যুক্তির কথা শুনতে চান না বাড়িওয়ালা। চাকরি থেকে বিনাবেতনে ছুটির কথা ভাবছেন এই নারী। অথচ এই বাড়ির সদস্যরা বাজার করাসহ নানা কাজে বের হচ্ছেন।
উত্তরার বাসিন্দা আতিকা রোমা করোনার উপসর্গের সঙ্গে সর্দি-জ্বর মিলে যাওয়ায় শঙ্কিত হয়ে পড়েন। একপর্যায়ে তিনি ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে পরীক্ষা করানোর বিষয়টি জানান। আইইডিসিআর তার নমুনা সংগ্রহ করে নিয়ে আসার পর পুরো অ্যাপার্টমেন্টের মানুষের আচরণে পরিবর্তন আসতে শুরু করে। তিনি ফ্ল্যাটের মালিক হওয়ায় বাড়ি ছেড়ে দেয়ার বিষয়টি আসে না, কিন্তু সন্দেহ শঙ্কা নিয়ে প্রতিবেশীরা নানা হয়রানিমূলক আচরণ করে তাদের পরিবারের দুই সদস্যের প্রতি। পরে জানা যায় তিনি করোনা আক্রান্ত নন।
ঢাকার পান্থপথের একটি বেসরকারি হাসপাতালের ফ্রন্ট ডেস্কে বসেন রাসেল (ছদ্মনাম)। মগবাজারে একটি বাসায় তিনি ভাড়া থাকেন। ক’দিন ধরে চিকিৎসকদের আক্রান্ত হওয়ার খবরে গত রোববার তাকে বাসায় না আসতে ফোন করেন বাড়িওয়ালা। বাসায় গিয়ে কী ধরনের আচরণের মুখোমুখি হতে হয়, সেই শঙ্কায় তিনি তার প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নিয়ে আসার জন্যও আর বাসামুখী হননি। রয়েছেন বন্ধুর বাসায়। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে বাসায় ফিরবেন।
সচেতন পাঠক মাত্রই এ পর্যন্ত পড়ে উত্তেজিত, হতাশ কি হাঁপিয়ে যাওয়ার কথা। ঠিক যে মুহূর্তে সবার বাসায় নিরাপদ পরিবেশে দিনযাপন করার কথা সে সময় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে জনস্বার্থে দায়িত্ব পালনকারীদের সাথে এ কী ব্যবহার? যারা খারাপ আচরণ করছেন তারা দুটি বিষয়কে গুরুত্ব না দিয়েই ভুলটি করছেন। ১. এই জাতীয় দুর্যোগে গলির মুখে আড্ডাবাজি না করে যে মানুষগুলো জরুরি সেবা দিয়ে যাচ্ছেন, অসুস্থ হলে বা অন্যান্য আরও প্রয়োজনে এঁদেরই শরণাপন্ন হতে হবে আমাদের সবাইকে। ২. শরণাপন্ন হওয়ার কথা যদি বাদও দেয়া হয়, কোনো আইন বা স্বাভাবিক বিচারবুদ্ধি থেকেও কারও সাথে এমন ব্যবহার করাটা সভ্যসমাজে গ্রহণযোগ্য না।
এই ধরনের ঔদ্ধত্বের কার্যকারণ নিয়ে বিশ্লেষণ এই লেখার উদ্দেশ্য নয়, সেটি অন্য সময় করা যাবে। বরং পরিস্থিতির ভয়াবহতা তুলে ধরে কিছু প্রশ্নের উত্তর খোঁজা এবং সংশ্লিষ্ট সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্যই এই হাজারো শব্দের আয়োজন। পরিস্থিতির ভয়াবহার খণ্ড চিত্রতো পাওয়া গেল, তাহলে প্রশ্নটা কোথায়, উত্তরটাই বা কী? সেটি জানার আগে আরেকটি খবরের দিকে দৃষ্টিপাত দেয়া যাক।
একটি গণমাধ্যমে প্রকাশ, ‘যেসব বাড়ির মালিক ডাক্তার, নার্স বা স্বাস্থ্যকর্মীদের বাড়ি ছাড়ার নির্দেশ দিচ্ছেন, প্রয়োজনে তাদের বাড়ি নির্মাণের অর্থের উৎস খুঁজে দেখা হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ। বৃহস্পতিবার (১৬ এপ্রিল) সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান তিনি। দুদক চেয়ারম্যান বলেন, জাতির এই সংকটময় সময়ে ডাক্তার, নার্স, ওয়ার্ডবয় এবং অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মী জীবনের মায়া ত্যাগ করে জাতির সেবায় নিয়োজিত। এদের সঙ্গে খারাপ আচরণ কিংবা কোনো ধরনের অসম্মান করা আইনগতভাবেই অপরাধ।’
এ ধরনের অপরাধে আইনি শাস্তির কথা উল্লেখ করে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমার যতটা মনে পড়ে, দেশে বিদ্যমান ‘সংক্রামক রোগ আইন, ২০১৮’ অনুসারে এ জাতীয় আচরণ শাস্তিযোগ্য অরপরাধ। কেউ যদি এই আইনের লঙ্ঘন করে, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আইন প্রয়োগকারী সংস্থা শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘এরপরও যদি কোনো বাড়ির মালিক স্বাস্থ্যসেবায় নিয়োজিত কোনো ব্যক্তিকে বাড়ি ছাড়ার কথা বলেন বা বাড়ি ছাড়তে বাধ্য করেন, তাহলে দুদক আইন অনুযায়ী এসব বাড়ি নির্মাণের অর্থের উৎস খুঁজে দেখবে। অবৈধ সম্পদের উৎস পেলে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেবে।’
প্রশ্নের বিষয় হলো, এই দুর্যোগ- যেটিকে জাতীয় দুর্যোগ হিসেবেই অভিহিত করা হচ্ছে এখন, সারাদেশকে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণাও করা হয়ে গেছে, যে সময় দেশের প্রায় সকল মানুষ দুপুর দুটোর সময় টিভি, রেডিও কিংবা অনলাইন খুলে বসে থাকছে কোভিড-১৯ নিয়ে সরকারের সবশেষ বিবৃতির অপেক্ষায়, তথ্যের এমন চরম ক্ষুধার মুহূর্তে কীভাবে পুলিশ দফতর আর দুদক সংবাদকর্মীদের বিষয়টি ভুলে গেলেন তা এক বড় প্রশ্ন বটে। প্রশ্ন এখানেই শেষ নয়, দুদকের বক্তব্যের পরও প্রশ্ন জাগে- কেবল চিকিৎসাকর্মীদের সাথে রূঢ় আচরণ করলেই তারা বাড়িওয়ালাদের সম্পদের হিসাব নেবেন, নইলে না? এ কেমন হুমকি? তার মনে কি বাকি সময়ে দুদক মুখবুজে থাকবে? করোনার এই ক্রান্তিকালে সরকারের নানা ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠানের বালখিল্য আচরণে খোদ সরকারেরই উচ্চপর্যায়ের অনেকে যখন বিব্রত তখন পুলিশ কিংবা দুদকের মতো প্রতিষ্ঠানগুলোর বোধহয় বক্তব্য রাখার ক্ষেত্রে আরও একটু সচেতন হওয়ার দরকার আছে।
মনে রাখা দরকার, দুর্যোগের মুহূর্তে খারাপ সময় আরও বাড়িয়ে তোলে তথ্যের খণ্ডিত প্রবাহ, ঝুঁকি বাড়ায় গুজবের। সংবাদকর্মীদের উহ্য রেখে নেয়া যেকোনো ভালো পদক্ষেপও হয়ে পড়তে পারে অসফল, অপাঙক্তেয়। বরং গণমাধ্যমের ভূমিকার কারণেই অনেক ক্ষেত্রে উপকার পান সুবিধাবঞ্চিতরা, পরবর্তীতে পদক্ষেপ নিয়ে সুনাম বাড়ান বিভিন্ন ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান। এ প্রসঙ্গে অপ্রিয় আরও একটি সংবাদের উল্লেখ না করলেই নয়, ঘটনাটি একটি গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবর থেকে হুবহু তুলে দেয়া যাক- ‘পটুয়াখালীর দুমকী উপজেলায় টানা তিনদিন পানি খেয়ে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকা বৃদ্ধ সোবাহান হাওলাদারের ঝুপড়ি ঘরে খাবার নিয়ে গেলেন পটুয়াখালীর এসপি। ওই বৃদ্ধের পছন্দের সব খাদ্যসামগ্রী নিয়ে বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে এসপি মোহাম্মদ মইনুল হাসান তার বাড়িতে উপস্থিত হন।
এর আগে ওই বৃদ্ধকে নিয়ে যুগান্তর অনলাইনে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। ওই প্রতিবেদনের সূত্র ধরে এসপি খাবারসামগ্রী নিয়ে তার কাছে হাজির হয়েছে বলে গণমাধ্যমকে জানানো হয়। করোনাভাইরাস মোকাবিলা পরিস্থিতি নিয়ে গত কয়েক দিনের অঘোষিত লকডাউনে অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে পরিত্যক্ত বৃদ্ধ সোবাহান হাওলাদারের জীবন-যাপন। পটুয়াখালীর দুমকী থানার পশ্চিম পাশে একটি ঝুপড়ি ঘরে গত কয়েকদিন পানি পান করে চলে তার জীবন। এ নিয়ে যুগান্তরের দুমকী উপজেলা প্রতিনিধি একটি সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশ করে। যা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে পড়ে।
মঙ্গলবার মধ্যরাতে সংবাদটি পটুয়াখালী পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মইনুল হাসানের দৃষ্টিগোচর হয়। ওই রাতেই দুমকী থানার ওসি মেহেদী হাসানকে পাঠিয়ে অসহায় বৃদ্ধের খোঁজ নেন এসপি। ওসির মাধ্যমে ওই বৃদ্ধের পছন্দের খাবারগুলো এসপি নিজে অবগত হন। বুধবার সকালে বৃদ্ধের পছন্দের সব রসালো ফল এবং টানা ১৫ দিনের চাল, ডাল, তেলসহ যাবতীয় একটি পরিবারের নিত্যপ্রয়োজনীয় খাবারসামগ্রী নিয়ে এসপি তার হাতে তুলে দেন। এ সময় পটুয়াখালী বাউফল সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো. ফারুক হোসেনসহ পুলিশের অন্য কর্মকর্তারা ও গণমাধ্যম কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
এসপি মাধ্যমে খাবার পেয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন বৃদ্ধ সোবাহান হাওলাদার। তিনি বলেন, দুমকী উপজেলা চত্বরের পাশে গত কয়েকদিন অনাহারে কাটিয়ে দিয়েছেন তিনি। কেউ তার পাশে খাবার নিয়ে দাঁড়াননি। কত মানুষ তার পাশ থেকে আনাগোনা করেছে। কেউ তারে এক গ্লাস পানিও দেয়নি। অথচ যাদের দেখলে ভয় করি সেই পুলিশ খাবার নিয়ে তার ঝুপড়ি ঘরে।
এ প্রসঙ্গে এসপি বলেন, মঙ্গলবার মধ্যরাতে বৃদ্ধের অসহায়ত্ব নিয়ে একটি প্রতিবেদন তার চোখে পড়ে। তাৎক্ষণিক তিনি সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশকে অবহিত করে খোঁজ-খবর নেন। বুধবার সব খাবারসামগ্রী নিয়ে তিনি ওই বৃদ্ধের বাড়িতে যান। প্রয়োজনে তাকে আরও খাবারসামগ্রী দেয়া হবে বলে জানান এসপি।’
কোভিড-১৯ এর এই দুঃসময়ে বাড়িওয়ালা আর প্রতিবেশীদের এমন হঠাৎ মানবিকতা, মানসিকতার পরিবর্তন যদি শুধরে না নেয়া যায় তাহলে সামনে যে আরও বাজে সময় অপেক্ষা করছে তা বুঝতে অন্তর্যামী হওয়ার দরকার পড়ে না। সবার শুভ বুদ্ধির উদয় হোক দ্রুত, আপাতত এই কামনা করা এবং এই তথ্য ছড়িয়ে দেয়া ছাড়া উপায় নেই। দয়া করে নয়, বরং দায় থেকে, সভ্যতার যাত্রা অব্যহত রাখার দায় থেকেই সংবাদকর্মীদের ‘মানুষ’ মনে করুন; সে আপনি বাড়িওয়ালা, প্রতিবেশী কি প্রতিষ্ঠান (সরকারি এবং বেসরকারি) যেই হোন।
এইচআর/বিএ/পিআর