ঈদযাত্রা নিরুদ্বিগ্ন হোক
ঈদুল আজহা সমাগত। প্রতিবছরই বিপুল সংখ্যক মানুষ পরিবার পরিজনের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করার জন্য শহর ছেড়ে গ্রামে যায়। তাদের যাত্রা নিরাপদ এবং নির্বিঘ্ন করাটাই এখন সবচেয়ে বেশি জরুরি। বিশেষ করে ঈদযাত্রায় সড়ক-মহাসড়কে যানজট চরম আকার ধারণ করে। এ নিয়ে নিয়ে মানুষের দুর্ভোগের কোনো সীমা পরিসীমা নেই। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া দরকার এখন থেকেই।
যানজট নিরসনে নানা উদ্যোগের পরও সড়ক মহাসড়কে যানজট লেগেই আছে। এ জন্য মানুষজনকে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। রাজধানীতে সারা বছরই মানুষজন যানজটের নিগড়ে পিষ্ট হয়। মহাসড়কে উঠেও যদি তাদের যানজটে পড়তে হয় তাও আবার ঈদের মত উৎসবে এরচেয়ে দুঃখজনক আর কী হতে পারে।
মহাসড়কে যদি যানজট হয় তাহলে সেটি মহাসড়ক হয় কী করে-এ নিয়েও প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। প্রতিবছরই একই ধরনের অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হলেও অবস্থার কোনো উন্নতি নেই। বরং এটা যেন ললাট লিখন হয়ে দাঁড়িয়েছে। দূরপাল্লার বাসগুলো যাতে ঈদের সময় যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করতে না পারে সে ব্যাপারেও কর্তৃপক্ষকে নজরদারি চালাতে হবে। অননুমোদিত বাস চলাচলের ব্যাপারেও দৃষ্টি দিতে হবে। কারণ ঈদে মুনাফার লোভে লোকাল বাসও হাইওয়েতে চলে। এগুলোর ফিটনেস না থাকায় অনেক ক্ষেত্রেই রাস্তায় বিকল হয়ে পড়ে। তাৎক্ষণিকভাবে রাস্তা থেকে নষ্ট বাস সরানোর তেমন কোনো ব্যবস্থা থাকে না। এ কারণে দেখা দেয় তীব্র যানজট।
বিপুল সংখ্যক মানুষ যারা মাটির টানে প্রিয়জনের সান্নিধ্যে ঈদ করতে গ্রামে যাবেন তাদের আনন্দ যেন যাত্রাপথের ভোগান্তিতে নষ্ট না হয়ে যায় সেইদিকে নজর দেওয়াই এখনকার সবচেয়ে বড় দায়িত্ব। এ ব্যাপারে কোনো উদাসীনতা কাম্য নয়। কর্তৃপক্ষের যথাযথ ব্যবস্থায় মাটির টানে বাড়ি ফেরা মানুষজন নির্বিঘ্নে নিরাপদে গন্তব্যে পৌঁছতে পারবে এটিই আমাদের প্রত্যাশা।
এইচআর/পিআর