নতুন বছরের রাজনৈতিক প্রত্যাশা
বাংলা নববর্ষ, বাংলা ক্যালেন্ডার আমাদের জীবনে আছে মহাগৌরবের আসনে। পাকিস্তান আমলে গণতন্ত্র ও জাতীয় স্বাধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে, স্বাধীন স্বদেশ প্রতিষ্ঠার সশস্ত্র যুদ্ধে পহেলা বৈশাখ ছিল আমাদের অনুপ্রেরণার উৎস। ওই দিবসটি বাঙালি জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করেছিল সাংস্কৃতিক ভিত্তি দিয়ে। স্বাধীনতা অর্জন বিশেষত পঁচাত্তরের পটপরিবর্তনের পর বাংলা নববর্ষ আমাদের জাতিসত্তা বিকাশে, অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে প্রাণরসের জোগান দিয়েছে। ওই দিনের মঙ্গল শোভাযাত্রা বিশ্ব ঐতিহ্যে আপন বৈশিষ্ট্যে সার্বজনীনতা নিয়ে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। ফসল বোনাসহ সামাজিক নানা অনুষ্ঠানে এখনো বাংলা দিনপঞ্জি টিকে আছে।
কিন্তু এটাই বাস্তব ইংরেজি ক্যালেন্ডারই আমরা ব্যবহার করি। ইংরেজি বছরটাই আমাদের কাজের বছর হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমাদের নাগরিক ও বিশ্বায়িত জীবনের ব্যক্তিগত, সাংসারিক, রাষ্ট্রীয় অফিস-আদালতসহ ব্যবহারিক সব কাজে ইংরেজি ক্যালেন্ডারই আমাদের প্রধান অবলম্বন। বছরের প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তি, সাফল্য-ব্যর্থতা, আনন্দ-বেদনা, গৌরব-কলঙ্কের হিসাব-নিকাশ করা হয় ইংরেজি বছর ধরেই। প্রকৃত বিচারে সালতামামি করা হয়, পূর্ববর্তী বছর বা সময়ের কাজের অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে, অঙ্গীকার বাস্তবায়নে লক্ষ্যানুযায়ী অগ্রসর হওয়ার জন্য ভবিষ্যৎ বা পরবর্তী বছরের কর্মের দিকনির্দেশনায় পরিকল্পনা প্রণয়নের জন্য।
প্রসঙ্গত ২০১৯ সালটা ছিল আমাদের জাতীয় জীবনের অতি গুরুত্বপূর্ণ একটি বছর। বিগত বছর শুরুর আগে ৩০ ডিসেম্বর ২০১৮ অনুষ্ঠিত হয় দেশে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। পরে ৭ জানুয়ারি আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার প্রধানমন্ত্রিত্বে নতুন মন্ত্রিসভা শপথ গ্রহণ করে। এর মধ্য দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার ১১ বছরে পদার্পণ করে, সরকারে ধারাবাহিকভাবে থাকার এটা হচ্ছে দেশের ইতিহাসের রেকর্ড। তাই জাতীয় জীবনে ২০১৯ সালের সালতামামি মানে বর্তমান সরকারের ১ বছরের কাজের পর্যালোচনা আর সেই সঙ্গে দশক পেরিয়ে এগারো বছরের কাজের মূল্যায়ন।
সর্বোপরি কাকতালীয়ই বলতে হবে, পরপর দুই বছর ২০২০ ও ২০২১ সাল যথাক্রমে হচ্ছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী। নিঃসন্দেহে জাতি হিসেবে আমরা নতুন বছর সামনে রেখে অর্ধ শতাব্দী পথ চলার প্রাপ্তি ও অপ্রাপ্তি আর সেই সঙ্গে বিগত বছর বা সময়ের অভিজ্ঞতা ও শিক্ষা বিবেচনায় নিয়ে আগামী দিনে লক্ষ্যাভিমুখী পথ চলার ক্ষেত্রে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হবো। এই দিক বিবেচনায় এবারের ইংরেজি নববর্ষ রাজনৈতিক দিক থেকে আমাদের জাতীয় জীবনে বিরাট গুরুত্ব ও তাৎপর্য নিয়ে এসেছে।
বিগত বছর শুরুর দিনগুলোতে যে বিষয় নিয়ে জাতি সবচেয়ে আলোড়িত ছিল, তা হচ্ছে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ফলাফল। দেশের দুই বড় জোটের একজোট বিএনপি-জামায়াত-গণফোরাম ইত্যাদি দল নিয়ে গঠিত ঐক্যজোটের ভ‚মিধস পরাজয় হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে নির্বাচন নিয়ে আলোচনা তুঙ্গে ওঠে। বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোট নির্বাচন ও নির্বাচনী ফলাফল প্রত্যাখ্যান করে। ওই জোটের প্রার্থীসহ নেতাকর্মীরা কতটা নির্বাচনী মাঠে ছিল; ওই জোটের প্রধান দল বিএনপি ১০ বছর বিভক্ত ও অকার্যকর থাকায় কতটা গণবিচ্ছিন্ন হয়ে নির্বাচনে নেমেছিল; মনোনয়নে লন্ডন-বাণিজ্যে অযোগ্য-অচেনাদের প্রার্থী দিয়ে কতটা বিপদে পড়েছিল; জামায়াত সঙ্গে থাকার পরিপ্রেক্ষিতে কতটা সচল থাকা সম্ভব ছিল? আর সেই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী জনগণের সামনে তুলে না ধরায় কতটা অসহায় ছিল প্রভৃতি সব প্রশ্ন সামনে আসায় ওই জোট জনগণকে নির্বাচনী ফলাফল প্রত্যাখ্যান ও নতুন নির্বাচনের পক্ষে নামাতে ব্যর্থ হয়। প্রসঙ্গত জনগণ নিয়ে ক্ষমতার জন্য যে নির্বাচনী যুদ্ধ হয়, তাতে অতীতকালের মতোই বর্তমান সময়ে নিম্নলিখিত কথাগুলো চিরসত্য।
এক. বিনাযুদ্ধে কেউ সূচ্যগ্রমেদিনীও ছাড়ে না। দুই. অশ্বত্থামা হত ইতি গজঃ-এর মতো নীতি-নৈতিকতা নির্বাচনে শর্তযুক্ত। আর কেবল জাতীয়ভাবেই নয়, বিশ্বপরিমণ্ডলেই গণতন্ত্র, ভোট ইত্যাদি বর্তমান সময়ে প্রশ্নবিদ্ধ। সর্বোপরি সাঁতার না জেনে পানিতে নামলে যেমন ষোলোআনাই ফাঁকি হয়, তেমনি রাজনীতির মাঠে কোনো ইস্যুতে জনগণকে নামাতে না পারলে তেমনি হয় ষোলোআনা ফাঁকি। এক কথায় রাজনীতির মাঠে সত্য-মিথ্যা নির্ধারিত হয় জনমত দিয়ে। ২০১৯ সাল চলে গেল কিন্তু বিএনপি জনগণ দূরের কথা নিজেরাই মাঠে নামতে পারল না। বরং নানা নাটকের ভেতর দিয়ে ওই জোটের নির্বাচিত সদস্যরা সংসদে যোগ দিয়ে নির্বাচনী ফলাফলকে জায়েজ করে নিয়েছে। এই দিক বিবেচনায় ক্ষমতাসীন জোট নির্বাচন ও নির্বাচনী ফলাফলকে নিয়ে অগ্রসর হতে পারছে। কিন্তু এটাই তো বাস্তব যে, পক্ষের হোক আর বিপক্ষের হোক জনগণ কোটি কোটি চোখ দিয়ে নির্বাচন দেখেছে আর কানে শুনেছে। তাই নির্বাচন নিয়ে যেসব আলোচনা-সমালোচনা মানুষের মধ্যে আছে তা নতুন বছর শুরুতে থাকছেই।
এই প্রেক্ষাপটে বছরের শুরুতেই রাজধানী ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচন নিয়ে ডামাডোল বেজে উঠেছে। এই নির্বাচন ক্ষমতাসীন দলের জন্য একটা বিরাট পরীক্ষা। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ এমন একটি দল, যে দলের জন্ম ও বিকাশই হয়েছে গণতন্ত্র ও ভোটের সংগ্রামের ভেতর দিয়ে। গণতন্ত্রের মানসপুত্র আওয়ামী লীগের দুই প্রধান নেতা হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী ও জাতির পিতা শেখ মুজিবসহ অসংখ্য নেতাকর্মীর রক্ত-শ্রম-ঘাম দিয়ে সিক্ত হয়েছে দেশের মাটি। তাই অতীত ঐতিহ্য ধারণ করে, অতীত থেকে অভিজ্ঞতা নিয়ে এই আসন্ন সিটি করপোরেশন নির্বাচনে গণতন্ত্র ও ভোটের পতাকাকে আওয়ামী লীগের ঊর্ধ্বে তুলে ধরা ভিন্ন বিকল্প কিছু নেই।
জনগণ আশা করবে, যাতে দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভেতর দিয়ে নতুন বছরে যেমন গণতন্ত্র ও সুষ্ঠু-নিরপেক্ষ-অবাধ ভোটের পরীক্ষায় ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ আর সেই সঙ্গে ঢাকাবাসী যেন শতভাগ নম্বর পেয়ে পাস করে।বিশ্বপরিমণ্ডলে গণতন্ত্র যখন বিপদাপন্ন, তখন যেন ছোট দেশ হয়েও বাংলাদেশ বলতে পারে, ‘কে লইবে মোর কার্য কহে সন্ধ্যা রবি,/শুনিয়া জগৎ রহে নিরুত্তর ছবি? মাটির প্রদীপ ছিল সে কহিল স্বামী/ আমার যেটুকু সাধ্য তা করিব আমি।’ পারবে কি আওয়ামী লীগ নতুন বছরের শুরুতে রাজনৈতিক ক্ষেত্রে এই প্রধান চ্যালেঞ্জে বিজয়ী হতে?
বিগত বছরের বড় রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড হলো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পরিচালিত সরকার ও ক্ষমতাসীন দলে শুদ্ধি অভিযান। বিগত একাদশ নির্বাচনী ইশতেহারে আওয়ামী লীগ যখন দুর্নীতি ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি গ্রহণ করে তখনো অনুমান করা যায়নি এতটা করালগ্রাসী আক্রমণ নিজ দলের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নেবেন। প্রসঙ্গত আমাদের সংবাদ মাধ্যম ভালো কিছু তুলে ধরার চেয়ে ‘রোগীর চিকিৎসার জন্য’ রাষ্ট্রীয় ও সমাজ জীবন বিশেষত সরকারের খারাপ দিকটাই তুলে ধরতে সিদ্ধহস্ত। কিন্তু ক্যাসিনো বাণিজ্য কেন আর কী কারণে যেন সংবাদ মাধ্যম সামনেই আনতে পারেনি। কিন্তু নিজ দলের ‘সম্রাট গং’ সেই অবৈধ ও ক্ষতিকর ক্যাসিনো বাণিজ্যের সম্রাট হওয়া সত্ত্বেও ওই দুষ্টুদের মাথায় আঘাত করতে পেরেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একই ধারাবাহিকতায় ছাত্রলীগ, যুবলীগসহ ক্ষমতাসীন দলের বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনের পাণ্ডা সন্ত্রাসী দুর্নীতিবাজ ক্যাডারদের ব্যবস্থা গ্রহণ ছিল বিগত বছরের কেন স্বাধীনতার পর থেকে কোনো ক্ষমতাসীন দলের সবচেয়ে বড় ও সুদূরপ্রসারি শুদ্ধি অভিযান। এই অভিযান শুরু হওয়ার পর দল ভীতসন্ত্রস্ত্র, উদ্যোগহীন ও নীরব থাকা সত্ত্বেও জনগণ ভেতরে ভেতরে ছিল দারুণভাবে উৎসাহিত। কিন্তু সম্রাট গ্রেপ্তার হওয়ার পর দলে ও সরকারে আর কেউ গ্রেপ্তার না হওয়া এবং বছর শেষে আওয়ামী লীগের সম্মেলনের পর জনগণের ওই উৎসাহ কেন যেন অনেকটাই কেটে যায়। রাজনৈতিক আড্ডায় কিংবা পত্রপত্রিকায়ও শুদ্ধি অভিযান নিয়ে তেমন উচ্চবাচ্য পরিলক্ষিত হয় না।
কিন্তু বছর শেষে সিটি করপোরেশন দক্ষিণে মেয়র ও ১৯ ওয়ার্ডে কমিশনার প্রার্থী বদল হওয়ায় জনগণ আবারো মনে করতে শুরু করেছে, শুদ্ধি অভিযান চালু রয়েছে। বছর শেষে খবর থেকে জানা গেল, অবৈধ সম্পদ অর্জনের বিষয়ে অনুসন্ধানে দুদক মাঠে রয়েছে এবং ক্ষমতাসীন দল ও সরকারের দেড় শতাধিক ব্যক্তিকে অনুসন্ধানের আওতায় আনা হয়েছে। ২৯ ডিসেম্বর খবরে জানা গেল যুবলীগের সাবেক প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ ফজলুল রহমান মারুফকে ‘অভিযোগের বিষয়ে বক্তব্য শ্রবণ ও গ্রহণ’ করার জন্য দুদক তলব করেছে। অভিযোগের নোটিশ থেকে জানা যাচ্ছে, ‘ঠিকাদার জি কে শামিমসহ অন্যান্য ব্যক্তির বিরুদ্ধে সরকারি কর্মকর্তাদের শত শত কোটি টাকা ঘুষ দিয়ে বড় বড় ঠিকাদারি কাজ নিয়ে বিভিন্ন অনিয়মের মাধ্যমে সরকারি অর্থ আত্মসাৎ, ক্যাসিনো ব্যবসা করে শত শত কোটি টাকা অবৈধ প্রক্রিয়ায় অর্জন করে বিদেশে পাচার ও জ্ঞাত আয়বহির্ভ‚ত সম্পদ অর্জনের অভিযোগের অনুসন্ধান চলছে।’ সরকারি ২৮ দপ্তরে দুদক নজরদারি বাড়িয়েছে, এই খবরও পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে।
এসব সংবাদ ও ঘটনা বিবেচনায় বলা যায়, শুদ্ধি অভিযান বন্ধ হয়নি, চলছে। সংবিধান প্রদত্ত কাজ দুদক সুষ্ঠু ও স্বাধীনভাবে করুক, সরকার ও ক্ষমতাসীন দলসহ রাজনৈতিক দল ও ব্যবসায়ীরা অনুসন্ধানের আওতায় আসুক, পদ-পদবি ও অর্থবিত্তে ক্ষমতাভোগীদের বিরুদ্ধেও আইন তার নিজস্ব গতিতে চলুক, অপরাধী নয় অথচ প্রচারে দোষী এমন ব্যক্তি যেন অভিযুক্ত না হয় প্রভৃতিই তো দুর্নীতি বন্ধ বা নিয়ন্ত্রণের পথ হওয়া উচিত। আগামী বছরে দুদকের চ্যালেঞ্জ তাই বিশাল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শুদ্ধি অভিযানের সাফল্য আসলেই নির্ভর করছে দুদকের সাফল্যের ওপর। ‘সমৃদ্ধির অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশ’ প্রকৃত অর্থেই আর দুর্নীতি ও সরকারি সম্পদ আত্মসাতের ভার সহ্য করতে পারছে না। এটা তো সবারই জানা যে, দুর্নীতি আর সন্ত্রাস হচ্ছে যমজ জাতক। দুর্নীতি বন্ধ বা নিদেনপক্ষে নিয়ন্ত্রণ না করতে পারলে সন্ত্রাসও বন্ধ বা নিয়ন্ত্রণ হবে না। আর এ দুই বন্ধ না হলে উন্নয়ন-অগ্রগতি-সুশাসন সবই হবে বিপন্ন। প্রকৃত বিচারে এই বছর হলো জাতির সত্যিকারের সন্ধিক্ষণ। উন্নয়ন-সুশাসন না সন্ত্রাস-দুর্নীতি, কে জিতবে রাজনৈতিক ক্ষেত্রের এই লড়াইতে?
যদি উল্লিখিত দুই লড়াই গণতন্ত্র-ভোট ও উন্নয়ন-সুশাসন জিতে তবেই জিতবে মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্বদানকারী ঐতিহ্যবাহী রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ। নতুন বছরে জাতি হিসেবে আমরা রয়েছি মুজিব বর্ষে। জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী মানেই জাতির উৎসব, প্রতিটি মানুষের উৎসব। এই উৎসব চলবে ২০২১ সালের শেষ দিন পর্যন্ত। ওই দিনই শেষ হবে ১১ বছর আগে ২০০৮ সালে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার মিশন-ভিশন ২০২১ বাস্তবায়ন অঙ্গীকারের সুদীর্ঘ ১১ বছরের সরকার পরিচালনার পথ পরিক্রমা। ২০২৪ সালে শেষ হবে বর্তমান সরকারের মেয়াদ। কিন্তু সামনে থাকবে ভিশন-মিশন ২০৪১। পারবে কি আওয়ামী লীগ, পারবেন কি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা! ব্যর্থতার কিন্তু কোনো সুযোগ নেই। সফল হলে নিঃসন্দেহে জনগণ থাকবে পাশে।
লেখক : রাজনীতিক ও কলাম লেখক।
এইচআর/জেআইএম