ভিডিও EN
  1. Home/
  2. মতামত

টার্নিং পয়েন্টে বিএনপি

প্রভাষ আমিন | প্রকাশিত: ০৯:৫৫ এএম, ০২ ডিসেম্বর ২০১৯

জিয়াউর রহমান ভাগ্যের বরপুত্র। একই সঙ্গে তিনি নিশ্চয়ই সাহসীও। কারণ ভাগ্য সাহসীদের পক্ষেই থাকে বলে শুনেছি। একাত্তরের ২৭ মার্চ চট্টগ্রামের কালুরঘাট বেতার কেন্দ্রে জিয়াউর রহমানের থাকারই কথা ছিল না। ঘটনাচক্রে তিনি সেখানে ছিলেন এবং বেতার কর্মীদের অনুরোধে বঙ্গবন্ধুর পক্ষে স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করেন। যদিও তিনি স্বাধীনতার ঘোষণার প্রথম পাঠক নন। তবুও তার ঘোষণাটিই মানুষ বেশি শুনেছে এবং একজন সেনা কর্মকর্তার কণ্ঠে এ ধরনের ঘোষণা তখন অনেককেই উদ্বুদ্ধ করেছিল।

১৯৭৫ সালেও তিনি ভাগ্যের সহায়তা পেয়েছিলেন। ৭ নভেম্বর অনেককিছু হতে পারতো। জিয়াউর রহমান মারা যেতে পারতেন। খালেদ মোশাররফের জায়গায় জিয়াউর রহমান থাকলে নিশ্চয়ই তিনি তার প্রতিপক্ষকে বাঁচিয়ে রাখতেন না। জীবন বাঁচাতে জিয়াউর রহমান অবসরের আবেদন করে রেখেছিলেন। কর্নেল তাহের ঠিকমত নিজের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে পারলে জিয়াউর রহমানকে তার অধীনেই থাকতে হতো। কিন্তু সবাইকে ছাপিয়ে ৭ নভেম্বর ক্ষমতার কেন্দ্রে চলে আসলেন ভাগ্যবান জিয়াউর রহমান। অথবা বলা যায় সাহসী বলেই তিনি ঠিক সময়ে ঠিক জায়গায় উপস্থিত থাকতে পেরেছিলেন এবং কৌশলে পরিস্থিতি নিজের নিয়ন্ত্রণে নিতে পেরেছিলেন।

ক্যান্টনমেন্ট থেকে ক্ষমতায় এলেও দ্রুত তার ক্ষমতা পাকাপোক্ত করার আকাঙ্খা জাগে। এবং সামরিক ক্ষমতার রাজনীতিকরণের অংশ হিসেবে ১৯ দফা, জাতীয়তাবাদী ফ্রন্ট, জাগদল হয়ে ১৯৭৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর প্রতিষ্ঠিত হয় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বা বিএনপি। এটা ঠিক জিয়াউর রহমান যখন বিএনপি গঠন করেন, তখন দেশে একটা প্রবল রাজনৈতিক শূন্যতা বিরাজ করছিল। আর এই রাজনৈতিক শূন্যতা পূরণেই রাজনৈতিক দল গঠন করেন জিয়াউর রহমান। ৭৫ এর ১৫ আগস্ট সপরিবারে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর আওয়ামী লীগ অস্তিত্ব সঙ্কটে পড়ে যায়। ৭৫ এর আগে আওয়ামী লীগের প্রবল প্রতিপক্ষ এবং প্রধান বিরোদী দল জাসদও তখন সামরিক সরকারের নির্যাতনে পিষ্ট। ১৫ আগস্ট থেকে ৭ নভেম্বর পর্যন্ত দেশে এক ধরনের অস্থিরতা ছিল। যেভাবেই হোক জিয়াউর রহমান পুরো ঘোলাটে পরিস্থিতিকে কিছুটা স্থিরতা দেন এবং সবকিছু নিজের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নেন।

সেনাবাহিনীতেও জিয়াউর রহমানের একটা জনপ্রিয়তা ছিল। অনিশ্চয়তা, অস্থিরতার পর দেশে একটা স্থিতিশীলতা আনায় সাধারণেও একটা জনপ্রিয়তা পেয়ে যান অনেকটা ক্লিন ইমেজের জিয়াউর রহমান। কিন্তু রাজনৈতিক দল গঠন প্রক্রিয়ায়ই তিনি বাংলাদেশের মৌলিক ক্ষতিটা করেন। ৭৫ এর আগে অধিকাংশ সক্রিয় রাজনৈতিক দলই ছিল স্বাধীনতার পক্ষের। স্বাধীনতার বিপক্ষের শক্তিটি ঘাঁপটি মেরে ছিল। মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান তার দল বিএনপিকে পরিণত করেন স্বাধীনতা বিরোধীদের পুনর্বাসন কেন্দ্রে। জীবিত মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে সর্বোচ্চ খেতাব 'বীর উত্তম' পাওয়া একজন সেক্টর কমান্ডার জিয়াউর রহমান। তার সাফল্যের মুকুটে সবচেয়ে উজ্জ্বল পালক হলো বঙ্গবন্ধুর পক্ষে স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ। কিন্তু সেই জিয়াউর রহমানই যখন রাজাকার শাহ আজিজুর রহমানকে প্রধানমন্ত্রী বানান; আমরা ক্ষুব্ধ হই, বিস্মিত হই, বেদনার্ত হই। আসলে মুক্তিযোদ্ধা, রাজাকার, যুদ্ধাপরাধী, বাম- সব পক্ষের মানুষের অদ্ভূত এক জগাখিচুড়ি প্লাটফর্মে পরিণত হয় বিএনপি।

আসলে বাংলাদেশের রাজনীতিতে ধারা দুটি- একটি আওয়ামী লীগ অপরটি আওয়ামী লীগ বিরোধী। চতুর জিয়াউর রহমান কৌশলে নিজেকে আওয়ামী বিরোধী ধারার নেতা হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেন। এবং দ্রুত গ্রহণযোগ্যতা এবং জনপ্রিয়তা পেয়ে যান। ৭৫ থেকে ৯০ পর্যন্ত বাংলাদেশ নানা ফরমেটে সামরিক শাসন ছিল। কিন্তু ৭৫ থেকে ৮১ জিয়াউর রহমানের এই সময়টায় বিভিন্ন ক্যান্টনমেন্টে একের পর এক ক্যু হয়েছে। ১৯৮১ সালের ৩০ মে এমনই এক ক্যু’তে প্রাণ দিতে হয় জিয়াউর রহমানকে। তবে ইন্টারেস্টিং হলো একের পর এক ক্যু হলেও রাজপথে জিয়াউর রহমানকে তেমন প্রতিরোধ মোকাবেলা করতে হয়নি। কিন্তু জিয়াউর রহমানের ফরমুলা অনুসরণ করে ক্ষমতায় আসা এরশাদকে নয় বছর ধরেই উত্তপ্ত রাজপথ সামলাতে হয়েছে। শেষ পর্যন্ত তার পতনও হয়েছিল গণ আন্দোলনের মুখেই। এরশাদের সময় রাজপথ উত্তপ্ত হলেও ক্যান্টনমেন্ট ছিল শান্ত। আর জিয়াউর রহমানের সময় রাজপথ তুলনামূলক শান্ত থাকলেও ক্যান্টনমেন্ট ছিল রক্তাক্ত।

অনেকেই বিশ্বাস করেন জিয়াউর রহমানকে হত্যার পেছনে মূল পরিকল্পনা ছিল এরশাদের। বন্দুকের মুখে নির্বাচিত রাষ্ট্রপতি বিচারপতি সাত্তারকে হটিয়ে তিনি ক্ষমতা দখল করেন এবং ঠিক জিয়ার ফরমুলা অনুসরণ করেই দফা-ফ্রন্ট হয়ে রাজনীতিতে আসেন, গঠন করেন জাতীয় পার্টি। এরশাদের ইচ্ছা ছিল বিএনপিকে ধ্বংস করে সেই শূন্যস্থানে জাতীয় পার্টিকে বসিয়ে দেয়া। সেই লক্ষ্যে বিএনপিতে ভাঙ্গন, নেতাদের ভাগিয়ে আনাসহ নানান কূটকৌশল প্রয়োগ করা হয়। অনেকে ভেবেওছিলেন বিএনপি আর থাকবে না। কারণ বিএনপিকে নেতৃত্ব দেয়ার মত নেতা ছিল না দলে। নানান দল থেকে আসা দলছুট নেতারা সবাই ছিলেন সুবিধাবাদী।

বিচারপতি সাত্তারের পক্ষে বিএনপিকে গুছিয়ে এগিয়ে নেয়ার কোনো সম্ভাবনাই ছিল না। বিএনপির তরী যখন ডুবে যাচ্ছে, তখন তার হাল ধরেন বেগম খালেদা জিয়া। সবাইকে চমকে দিয়ে নিছক গৃহবধূ খালেদা জিয়া যেন জাদুর কাঠির ছোঁয়ায় বিএনপিকে নবজীবন দান করেন। শুধু নতুন করে সংগঠিত করা বা ঘুরে দাঁড়ানোই নয়, স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে আপসহীন আন্দোলন করে বিএনপিকে রাজপথের গণতান্ত্রিক সংগঠনে পরিণত করার কৃতিত্বও খালেদা জিয়ারই। ক্যান্টনমেন্টে জন্মের কলঙ্ক অনেকটাই আড়ালে ফেলে বিএনপি হয়ে ওঠে জনগণের অনেকের প্রিয় দলে।

এরশাদের পতনের পর ৯১ সালে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে সবাইকে চমকে দিয়ে সরকার গঠন করে বিএনপি, প্রধানমন্ত্রী হন বেগম খালেদা জিয়া। কিন্তু তার প্রথম দফার প্রধানমন্ত্রীর শেষ হয় ১৫ ফেব্রুয়ারির কলঙ্কিত নির্বাচন মাথায় নিয়ে। তবে ২০০১ সালে আবার ক্ষমতায় ফেরে বিএনপি, প্রধানমন্ত্রী হন বেগম খালেদা জিয়া। তবে প্রথম দফার সাথে তার দ্বিতীয় দফার প্রধানমন্ত্রিত্বের আকাশ-পাতাল ফারাক। দেশে মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে জঙ্গীবাদ-সন্ত্রাস। তৈরি হয় ক্ষমতার বিকল্প কেন্দ্র। রাষ্ট্রযন্ত্রের পৃষ্ঠপোষকতায় চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে ১০ ট্রাক অস্ত্র আসে, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা চালিয়ে তখনকার বিরোধী দলীয় নেতা শেখ হাসিনাকে হত্যার চেষ্টা করা হয়। নিজেদের পছন্দমত তত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থাকে সাজানোর ঘটনায় সৃষ্ট রাজনৈতিক অচলাবস্থায় আসে বহুল আলোচিত এক-এগারো। বিএনপির বিপর্যয়ের সেই শুরু।

২০০৮ সালের নির্বাচনে ভরাডুবি সেই বিপর্যয়কে আরো ঘনীভূত করে। সেই থেকে বিএনপির খালি পেছানোর গল্প। হতে পারতো গল্পটা লড়াইয়ের। কিন্তু স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনের লড়াকু দল বিএনপি অনেক আগেই সেই ধার হারিয়েছে। একে একে তাদের বিপর্যয়ে যুক্ত হয়েছে নতুন নতুন মাত্রা। ২০১৪ সালের নির্বাচন বর্জনের আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত দলটিকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যায়। আগের নির্বাচনে অংশ না নেয়ার ভুল শুধরাতে ২০১৮ সালের নির্বাচনে অংশ নিয়ে মাত্র ৬টি আসন নিয়ে সংসদে বিরোধী দলের মর্যাদাও হারায় দলটি। দলের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান আগে থেকেই লন্ডনে ছিলেন। দুর্নীতি মামলায় বেগম খালেদা জিয়া কারাগারে যাওয়ার পর বিএনপি কার্যত নেতৃত্বহীন হয়ে পড়ে। বিএনপি নেতারা বারবার অভিযোগ করেন, সরকারের দমন-পীড়নের কারণে তারা আন্দোলন করতে পারছেন না। অভিযোগটা ষোল আনাই সত্যি।

সরকার নিষ্ঠুর কায়দায় রাজপথে বিএনপিকে দমন করে। তাদের সভা-সমাবেশ করার অধিকার সঙ্কুচিত হয়ে যায়। তাদের মতপ্রকাশেও বাধা ছিল। শত শত মামলায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে নেতাকর্মীরা। গুম-খুন-ক্রসফায়ার আতঙ্ক ছড়ায় বিরোধী মহলে। অভিযোগ যেমন সত্যি, আবার এটাও তো সত্যি, কবে কোন সরকার বিরোধীদের আন্দোলন করার সুযোগ দিয়েছে? এই বিএনপিই তো এরশাদের বিরুদ্ধে লাঠি-গুলি-টিয়ার গ্যাসের পরোয়া না করেই আন্দোলন করেছে। সরকারের নির্যাতন-নিপীড়ন যেমন সত্যি, আবার বিএনপি নেতারা আন্দোলন করার সক্ষমতা হারিয়েছেন; সেটাও সত্যি। বিএনপি নেতাদের মধ্যে সেই তেজ নেই, সেই অঙ্গীকার নেই। সবাই পিঠ বাঁচাতে ব্যস্ত। আর আন্দোলন করতে চাই জনগণের স্বতঃস্ফুর্ত অংশগ্রহণ। বিএনপি তাদের পক্ষে জনগণকে সম্পৃক্ত করতে ব্যর্থ হয়েছে। বিএনপির যে জনপ্রিয়তা তাকে তারা ভোটের বাক্সে তো নয়ই, রাজপথে আনতে পারেনি।

আওয়ামী লীগ ২১ বছর পর ক্ষমতায় ফিরে এসেছিল দারুণ ভাবে। কিন্তু ১৩ বছর ক্ষমতার বাইরে থাকা বিএনপিকেই যতটা হতশ্রী মনে হচ্ছে, এ অবস্থায় কতদিন টিকতে পারবে; তা নিয়ে অনেকের সন্দেহ আছে। ৭৫ এর পর মারাত্মকভাবে কোনঠাসা হয়ে পড়া আওয়ামী লীগ টিকে থাকতে পেরেছিল দেশজুড়ে তৃণমূল পর্যায়ে বিস্তৃত শক্তিশালী সাংগঠনিক কাঠামোর কারণে। এখানেই পিছিয়ে পড়েছে বিএনপি। দেশজুড়ে এখনও বিএনপির জনপ্রিয়তা আছে। নেতৃত্ব যতই অথর্ব হোক, আওয়ামী লীগ বিরোধী অংশের সমর্থন স্বয়ংক্রিয়ভাবে বিএনপির দিকেই আসে। কিন্তু বিএনপি সেই সমর্থনকে সাংগঠনকিভাবে গোছাতে পারেনি, রাজপথে নামাতে পারেনি। বিএনপির সমস্যা হলো, আওয়ামী লীগ বিরোধী সব শক্তিকে এক ছাদের নিচে আনতে পারলেও দলের আদর্শিক ঐক্য নেই বললেই চলে। পাশাপাশি বসে আন্দোলন করেন মুক্তিযোদ্ধা এবং রাজাকার। ক্ষমতায় থাকতে ক্যান্টনমেন্টে জন্ম নেয়া বিএনপির তেমন কোনো আদর্শিক টান নেই, যা নেতাকর্মীদের ধরে রাখতে পারে।

বিএনপি একটি নির্বাচনমুখী, ক্ষমতামুখী রাজনৈতিক দল। তাই ক্ষমতার বাইরে কতদিন দলটি টিকে থাকবে তা নিয়ে নানা কথা হয়। সরকারের নানা দুঃশাসন, দুর্নীতি, লুটপাট, গণতন্ত্রহীনতার বিরুদ্ধে তো দূরের কথা, এমনকি দলের চেয়ারপারসনকে মুক্ত করতেও বিএনপি একটি কার্যকর আন্দোলন গড়ে তুলতে পারেনি। খালেদা জিয়া এখন ভাবতেই পারেন, এতদিন কোন দল গড়ার জন্য সময় ব্যয় করলেন। বেগম খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতিতে দলের নেতৃত্ব ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের হাতে। তিনি লন্ডনে বসে স্কাইপে দল পরিচালনা করেন। তার এই স্টাইল পছন্দ নয় অনেকের। ইতিমধ্যেই দলের সিনিয়র নেতাদের অনেকেই দল ছেড়েছেন, অনেকে নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েছেন।

বিএনপির রাজনৈতিক তৎপরতা এখন নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ে রুহুল কবির রিজভীর নিয়মিত ব্রিফিঙে সীমাবদ্ধ হয়ে পড়েছে। এই অবস্থায় বিএনপির ভবিষ্যত নিয়ে অনেকে অনেক কথা বলছেন। অনেকেই বলছেন, বিএনপির পরিণতি হবে মুসলিম লীগের। এই অভিযোগের জবাবে বিএনপির এক নেতা বলেছেন, বিএনপি নয়, আওয়ামী লীগকেই মুসলিম লীগ হতে হবে। কারণ আওয়ামী লীগেরে জন্মই হয়েছিল মুসলিম লীগ থেকে। বিএনপি ধ্বংস হয়ে যাবে, নাকি ঘুড়ে দাঁড়াবে; তা জানতে আরো অপেক্ষা করতে হবে। তবে বিএনপিও যদি নিজেদের ভবিষ্যতকে ভাগ্যের হাতে সঁপে দেয়; তাহলে তাদের ধ্বংস অনিবার্য। সাহস নিয়ে ঘুড়ে দাঁড়ালেই তারা ভাগ্যের সহায়তা পেতে পারেন। নইলে হুটহাট রাস্তায় নেমে পুলিশের সঙ্গে ঢিলাঢিলি আর গাড়ি ভাংচুরে শক্তি ক্ষয় হবে শুধু। বিএনপিকে টিকে থাকতে হলে আগে দল গোছাতে হবে, জনগণের কাছে যেতে হবে।

এইচআর/জেআইএম