ভিডিও EN
  1. Home/
  2. মতামত

প্রিয়া সাহার নালিশি বক্তব্য এবং বর্তমানের চ্যালেঞ্জ

শেখর দত্ত | প্রকাশিত: ০১:১২ পিএম, ২৪ জুলাই ২০১৯

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডেনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ নেত্রী প্রিয়া সাহার সাক্ষাৎকার-নালিশ ফেসবুকে দেখা ও শোনার সঙ্গে সঙ্গে চমকে উঠলাম এবং শঙ্কিত হলাম। চমকে ওঠার কারণ, বিশ্বের এক নম্বর মহাশক্তিধর রাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সাক্ষাৎ চাট্টিখানি কথা নয়। কীভাবে এই সাক্ষাৎকার সম্ভব হলো! দেশি-বিদেশি কারা রয়েছে এর পেছনে? তবে সাক্ষাৎকারের পেছনে যারাই থাকুন না কেন, প্রিয়া সাহার নালিশি বক্তব্য শুনে শঙ্কিত হতে হলো এসব কারণে যে, বিশ্ব রাজনীতি-অর্থনীতির বাস্তবতায় আমেরিকান প্রেসিডেন্টের সময় ব্যয় করে নালিশ শোনা ও হাত মেলানোর গুরুত্ব খাটো করে দেখার কোনো অবকাশ নেই।

প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রানা দাশগুপ্তের বক্তব্য জানা গেছে। তিনি সুস্পষ্ট ভাষায় বলেন, সংগঠন জানেই না যে প্রিয়া সাহা প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে দেখা করবে। সংগঠনের প্রতিনিধি হিসেবে তিনি ট্রাম্পের সঙ্গে দেখা করতে যাননি। বক্তব্য তার নিজস্ব। স্বাভাবিকভাবেই সংখ্যালঘু নির্যাতন বিষয়ে তার সংগঠনের অবস্থান তিনি ব্যক্ত করেন। তবে প্রথম থেকেই মার্কিন দূতাবাসের অবস্থান ছিল অস্পষ্ট ও অপরিচ্ছন্ন।

আমেরিকান কর্তৃপক্ষ যে প্রিয়া সাহাকে বিশেষভাবে আমন্ত্রণ জানিয়ে আমেরিকা নিয়ে গেছে, তা জানা যায় পরে। সহজেই অনুধাবন করা যায়, আগে থেকেই এই নালিশি সাক্ষাৎকারের সময়টা সুনির্দিষ্ট করা ছিল। পর্যবেক্ষণে যতটুকু মনে হয়, মার্কিন সরকার সাম্প্রদায়িকতা ও উগ্র জঙ্গিবাদ বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারের গৃহীত নীতি ও পদক্ষেপের সমর্থন করে। যদি তাই হয় তবে নালিশি বৈঠকে বাংলাদেশের কাউকে রাখার অর্থ কি? মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এই পদক্ষেপের পরিণতিতে পরিস্থিতি ঘোলাটে ও উত্তেজনাপূর্ণ হয়ে ওঠে এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির পরিবেশ আঘাতপ্রাপ্ত হয়।

প্রসঙ্গত, প্রথমে এমনটাই ধারণা করা গিয়েছিল এবং কাম্য ছিল যে, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমের বক্তব্য নিয়েই সরকার অগ্রসর হবে। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির পতাকাকে ঊর্ধ্বে তুলে ধরতে সরকার ও সরকারি দল উল্লিখিত ধরনের ভারসাম্যমূলক অবস্থান গ্রহণ করবে। কিন্তু দেখা গেল, সরকারদলীয় নেতাদের কেউ কেউ তর্ক-বিতর্কের পাল্টাপাল্টিতে যেন গড্ডলিকার স্রোতে গা ভাসিয়ে দিলেন। এমন বিষাক্ত পরিবেশে কেন দেশকে টেনে নেয়া হলো তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক।

কেউ কেউ এমনটা মনে করেন যে, সৃষ্ট সাম্প্রদায়িক উত্তেজনার দিকে লক্ষ্য রেখে উত্তেজনাকে সীমার মধ্যে রাখতেই এই কৌশল গ্রহণ করা হয়েছিল। তবে যে কারণেই পাল্টাপাল্টি হোক না কেন, এটা ভালো কোনো উদাহরণ নয়। উত্তেজনার কথা বলে উত্তেজনাকে নিয়ন্ত্রণে রাখার কৌশল নিতে হবে কেন? প্রধানমন্ত্রীর মতামতের পর অগ্রসর হলেই হতো। একটু খেয়াল করলেই দেখা যাবে, উগ্রবাদীরা প্রথম থেকেই প্রিয়া সাহার নালিশ ইস্যু নিয়ে উগ্র প্রচার করেছে। কিন্তু বিএনপি মহল ছিল চুপ। যেন পানি ঘোলা হলে মৎস্য শিকার করা যাবে।

কিন্তু তা সম্ভব হয়নি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারসাম্যমূলক অবস্থান পরিস্থিতিকে নিয়ন্ত্রণ করে স্বাভাবিক অবস্থায় নিতে সহায়তা করেছে। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হতে থাকলে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘প্রিয়া সাহা কেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের কাছে বাংলাদেশে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতনের অভিযোগ করেছেন, সেই ব্যাখ্যা না শুনে তড়িঘড়ি করে কোনো আইনি ব্যবস্থায় না যেতে প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন।’ এই বক্তব্যের পর আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, ‘প্রিয়া সাহার বক্তব্য রাষ্ট্রদ্রোহ হয়ে গেছে বলে মনে করি না।’

বলাই বাহুল্য জাতীয় চার নীতি পুনঃপ্রতিষ্ঠা তথা ‘অসাম্প্রদায়িক প্রগতিশীল বিজ্ঞানমনস্ক উদার গণতান্ত্রিক কল্যাণ রাষ্ট্র’ গড়া হচ্ছে আওয়ামী লীগের ঘোষিত অঙ্গীকার। এই অবস্থান থেকে আওয়ামী লীগ সরতে পারে না। সরে এলে আওয়ামী লীগ আর আওয়ামী লীগ থাকে না। দেশও জন্মলগ্নের মর্মবাণীর মধ্যে থাকে না। প্রসঙ্গত, প্রত্যক্ষ-পরোক্ষ সেনাশাসক জিয়া ও এরশাদ ‘হুকুমের’ দল গঠন করে ক্ষমতা কুক্ষিগত ও দীর্ঘস্থায়ী করতে স্বাধীন বাংলাদেশে পাকিস্তানি আমলের সাম্প্রদায়িকতার আমদানি করেছিল। এখনো তাই পাকিস্তানি এবং জিয়া-এরশাদ আমলের ভূত জাতির ঘাড়ে রয়ে গেছে। বর্তমান বিশ্ব ও উপমহাদেশে যখন সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির পরিবেশের অবনতি হচ্ছে, তখন ওই কুপ্রভাব থেকে মুক্ত হওয়া খুবই কঠিন ও জটিল কাজ।

এক ধাক্কায় বা এক লাফে অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছা অসম্ভব। একবার বড়শির কাঁটা যদি মাছের গলায় আটকে যায়, তবে আগু-পিছু খেলার মধ্য দিয়েই ওই মাছকে ডাঙায় তুলতে হয়। যত বড় মাছ তত বেশি খেলতে হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবারে আবারও প্রমাণ করলেন, ভারসাম্য রক্ষার এই খেলায় তিনি চ্যাম্পিয়ন, যথার্থ যুগোপযোগী রাষ্ট্রনায়ক। পিতা শেখ মুজিবের জাতীয় চার নীতি প্রতিষ্ঠার পথ থেকে তিনি সরে আসবেন, এমনটা মনে করার কোনো কারণ নেই। যে কোনো ধরনের রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা দেশের বিপদ ডেকে আনবে।

মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও উন্নয়ন থেকে পথভ্রষ্ট হবে জাতি। অতীতের অভিজ্ঞতা বলে, তাতে সবচেয়ে বড় বিপদে পড়বে সংখ্যালঘু জনগণ। তাই সংখ্যলঘু সম্প্রদায়ের নেতাদের প্রতিনিয়ত সতর্ক থাকা প্রয়োজন, যাতে ঘোলা পানিতে কেউ মৎস্য শিকার করতে না পারে। দেশবাসী সর্বান্তকরণে চায় অভিযোগকারী প্রিয়া সাহাকে দেশে ফিরিয়ে আনা হোক, তার বক্তব্য শোনা ও পরখ করা হোক এবং প্রয়োজনে আইনের আওতায় তার বিচার করা হোক। প্রসঙ্গত, কলামটা যখন লিখছি তখনই খবর পেলাম, হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ প্রিয়া সাহাকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করেছে। এটা করার ভেতর দিয়ে সংগঠনটি সরকারি কর্মকাণ্ডে সহযোগিতা এবং পরিস্থিতি স্বাভাবিক ও সহজ করতে যথাযথ পথ গ্রহণ করেছে, যা শুভ লক্ষণ।

প্রসঙ্গত বলতেই হয়, সংখ্যালঘু সমস্যা বিশ্বের দেশে দেশে অতীতে যেমন ছিল, আজও কমবেশি রয়েছে। এই সমস্যা থেকে উত্তরণ বর্তমান দুনিয়ায় আরো জটিল ও কঠিন হয়ে উঠেছে। এতদসত্ত্বেও জন্মলগ্নের মর্মবাণী তথা জাতীয় চার নীতি সুরক্ষার জন্য বর্তমানে সংখ্যালঘু সমস্যার সম্ভব মতো সমাধান করে লক্ষ্য বাস্তবায়নের পথে অগ্রসর হওয়া ভিন্ন কোনো বিকল্প পথ আমাদের নেই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অবস্থান গ্রহণের পর এটা এখন সুস্পষ্ট যে, বিচ্ছিন্ন এক ব্যক্তি হিসেবে প্রিয়া সাহার নালিশি সাক্ষাৎকার নিয়ে দুই মত বিশেষভাবে বলতে গেলে মূলত দুই ধর্ম সম্প্রদায়ের পাল্টাপাল্টি বাদানুবাদ যেভাবে হলো তা কোনোভাবেই মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়। প্রিয়া সাহার বক্তব্যের পক্ষে দাঁড়িয়ে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের কারো কারো অতি উৎসাহ যেমন ক্ষতিকর হয়েছে তেমনি সংখ্যাগুরু সম্প্রদায়েরও খতিয়ে দেখা প্রয়োজন কেন এমন অস্থির হয়ে উঠেছে, ব্যতিক্রম বাদে, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সোচ্চার জনগোষ্ঠী। ধর্ম-মত নির্বিশেষে দায়িত্বশীল বক্তব্য ও অবস্থান গ্রহণ আজ সময়ের দাবি।

প্রিয়া সাহার বক্তব্যের সঙ্গে সঙ্গে আগু-পিছু চিন্তা না করে দুই ধর্ম সম্প্রদায়ের রক্তের ভেতর দিয়ে গড়ে ওঠা বাংলাদেশের জন্মলগ্নের মর্মবাণী তথা জাতীয় চার নীতি ভুলে পারস্পরিক দোষারোপ চূড়ান্ত পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া হলো। বেমালুম ভুলে যাওয়া হলো, বঙ্গবন্ধু কেমন বাংলাদেশ চেয়েছিলেন আর আওয়ামী লীগ কেমন বাংলাদেশ চায়। জিয়া ও এরশাদ আমলে রাজনীতিতে ধর্ম অপব্যবহার করায় কী ক্ষতি হয়েছিল, তা বিবেচনায়ই নেয়া হলো না। সংবিধানে যেমন তেমনি বাস্তবেও পাকিস্তানি আমলের ভূত জাতির ঘাড়ে রয়ে গেছে এবং ওই ভূত ঝেড়ে ফেলতে হবে, তা যেন মনেও থাকল না। এমন দমবন্ধ আবহাওয়া ছিল অনভিপ্রেত এবং অনিষ্টকর।

প্রসঙ্গত, এটাই বাস্তব দেশের রাজনীতিতে সাম্প্রদায়িকতার প্রশ্নে বিভক্তি রয়েছে এবং তা রাজনীতিতে ব্যবহৃত হয়। কিন্তু এবারে বিভক্তি যে ধরনের হয়েছে এবং বিষবাষ্প যতটুকু ছড়িয়েছে, তেমনটা ইতোপূর্বে আর কখনো এমন রূপ নিয়ে হয়েছে বলে মনে হয় না। এর জন্য দায়ী নিজ সংগঠনের বাইরে গিয়ে আগ বাড়িয়ে প্রিয়া সাহার নালিশি বক্তব্য। আর সেই সঙ্গে দায়ী বিচ্ছিন্নভাবে একজন বাংলাদেশের নাগরিককে মার্কিন দূতাবাসে এভাবে কথা বলার সুযোগ করে দেয়া।

প্রিয়া সাহার বক্তব্যে একদিকে নেই ভাষা ও উপস্থাপনার সঠিকতা আর অন্যদিকে নেই ক্রিয়ার প্রতিক্রিয়া কী হতে পারে সেই বিবেচনাবোধ। সর্বোপরি মুক্তিযুদ্ধে ভূমিকার কারণে আমেরিকাকে আমাদের জাতীয় রাজনীতির মূলধারার আন্দোলন সবসময়েই অবিশ্বাস ও সন্দেহের দৃষ্টিতে দেখে। তদুপরি বর্ণ-ধর্ম নিয়ে মতামত বিতর্কিত হওয়ায় প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প নিয়ে রয়েছে দেশের মানুষের সাধারণ বিরূপতা। এই অবস্থায় প্রিয়া সাহার নালিশ হিতে বিপরীত হয়েছে। এমনকি যারা সংখ্যালঘু সমস্যার সমাধান চায়, জাতিসত্তা ও জাতীয় চার নীতি ঊর্ধ্বে তুলে ধরতে চায়, তারাও হয়ে গেছেন হতবাক ও লা-জবাব।

সবশেষে এটাই বলতে হয়, পাল্টাপাল্টি করে সংখ্যালঘু সমস্যার কোনো সমাধান হবে না। বরং পরিস্থিতি খারাপ হবে। দেশি-বিদেশি কায়েমী স্বার্থবাদী বিশেষত পরাজিত শত্রুরা এর ফায়দা লুটবে। অর্থনীতির গতিধারা বিনষ্ট হবে। দেশকে রাজনৈতিকভাবে স্থিতিশীল রাখা কঠিন হবে। এমনিতেই আমরা রয়েছি রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়ে। এর মধ্যে আরাকান দখল করা নিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নানা কথা তোলা হচ্ছে। ভারতের আসামে ঘোষিত নাগরিক সমস্যার সঙ্গে বাংলাদেশ জড়িয়ে আছে। তাই পরিস্থিতি অনুধাবন করে যথাযথ ভারসাম্যমূলক অবস্থান গ্রহণ করা ভিন্ন বিকল্প নেই। মুক্তিযুদ্ধের অভিজ্ঞতা বলে, জাতি হিসেবে বাঙালি যদি ঐক্যবদ্ধ থাকে, তবে যত বড় দেশ বা শক্তিই হোক না কেন, কেউ আমাদের কোনো ক্ষতি করতে পারবে না।

এক্ষেত্রে পথ দেখাতে পারে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহার ২০১৮। ইশতেহারে সংখ্যালঘু কমিশন গঠন ও সংখ্যালঘু বিশেষ সুরক্ষা আইন প্রণয়ন করা, অর্পিত সম্পত্তি সংশোধনী আইন দ্বারা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রকৃত স্বত্বাধিকারীদের অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা এবং ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘুদের জমি-বসতভিটা-বনাঞ্চল-জলাভূমি ও অন্যান্য সম্পদের সুরক্ষার ব্যবস্থা প্রভৃতি বাস্তবায়নের অঙ্গীকার করা হয়েছিল।

এগুলো যদি দ্রুত করা যায়, তবে সংখ্যলঘুদের মনে আস্থা ও বিশ্বাস ফিরিয়ে আনা একেবারেই কঠিন নয়। যার যার ধর্ম পালনে স্বাধীনতা ও সমঅধিকারে বিশ্বাসী এবং অসাম্প্রদায়িক প্রগতিশীল বিজ্ঞানমনস্ক উদার গণতান্ত্রিক কল্যাণ রাষ্ট্র গড়ায় অঙ্গীকারাবদ্ধ আওয়ামী লীগ ও জাতির জন্য এসব করাটাই হচ্ছে বর্তমানের চ্যালেঞ্জ।

লেখক : রাজনীতিক।

এইচআর/জেআইএম

আরও পড়ুন