ভিডিও EN
  1. Home/
  2. মতামত

‘আলোর নৌকা ভাসিয়ে দিল একলাটি ওই মেয়ে’

ড. আহমেদ আমিনুল ইসলাম | প্রকাশিত: ১০:১৩ এএম, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৯

১৯৪৭ থেকে ২০১৯ মধ্যিখানে পেরিয়ে গেছে ৭২ বছর। হ্যাঁ, ৭২টি বছর। বাংলাদেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা জীবনের ৭২টি বছর অতিক্রম করে এবারের ২৮ সেপ্টেম্বর পা রাখছেন ৭৩তম বর্ষে। ২৮ সেপ্টেম্বর বাঙালির মহান নেত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার ৭৩তম জন্মদিন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাকে শ্রদ্ধার সঙ্গে নিবেদন করি জন্মদিনের অন্তহীন শুভ কামনা ও শুভেচ্ছা। শুভ জন্মদিন হে, মহানেত্রী।

৭২ বছর আগের এই দিনটিতেই গোপালগঞ্জের প্রশস্ত বুকের ওপর দিয়ে বয়ে চলা মধুমতির শাখা বাইগার নদীর তীরবর্তী গ্রাম টুঙ্গিপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেছিলেন শেখ হাসিনা। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রথম সন্তান তিনি, পিতা আদর করে ডাকতেন ‘হাসু’। ৭২ বছর আগের বঙ্গবন্ধুর আদরের শিশুকন্যাটি আজ পরিণত বাংলাদেশের পরিণত প্রধানমন্ত্রী। একবার নয়- চারবার তিনি এদেশের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন। টানা তৃতীয় মেয়াদের প্রথমার্ধে বর্তমানে তাঁর নেতৃত্বে দেশ উন্নয়নের মহাসড়কে এগিয়ে চলেছে। আর আমরা চলেছি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গী হয়ে, তাঁর সঙ্গী হয়ে চলেছি উন্নত এক বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় বুকে ধারণ করে।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার পর বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ চরম সংকটের মুখে পতিত হয়। বিদেশে অবস্থানের কারণে সেই নারকীয় হত্যাকাণ্ডের মরণছোবল থেকে রক্ষা পেয়েছিলেন জননেত্রী শেখ হাসিনা এবং তাঁর সঙ্গে থাকা ছোটবোন শেখ রেহানা। বঙ্গবন্ধু হত্যার দীর্ঘ ছয় বছর পর জীবনবাজি রেখেই তিনি ফিরে এসেছিলেন বাংলাদেশে। দেশে ফিরে গ্রহণ করেছিলেন দলের নেতৃত্ব। দায়িত্ব নিয়েছিলেন অন্যায়, শোষণ, বঞ্চনা ও মিথ্যা ইতিহাস প্রচারকারীদের বিরুদ্ধে দেশের মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করার। মাত্র চৌত্রিশ বছর বয়সে ঐতিহ্যবাহী দলটির দায়িত্ব নিয়ে বিগত প্রায় চল্লিশ বছর অর্থাৎ তাঁর সমগ্র জীবনের অর্ধেকের বেশি সময় তিনি ব্যয় করেছেন দল ও দেশের মানুষের কল্যাণের জন্য। দল ও দেশের মানুষের দায়িত্ব তিনি পালন করে চলেছেন জীবনবাজি রেখেই। কারণ দেশে ফেরার পর থেকে এখন পর্যন্ত তাঁকে বিশ বারেরও অধিক হত্যাচেষ্টার খবর আমরা গণমাধ্যমের বরাতে জেনেছি।

আমরা দেখেছি বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা শুধু আওয়ামী লীগেরই দায়িত্ব গ্রহণ করেননি- তিনি এদেশের আপামর মানুষের অধিকার আদায়ের দায়িত্বও নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছিলেন। দায়িত্ব নিয়েছিলেন বাংলাদেশকে সঠিক ইতিহাসের ধারায় প্রতিষ্ঠিত করার জন্যও। দেশে ফেরার পর অনিশ্চিত ও দিশেহারা বাংলাদেশকে কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য শেখ হাসিনা তাঁর আদর্শ ও দৃঢ় মনোবলের এক ‘আলোর নৌকা’ আকাশপানে ভাসিয়ে দিয়েছিলেন। এই নৌকার অধিকাংশ যাত্রীরা তখন শংকিত ও সন্ধিহান থাকলেও আশা-নিরাশা এবং দ্বিধা-দ্বন্দ্বের দোলাচলে থাকলেও শেখ হাসিনার স্থির ও প্রত্যয়ী লক্ষ্য তাদেরকে ধীরে ধীরে গভীর আস্থাশীল করে তুলেছে।

সর্বস্তরের মানুষের অংশগ্রহণে জননেত্রীর স্বপ্নের ‘আলোর নৌকা’ ক্রমাগত ভরপুর হয়ে উঠেছে। কিন্তু প্রকৃত ‘আলোর’ লক্ষ্যে তখনকার এই যাত্রা সহজ ছিল না। তবু বাঙালির মুক্তির বিকল্প কোনো দৃশ্যকল্প দেখেননি জননেত্রী। তাই তাঁর কাঙ্খিত অভিযাত্রায় তিনি অনেক সময় একা একাই পথ হেঁটেছেন মাইলের পর মাইল, দিনের পর দিন, বছরের পর বছর। যেহেতু জননেত্রী শেখ হাসিনার লক্ষ্য ছিল এদেশের মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তি সেহেতু তাঁর নৌকা লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়নি কখনো। একাই তিনি বৃহৎ নৌকার হাল ধরে অবিচল থেকেছেন সর্বদা।

বঙ্গবন্ধু হত্যার পর বিপর্যস্ত আওয়ামী লীগকে যেমন পথ দেখিয়েছেন, তেমনি পথ দেখিয়েছেন এদেশের মানুষকেও। তাঁরই সুযোগ্য নেতৃত্বে দেশে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে গণতন্ত্র। আবার তাঁরই সুযোগ্য নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের ‘রোল মডেল’ হয়ে উঠেছে বিশ্ববাসীর কাছে। বাংলাদেশের জিডিপি’র প্রবৃদ্ধি এখন অন্যান্য অনেক রাষ্ট্রের কাছেই ঈর্ষণীয়! শেখ হাসিনার নেতৃত্বশৈলীর বৈচিত্র্য এখন দেশের গণ্ডি ছাড়িয়ে বহির্বিশ্বেও প্রশংসিত। তিনি আজ কেবল বাংলাদেশেরই নেতা নন- মানবকল্যাণের নানামুখী দূরদৃষ্টির কারণে, রাজনীতিকে দার্শনিক উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার কারণে জননেত্রী আজ ‘বিশ্ব নেতা’ হিসেবে খ্যাতি অর্জনে সক্ষম হয়েছেন।

এরূপ অহংকার বাংলাদেশের নাগরিকদের মতো অন্যান্য অনেক দেশের নাগরিকরা ভাবতেও পারেন না! রাজনৈতিক প্রজ্ঞা ও দার্শনিক স্থির বিশ্বাসে তিনি অবিচল ছিলেন বলেই আজ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগে লোকে আর ধরে না! বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক আদর্শকে তিনি তাঁর প্রেরণা হিসেবে গ্রহণ করেছিলেন বলে এখন আর তাঁর আশপাশে মানুষের অভাব হয় না। লোকে লোকারণ্য আওয়ামী লীগের ভেতর-বাহির! আওয়ামী লীগ লোকে লোকারণ্য বটে- তবে সেখানে আদর্শিক মানুষের ভিড়ের মধ্যেও প্রবেশ করে গেছেন কদর্য মানুষেরা।

বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য ও একটি উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত করবার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যাদেরকে দায়িত্বশীল মনে করে বিভিন্ন প্রকার দায়িত্ব প্রদান করেছেন তাদের অনেকেই নিরলস শ্রম ও ঘামের বিনিময়ে রক্ষা করে চলেছেন জননেত্রীর ভরসা ও ভালোবাসা। কিন্তু অনেকেই আবার এই দেশমাতৃকার কথা ভুলে, বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনার ভরসা ও ভালোবাসার কথা কথা ভুলে ব্যক্তিস্বার্থকে চরিতার্থ করার জন্য যেন উঠে-পড়ে লেগে গেছেন!

বাংলাদেশকে এগিয়ে নেওয়াসহ, উন্নত একটি রাষ্ট্রে উন্নীত করার স্বপ্ন থেকে এদের অনেকে নিজেকে যেমন বিযুক্ত করেছেন তেমনি অনেকেই নিজেদের বিযুক্ত করে ফেলেছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়ন-দর্শন ও অগ্রযাত্রার গতিশীল স্রোতধারা থেকেও। এরা কখনোই উপলব্ধি করেন না অথবা উপলব্ধি করার সামান্যতম ক্ষমতাও রাখেন যে, জননেত্রী তাদের ওপর কী অপরিসীম দায়িত্ব দিয়ে নির্ভার হতে চেয়েছিলেন! অনেকে এটাও বুঝতে চাইলেন না যে, স্ব-স্ব পদে আসীন থেকে দায়িত্বশীল আচরণের মাধ্যমে বৃহত্তর জাতীয় কর্মযজ্ঞে যুক্ত থাকলে জননেত্রী শেখ হাসিনারও সঙ্গী হওয়া যায় অনায়াসে রক্ষা করা যায় জননেত্রীর বিশ্বাস ভরসা ও আস্থা।

জননেত্রীর বিশ্বাস থেকে বড়বড় ‘দায়িত্ব’ প্রদানের পর অনেকেই দায়িত্বকে ‘ক্ষমতা’ ও অর্থ রোজগারের আখড়া ভেবে বসেন! লোভের মোহে পড়ে, ব্যক্তিস্বার্থের ঊর্ধ্বে ওঠার নিজ-নিজ অক্ষমতায় যেমন জাতির যোগ্য সন্তান হয়ে উঠতে ব্যর্থ হচ্ছেন তেমনি তারা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাকেও করে তুলছেন সঙ্গীহীন, অসহায়! আস্থাভাজন মনে করে যাদের ওপর তিনি জাতীয় গুরু দায়িত্ব অর্পণ করেছিলেন তাদের অনেকেই নেত্রীর বিশ্বাস ভঙ্গ করে তাঁকে সঙ্গীহীন ‘একলা মানুষে’ পরিণত করে তুলছেন।

উন্নয়ন ও অগ্রগতির চাকা একলা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকেই যেন ঘুরিয়ে নিতে হচ্ছে। বাকি অধিকাংশেরই কাজ হচ্ছে লুটেপুটে নিজেদের পকেট ও উদর পূর্তি করা! খারাপ শোনা গেলেও দৃশ্যত যা সাধারণের চোখে পড়ে তাতে একটি সরলিকৃত এমন একটি ধারণা মানুষের মনে তৈরি হয়ে গেছে যেন সেইসব দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিরাই সরকারি সম্পদ ও সম্পত্তির একচ্ছত্র মালিক! তাই বহুল আলোচিত বালিশ কাণ্ডের রেশ শেষ হতে না হতেই আমাদের দেখতে হয় মেডিক্যাল কলেজের জন্য সাড়ে ৫ হাজার টাকা মূল্যমানের বই ক্রয়ে ৮৫ হাজার টাকা দেখিয়ে কয়েক কোটি টাকার লাপাত্তার খবর। আবার এটি শেষ হতে না হতেই গণমাধ্যমের সরস আলোচনার বিষয় হিসেবে স্থান করে নেয় পর্দা-কাণ্ড! আর সাম্প্রতিককালে যুবলীগ নেতাদের পরিচালিত ‘ক্যাসিনো ঝড়ে’ দেশবাসীর মতো জননেত্রীরও আরেক স্বপ্নভঙ্গের হাহাকার আর্তনাদ করে উঠলো যেন!

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তাঁর দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনের অভিজ্ঞতার আলোকে সকল কিছু উপলব্ধি ও বিবেচনা করেন। তাঁর মনে যেমন আনন্দ আছে, তেমনি আছে বেদনারও অন্তহীন স্রোত। তাঁরই বাছাইকৃত তাঁরই অনেক চিন্তার ফসল হিসেবে কোনো ব্যক্তিকে কোনো কাজের জন্য মনোনীত করার পর যদি রাষ্ট্রের কল্যাণের চেয়ে ব্যক্তিস্বার্থ চিন্তায় বেশি মনোযোগী হয়ে উঠেন তবে নেত্রীর মতো আর কে বেশি আহত বোধ করবেন? তাঁর মতো আর কে বেশি আশাহত হবেন?

আমরা দেখছি বিভিন্ন পর্যায়ে রাষ্ট্রীয় বা দলীয় বড়বড় পদে দায়িত্বপাওয়া ব্যক্তিদের রাষ্ট্রীয় কল্যাণের চেয়ে ব্যক্তিস্বার্থ ও অর্থচিন্তা নিয়েই ভাবিত থাকছেন। এসব দেখেশুনে নিরব হলেও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর মনে একটি আশাহীনতা জন্ম নিতে পারে, একটি আশংকা জন্ম নিতে পারে, জন্ম নিতে পারে ভরসার জায়গাগুলো সংকুচিত হওয়ার দীর্ঘশ্বাসও! আমরা যাকে বলি সঙ্গীহীনতার দীর্ঘশ্বাস! শেখ হাসিনার মনে একটি দীর্ঘশ্বাসের জন্য দায়ীরা নিজেদেরকে কী বলে সান্ত্বনা দেন জানিনা! তারা জীবনে শান্তিই বা পান কী করে তাও জানিনা!

বাংলাদেশকে উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত করার স্বপ্ন, বাঙালিকে অর্থনৈতিক মুক্তিদানের যে স্বপ্ন লালন করে জননেত্রী যাদের নিয়ে তাঁর পথ চলা শুরু করেছিলেন ক্রমে দেখা যাচ্ছে নেত্রীর সঙ্গীদের অনেকেই ভিন্ন পথের মানুষ! সে পথ শেখ হাসিনার পথ নয়- সেপথ উন্নয়ন ও উন্নত বাংলাদেশের লক্ষ্যে এগিয়ে যাওয়ার পথ নয়। তাই মাঝেমধ্যে মনে হয় শতবর্ষ পূর্বে রবীন্দ্রনাথ যে বলেছিলেন, ‘অন্ধকারের সিন্ধুতীরের একলাটি ওই মেয়ে/ আলোর নৌকা ভাসিয়ে দিল আকাশপানে চেয়ে’- এই কথাটি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর জন্য নির্মম এক সত্যভাষণেই পরিণত! দুর্নীতির বিরুদ্ধে, দারিদ্র্যের বিরুদ্ধে, ‘পিছিয়েপড়া’ বাংলাদেশের অপমানের বিরুদ্ধে অনেকটা যেন একলাই পথ হাঁটতে হচ্ছে শেখ হাসিনাকে!

স্বপ্নদ্রষ্টা শেখ হাসিনার স্বপ্ন তাঁর সঙ্গীদের ক’জন কতোটা উপলব্ধি করতে পারেন জানি না। উন্নত বাংলাদেশ গড়ার দর্শন ও কর্মযজ্ঞের ব্যাপ্তি দল কিংবা প্রশাসনের আর কতজন উপলব্ধি করতে পারেন তাও আমরা জানি না। জননেত্রীর কোনো আহ্বানের যথার্থ অর্থ আমরা বুঝি কিনা সে বিষয়েও বিস্তর সন্দেহ আছে। বর্তমানে নৌকার সমর্থকের অন্ত নেই জানি; কিন্তু মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার ‘আলোর নৌকা’র অভিযাত্রী কে কে হতে পেরেছেন তা আমরা জানি না। পারিপার্শ্বিকতাদৃষ্টে ব্যক্তিগত হতাশাবোধ থেকে বলা যেতেই পারে সেরকম অভিযাত্রীর সংখ্যা ‘আলোর নৌকা’য় খুব বেশি নেই!

৭৩তম আজকের শুভ জন্মদিনের প্রত্যুষে সকলের এই প্রত্যয় হোক, যারা তাঁর সঙ্গে আছি তারা যেন জননেত্রীর ‘আলোর নৌকা’র মধ্যেও থাকি। ‘আলোর নৌকা’র মধ্যে থেকে অনন্ত আকাশপানে যাত্রার লক্ষ্যে নেত্রীর আহ্বানটিও যেন উদারভাবে উপলব্ধি করি। আমাদের কোনো কর্মকাণ্ডে জননেত্রী যেন কখনোই নিজেকে ‘একলা’ বোধ না করেন, যেন কোনো দীর্ঘশ্বাস তৈরি না হয় তাঁর মনের ভেতর। শুভ জন্মদিনের অভিনন্দন- পুষ্পার্ঘ্যের সাথে সাথে মনের গভীর থেকে যেন নেত্রীকে দিতে পারি সেই প্রত্যয়-প্রতিশ্রুতি; আমরা আপনার ‘আলোর নৌকা’র মধ্যে আছি হে মহানেত্রী, আমরা আপনার উন্নয়নের আকাশযাত্রায় আপনারই সঙ্গী হয়ে থাকবো। জয় হোক বাংলার। জয়তু শেখ হাসিনা।

লেখক : অধ্যাপক, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়।

এইচআর/এমএস