বাক-স্বাধীনতার সীমারেখা
কোনো রাষ্ট্রেরই শাসক ও শাসিতের সম্পর্ক সাধারণত সম্প্রীতিপূর্ণ হয় না। এমনকি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থায়ও নয়। শাসকদের অভিযোগ, বিরোধী দলের কর্মী-সমর্থকরা রাষ্ট্রের প্রচলিত আইন-কানুন মেনে চলে না। পরন্তু গুম-খুন-ডাকাতি-দস্যুতার পাশাপাশি চুরি-ছিনতাই-অপহরণের মতো অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডেও জড়িয়ে পড়ে তারা। পক্ষান্তরে বিরোধী দলগুলো দায়ী করে শাসক শ্রেণির নেতাকর্মী-সমর্থকদের। সঙ্গে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকেও।
বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে সরকার ও বিরোধী দলের এই মতাদর্শিক ও রাজনৈতিক দ্বন্দ্বে পড়ে সাধারণ নাগরিকরাও বিভক্ত হতে শুরু করে। একপক্ষ সরকারের কর্মকাণ্ডকে সমর্থন করলে অন্যপক্ষ করে বিরোধিতা। এই প্রতিবাদ-সমর্থনের মাঝখানে উভয় পক্ষ এমন কিছু কথা বলে, যা রাষ্ট্রের জন্য নেতিবাচক ফল বয়ে আনে। কারণ, একপক্ষ যখন সরকারকে ‘ফ্যাসিবাদী-স্বৈরাচারী’ বলে অভিহিত করে, অন্যপক্ষ তখন বিরোধী দলগুলোকে রাষ্ট্রদ্রোহী বলেও আখ্যায়িত করতে দ্বিধাবোধ করে না। এমনকি মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী শক্তি বা রাজাকার বলতেও কুণ্ঠিত হয় না শাসকগোষ্ঠী।
অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগ করতে গিয়ে একপক্ষ সরকারের তোষামোদকারিতে পরিণত হয়, অন্যপক্ষ প্রকারান্তরে জঙ্গিবাদ-উগ্রবাদদে উসকে দেয়। কিন্তু এই দুই পক্ষই যে, চেতনে-অবচেতনে রাষ্ট্র ও জাতির ক্ষতি করে, তারা সেটি বুঝতেই পারে না। তারা বিভিন্ন সভা-মঞ্চে-মিছিলে বক্তব্য রাখতে গিয়ে এমন সব কথা বলে, যা স্বাভাবিক অবস্থায় বলা সম্ভব নয়। তারা পরস্পরের বক্তব্যের বিরোধিতা করতে গিয়ে সেসব বক্তব্য রাখে, তাকে বাক-স্বাধীনতার অংশ মনে করে।
এতে সরকারবিরোধী পক্ষ মনে করে, যেকোনো বিষয়ে যেকোনো সময়, যেকোনো স্থানে যেভাবে ইচ্ছা সেভাবেই মত প্রকাশ করা যায়। কেবল বিরোধী দল নয়, সুশীল সমাজেরও একটি অংশ তাই মনে করে। তবে তারা প্রায় অভিযোগ করে, দেশে বাক-স্বাধীনতা নেই। তারা যেভাবে ইচ্ছা সেভাবে মত প্রকাশ করতে পারছেন না। অন্যদিকে সরকার পক্ষের দাবি, মত প্রকাশের অবাধ স্বাধীনতা নাগরিকরা ভোগ করছে। উভয়পক্ষের দাবি ও অস্বীকারের কার্যকারণ সম্পর্ক পর্যালোচনা করলে তিনটি প্রশ্ন সামনে আসে।
১. কী ধরনের বাক-স্বাধীনতা ভোগ করতে চায় জনগণ?
২. বাক-স্বাধীনতা না থাকার অভিযোগ কারা করে?
৩. সাধারণ নাগরিকের পাশাপাশি জঙ্গি-উগ্রপন্থী-খুনি-মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী গোষ্ঠীও তাদের মত প্রকাশের স্বাধীনতা ভোগ করতে পারবে কি না?
মত প্রকাশের স্বাধীনতা প্রসঙ্গে সবার আগে মীমাংসা করা জরুরি— কে কী ধরনের মত প্রকাশ করার অধিকার রাখে? সাধারণত দেশ-জাতির কল্যাণার্থে যেকোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠী নিজ নিজ মত প্রকাশ করেন। সেটি কখনো কখনো কেবল ব্যক্তিবিশেষের স্বার্থসংশ্লিষ্টও হতে পারে। তবু সেটি যদি অন্য কারও জন্য ক্ষতির কারণ হয়ে না দাঁড়ায়, রাষ্ট্র বাধা দিলেও সে ধরনের মত প্রকাশ ঠেকাতে পারে না।
দেশে মত প্রকাশের স্বাধীনতা নেই বলে প্রায় রাজনৈতিক দলের জনসভা কিংবা সুশীল সমাজের মতবিনিময় সভা, সেমিনারে অভিযোগ ওঠে। এসব সভায় সরকার ও প্রশাসনের বিভিন্ন অনিয়ম-দুর্নীতির বিরুদ্ধে যেমন প্রতিবাদ জানানো হয়, তেমনি করা হয় বিরোধী দলগুলোর প্রতি সরকারের দমন-পীড়নের অভিযোগও। ক্ষমতাসীন দলের এমপি-মন্ত্রীদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি-অনিয়ম-অদক্ষতার অভিযোগের পাশাপাশি বাক-স্বাধীনতা হরণেরও অভিযোগ তোলেন বক্তারা।
এই ধরনের জনসভা-সেমিনার থেকে তোলা অভিযোগগুলো যদি সত্য বলে ধরে নেই, তাহলে একটি প্রশ্ন বড় হয়ে ওঠে— এ সভায় বসে এই রাজনৈতিক বা সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা এই অভিযোগ কিভাবে তুলছেন? তারা যখন খোদ রাষ্ট্রের বিরুদ্ধেই বাক-স্বাধীনতা হরণসহ সরকারের বিরুদ্ধে লুটপাট-গুম-খুন-দুর্নীতির অভিযোগ তুলছেন, তখন কি প্রশাসন এসে তাদের প্রতিহত করছে? তবে, এসব অনুষ্ঠান চলার সময় বিরোধী দলের নেতা বা সুশীল সমাজের প্রতিনিদের ওপর বাধা না না দিলেও রাজনৈতিকভাবেই এসব বক্তব্যের জবাব দেন ক্ষমতাসীন দলের নেতারা। আর জবাব দিতে গিয়ে ক্ষমতসানীরা যে রাজনৈতিক শালীনতা বজায় রাখেন সবসময়, তাও নয়। তারাও এমন সব শব্দ উচ্চারণ করেন, এমন তথ্য উপস্থাপন করেন, তা সত্যিই আপত্তিজনক-মানহানিকর।
উভয়পক্ষের এই মানহানিকর বক্তব্যের ফল হয় দুই রকম। বিরোধী দলের কোনো নেতা এমন বক্তব্য রাখলে তার বিরুদ্ধে মানহানির অভিযোগসহ তথ্যপ্রযুক্তি আইনে মামলা হয়। সেই মামলা কেবল সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিই করেন এমন নয়, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী-এমপির ডজন ডজন অনুসারী নেতাকর্মীও এই মামলার ঐতিহাসিক বাদী হওয়ার গৌরব হাতছাড়া করতে চান না। এই পর্যন্ত আলোচনা থেকে একটি নতুন তথ্য বের হয়ে এলো—বাক-স্বাধীনতা যৌক্তিকভাবে ক্ষমতাসীন দল, বিরোধী দল ও উভয় দলপন্থী সুশীলরাও ভোগ করেন। কিন্তু ব্যক্তিগত-সামাজিক-রাজনৈতিক শালীনতার সীমালঙ্ঘন করলে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে ক্ষমতাসীনরা যেভাবে আইনি পদক্ষেপ নেয়, বিরোধী পক্ষ সেভাবে নিতে পারে না। তবু, এই সুযোগ-সুবিধার বৈষ্যমের কারণে একথা বলা যাবে না যে, দেশে বাক-স্বাধীনতা নেই। বরং একথা বলা অসঙ্গত হবে না যে, আইনি সহায়তা পাওয়ার ক্ষেত্রে প্রশাসন সবসময় সাম্য বজায় রাখে না। তাহলেও সত্য—তথ্যগত বিভ্রান্তি ছড়ানো বা উসকানি দেওয়ার উদ্দেশ্যে শালীনতার সীমালঙ্ঘন করার মতো বক্তব্য রাখার স্বাধীনতা কেউ চাইলেই তাকে দেওয়া যায় না।
এ কথা কথা হলো—কারা বলছে বাক-স্বাধীনতা নেই? তারা কী ধরনের বাক-স্বাধীনতা চায়? একথা ভুলে গেলে চলবে না—দেশের ভেতরে কোনো জঙ্গি-উগ্রপন্থী গোষ্ঠী যদি তাদের মত-প্রচারের স্বাধীনতা চায়, তাহলে সেই গোষ্ঠীকে নিশ্চয় স্বাধীনতা দেওয়া যায় না। আবার মুক্তিযুদ্ধের সময় দেশের স্বাধীনতার বিরোধিতাকারীরাও যদি তাদের কর্মকাণ্ডের পক্ষে যুক্তি তুলে ধরে তা প্রচারের স্বাধীনতা চায়, তাহলে তাদেরও সেই সুযোগ দেওয়া ন্যায়নীতি-আইন অনুযায়ী উচিত হবে না। জঙ্গিগোষ্ঠী বা স্বাধীনতাবিরোধীরা মত-প্রকাশের স্বাধীনতা পেলে তা হবে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির জন্য ভয়ানক। একইসঙ্গে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের জন্যও হুমকি। তারা পুরো জাতিকেই হয় জঙ্গি কর্মকাণ্ডে, নয় রাষ্ট্রদ্রোহিতার দিকে প্ররোচিত করবে। পুরো জাতি হয়ে পড়বে দ্বিধাবিভক্ত। শুরু হবে ঘরে ঘরে যুদ্ধ। তবে, উগ্রপন্থী ও স্বাধীনতাবিরোধী গোষ্ঠী প্রকাশ্যে মত-প্রচারের সুযোগ না পেলে গোপনে কিন্তু থেমে নেই।
গত কয়েক বছরের জঙ্গিহামলা, গ্রেনেডহামলার ঘটনা ও জামায়াতপন্থীদের কর্মকাণ্ড পর্যালোচনা করলে এর প্রমাণ মিলবে। তাই মনে রাখতে হবে, একজন স্বাধীনতাবিরোধী, জঙ্গি কিংবা ধর্ষক যেন তার কর্মকাণ্ডের পক্ষে যুক্তি তুলে ধরতে পারবে না। ওই কর্মকাণ্ডে জড়িত না থাকলে তার নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করা জন্য তথ্য হাজির করতে পারবে মাত্র।
বাক-স্বাধীনতা বা মতপ্রকাশের স্বাধীনতার প্রসঙ্গ উঠলেই কেউ কেউ সংবিধানের কথাও তোলেন। বাক-স্বাধীনতার প্রশ্নে সংবিধান কী বলেছে? ‘চিন্তা ও বিবেকের স্বাধীনতা এবং বাক-স্বাধীনতা’ প্রসঙ্গে সংবিধানের ৩৯ ধারায় বলা হয়েছে—(১) ‘চিন্তা ও বিবেকের স্বাধীনতার নিশ্চয়তাদান করা হইল।’ এবং (২) ‘রাষ্ট্রের নিরাপত্তা, বিদেশি রাষ্ট্রসমূহের সহিত বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক, জনশৃঙ্খলা, শালীনতা বা নৈতিকতার স্বার্থে কিংবা আদালত অবমাননা, মানহানি বা অপরাধ সংঘটনে প্ররোচনা সম্পর্কে আইনের দ্বারা আরোপিত যুক্তিসঙ্গত বাধানিষেধ-সাপেক্ষে (ক) প্রত্যেক নাগরিকের বাক ও ভাবপ্রকাশের স্বাধীনতার অধিকারের এবং (খ) সংবাদপত্রের স্বাধীনতা নিশ্চয়তাদান করা হইল।’
এখানে একটি বিষয় স্পষ্ট—চিন্তা ও বাক-স্বাধীনতার সঙ্গে বিবেকের স্বাধীনতাও যুক্ত করা হয়েছে। অর্থাৎ ব্যক্তিমনে যা কিছু উদয় হবে, যেমন করে মন চাইবে, ঠিক তেমন করে কোনও বিষয় প্রকাশ করার নাম স্বাধীনতা নয়। স্বাধীনতার সঙ্গে সংযম, বিবেচনা ও ন্যায়বোধও সম্পৃক্ত।
বাক-স্বাধীনতা সংক্রান্ত সংবিধানের এই ধারাটি পর্যালোচনা করলে দেখা যাবে, চাইলেই যেকোনো ব্যক্তি যেকোনো বিষয়ে মতপ্রকাশ করতে পারে না। মতপ্রকাশের স্বাধীনতার সঙ্গে বিবেচনাবোধের শর্তও যুক্ত রয়েছে। এছাড়া, ন্যায়সঙ্গত কারণ ছাড়া অন্যের অনুভূতিতে আঘাত না করার বিষয়টিও এখানে স্মর্তব্য। এই দুটি শর্ত মেনে যেকোনো বিষয়ে যেকোনো ব্যক্তি তার মত-প্রকাশের স্বাধীনতা ভোগ করতে পারে। সেই স্বাধীনতায় রাষ্ট্র কোনোভাবেই হস্তক্ষেপ করতে পারবে না। যদি হস্তক্ষেপ করে, সে রাষ্ট্র আর গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের পরিচয় ধারণ করতে পারে না। সেই রাষ্ট্র হয়ে পড়বে পশ্চাদগামী-প্রতিক্রিয়াশীল-ফ্যাসিবাদী। এমন রাষ্ট্র কখনোই তার নাগরিকের জন্য কোনো মঙ্গল বয়ে আনতে পারবে না। শেষপর্যন্ত নিজের অস্তিত্বও টিকিয়ে রাখতে পারে না। অবকাঠামোগতভাবে ওই রাষ্ট্র দাঁড়িয়ে থাকলেও ভেতরে ভেতরে অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত হয়। তখন ওই অকার্যকর রাষ্ট্রের ব্যাপারে নাক গলানো শুরু করে সাম্রাজ্যবাদী রাষ্ট্রগুলো। একইসঙ্গে আরোপ করা শুরু করে বিভিন্ন রকম বিধি-নিষেধ-অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা। আর তখনই ওই রাষ্ট্রের শাসকরা দেশের জনগণের বন্ধু হওয়ার পরিবর্তে হয়ে পড়ে বিদেশি প্রভুদের ইচ্ছার ক্রীড়নক।
সুতরাং মত প্রকাশের স্বাধীনতার প্রশ্নে নাগরিক ও শাসক—উভয়পক্ষকেই হতে হবে সচেতন। এক্ষেত্রে নাগরিকরা তাদের ন্যায়সঙ্গত মত প্রকাশের সময় যেন কোনোভাবেই হয়রানির শিকার না হন, সে ব্যাপারে রাষ্ট্রকে নিশ্চয়তা দিতে হবে।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি রাজনীতিবিদ ও সুশীল সমাজের মধ্যে একটি প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। তারা কোনো একটি বিষয়ে শোনা মাত্রই তা নিয়ে বাদানুবাদে জড়িয়ে পড়েন। বিষয়টি সত্যতা খতিয়ে দেখেন না। তারা ভুলে যান—চোখে দেখা দৃশ্য যা বলে, কানে শোনা কথা তার সাক্ষ্য দেয় না সব সময়। যতক্ষণ পর্যন্ত মানুষের ‘চক্ষুকর্ণের বিবাদ’ না-মেটে, ততক্ষণ পর্যন্ত কোনও বিষয়ে মন্তব্য না-করাই বাঞ্ছনীয়। দেখা বা শোনামাত্র কোনও বিষয়ে ‘সব বুঝে ফেলার ভানে’ সমাজে-রাষ্ট্রে ক্ষতিকর প্রভাব পড়ে, বিভ্রান্ত হয় সমাজ। এতে বিনষ্ট হয় সামাজিক শৃঙ্খলা, শান্তি, ভ্রাতৃভাব। বিষয়টি রাজনীতিবিদ ও সুশীলরা মনে রাখেন না বলেই তারা পরস্পরকে কুরুচিপূর্ণ বাক্যবাণে জর্জরিত করেন। তাদের অবিবেচনাপ্রসূত মন্তব্য ও অভিমত জনগণকে অনৈতিকতার দিকে প্ররোচিত করে।
এজন্য সমাজের সভ্যরূপ-গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে গেলে প্রতিটি নাগরিককে হতে হবে বাকসংযমী। কারণ বাক-স্বাধীনতার সফল প্রয়োগে সমাজ হয়ে উঠবে সুশৃঙ্খল, রাষ্ট্রের কাছ থেকে সহজে আদায় করা সম্ভব হবে নাগরিক-অধিকার। এর অপপ্রয়োগে সমাজে সৃষ্টি হতে পারে বিশৃঙ্খলা, নেমে আসতে পারে নৈরাশ্য-নাশকতা। যদি কখনো তেমনটা ঘটে, তাহলে তার সব দায় নিতে হবে রাজনীতিবিদ-সুশীলসমাজকেই। আর এ কারণেই সভ্য জাতি হিসেবে মাথা তুলে দাঁড়াতে হলে কথায়-আচরণে সংযমী এবং চিন্তায়-রুচিতে সংস্কৃতিবান হতে হবে।
মত-প্রকাশের স্বাধীনতা পেতে চাইলে চিন্তা ও বিবেকের স্বাধীনতার বিষয়টি মনে রাখতে হবে। কেবল রাষ্ট্র কিংবা ব্যক্তির মঙ্গলচিন্তায় সে মত-প্রকাশের আকাঙ্ক্ষা প্রকাশ করবে কোনো নাগরিক, তার স্বাধীনতা দিতে রাষ্ট্র বাধ্য। কিন্তু জঙ্গি-খুনি-দেশদ্রোহী-ধর্ষক-স্বাধীনতাবিরোধীদের নিজেদের কর্মকাণ্ডের পক্ষে মত-প্রকাশের স্বাধীনতা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। বিষয়টি রাজনীতিবিদ, শিল্পী, সাহিত্যিক থেকে শুরু করে দেশের প্রত্যেক সচেতন নাগরিকেরও মনে রাখা জরুরি।
লেখক : কবি, প্রাবন্ধিক, সাংবাদিক।
এইচআর/এমকেএইচ