ডাক্তারদের সুরক্ষায় বিশেষ আইন চাই
সম্প্রতি আচমকা মন্ত্রিসভায় পাঁচ সদস্যের দায়িত্ব পুনর্বিন্যাস করা হয়েছে। এ নিয়ে কোনো আলোচনা ছিল না। মন্ত্রিসভার গঠন, দায়িত্ব বন্টন, পুনর্বন্টন- পুরোটাই প্রধানমন্ত্রীর এখতিয়ার। তাই এ নিয়ে কোরো প্রশ্ন তোলারও সুযোগ নেই। আর ৪৭ সদস্যের মন্ত্রিসভায় ৫ জনের দায়িত্ব পুনর্বিন্যাস তেমন বড় কোনো ঘটনাও নয়। তবু পুনর্বিন্যাসের ধরন নিয়ে আলোচনা হচ্ছে।
বুঝতে অসুবিধা হয় না, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীদের সাথে প্রতিমন্ত্রীদের দ্বন্দ্ব মেটাতেই দায়িত্ব ভাগ করে দেয়া হয়েছে। তাতে মন্ত্রীদের দায়িত্ব কমলেও প্রতিমন্ত্রীদের দায়িত্ব কার্যত বেড়েছে। পুনর্বিন্যাসের পর দুই মন্ত্রীই মনক্ষুণ্ণ হয়েছেন। ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার তার মন খারাপের বিষয়টি লুকাননি। দায়িত্ব পুনর্বিন্যাসের পর তিনি ফেসবুকে দুটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন, যাতে তার মনোবেদনাটা স্পষ্টতই ফুটে উঠেছে।
তিনি লিখেছেন, ‘মানবজীবন মানেই লড়াই। জন্ম থেকে কবরে যাওয়া অবধি লড়াই করতে হয়। তবে সব লড়াই এক রকমের হয় না। কখনও যুদ্ধ কঠিন মনে হয়-কখনও মনে হয় সহজ। মানুষ হিসেবে দুটোই মোকাবেলা করতে হয়। ছাত্রাবস্থায় আমরা একটি প্রিয় শ্লোগান পছন্দ করতাম- লড়াই লড়াই লড়াই চাই, লড়াই করে বাঁচতে চাই। আসুন লড়াই করে বেঁচে থাকি।‘
পরে তিনি লিখেছেন, ‘খেতে চাইলাম দুধ হয়ে গেলো ছানা। সময়টাই বিবর্তণের।‘ তার একটু মন খারাপ হতেই পারে। এতদিন তিনি ছিলেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী। এখন তিনি শুধু ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের মন্ত্রী। আর জুনাইদ আহমেদ পলক তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী। তার ওপর আর কারো খবরদারি রইলো না। আর তাজুল ইসলাম এতদিন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ছিলেন। এখন তিনি শুধু স্থানীয় সরকার বিভাগের মন্ত্রী। আর স্বপন ভট্টাচার্য পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের প্রতিমন্ত্রী হিসেবে স্বাধীনভাবে দায়িত্ব পালন করবেন।
তবে সবচেয়ে বড় বদলটা হয়েছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকের সাথে প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসানের বিরোধ নিয়েও কানাঘুষা ছিল। তবে অন্য দুই মন্ত্রণালয়ের মত এখানে দুই মন্ত্রীর মধ্যে দায়িত্ব ভাগ করে দেয়া হয়নি। বরং প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসানকে স্বাস্থ্য থেকে সরিয়ে তথ্য প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। তবে একজন ডাক্তারকে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে সরিয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ে নিয়ে যাওয়াটা একটু বেশি আলোচনার জন্ম দিয়েছে। অধ্যাপক রুহুল হকের পর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় আরেকজন ডাক্তার পেয়েছিল। কিন্তু ডা. মুরাদ হাসান স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে থাকতে পারলেন না। এটা কি মুরাদ হাসানের অযোগ্যতা নাকি ডাক্তারদের ব্যর্থতা?
অনেকে মন্ত্রীর সাথে প্রতিমন্ত্রীর দ্বন্দ্বকে সামনে আনছেন। সেটা একটা কারণ হতে পারে। অনেকে তার যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। মুরাদ হাসান যোগ্য না অযোগ্য, সে প্রশ্নের উত্তর আমি জানি না। চার মাস একজন ব্যক্তির যোগ্যতা নির্ধারণের জন্য যথেষ্ট নয়। আর আগেও আমরা দেখেছি, অনেক অথর্ব মন্ত্রী বছরের পর বছর দায়িত্ব পালন করেছেন। অযোগ্যতার কারণে কাউকে সরিয়ে দেয়ার নজির বাংলাদেশে নেই। আর মুরাদ হাসান অযোগ্যই যদি হবেন, তাহলে তাকে স্বাস্থ্য থেকে সরিয়ে আরো গুরুত্বপূর্ণ ও স্পর্শকাতর তথ্য মন্ত্রণালয়ে দায়িত্ব দেয়া হলো কেন? অন্য দুই মন্ত্রণালয়ে দায়িত্ব ভাগ করেই মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীর দ্বন্দ্ব মেটানো হলেও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে কেন প্রতিমন্ত্রীকে সরেই যেতে হলো?
আমার ধারণা সেখানে ডাক্তারদেরই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে। সম্প্রতি জামালপুরে এক সাংবাদিকের মৃত্যুর পর ডাক্তারদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন তখন স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্বে থাকা মুরাদ হাসান। সম্প্রতি মাশরাফীর একটি মন্তব্যকে ঘিরে তুলকালাম সৃষ্টি হয়। কর্মস্থলে নিজেদের অনুপস্থিতি নিয়ে কোনো প্রশ্ন না তুলে ডাক্তাররা দল বেঁধে মাশরাফীর ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েন। এমনকি মাশরাফী ক্ষমা চাওয়ার পরও থামেনি ডাক্তারদের ক্ষোভ। মাশরাফীর আচরণ অপছন্দ হলে ডাক্তারদের ভিন্নমত জানানোর অধিকার অবশ্যই আছে। কিন্তু যে অশালীন ভাষায় ডাক্তারদের কেউ কেউ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিলেন, তা অনাকাঙ্খিত।
এ কথাটিই মনে করিয়ে দিয়েছিলেন ডা. মুরাদ হাসান। তিনি তীব্র ভাষায় ডাক্তারদের সমালোচনা করেছিলেন। তাদের আচরণে সংযত থাকার পরামর্শ দিয়েছিলেন। কেউ কিছু বললেই ডাক্তাররা তেলেবেগুনে জ্বলে ওঠেন, কোনো সমালোচনাই তারা নিতে পারেন না। কিন্তু একজন ডাক্তার হিসেবে মুরাদ হাসানের একটু অধিকার ছিল তার সহকর্মী ডাক্তারদের ভুল ধরিয়ে দেয়ার। সেটুকু সমালোচনাও নিতে পারেননি ডাক্তাররা। তারপর থেকেই মুরাদ হাসান ডাক্তারদের চক্ষুশুল।
আমরা না হয় দূর থেকে ডাক্তারদের সব কষ্ট, বেদনা, বঞ্চনা দেখতে পাই না। কিন্তু মুরাদ হাসান তো নিজেই ডাক্তার, তিনি নিশ্চয়ই ডাক্তারদের যন্ত্রণাটা জানেন। কিন্তু তাই বলে কি ডাক্তারদের ভুল হলে সেটা একজন ডাক্তারও বলতে পারবে না? এতদিন তো শুনে এসেছি, শাসন করা তারই সাজে, সোহাগ করে যে। তাই মুরাদ হাসানের কি ডাক্তারদের শাসন করার অধিকার নেই? ডাক্তারদের কি তাহলে কেউই কিছু বলতে পারবে না।? তারা কি সব আইনের উর্ধ্বে?
সব আইনের উর্ধ্বে না হলেও, ডাক্তারদের জন্য অবশ্যই আলাদা আইন দরকার। ডাক্তারদের পেশাটা বিশেষ, তাদের জন্য আইনও হতে হবে বিশেষ। ইদানীং কথায় কথায় ডাক্তারদের গায়ে হাত তোলা, ভুল চিকিৎসার অভিযোগে মামলা করা, হামলা চালানো, মেডিক্যাল কলেজে ছাত্রী হোস্টেলে ঢুকে নির্যাতন, এমনকি ডাক্তারদের রেপ করার হুমকিও দেয়া হচ্ছে। ডাক্তারদের আক্রান্ত হওয়ার অসংখ্য ঘটনা আছে। যাদের হওয়ার কথা জনগণের সবচেয়ে বড় আশ্রয়, সেই ডাক্তাররাই যেন জনগণের সবচেয়ে বড় প্রতিপক্ষ?
কেন ডাক্তারদের সাথে সাধারণ মানুষের এই বৈরী সম্পর্ক, সেটা অবশ্যই খুঁজে বের করতে হবে। তবে তার আগে ডাক্তারদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। তাদের বাঁচাতে হবে। ডাক্তাররা না বাঁচলে, তারা আপনাকে বাঁচাবে কিভাবে? গত সপ্তাহে একজন ডাক্তার আমাকে বলছিলেন, আপনি বা আপনার মত সাংবাদিক বা সমাজে একটু পরিচিত বা প্রভাবশালী কেউ যদি গ্রামে গিয়ে হৃদরোগে আক্রান্ত হন; আপনাদের বাঁচার সম্ভাবনা ক্ষীণ। আমি ভয়ে ভয়ে তার দিকে তাকালাম। তিনি বললেন, একজন হৃদরোগীর প্রাথমিক চিকিৎসাটা আপনাদের ভাষায় 'সিম্পল এমবিবিএস'ও জানেন। তিনি চাইলে আপনাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বিশেষায়িত হাসপাতাল পর্যন্ত পাঠানোর চেষ্টা করতে পারেন।
সেটাই একজন ডাক্তারের করা উচিত, করার কথা। আগে হলে তাই করতেন। কিন্তু এখন ডাক্তারদের অবস্থা এমন হয়েছে, তিনি আপনাকে ছুঁয়েও দেখবেন না। সেই 'সিম্পল এমবিবিএস' ডাক্তারের আন্তরিক চেষ্টার পরও আপনি মারা যেতে পারেন। তখন আপনার সহকর্মীরা সেই ডাক্তারের বিরুদ্ধে ভুল চিকিৎসার অভিযোগ আনবে, তাকে মারধোর করবে, তার বিরুদ্ধে মামলা করবে, তার ক্যারিয়ার ধ্বংস করে দেবে। তারচেয়ে ভালো, আপনি বিনা চিকিৎসায় মারা যাবেন। সেই ডাক্তার এসে আপনার নাড়ি ধরে মৃত্যু নিশ্চিত করবেন। বলে তিনি একটু থামলেন ও হাসলেন; বললেন, আমার বলতেও খারাপ লাগছে, কিন্তু এটাই বাস্তবতা। কে হায়, ইচ্ছা করে ভুল চিকিৎসার দায় মাথায় নিতে চায়।
সেই ডাক্তারই শোনালেন, আরো অনেক গল্প। মৃত্যুপথযাত্রী এক রিকশাচালকের পরিবার তাকে, কোনো আশা নেই ও চিকিৎসার অর্থ নেই বলে হাসপাতাল থেকে নিয়ে যেতে চেয়েছিল। ডাক্তাররা দেননি। নিজেরা চাঁদা তুলে সেই রিকশাচালককে বাঁচিয়ে তুলেছেন। একজন মানুষকে বাঁচাতে পারার যে আনন্দ তা ম্লান হয়ে যায় সারাক্ষণ ভয়ে কুকড়ে থাকায়। এখানেই আমার দাবি, ডাক্তারদের সুরক্ষায় বিশেষ আইন দরকার। যাতে ডাক্তাররা নির্ভয়ে রোগীর চিকিৎসা করতে পারেন।
পুলিশের গায়ে হাত তোলা যেমন অপরাধ, ডাক্তারদের গায়ে হাত তোলাটাও ততটাই অপরাধ হিসেবে গণ্য করতে হবে। মাথার ওপর মারের ভয় নিয়ে ভালো চিকিৎসা দেয়া সম্ভব নয়। রোগী মারা গেলেই ডাক্তারের দোষ, ভুল চিকিৎসা; এ ধারণা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। হতে পারে সর্বোচ্চ চেষ্টার পরও রোগী মারা গেলেন। বা হতে পারে, সত্যি চিকিৎসাটা ভুল হয়েছে। হতে পারে ভুলটা অনিচ্ছাকৃত, আবার হতে পারে অদক্ষতা বা খামখেয়ালীপনা। যাই হোক, সেটা নির্ধারণ করে, ডাক্তারকে দোষী সাব্যস্ত করে, তাকে হাতকড়া পরিয়ে দেয়ার মত যোগ্যতা নিশ্চয়ই আমার-আপনার নেই। কিন্তু আমরা, এমনকি দেশের সেরা ডাক্তার এ বি এম আব্দুল্লাহর বিরুদ্ধেও ভুল চিকিৎসার অভিযোগ আনি।
তাহলে কি ডাক্তাররা অপরাধ করেও পার পেয়ে যাবে? না, আমি তেমন দাবি করছি না। বিশেষ সুরক্ষা আইন করার সাথে সাথে বিএমডিসিকে সচল, সক্রিয় করতে হবে। ডাক্তারদের বিরুদ্ধে কারো কোনো অভিযোগ থাকলে তিনি বিএমডিসিতে অভিযোগ করবেন। বিএমডিসি দ্রুত তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবে। সেই ব্যবস্থা সতর্কীকরণ, সার্টিফিকেট বাতিল থেকে শুরু করে ফৌজদারি মামলা পর্যন্ত হতে পারে। প্রয়োজনে বিএমডিসির সুপারিশে ডাক্তারদের গ্রেপ্তারও করা যেতে পারে। কিন্তু তাৎক্ষণিক ভুল চিকিৎসার দায় চাপিয়ে মারধোর করার প্রবণতা থেকে বেরিয়ে আসতেই হবে আমাদের। নইলে ভুল চিকিৎসায় না হলেও বিনা চিকিৎসায় মরতে হবে।
বিশেষ সুরক্ষা আইন করার কথা বলায় ফেসবুকে একজন বলেছিলেন, আইন সবার জন্য সমান। সবার সমান অধিকার। কিন্তু আমি কখনোই সমান অধিকারে বিশ্বাসী নই। আমি বিশ্বাস করি ন্যায্য অধিকারে। যার যতটুকু দরকার, রাষ্ট্র তাকে ততটুকুই দেবে। আইন সবার জন্য সমান হলে তো ১৮ কোটি মানুষের জন্য ১৮ কোটি গানম্যান লাগতো। যাদের প্রয়োজন, রাষ্ট্র শুধু তাদেরকেই গানম্যান দিচ্ছে। ডাক্তারদের পেশাটি বিশেষ, তাই তাদের জন্য বিশেষ সুরক্ষা আইন দরকার।
তবে পেশাটি যে বিশেষ সে বিষয়টি মনে রাখতে হবে ডাক্তারদেরও। সাধারণ মানুষ কেন তাদের ঈশ্বর না ভেবে প্রতিপক্ষ ভাবা শুরু করেছে, সেটা খুঁজে বের করতে হবে ডাক্তারদেরই। ডাক্তাররা কথায় কথায় প্রতিক্রিয়া দেখিয়ে, অতি স্পর্শকাতরতা দেখিয়ে, সমানে সমানে মারামারি করে, গালাগালি করে; নিজেদের বিশেষ মর্যাদার হানি করেছেন। বিশেষ পেশার মর্যাদা নিশ্চিত করতে হলে, ডাক্তারদের মেজাজ হতে হবে বরফের, নার্ভ হতে হবে ইস্পাতের। কেউ কিছু বললেই চট করে ক্ষেপে যাওয়া যাবে না। ঠাণ্ডা মাথায়, ভালো মেজাজে যতক্ষণ সম্ভব; ততক্ষণই রোগী দেখুন। আপনার কাছে তিনি হয়তো ৫০ নাম্বার রোগী। কিন্তু তার কাছে তো আপনি এক নাম্বার ডাক্তার।
ডাক্তারদের মারলে আপনারা যেমন প্রতিবাদ করেন, আমরাও করি। কিন্তু কদিন আগে যে এক ডাক্তার হাসপাতালে রোগীর ছেলেকে পেটালো, তার প্রতিবাদ করেছেন? এখানেই সমস্যা। কার্পেটের নিচে ময়লা রেখে সমস্যার সমাধান হবে না। দেখতে হবে দুই চোখে, কয়েনের দুই দিক। আত্মসমালোচনা করতে হবে। নিজেদের ভুলগুলো ধরতে হবে, শুধরাতে হবে। বুকে হাত দিয়ে বলুন, আপনারা ভুল করেন না, অপ্রয়োজনে টেস্ট দেন না, ঔষধ কোম্পানির কাছ থেকে কমিশন খান না। ডাক্তাররা আত্মসমালোচনায় নিজেদের শুদ্ধ করুন, আমরা আপনাদের হয়ে লড়াই করবো। আপনারা আমাদের চিকিৎসা দিন, আমরা আপনাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে মাঠে নামবো। প্লিজ আপনারা নিজেদের বিচ্ছিন্ন করে ফেলবেন না।
আমি আগেও বলেছি, ডাক্তাররা হলো আসল হিরো, সুপার হিরো। কারণ মানুষকে বাঁচানোর ক্ষমতা তাদের আছে। আমাদের মত আমজনতার কাছে ডাক্তার মানেই ঈশ্বরের পরেই তাদের স্থান। আপনারা সেখানেই থাকুন। আমরা আপনাদের মাথায় তুলে রাখবো। গালির জবাবে গালি দিয়ে, মারের বদলে মার দিয়ে আপনারা নিজেদের সম্মানের উচ্চ আসন থেকে আমাদের কাতারে নামাবেন না।
এইচআর/জেআইএম