ভিডিও EN
  1. Home/
  2. মতামত

২১ আগস্টের কলঙ্কচিহ্ন মুছে ফেলা বিএনপির জন্য সহজ নয়

বিভুরঞ্জন সরকার | প্রকাশিত: ০৯:৪৯ এএম, ২১ আগস্ট ২০১৯

বিএনপি ক্ষমতার বাইরে আছে এক যুগের বেশি হয়ে গেল। গণতন্ত্র নিয়ে এখন হাহাকার করলেও ক্ষমতায় থাকতে আওয়ামী লীগের জন্য বিএনপি কোনো গণতান্ত্রিক স্পেস না দিয়ে নির্মূল করার নীতি নিয়েছিল। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার ঘটনা তার বড় প্রমাণ।

২০০৪ সালের ২১ আগস্ট রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে আওয়ামী লীগের সমাবেশে নৃশংস গ্রেনেড হামলা চালানো হয়েছিল। মূলত আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনাকে হত্যার জন্যই ওই গ্রেনেড হামলা চালানো হলেও তিনি সৌভাগ্যক্রমে প্রাণে বেঁচে যান। তবে আওয়ামী লীগ নেত্রী আইভী রহমানসহ কমপক্ষে ২৪ জন নেতা-কর্মী নিহত হন। শেখ হাসিনাসহ শতাধিক নেতা-কর্মী গুরুতর আহত হন। এদের অনেকেই সারা জীবনের জন্য পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন। কেউ কেউ এখনও শরীরে অসংখ্য স্প্রিন্টার নিয়ে দুঃসহ জীবন যাপন করছেন। ২১ আগস্টের বীভৎস হত্যাকাণ্ড বাংলাদেশের রাজনীতির ইতিহাসে একটি কলঙ্কময় অধ্যায় হিসেবেই চিহ্নিত থাকবে।

২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলার সময় ক্ষমতায় ছিল বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার। দেশে কোনও অপরাধ সংঘটিত হলে প্রাথমিকভাবে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা সরকারের দায়িত্ব। অত্যন্ত দুঃখজনক হলেও সত্য যে, ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলার মতো এতবড় অপরাধ যারা করেছিল তাদের চিহ্নিত করা, গ্রেফতার করা এবং আইনের হাতে সোপর্দ করার জরুরি কর্তব্যটি তৎকালীন সরকার সম্পাদনে কেবল চরমভাবে ব্যর্থতারই পরিচয় দেয়নি, বরং ঘটনা প্রবাহ অন্যখাতে প্রবাহিত করার অপচেষ্টাই চালানো হয়েছে। অপরাধীরা যাতে নিরাপদে থাকতে পারে কৌশলে সেই চেষ্টাই করা হয়েছে। নিরপরাধ নিরীহ কয়েকজনকে গ্রেফতার করে নিষ্ঠুর নির্যাতন চালানো হয়েছিল। সাধারণ মানুষের চোখে ধূলা দেওয়ার জন্য যে নানা অপচেষ্টা-অপপ্রয়াস বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার নিয়েছিল তাতে কোনও সন্দেহ নেই।

এখন এটা অনেকের কাছে পরিষ্কার হয়েছে যে, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার ঘটনার সঙ্গে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সংশ্লিষ্টতা ছিল। গ্রেনেড হামলার ঘটনায় দায়ের করা দুটি মামলায় যাদের গ্রেফতার করা হয়েছে তাদের দেওয়া তথ্য থেকেই জানা যায় যে, হামলাকারীদের সঙ্গে তৎকালীন সরকারের একাধিক মন্ত্রী এবং গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের যোগাযোগ ছিল। সে সময়ে ক্ষমতার বিকল্প কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত ‘হাওয়া ভবনে’ তারেক রহমান ও স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরের উপস্থিতিতে হামলায় প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণকারীদের সঙ্গে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছিল বলেও তথ্য পাওয়া গেছে। কিন্তু এটাও আমাদের জানা আছে যে, তখন সরকার জজ মিয়া নামের একজন ছিঁচকে অপরাধীকে গ্রেফতার করে দেশের মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেছিল। সরকার তখন শৈবাল সাহা পার্থ নামের একজনকে গ্রেফতার করেও নাটকীয়তার জন্ম দিয়েছিল।

২১ আগস্টের হামলার দায়িত্ব স্বীকার করে এবং শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকি দিয়ে সংবাদপত্রে একটি ই-মেইল বার্তা পাঠানোর সূত্র ধরে পার্থকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। পার্থই ওই ই-মেইল বার্তাটি পাঠিয়েছিল তার কোনও তথ্য-প্রমাণ পাওয়া না গেলেও সম্পূর্ণ অনুমানের ওপর নির্ভর করে পুলিশ তাকে ধরে নিয়ে প্রথম চারদিন অজ্ঞাতবাসে রাখে এবং পরে তিন দফা রিমান্ডে নিয়ে তার ওপর প্রচণ্ড শারীরিক-মানসিক নির্যাতন চালায়। দরিদ্র বাবা-মায়ের সন্তান পার্থ সাহা একজন মেধাবী ছাত্র ছিলেন। অত্যন্ত কষ্ট করে উচ্চ শিক্ষা শেষে যখন চাকরি খুঁজছিলেন, তখনই তার ওপর নেমে আসে জোট সরকারের ভয়াবহ থাবা।

পার্থ সাহার প্রথম অপরাধ তিনি ‘হিন্দু’ এবং দ্বিতীয় অপরাধ তিনি ভারতের মাদ্রাজে গিয়ে বিবিএ ও এমবিএ পাস করেছেন। এমন একজন মানুষ ‘র’-এর এজেন্ট না হয়ে পারেন! তার কাছ থেকে যেমন সন্দেহজনক কোনও গোপন তথ্য পাওয়া যায়নি, তেমনি মারপিট করে প্রায় পঙ্গু বানিয়েও কোনও স্বীকারোক্তি আদায় করা সম্ভব হয়নি। তা সত্ত্বেও সরকারিভাবে তাকে ‘র’-এর এজেন্ট বানিয়ে প্রচারের কোনও কমতি দেখা যায়নি। ই-মেইলে হুমকি দেওয়ার জন্য অন্য কাউকে সন্দেহের তালিকায় না এনে পার্থর ওপর অমানুষিক নির্যাতন চালানো থেকেই বোঝা গিয়েছিল জোট সরকার ২১ আগস্টের ঘটনা তদন্তে কোন নাটকের মহড়া দিতে চেয়েছে।

কোনও ঘটনা ঘটলেই তার দায় বিরোধী দলের ওপর চাপানো ছিল জোট সরকারের একটি বদঅভ্যাস। ২১ আগস্টের ঘটনার ক্ষেত্রেও এর ব্যতিক্রম হয়নি। ২২ আগস্ট, ২০০৪ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদলের এক সমাবেশে সংগঠনের তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল বলেছিলেন, ‘শেখ হাসিনা এবং সাবের হোসেন চৌধুরীকে রিমান্ডে নিলেই প্রকৃত রহস্য উদঘাটিত হবে’! এ ধরনের বালখিল্য মন্তব্যের জন্য বিএনপি নেতারা ছাত্রদল নেতাকে তিরষ্কৃততো করেনইনি উল্টো নিজেরাও ওই ধারায় গলাবাজি করেছেন। স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর বলেছিলেন, ‘উই আর লুকিং ফর শত্রুজ’। তারপর ৩০ আগস্ট, ২০০৪ বিএনপি আয়োজিত প্রতিবাদ সমাবেশে দলের তৎকালীন মহাসচিব আব্দুল মান্নান ভুঁইয়াসহ কয়েকজন মন্ত্রী ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার জন্য আওয়ামী লীগকেই দায়ী করেন।

তৎকালীন শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী আমানুল্লাহ্ আমান ওই সমাবেশে বলেছিলেন, ‘আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা আন্তর্জাতিক তদন্ত চাচ্ছেন। আমরা সব ধরনের তদন্ত করবো। খুব তাড়াতাড়িই তদন্ত রিপোর্ট দেবো। ওই রিপোর্টে গ্রেনেড হামলার জন্য আব্দুস সামাদ আজাদ, মোহাম্মদ নাসিম, সাবের হোসেন চৌধুরী, তোফায়েল আহমেদ এবং মতিয়া চৌধুরীকে দায়ী করা হবে।’ ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা নিয়ে বিএনপি যে কত ভয়ঙ্কর পরিকল্পনা ফেঁদেছিল সেটা আমানুল্লাহ্ আমানের বক্তব্য থেকেই বোঝা যায়। তদন্ত না হতেই তদন্ত রিপোর্টে কী থাকবে সেটা একজন প্রতিমন্ত্রী বলার পর ওই তদন্ত রিপোর্ট সম্পর্কে মানুষের মনে কি ধারণা হতে পারে সেটা বোঝার ক্ষমতাও জোট সরকারের মন্ত্রীদের ছিল না।

বেগম জিয়া নিজেও গ্রেনেড হামলার কথা বলতে গিয়ে খুব দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিতে পেরেছিলেন সেটাও বলা যায় না। ২ সেপ্টেম্বর, ২০০৪ বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক সমাবেশে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া গ্রেনেড হামলার ঘটনাকে ‘ষড়যন্ত্র’ হিসেবে অভিহিত করে বলেছিলেন, সরকারের সাফল্যকে আড়াল করতে ‘বোমা’ হামলার ঘটনা ঘটানো হয়েছে। বেগম জিয়ার এই বক্তব্য দেশের মানুষকে হতবাক করেছে। শেখ হাসিনাকে হত্যার চেষ্টা এবং আওয়ামী লীগের অসংখ্য নেতা-কর্মীদের হত্যা করা হয়েছিল সরকারের সাফল্যকে আড়াল করতে- এমন বক্তব্য সরকার প্রধানের মুখ থেকে বের হওয়ার পর ২১ আগস্টের ঘটনার সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত যে হবে না সেটা তখন সবার কাছেই স্পষ্ট হয়েছিল। বাস্তবে ঘটেছিলও তাই। জোট সরকার ক্ষমতায় থাকতে তদন্ত কাজ অগ্রসর হয়নি, বরং প্রকৃত অপরাধীদের আড়াল করার জন্য, সবকিছু ধামাচাপা দেওয়ার কসরৎই চালানো হয়েছিল।

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে ক্ষমতাসীন বর্তমান সরকারের সমালোচনায় অত্যন্ত মুখর। এই সরকারের আমলে খারাপ কাজ কিছু হচ্ছে না, তেমন কথা বলা যাবে না। ছাত্রলীগসহ আওয়ামী লীগের পরিচয় দিয়ে দুর্বৃত্তপনাও চলছে। একজন রাজনৈতিক নেত্রী হিসেবে সরকারের যেকোনো ভুলত্রুটির সমালোচনা করার অধিকার বেগম জিয়ার আছে। কিন্তু তিনি যখন ঢালাওভাবে সরকারের সমালোচনা করেন তখন বিনীতভাবে জানতে ইচ্ছে হয়, তিনি কি আয়নায় নিজের মুখ দেখেন না? তার শাসনামলে দেশ কেমন চলছিল সেসব কি তার মনে আছে?

তিনি কি একবার ২০০১ থেকে ২০০৬ সালের সংবাদপত্রগুলোর পাতায় চোখ বুলিয়ে দেখবেন? ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলা, সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এএসএম কিবরিয়াসহ আওয়ামী লীগের জনপ্রিয় নেতাদের হত্যাসহ অসংখ্য বোমা হামলার ঘটনা এবং দেশজুড়ে জঙ্গি গোষ্ঠীর উত্থানের ঘটনাগুলোর কথা মনে পড়লে তারতো বর্তমান সরকারের লাগামহীন সমালোচনা করার কথা নয়। রাজনীতিতে মতভিন্নতা থাকাটাই স্বাভাবিক। সব শিয়ালের এক রা এর মতো সব রাজনৈতিক দলের এক রা হওয়ার কোনও সুযোগ নেই। নানা মতের, নানা পথের মানুষ একসঙ্গে বসবাস করবে-এটাই গণতন্ত্রের রীতি। কিন্তু মত ও পথের ভিন্নতার জন্য সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্যের পরিবেশ নষ্ট হওয়াটা কোনোভাবেই কাম্য নয়। অথচ বিএনপি রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে রাজনৈতিকভাবে মোকাবেলা না করে হত্যার পথ বেছে নিয়েও দিব্যি গণতন্ত্রের জন্য ‘লড়াই' করতে পারছে !

২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে বিএনপি অংশ নেয়নি। এর দায় আওয়ামী লীগের। আওয়ামী লীগের উচিত ছিল বিএনপিকে ক্ষমতা ছেড়ে দেওয়া। আওয়ামী লীগের কাছে চাই শুধু সেবা। আর ভোগ-দখলের অধিকার বিএনপির। আওয়ামী লীগ কেন ক্ষমতায় যাবে বা থাকবে? পাকিস্তান ভেঙ্গে ‘গুনাহ' করা দলকে কত আর সহ্য করা যায়? আওয়ামী লীগ নাকি চোরের দল। তাহলে বিএনপি কি ডাকাতের দল? চোরের চেয়ে ডাকাতের অবশ্য ‘মর্যাদা’ বেশি হওয়ারই কথা। সেজন্যই হয়তো অনেকে গণতন্ত্রের জন্য জেল-জুলুম সহ্য করা শেখ মুজিবুর রহমানের হাতে গড়া আওয়ামী লীগের চেয়ে সামরিক একনায়ক জিয়াউর রহমানের বিএনপিকে গণতন্ত্রের জন্য বেশি নিরাপদ মনে করেন।

বিএনপি এখন খারাপ সময় অতিক্রম করছে। দলের চেয়ারপার্সন খালেদ জিয়া কারাগারে। কবে তার কারামুক্তি ঘটবে কেউ বলতে পারেন না। তাকে মুক্ত করার জন্য আন্দোলনের কথা বিএনপি নেতারা মুখে বললেও বাস্তবে আন্দোলন করার ক্ষমতা দলটির নেই। বিএনপি বর্তমানে সাংগঠনিকভাবে বিপর্যস্ত আছে। অতীতের ভুল রাজনৈতিক কৌশল নিয়েও দলটির মধ্যে কোনো আত্মসমালোচনা নেই। আগামীতে বিএনপি তার সঙ্গী-সাথীদের নিয়ে ক্ষমতায় গেলে দেশে প্রতিহিংসা ও প্রতিশোধের রাজনীতির চর্চা বন্ধ করবে কিনা সে কথা স্পষ্ট করে বলা হয় না। সুযোগ পেলেই বিএনপি নেতারা যেভাবে হুমকি-ধামকি দিয়ে থাকেন তা থেকে তো মনে হয় ক্ষমতায় গেলে দেশে আবার বিরোধী রাজনীতি দমনের নামে নিষ্ঠুর ধ্বংসযজ্ঞ চালানো হবে।

বিএনপি ক্ষমতায় গেলে বর্তমান সরকার যেসব বিচার কাজ শুরু করেছে সেসব অব্যাহত থাকবে কি না? ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলা কিংবা দশ ট্রাক অস্ত্র আটকের মামলারর বিচারিক প্রক্রিয়া কি অব্যাহত থাকবে? দেশে জঙ্গিবাদের উত্থান ঘটেছিল বিএনপি শাসনামলে। অথচ বেগম জিয়া বলেছেন, দেশে কোনও জঙ্গি নেই। জঙ্গিদের তিনি আড়াল করতে চেয়েছেন কেন সে প্রশ্নের জবাব তাকে দিতে হবে বৈকি! ভবিষ্যতে আবার ক্ষমতায় গেলে জঙ্গিদের প্রশ্রয় দেবেন কিনা সেটাও তাকে এখন স্পষ্ট করে বলতে হবে।

সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ মোকাবিলায় বিএনপি একদিকে বৃহত্তর ঐক্যের ডাক দেয়, অন্যদিকে দলের কেন্দ্রীয় কমিটিতে এমন কিছু ব্যক্তিকে জায়গা করে দেওয়া হয়েছে যাদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ আছে। বিশেষ করে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় গ্রেফতারকৃত আসামীদের নাম বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বে অন্তর্ভুক্ত হওয়ায় এটা মনে করা কঠিন যে দলটি সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ মোকাবিলা করতে চায়। যে লুৎফুজ্জামান বাবর ‘লুকিং ফর শত্রুজ’ উক্তি করে রাজনীতিতে কৌতুকের জোগান দিয়েছিলেন তার নামও কমিটি থেকে বাদ দিতে পারেননি খালেদা জিয়া। দশ ট্রাক অস্ত্র মামলায় বিচারিক আদালতে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত বাবরকে কমিটিতে রেখে যে বার্তা খালেদা জিয়া দিয়েছেন তাতে কি মনে হচ্ছে না যে অস্ত্রের ভাষায় কথা বলার গণতন্ত্র আবার ফিরিয়ে আনার পরিকল্পনা তার রয়েই গেছে ?

বিএনপিকে ঘুরে দাঁড়াতে হলে আসলেই তাদের রাজনীতিতে পরিবর্তন আনতে হবে। হত্যা-ষড়যন্ত্রের রাজনীতির ধারা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। অতীত ভুলের জন্য দেশবাসীর কাছে ক্ষমা চাইতে হবে। ২১ আগস্টের বিয়োগান্ত ঘটনা আড়াল করে বিএনপি সুবিধা করতে পারবে না। ১৫ আগস্ট কেক কাটা পরিহার করে সুবুদ্ধির পরিচয় দেওয়া হয়েছে। ২১ আগস্টের দায় স্বীকার না করে রাজনীতিতে নতুন অবস্থান তৈরি করা বিএনপির জন্য কঠিন হবে।

লেখক : যুগ্ম সম্পাদক, আমাদের নতুন সময়।

এইচআর/জেআইএম

আরও পড়ুন