ভিডিও EN
  1. Home/
  2. মতামত

বুয়েটে ভয়ঙ্কর অশ্লীল র‌্যাগিংয়ের নেপথ্যে

তামান্না ইসলাম | প্রকাশিত: ০১:৩০ পিএম, ১৬ অক্টোবর ২০১৯

আমি একজন হতভাগ্য বুয়েটিয়ান এবং সৌভাগ্যবান প্রাক্তন বুয়েট শিক্ষক। হতভাগ্য বুয়েটিয়ান কেন বলছি সেটা আশা করি সবাই এই দুই দিনে জেনে গেছেন। সৌভাগ্যবান বলছি, কারণ আমি বুয়েটে শিক্ষকতা করেছি অনেক বছর আগে অল্প সময়ের জন্য। শিক্ষক জীবনের একটা জিনিসের প্রতিই আমার লোভ ছিল, সেটা হল শিক্ষকদের প্রতি ছাত্র-ছাত্রীদের সম্মান। বুয়েটের শিক্ষকের পদ ছেড়ে এসে আফসোস হয়েছে সেই সম্মানটা আর কখনোই পাব না। তবে বিগত বেশ কয়েক বছর ধরে আমার সেই শখ মিটে গেছে। কেন সেটাই আজ বলব।

বুয়েটের বেশ কয়েকজন শিক্ষকের সাথেই আমার নিয়মিত যোগাযোগ আছে, ছিল। তাদের বেশিরভাগের কাছ থেকে আমি যেসব হতাশার কথা শুনেছি, এই কষ্ট একজন শিক্ষকের জন্য দুর্বিষহ। ছাত্রদের চরম নৈতিক অবক্ষয় হয়েছে, মূল্যবোধ নেই বললেই চলে। বুয়েটে শিক্ষাগত মান হ্রাস পেয়েছে। ছাত্ররা শিক্ষকদের একদম সম্মান করে না। করবেই বা কেন? বুয়েট তো দেশের বাইরে না। আর এখানেও নিজেদেরকে বিক্রি করে দেওয়া এক দল শিক্ষক আছে, যারা রাজনৈতিক ক্ষমতার ছায়ায় থাকা ছাত্রদের পা চেটে পদোন্নতি, সুযোগ সুবিধা পাচ্ছে। এই শিক্ষকরা অন্য শিক্ষকদেরও হয়রানি করছে, নিয়মিত দমিয়ে রাখছে। আর রাজনৈতিক মদদপুষ্ট ছাত্ররা তো একেকজন ডন। এককথায় এইসব ক্ষমতাশালী ছাত্ররাই চালাচ্ছে ক্যাম্পাস। বুয়েট এবং এর হলগুলো অবস্থার চরম অবনতির কথা জানতে পারি বুয়েটের একটি ফেসবুক গ্রুপের মাধ্যমে কয়েক বছর আগে। ২০১৫ সালে, কিছু কানা ঘুষার মাধ্যমে, বেড়িয়ে আসে সব ভয়াবহ ঘটনা। র‌্যাগের নামে ছাত্রদেরকে কী সাঙ্ঘাতিক শারীরিক এবং মানসিক অত্যাচার করা হয় সেসব চিত্র।

শিউড়ে ওঠার মত ঘটনা। আমাকে সেসময় সে গ্রুপে কিছু সিনিয়র বিভিন্ন ঘটনা জানিয়ে এ সম্পর্কে লিখতে অনুরোধ করেন। বুয়েটের শিক্ষকদের সাথেও যোগাযোগ করা হয়। কিন্তু এসব অপরাধীর হাত অনেক লম্বা। আমার মত দুচারজনের লেখা অরণ্যে রোদনে তো নয়ই, সে সময় অনেক শিক্ষকের কাছেও শুনেছি তাঁদের অসহায়ত্বের কথা। সেসময় কম্পিউটার সায়েন্স বিভাগের একজন শিক্ষকের কাছ থেকে জানতে পারি কম্পিউটার সায়েন্স বিভাগের অন্তত একজন ছাত্রের মৃত্যু ঘটেছে পরোক্ষভাবে র‌্যাগের কারণে যার কোন বিচার হয় নি। এই কদর্য র‌্যাগ নামের প্রথার নাকি শুরু হয়েছিল তারও চার পাঁচ বছর আগে। ছাত্রদের কাছ থেকে পরিচয় গোপন রেখে কিছু অভিযোগ সংগ্রহ করা হয়েছিল, যার কিছু এখানে তুলে ধরছি

একজন সিনিয়র শিক্ষকের জবানিতে একজন ছাত্র জানান 'এক রাতে আমি (অর্থাৎ, যিনি এই ঘটনা বলেছেন আমাদেরকে) আমার একজন কলিগের কাছ থেকে একটা ফোন পাই। ফোনে জানতে পারি যে একটি ছাত্রকে (ঘটনাচক্রে আমি এই ছেলেটির অ্যাডভাইসর ছিলাম) র‌্যাগিংয়ের নামে অত্যাচার করে অচেতন অবস্থায় দোয়েল চত্ত্বরে ফেলে রাখা হয়েছে। তাকে সেই রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজে ভর্তি করা হয় যেখানে সে তিন মাস ছিল। তার কিছুদিনের জন্য স্মৃতি শক্তি হারিয়ে যায়। মধ্যে তিন বছর হয়ে গেছে এবং এখনো সে স্বাভাবিক এবং সুস্থ হতে পারেনি। এই ঘটনার পরে সে আর কোন ক্লাশ করতে পারেনি বুয়েটে। '

অন্য আরেকজন ছাত্র জানিয়েছে 'ঘটনা বুধবার রাতের। ভাইরা সবাইকে জামা খুলে মাথানিচু অবস্থায় লাইন ধরে দাঁড় করালেন। প্রথম খানিকক্ষণ সালাম শেখানো চললো, প্রত্যেকে যতবার রুমে আসবে ততবার আলাদা করে সালাম। এরপর আসল ভদ্রতা শেখানো শুরু হল। এক বন্ধু কবিতা লিখত, তাকে চটি কবিতা লিখতে পাঠালো । একজন ভাল ছবি আঁকে, তাকে বসালো মেয়েদের br***t এর ছবি আঁকাতে । আরেকজনকে উচ্চস্বরে চটি পড়তে দিল। একবন্ধুকে তেল ধরিয়ে দিল - mastur***e করে দেখা! কয়েকজনকে আলাদা করে নিয়ে হিজড়া সাজিয়ে whore দের মত গায়ের বিভিন্ন অংশে হাত দিয়ে সিনিয়রদের seduce করার দায়িত্ব দিল। ভাইরা satisfied হলে তবেই মুক্তি। একজন বন্ধু বেশ নরম স্বভাবের, কেঁদেই ফেললো শেষপর্যন্ত। একজনকে বন্ধুদের মধ্য থেকে কাউকে বেছে নিতে বলল, doggy style এ fu** করে দেখাতে হবে আরকি! অতঃপর দুজনকেই কিছু গালি শিখিয়ে দিল, মজা পাচ্ছে সেটার expression দেওয়া লাগবে না? তাও ভাল, পাশের হলের মত বালিশ নিয়ে sex বা বন্ধুকে প্রভোস্ট হিসেবে **তে দেয়নি!! ' বুয়েটের শিক্ষকদেরকে সেসময় এসব জানিয়েও কোন লাভ হয়নি।

গত চার বছরে যতবারই শিক্ষকদের সাথে কথা বলেছি, তাঁদের হাহাকার শুধুই বেড়েছে। অবস্থার অধঃপতন হয়েছে দ্রুত। শুধু মৌখিক অপমান নয়, প্রকাশ্যে শিক্ষকের গায়ে হাত তোলার মত স্পর্ধাও দেখিয়েছে এইসব ছাত্ররা। খুব সামান্য কারণে এইসব ক্ষমতাশালী ছাত্র বা শিক্ষকদের রোষানলে পড়লে অতি নিরীহ শিক্ষকদের চাকরি, নিরাপত্তা সব কিছুই হুমকির সম্মুখীন। সম্প্রতি র‌্যাগের নামে বুয়েট ছাত্রের কানের পর্দা ফাটিয়ে ফেলা হয়েছে। উদ্দেশ্য একটাই, শুরুতেই ত্রাসের রাজত্ব তৈরি করে সবাইকে দমিয়ে রাখা। সম্প্রতি বুয়েটের হলে, আবরারের নৃশংস খুনের পর কম্পিউটার সায়েন্স বিভাগের কিছু শিক্ষক/শিক্ষিকা একটি সম্মিলিত ফেসবুক স্ট্যাটাস দিয়েছেন যার গুরুত্বপূর্ণ কিছু অংশ এখানে তুলে ধরছি- 'যে বিশ্ববিদ্যালয়ে একজন ছাত্র তার মত প্রকাশের জন্য অন্য মতের ছাত্রদের অত্যাচারের সম্মুখীন হয়, নৃশংসভাবে খুন হয় আর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এই বিষয়ে অকর্মণ্য ভূমিকা পালন করে সেই বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণা করার সময় এখন নয়। আবরার ফাহাদের এই খুনের বিষয়টি আসলে মনে হচ্ছে অবশ্যম্ভাবীই ছিল। কেন এই কথাটা বললাম? আমরা গত বেশ কয়েক বছরের ঘটনা প্রবাহ যদি খেয়াল করি তাহলে মনে হবে যে এতো দেরি হল কেন? এর মধ্যে অনেক ঘটনা আমরা জানতে পারছি যা আমরা আগে জানতাম না অথবা জেনেও না জানার ভান করতাম। আমরা কম্পিউটার বিজ্ঞানের ছাত্র ও শিক্ষক; তাই বিষয়গুলিকে একটি এলগরিদমের মত করে সাজিয়ে লিখছি। ধরুন হলের কোনো একজন ছাত্রকে অপর কোনো এক কালপ্রিট ছাত্র কোনো কারণে পেটানোর ইচ্ছা পোষণ করল। তাহলে নিচের ধাপগুলি যথাযথভাবে অনুসরণ করতে হবে-

ধাপ ১- ওই ছাত্রটিকে কোনো একদিন রাতে হলের একটি বিশেষ কক্ষে (টর্চার সেল এ) ধরে নিয়ে আসতে হবে যেখানে অত্যাচার করার সকল সরঞ্জাম রয়েছে।
ধাপ ২- তারপর তাকে অত্যাচার করতে হবে।
ধাপ ৩- তবে, অত্যাচার করার সময় বিশেষ করে খেয়াল রাখতে হবে যাতে ছাত্রটি মরে না যায়।
ধাপ ৪- অত্যাচার পর্ব শেষ হলে, সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে এবং অন্যান্য মাধ্যমে সব জায়গায় ছড়িয়ে দিতে হবে যে ছেলেটি স্বাধীনতা বিরোধী জামায়াত/শিবির এর সাথে জড়িত কিংবা সমর্থক ছিল। বুয়েটের অনেক ছাত্রকেই এই প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে তা এখন পরিষ্কার। এর আগেও বিভিন্নভাবে আমাদের কানে এসেছে যে হলের ছাত্ররা বিভিন্নভাবে অত্যাচারিত হয়/হচ্ছে। কর্তৃপক্ষ বলেন, সাধারণ শিক্ষক/শিক্ষিকাদের কথা বলেন, কিংবা সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের কথাই বলেন, আমরা সকলেই ‘ম্যানেজ’হয়ে গেছি। ভেবেছি, এ আর এমন কি। আর আমাদের প্রশাসন এই বিষয়ে কোনো ভূমিকাই রাখেননি বলেই বোঝা যাচ্ছে; তারা গ্রহণ করেছেন দেখেও না দেখার নীতি। দিনের পর দিন এই ধরনের অত্যাচার অনাচার করে পার পেয়ে গিয়েছে বলেই সেই কালপ্রিট, ছাত্র নামের কলঙ্কগুলি আরও সাহস পেয়েছে। বুয়েটের এই পচে যাওয়া অবস্থার জন্য আসলে আমরা ছাত্র/ছাত্রী, শিক্ষক/শিক্ষিকা সকলেই দায়ী। আমরা এমন একটা সময়ে বাস করছি যখন আমরা সবাই কমবেশি সুবিধাবাদী। এই পদধারী কালপ্রিট ছাত্ররা যখন বুয়েটের পরীক্ষা পেছানোর মত অযৌক্তিক আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছে, তখন সাধারণ ছাত্রছাত্রীরা সুবিধাবাদীদের ভূমিকায় অবস্থান নিয়ে তাদের অন্তত মৌন সমর্থন দিয়েছে। আর অন্যদিকে প্রশাসন তখন শক্তভাবে বিষয়গুলি মোকাবেলা না করে আরেক সুবিধাবাদীর অবস্থান নিয়েছে। আমরা সাধারণ শিক্ষক/শিক্ষিকারাও সুবিধাবাদী; আমরা প্রশাসনের এই পদক্ষেপ এর বিরুদ্ধে কিছু করিনি।'

বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, কম্পিউটার সায়েন্স বিভাগের ওয়েব সাইটে ছাত্র নির‌্যাতনের কিছু ডকুমেন্ট ছিল। আবরার হত্যার পর সরকারি নির্দেশে সেটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সেখান থেকে সংগৃহীত কিছু অত্যাচারের নমুনা এখানে তুলে ধরছি।
‘‘পুরো সময় হল প্রভোস্ট তার অফিসে বসা ছিল যখন ওই ছেলেকে মারা হয়।নিচে অ্যাম্বুলেন্স রেডি ছিল, পুলিশের গাড়ি আগে থেকেই ছিল। সবাই জানে একজনকে মারা হচ্ছে কেউ এগিয়ে আসে নি।’‘‘বেয়াদব, তুই কিভাবে আমাদের মুখের ওপর এইভাবে না করতে পারিস। রুমে বড় ভাই ঢুকা সত্যেও তুই কিভাবে পড়তেছিস। তুই কিভাবে এই হলে থাকিস আমি দেখে নিব।’’ ‘‘এই পোলা ত আওয়ামী লীগের পোস্টে হাহা দেয়" "যখনই আমার পায় কও মারেতিছিল , বাথাটা এতই বেশি ছিল যে নিজের কাছে মনে হচ্ছিল এই বুঝি আমি মারা যাচ্ছি। আমি ব্যথায় চিল্লাছছিলাম। মুখ দিয়ে রক্ত ঝরছিল। 'এগুলো আমারই ছবি, ছয় বছর আগের। আবরার মারা গেছে, আমি ওই দফায় বেঁচে ফিরেছি।' ‘‘আমাকে ধরা হয়েছিল চুল বড় বলে.. … স্টাম্প দিয়ে পিটানো, চড় মারা, লাথি মারাসহ বিভিন্নভাবে টানা ৫ ঘণ্টা নির‌্যাতন চলে। দাঁড়িয়ে থাকতে পারছিলাম না, নিঃশ্বাস ছাড়তে কষ্ট হচ্ছিল।’’ ‘‘বুয়েটের হলগুলোতে মেস মেনেজাররা পলিটিকাল ব্যাকগ্রাউন্ডের জোরে দিনের পর দিন টাকা মেরে খাইসে। ওইটাকায় মদের পার্টি দিসে, বাইক কিনসে।”"আবরার ফাহাদের মত সেখানেও ঐ ছেলেটার ফেসবুক , মেসেঞ্জার চেক করা হয় । আর সেই সাথে স্ট্যাম্প , খাটের স্ট্যান্ড আর পা দিয়ে লাথি , ঘুষি থাপ্পড় মারা হয় । পরবর্তীতে জানা যায় ছেলেটার পায়ের হাড় ফ্র‌্যাকচার হয়েছে। দীর্ঘ দিন তাকে ক্র‌্যাচ নিয়ে হাঁটতে দেখা যায়।’’ "৮ মাস আগে ১৬ এর ভাইটি আমার হাত ভেঙ্গে ফেলে। কারণ-উনাকে দেখলে সালাম দিইনি নাকি কখন।.. .. আমাদের বলা হয়েছিল সিঁড়ি থেকে পড়ে ভেঙ্গে গেছিল বলতে। জুনিয়র ছিলাম।ভয়ে বলিনি কাউকে।। আর বললেও কিছু হইতোনা।‘‘HSC 16 ব্যাচের CSEর একটা ছেলেকে ফেসবুকের সূত্র ধরে সারারাত পিটিয়েছিলো,তার পিঠে কামরের দাগ ছিলো।.. .. নির‌্যাতিত ছেলেটি সেকেন্ড টাইম মেডিকেল অ্যাডমিশন টেস্ট দিয়ে বুয়েট ছেড়ে চলে যায়।”

‘‘ আহসানুল্লাহ হলে একজনকে থাপ্পড় মেরে কানের পর্দা ফাটায় দেয়, সে আর কোনদিন শুনতে পাবে না এক কানে।" আশ্চর্যজনক ঘটনা হল আবরারের মৃত্যুর পরও প্রভোস্ট এই খুনিদের সাথে ঠাণ্ডা মাথায় আলাপ করেছে, তাকে মারার সময়ও হলে ছিল। খুনের পর ভিসি অসুস্থতার অজুহাত দিয়ে আসেননি। তাঁর পদত্যাগ দাবি করা হলে তিনি নাকি বলেছেন তিনি কোন অন্যায় করেননি, তিনি কেন পদত্যাগ করবেন? ক্ষমতার লোভ কি মানুষকে পশুর চেয়েও খারাপ বানিয়ে দেয়? একজন ভিসির দায়িত্ব কী? ছাত্রদের জানের নিরাপত্তা দেওয়া কি তাঁর দায়িত্বের মধ্যে পড়ে না? বছরের পর বছর এইসব অন্যায় দেখেও পদের লোভে না দেখার ভান করে থাকা, কোন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা না নেওয়া কি অন্যায় নয়? আজ ভাবতেও খুব কষ্ট লাগছে যে করিডরে হাঁটতে যেয়ে কতদিন সশ্রদ্ধ সালাম জানিয়েছি এইসব নরপিশাচকে। ধিক বুয়েট কর্তৃপক্ষ, ধিক নোংরা র‌্যাগিং, ধিক ছাত্র রাজনীতি, ধিক শিক্ষক রাজনীতি।

বিঃ দ্রঃ এখানে ছাত্র/শিক্ষকদের বক্তব্য হুবুহু তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে বলে বানান/ ব্যাকরণ ঠিক করা হয়নি অনেক ক্ষেত্রেই এবং ইংরেজি শব্দের মিশ্রণ অবিকৃত রাখা হয়েছে। কুরুচিপূর্ণ কিছু বিষয় /বক্তব্যের জন্য লেখক আন্তরিকভাবে দুঃখিত, জনসাধারণকে জানানোর উদ্দেশ্যেই সব তুলে ধরা হল।

এইচআর/পিআর