ভিডিও EN
  1. Home/
  2. মতামত

পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে অশান্তি-অস্থিরতা প্রসঙ্গে

শেখর দত্ত | প্রকাশিত: ১২:৫১ পিএম, ১৩ নভেম্বর ২০১৯

পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে অশান্তি-অস্থিরতা বাড়ছে বৈ কমছে না। এটা তো ঠিক যে, এই বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সঙ্গে প্রত্যক্ষ কিংবা পরোক্ষভাবে রাজধানী থেকে সুদূর গ্রামাঞ্চল, ধনী থেকে গরিব সব মানুষ জড়িত। তাই এই অশান্তি-অরাজকতা-অস্থিরতা নিয়ে সারাদেশের মানুষই কমবেশি চিন্তিত ও উদ্বিগ্ন। সব বিশ্ববিদ্যালয়ে একসঙ্গে অশান্তি-অস্থিরতা ছড়িয়ে পড়ল কীভাবে, সরকারবিরোধী ডান-বাম এ টু জেড বাম-জামায়াত সব ছাত্র-শিক্ষক একত্রে নামছে কীভাবে, কোনো কোনো ক্ষেত্রে সরকার পক্ষের একাংশ ছাত্র-শিক্ষক একত্র হচ্ছে কী কারণে, শিক্ষকরা ছাত্রদের ব্যবহার করছে কিনা, একদিকে উপাচার্যের কার্যালয় ও বাসভবন ঘেরাও আর অন্যদিকে পাল্টা হামলা কেন চলতে দেয়া হচ্ছে, সরকারি কোনো পদক্ষেপ দৃষ্টিগোচর হচ্ছে না কেন, আন্দোলনরত শিক্ষক-ছাত্রদের কাছে অনিয়ম-দুর্নীতির তথ্য-প্রমাণ রয়েছে কথাগুলো কি সত্য প্রভৃতি প্রশ্নের তেমন কোনো সদুত্তর মানুষ পাচ্ছে না।

ইতোমধ্যে গত ৮ নভেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের সামনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের সহসভাপতি নুরুল হক নূর সরকারের বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, ‘সরকার দেশকে গৃহযুদ্ধের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। প্রয়োজনে মানুষ অস্ত্র তুলে নেবে। আপনাদের দেশছাড়া করবে।’ ‘গৃহযুদ্ধ’, ‘অস্ত্র’ প্রভৃতি কথা তিনি বুঝে বলেছেন নাকি না বুঝে বলেছেন তা জানি না। ইতোপূর্বে ধর্মভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধের বিষয়ে ডাকসুর ভিপির বিরুদ্ধে অবস্থানের কথা দেশবাসীর জানা। এদিকে বিশেষভাবে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনে শিবির সংশ্লিষ্টতা প্রকাশ পেয়েছে। প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে বিএনপি-জামায়াতের ২০ দলীয় জোট যখন আগুন সন্ত্রাসে নামে, তখন কেবল ওই জোটের নেতাদের মুখ থেকে নয়, পাকিস্তান পার্লামেন্ট থেকে পর্যন্ত বাংলাদেশে গৃহযুদ্ধ বাধানোর উসকানি দেয়া হয়েছিল। এই অবস্থায় ডাকসুর ভিপির মুখে গৃহযুদ্ধ ও অস্ত্রের হুঁশিয়ারি দেয়া কতটা উদ্বেগজনক, তা সহজেই অনুমেয়।

এদিকে বিগত ৭ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বিরুদ্ধে উত্থাপিত দুর্নীতির অভিযোগ প্রমাণ করতে না পারলে নৈরাজ্য সৃষ্টিকারী অভিযোগকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে, কোনো রকম আইনগত ভিত্তি ছাড়া আন্দোলনের নামে ক্লাস বন্ধ, উপাচার্যের কার্যালয় ও বাসভবনে হামলা বরদাশত করা হবে না প্রভৃতি কথা বলেছেন। পরদিন ৮ নভেম্বর প্রকাশিত খবর থেকে জানা যায় শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী ছাত্র-শিক্ষকদের দাবি প্রসঙ্গে বলেছেন, ‘সবার নিরাপত্তা ও সুশৃঙ্খল পরিবেশ বজায় রাখার স্বার্থে যেন কেউ আইন নিজের হাতে তুলে না নেন। আমাদের কাছে মূল অভিযোগ তথ্য-প্রমাণাদিসহ দয়া করে উপস্থাপন করুন। আমরা তদন্ত করে অবশ্যই ব্যবস্থা নেব।’

এ অবস্থায় পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর অশান্তি-অরাজকতা-অস্থিরতা শান্তিপূর্ণভাবে মীমাংসার কোনো সমাধানসূত্র পাওয়া যাবে কিনা, তা বুঝে উঠতে পারা যাচ্ছে না। সমাধান সূত্র কী হতে পারে তা নিয়ে ভাবতে গিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শ্রদ্ধেয় শিক্ষক সমাজের অভিজ্ঞ প্রতিনিধিদের পত্রিকায় প্রকাশিত কথাগুলো মনোযোগের সঙ্গে বিবেচনায় নিলাম। বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী ‘অভ্যন্তরীণ এই সমস্যার সমাধান বিশ্ববিদ্যালয়কেই করতে হবে’ মন্তব্য করে বলেছেন, ছাত্র, শিক্ষক সমিতি, প্রশাসন প্রভৃতি সব কিছুতে ‘একদলীয় আধিপত্যের কারণে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে এ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে।’ কথাগুলো সামনে নিয়ে আমরা অতীত অভিজ্ঞতা বিবেচনায় নিতে পারি।

পঁচাত্তরের পটপরিবর্তনের পর সুদীর্ঘ সময় ছাত্রশিবিরসহ সব ছাত্র সংগঠনের অবস্থান ছিল বিশ্ববিদ্যালয়ে। ওই দিনগুলোতে সংঘাতে-সংঘর্ষে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ছিল রণক্ষেত্র। একদিকে শিবিরের রগকাটা, অস্ত্রবাজি আর অন্যদিকে শিবির ঠেকাও পদক্ষেপ। ছাত্রদল বনাম ছাত্রলীগ কিংবা দুই সংগঠনের অভ্যন্তরীণ কোন্দল প্রভৃতি কারণে অস্ত্রের ঝনঝনানি-খুনোখুনি তখন লেগেই থাকত। এরশাদ আমলে সরকারবিরোধী সব দলের যুগপৎ আন্দোলন যখন হয়, তখনো তা একটুও কমেনি, বরং বেড়েছে। কত প্রাণ যে ঝরেছে! সেশনজট তখন ছিল যেন নিয়তি!
বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে প্রকাশ্যে শিবিরের কোনো তৎপরতা নেই। ছাত্রদলের অবস্থান নেই। এক সময় মনে হচ্ছিল রক্তপাত তেমন নেই, সেশন জটও নেই; মোটামুটি চলে যাচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। কিন্তু দেখা গেল তাতেও সমস্যার সমাধান হলো না। সমস্যার কবলে আবারো পড়েছে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো।

সমস্যা সমাধানে কিছুদিন আগে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো অশান্তি-অস্থিরতা-অরাজকতা সম্পর্কে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি ড. আরেফিন সিদ্দিক যা বলেছেন, তাও বিবেচনায় নিতে হবে। তিনি বলেছেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন কাজে যারা ভাগ বসায়, এখান থেকে টাকা চায় এটি অচিন্তনীয়। কেন তারা এসব করছে? শুধু কী শিক্ষার্থীদের দোষ? কারা তাদের ব্যবহার-অপব্যবহার করছে? এগুলো তদন্ত করা উচিত। …অভিভাবক হিসেবে, শিক্ষক হিসেবে এ ব্যর্থতা আমাদের। আমরা নানাভাবে সমাজকে কলুষিত করে চলেছি।’ ‘আওয়ামী লীগ ঘরনার’ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক দুই উপাচার্যের কথা থেকে এটা সুস্পষ্ট, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর চলমান অনভিপ্রেত ঘটনা প্রবাহে সরকার সপক্ষের কমবেশি সবাই ক্ষুব্ধ বা বিচলিত হচ্ছেন এবং সমস্যা সমাধানে সরকার, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও শিক্ষক সমাজকে আরো গভীরে গিয়ে সমাধান করার কথা ভাবছেন। প্রশ্নটা হলো, ভিসিদের বিরুদ্ধে অভিযোগগুলো ঢালাও হোক কিংবা সুনির্দিষ্ট হোক, সত্য হোক কিংবা মিথ্যা হোক এগুলোর তদন্ত হচ্ছে না কেন? তদন্ত যত দেরি হচ্ছে ততই মানুষের সন্দেহ ও অবিশ্বাস বাড়ছে। এতে সরকারের ওপরই মানুষ হতাশ বা ক্ষুব্ধ হচ্ছে। আরো একটি কথা এখানে বলতেই হচ্ছে। ভিসি ও প্রশাসনের দায়িত্ব হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষা করা। বাস্তবে তারা ওই দায়িত্ব পালনে অপারগ হচ্ছেনই কেবল নয়, নিজেরাও অভিযুক্ত হচ্ছেন।

বর্তমান দিনগুলোতে দুর্নীতি ও সন্ত্রাসের ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জিরো টলারেন্স নীতি প্রয়োগ করছেন। বলাই বাহুল্য সুদীর্ঘকাল ধরে জঞ্জাল সৃষ্টি হয়েছে। এই জঞ্জাল সৃষ্টির পেছনে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত রয়েছে রাজনৈতিক নেতা-আমলা-পুলিশ গং। তাদের রয়েছে শক্তিশালী চক্র ও চেইন। এর শিকড় কতদূর পর্যন্ত বিস্তৃত, কতটা শক্তি-সামর্থ্য লাগবে এ অশুভ ও অনিষ্টকর শক্তিকেন্দ্র ভাঙতে বা নিয়ন্ত্রণ করতে, কোন দিক থেকে কতটা প্রতিরোধ বা ষড়যন্ত্র-চক্রান্ত আসবে, এর প্রায় সবটাই অজানা। নিঃসন্দেহে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জিরো টলারেন্স কার্যকর করতে আপ্রাণ চেষ্টা করছেন। প্রশাসন বা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে তেমন হাত পড়েছে বলে পরিদৃষ্ট হচ্ছে না। সম্প্রতি সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, এক ঠিকাদারকে যেন কাজ দেয়া না হয়, নতুন ছোট-বড় সব ঠিকাদারকে যেন কাজ দেয়া হয় ইত্যাদি।

আগ্রহোদ্দীপক বিষয় হচ্ছে, দুর্নীতিবিরোধী অভিযান নিয়ে তিনি যখন প্রচেষ্টা সর্বাত্মক করছেন, তখন তাকে দেশের সর্বোচ্চ ও সবচেয়ে পবিত্র স্থান বিশ্ববিদ্যালয়ের দুর্নীতির অভিযোগকে ডিফেন্ড করতে হচ্ছে। প্রসঙ্গত একটি কথা বলতেই হয় যে, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিসির অভিযোগের ভিত্তিতে যখন ছাত্রলীগের শীর্ষ দুই নেতা অব্যাহতি পায়, তখন লোকমুখে ভিসির প্রশংসা শুনেছি। এমন সাহস করে চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে তো কেউ অভিযোগ করেন না। রহস্যটা হচ্ছে ছাত্রলীগেরই কোনো কোনো নেতা বলেছেন, ভিসি তাদের চাঁদার নামে ভাগবাটোয়ারা দিয়েছেন। হিরো থেকে তিনি জিরো হচ্ছেন। এদিকে প্রধানমন্ত্রী তো আর সব খোঁজখবর না নিয়ে ভিসি ও প্রশাসনকে ডিফেন্ড করতে যাননি। এই যখন অবস্থা তখন বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে বিশেষভাবে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ গুরুত্বসহকারে দ্রুত তদন্ত করা একান্ত প্রয়োজন।

সবশেষে সুদীর্ঘকালের রাজনৈতিক অঙ্গনে থাকার অভিজ্ঞতা থেকে ‘কাঁটা দিয়ে কাঁটা তোলা’ প্রবাদটাকে স্মরণ করছি। কেননা অভিজ্ঞতাই তো পথ চলার দিকনির্দেশ দেয়। বলার অপেক্ষা রাখে না, স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধুর সাড়ে তিন বছরের শাসনামলে সংসদীয় গণতন্ত্রের অবাধ সুযোগ নিয়ে দুর্নীতি ও সন্ত্রাসকে চরম পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। দল ও সরকারে সুবিধাবাদী-সুযোগসন্ধানীদের অপতৎপরতায় চাটার দলের চক্র-চেইন দ্রুততার সঙ্গে গড়ে উঠে প্রসারিত হচ্ছিল। বঙ্গবন্ধু দলের পক্ষ থেকে দুর্নীতিবিরোধী প্রতিরোধ দিবস পর্যন্ত পালন করেছিলেন। আর্মিও নামিয়েছিলেন।

আসলে রাজনীতিতে প্রায়ই কায়েমি স্বার্থবাদী শত্রুরা ষড়যন্ত্রের আসল কাঁটা দিয়ে তথাকথিত কাঁটাকে তোলার অপকৌশল গ্রহণ করে। কান নিয়ে গেছে চিলে কথাটা এখানে অনেক সময়েই কার্যকর করার প্রচেষ্টা চলে। এই দিকটি বিচারেও অন্তত জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের দুর্নীতির অভিযোগ শক্তিশালী ও গ্রহণযোগ্য তদন্ত কমিটি গঠন করে দ্রুত তদন্ত করা, রিপোর্ট প্রকাশ করা এবং ব্যবস্থা গ্রহণ করা একান্ত প্রয়োজন। এটা ভিন্ন আর সমাধানের পথ খোঁজা হবে অন্ধকারের দিকে যাওয়ার শামিল। এমনটাই শুনেছি, সরকারি মহলে কেউ কেউ বলছেন ষড়যন্ত্র-চক্রান্তকারীরা আরো খেলুক, তাতেই সব জনসমক্ষে প্রকাশ হয়ে পড়বে। কিন্তু অপরকে খেলতে দিলে নিজকেও কিন্তু খেলতে হয়। অতীত অভিজ্ঞতা বলে, শিক্ষাঙ্গন অশান্ত-অস্থির মানে সরকারের বিপদ। তাই অন্তত এই ক্ষেত্রে পারস্পরিক খেলা আগুন নিয়ে খেলারই নামান্তর হতে পারে। তাই কালক্ষেপণের কোনো মানেই হয় না। সত্য প্রকাশ আজ সময়ের দাবি এবং জিরো টলারেন্স নীতি কার্যকর করার প্রধান অবলম্বন। অতীতে কখনো দুর্নীতি ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সরকারি দলের বিরুদ্ধে সরকার অভিযান পরিচালনা করেনি। জিয়া আমলে পবিত্র কোরান শরিফ ছুঁয়ে শপথ আর খালেদা-নিজামীর আমলে ‘দুষ্টু ছেলেদের’ বকে দেবেন, এই পর্যন্ত সরকার গিয়েছিল। মোল্লার দৌড় মসজিদে গিয়ে সমাপ্ত হয়ে প্রবাদটি তার মান রেখেছিল। তাই এবারের দুর্নীতি ও সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে সফলতার একটি পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া ভিন্ন বিকল্প আর কিছু আছে বলে মনে করার কোনো কারণ নেই।

জাতি এখন রয়েছে ক্রসরোডে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি বা প্রশাসন যদি দুর্নীতি করে, তবে দায় সরকার নেবে কেন? ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক শামিম মোহাম্মদ আফজাল দুর্নীতির ৭৩ কোটি টাকা ইতোমধ্যে ফেরত দিয়েছেন। সর্ষেতে ভূত থাকাটা অস্বাভাবিক নয়। গুরুতর অভিযোগে অভিযুক্ত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্র্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর তুরিন আফরোজকে এতদিন পর অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। সর্বাঙ্গে ব্যথা ওষুধ দিব কোথা, এই তো অবস্থা। তাই বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর বিষয়ে এই মুহূর্তে যে কোনো সীমাবদ্ধতা, দোলাচল বা ভুল দেশের পরিস্থিতিকে গভীর পানির মাছেরা যে কোনো পরিণতির দিকে ঠেলে দিতে পারে। ‘সাধু সাবধান’ প্রবাদটা দিয়ে আজ সমাপ্তি টানছি।

লেখক : রাজনীতিক।
[email protected]

এইচআর/এমকেএইচ