ভিডিও EN
  1. Home/
  2. মতামত

ডাকসু- প্রথা ভাঙার গল্প না ক্ষোভ

সাখাওয়াত হোসেন | প্রকাশিত: ০৪:৪৭ পিএম, ১৪ মার্চ ২০১৯

গত ১১ মার্চ দীর্ঘ ২৯ বছর পর ডাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ডাকসু মূলত সাধারণ শিক্ষার্থীদের দাবি-দাওয়া আদায়ের কাঙ্ক্ষিত মঞ্চ। দীর্ঘ বছর নির্বাচনশূন্য থাকার কারণে সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের দাবি-দাওয়া জমতে জমতে পাহাড় হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংগঠনগুলো যে লক্ষ্য নিয়ে গড়ে উঠেছিল তা থেকে তারা ক্রমেই দূরে সরে গেছে।

সাধারণ শিক্ষার্থীদের দাবি-দাওয়া, অধিকার আদায়ের জন্য লড়াই করার কথা থাকলে বাস্তবতা ভিন্ন। কোন ছাত্র সংগঠনকেই তার দলীয় ইচ্ছার বাইরে গিয়ে কিছু করতে দেখা যায় না। ফলে সাধারণ শিক্ষার্থীরা পড়ে চরম বিপাকে। বছরের পর বছর বিশ্ববিদ্যালয়ে নানাবিধ সমস্যায় জর্জড়িত সাধারণ শিক্ষার্থীরা। আবাসন সমস্যা, ক্যান্টিনে মানহীন খাবার,পরিবহন সমস্যা কত কি!

কতগুলো ছাত্রসংগঠন অথচ তাদের হয়ে দাবি-দাওয়া, অভাব অভিযোগ নিয়েও কথা বলার কেউ নেই। সবাই ব্যস্ত আখের গোছাতে। কেউ নেতা বন্দনায়, কেউবা টেন্ডারবাজিতে আবার কেউ ব্যস্ত চাঁদাবাজিতে। এসব দেখে সাধারণ ছাত্রছাত্রীরা অতিষ্ঠ।

ফলে এন্টি ছাত্রলীগ সেন্টিমেন্ট আর আই হেইট পলিটিক্স মিলে এতই জঘন্য হয়ে গেছে যে, ভোট দেয়ার পরে অনেক শিক্ষার্থী স্বতন্ত্রদের ইশতেহার দেখেছিল। তার মানে দাঁড়ালো যে যোগ্যতার বিচারে ভোট তারা দেয়নি। বিশেষ করে ছাত্রীরা কেন ছাত্রলীগে ভরসা রাখেনি? নির্বাচনের পরদিন এক ছাত্রলীগ নেত্রী আড্ডায় অনেকগুলো কারণ ব্যাখ্যা করেন।

১. ছাত্রলীগের এই দিন দেখার জন্য সম্পূর্ণ দায় ছাত্রলীগের ওপর বর্তায়। হলে জনপ্রিয়তা বাড়ানোর যথেষ্ট সুযোগ থাকার পরও বিভিন্ন সময়ে গুজবের হোতা হয়ে আর অভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারণে জনপ্রিয়তা বাড়াতে তারা ব্যর্থ হয়।
২. হলের নেতা হলেই তারা গণরুমের মেয়েদের দিয়ে যদি পারসোনাল তেল মালিশের কাজ করায় তাহলে গণরুমের মেয়েদের ভেতরে ক্ষোভ পুঞ্জীভূত হওয়াই স্বাভাবিক। কবি সুফিয়া কামাল হল এর অন্যতম উদাহরণ।
৩. নেতা হওয়ার পরই নন-পলিটিক্যাল/জেনারেল মেয়েদের সাথে কোনরকম ভদ্রতার খাতিরেও যোগাযোগ না রাখা বা জেনারেল মেয়েদের বিপদে আপদে এগিয়ে না আসা।
৪. কেউ কেউ ব্যক্তিগতভাবে খারাপ ব্যবহার করতে পছন্দ করেন। তারা ভুলে যান, যেই বিশ্ববিদ্যালয়ে তারা চান্স পেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের নেত্রী হয়েছেন; সেই বিশ্ববিদ্যালয়ে সবাই চান্স পেয়েই এসেছে, এখানে কেউ কারো অধিভুক্ত নয়, সর্বোচ্চ অনুসারী হতে পারে।

৫. ছাত্রলীগের আগেকার কুকর্মের ফসল। গত কমিটির চরম ব্যর্থতার কারণে ছাত্রলীগ দুর্নাম অর্জন করতে পেরেছে, যা কারো অজানা নয়। এই সুযোগটা নিয়েছে "I hate politics" প্রজন্ম, শিবিরের মুখোশে কিছু সুযোগসন্ধানী।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের যেসব ছাত্রছাত্রী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস আর ঐতিহ্যকে পিছনে ফেলে, মূল সংগঠনগুলোর বাইরে গিয়ে নুরকে ভিপি হিসেবে নির্বাচিত করেছেন, তারা যে হুট করেই তা করেছেন তা নয়। তারা আদর্শচ্যুত হয়েছেন তাও বলা যাবে না। তবে এই প্রথা ভাঙার গল্প, এই নতুনত্ব বিশেষ বার্তা বহন করছে তা বলাই যায়। সময়ের কাছে অপেক্ষা করতে হবে সঠিক না ভুল তার উত্তর পাওয়ার জন্য।

নুরুল হক নুর আগামীর নেতা কিনা কিংবা তার মাঝে লুকিয়ে থাকা আগামীর সম্ভাবনাময় তুখোড় নেতা রয়েছে কিনা তা বিচার করার সময় এখনো আসেনি। তবে এবারের ডাকসু নির্বাচনে কোন ডাকসাইটে প্রার্থী না থাকলেও সবাই মেধাবী ছিলেন। কেউ কোটা আন্দোলন থেকে উঠে এসেছেন, কেউ বা দলীয় আস্থা অর্জন করে নেতা হয়েছেন। এর মাঝে নুর আবার ভিপিও হয়ে গেলেন! প্রশ্ন হলো, সাধারণ ছাত্রছাত্রীরা দলীয় প্রার্থীদের বাদ দিয়ে কেন নুরকে ভিপি হিসেবে বেছে নিলেন?

বিগত বছরগুলোতে সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের মুখপাত্র হয়ে ওঠার চেষ্টা কখনোই কেউ করেনি। নুর সেই পদটি পেয়ে যায় হঠাৎ করেই। কোটা আন্দোলন সাধারণ শিক্ষার্থীদেরই আন্দোলন ছিল। সেই আন্দোলনে ছাত্রলীগও ছিল, নুর ছিল তাদেরই অংশ। কিন্তু কিছু ক্ষেত্রে দ্বিমতের কারণে ছাত্রলীগ সেই আন্দোলন থেকে সরে এলেও নুর থেকে যায়। হয় নুর বেশ সাহসী হয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল কিংবা সুযোগ পেয়ে নেতৃত্বের স্বাদ গ্রহণে আগ্রহী হয়ে উঠেছিল। যাই হোক, নুর বেশ দক্ষতার সাথে একটি আন্দোলনকে নেতৃত্ব দেয়।

কোটা আন্দোলন করতে গিয়ে নুর দলের বিপক্ষেই শুধু অবস্থান নেয়নি, মার খেয়েছে, জেলও খেটেছে। ফলাফল, কোটা পদ্ধতির সংস্কার হয়েছে। এরই প্রত্যক্ষ প্রভাব পড়েছে ডাকসু নির্বাচনে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা তাদের দাবি-দাওয়া আদায়ে নুরকে তাদের যোগ্য মুখপাত্র মনে করে ভিপি নির্বাচিত করেছে।
সাধারণ ছাত্রছাত্রীরা মূল সংগঠনগুলোর ওপর তাদের দীর্ঘদিনের রাগ, ক্ষোভ ও বঞ্চনার জবাব দিয়েছেন ভোটের মাধ্যমে।

নুরুর এই শক্ত অবস্থানের পিছনে ছাত্রলীগের ভিতরে লুকিয়ে থাকা শিবিরের ষড়যন্ত্র ও মদদের অবদানও কম নয়। অস্তগামী সূর্যের মতো ছাত্র ইউনিয়ন ও খর্বশক্তির ছাত্রদলের নিষ্প্রভ উপস্থিতিও তাকে সুবিধাজনক অবস্থানে পৌঁছতে সাহায্য করেছে। যে সুবিধা নুর গত দেড় বছর ধরে পেয়ে এসেছে এবং দক্ষতার সাথে কাজে লাগিয়েছে। সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের ভোট, ছাত্রলীগবিরোধী ও পরাজিত শক্তির ভোটও নুরর বাক্সে জমা পড়েছে। এখানেই কৌশলী নুরুর কৃতিত্ব।

ডাকসুর নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরই মূলত নুর আলোচনায় আসে। সাধারণ শিক্ষার্থীরা,পরাজিত শক্তি নুরতে আশ্রয় খুঁজে নেয়। নুরও সেই সুযোগের যথার্থ ব্যবহার করে। ছাত্র ইউনিয়ন নেতা লিটন নন্দী, ছাত্রদলের অনিকরা যখন নুরুর পাশে দাঁড়ায়, পিঠ চাপড়ে দেয় তখন আর সমীকরণ বুঝতে বাকি থাকে না। আওয়ামী হাইকমান্ড নুরকে নিজেদের গাছের ফল মনে করে নিজেদের জন্য বিপদ না ভেবে বরং মঙ্গলই মনে করে। নইলে যে নুর কোটা আন্দোলনের সময় দৌড় খেয়েছে, মার খেয়েছে, জেল খেটেছে সেই নুর একবারে নির্বিঘ্নে নির্বাচনের মাঠ চষে বেড়িয়েছে।

জাতীয় নির্বাচন শেষ হয়েছে তিন মাসও হয়নি। পরাজিত শক্তি যেন নানারকম মেরুকরণের মাধ্যমে ডাকসু নির্বাচনে প্রবল প্রতিপক্ষ হয়ে না ওঠে সেদিকে নিশ্চয়ই আওয়ামী হাইকমান্ডের নজর ছিল। তারা যখন দেখল সবাই নুরকে নিয়ে মগ্ন তখন তারা বিরাট কোন মেরুকরণের সম্ভাবনা থেকে বেঁচে গেল, হাফ ছেড়ে বাঁচলো। কিন্তু তাদের হিসাবে ছিল না নুর ভিপি হিসাবে জয়লাভ করবে! ঐদিকে পরাজিত শক্তিরা নুরুতে ভর করে পুরো নির্বাচনী ফায়দা লোটার স্বপ্নে বিভোর হয়ে পড়লো।

পরাজিত শক্তিরা ভেবেছিল নুরুতে ভর করে নির্বাচনী বৈতরণী পার হবে। কিন্তু তাদের সে আশা পূরণ হয়নি। ঢাবির সাধারণ ছাত্রছাত্রীরা ডাকসুর সবচেয়ে প্রভাবশালী পদে নুরুকে নির্বাচিত করলেও অন্য ফাঁদে পা দেয়নি। তারা বঙ্গবন্ধুর আদর্শ থেকে দূরে সরে যায়নি, ছাত্রলীগকে বর্জন করেনি।

ছাত্রলীগ হল সংসদের ১২ টি পূর্ণ প্যানেলে বিজয়ী হয়েছে, বাকি ৬ হলে স্বতন্ত্র ও ছাত্রলীগ আংশিক বিজয়ী হয়েছে। তার অর্থ তারা ছাত্র ইউনিয়ন ও ছাত্রদলকে বর্জন করেছে। ভোটের হিসাবে তাদের কোন অবস্থানই নেই। ভারসাম্যতা রক্ষার নামে সাধারণ শিক্ষার্থীরা নুরুকে নির্বাচিত করে ঠিক না ভুল করেছে তা দেখার জন্য অপেক্ষা করতে হবে।

নুরুকে শিবির বানিয়ে শিবিরকে যারা জাতে তুলছে তারা আর যাই হোক ছাত্রলীগ তথা আওয়ামী লীগের মঙ্গল চায় না। তারা প্রকৃতপক্ষে শিবিরকে ডাকসু নির্বাচনে বড় নিয়ন্ত্রক হিসেবে দেখাতে ব্যস্ত। নুরুর বিজয়ে দিশেহারা না হয়ে বরং নিজেদের আত্মশুদ্ধিতে ব্যস্ত হওয়া উচিত। খুঁজে বের করা উচিত কেন আওয়ামী লীগ এর টানা ক্ষমতা ও চারদিকের জয়জয়কারও ডাকসু নির্বাচনে ভিপি পদে জয়ের নিশ্চয়তা দিতে পারেনি? কেন সাধারণ শিক্ষার্থীদের নুরুতে মুগ্ধ হতে হলো?

সাধারণ ছাত্র ছাত্রীদের সাথে ছাত্রলীগের নেতা কর্মীদের দুর্ব্যবহার, প্রতারণা, প্রবঞ্চনা, দাদাগিরি সুলভ আচরণ নুরুর দিকে ঝুঁকতে বাধ্য করেছে। তাই সাধারণ শিক্ষার্থীরা মন্দের ভালো হিসাবে যোগ্যতায় তুলনামূলক পিছিয়ে থাকা একজনকে বেছে নিয়েছে। মন ও মননে যখন সবার সুবিধাবাদের শ্লোগান তখন কাউকে শিক্ষা দিতে গিয়ে, কাউকে উপযুক্ত জবাব দিতে গিয়ে, কারো উপর প্রতিশোধ নিতে গিয়ে মাঝখান থেকে কেউ সুবিধাভোগ করবে এটাই স্বাভাবিক। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ছাত্রসংগঠনগুলো বিশেষকরে ছাত্রলীগ নুরুর এই নতুন শুরুর মধ্যে থেকে নতুন করে শিক্ষা নিলেই মঙ্গল।

বাংলাদেশের দ্বিতীয় সংসদ নামে পরিচিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ এর গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস ও ঐতিহ্যের সাথে জড়িয়ে আছে ডাকসাইটে যত নাম। স্বাধীনতাপূর্ব ডাকসুর ভিপি ছিলেন রাশেদ খান মেনন, তোফায়েল আহমেদ, আ স ম আবদুর রবসহ কিংবদন্তীতুল্য সব নাম। স্বাধীন বাংলাদেশে ডাকসুর ভিপি হিসেবে প্রথম নাম লেখান মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম। তারপর এক এক করে মাহামুদুর রহমান মান্না, আখতারুজ্জামান,সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমেদ ও আমান উল্লাহ আমান নির্বাচিত হোন। এসব নামের পাশে মোঃ নুরুল হক নুর বড়ই সাদামাটা ও বেমানান। তারপরও নুরুর অর্জনকে খাটো করে দেখার সুযোগ নেই আপাতত। যদিও তার ব্যক্তিত্ব নিয়ে যথেষ্ট আলোচনার দাবি রাখে।

যারা ছাত্রলীগকে ঠেকাতে গিয়ে ছাত্র ইউনিয়ন ও ছাত্রদলকেও কোন প্রকার বিবেচনায় না গিয়ে নুরুর জয়ে মনের সুখে বগলে তালি বাজাচ্ছেন। নিজেরা যে নাই হয়ে গেছে তার খবর নাই। একেই বোধহয় বলে 'নিজের নাক কেটে পরের যাত্রা ভঙ্গ করা'। কিন্তু পরিতাপের বিষয় হচ্ছে তারা শুভযাত্রায় খানিকটা ছন্দপতন ঘটাতে পারলেও যাত্রা ঠেকাতে পারেনি। নুরুর জয়ে শিবির তথা পরাজিত শক্তিরা কিছুটা হাসির রসদ পেলেও তারা মূলত খেটেখুটে ছাত্রলীগের একজন কর্মী বা নেতাকেই জিতিয়েছে। নূরুল হক নুর হাজী মুহাম্মাদ মহসিন হলে ছাত্রলীগ হল শাখা কমিটির উপ মানব সম্পদ উন্নয়ন সম্পাদক ছিলেন। তাই তফসিল ঘোষণার পর নির্বাচন পর্যন্ত যেমন কোন কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়নি তেমনি নির্বাচনের ফল প্রকাশের পরের দিন টিএসসিতে ধাওয়া খেলেও তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছাত্রলীগ সভাপতি রেজওয়ানুল হক শোভন কর্তৃক অভিনন্দিত হয়েছেন। গোলাম রব্বানীও বলেছেন, 'নুরু আমার ছোট ভাইয়ের মতো, আমার সাথে রাজনীতি করতো'।

নুরুকে অভিনন্দন জানিয়ে শোভন যে ভাবে বরণ করে নিলেন তা শুধু অসাধারণই ছিল না নতুন কিছুর বার্তাও দিয়েছে। যা প্রচলিত রাজনৈতিক শিষ্টাচারে বড়ই বিরল। এখানেও ছাত্রলীগ তথা দলের হাইকমান্ড যথেষ্ট দক্ষতার পরিচয় রেখেছেন। নুরু -শোভনের কোলাকুলি, একসাথে কাজ করার অঙ্গীকার হাইকমান্ডের ইচ্ছারই যে প্রতিফলন তা বোঝার আর কেউ বাকি নেই।

নুরু মেধাবী শিক্ষার্থী হলেও ডাকসাইটে নেতা হওয়ার যোগ্যতা এখনও অর্জন করেনি। কৌশলী নুরু মন মননে সুবিধাবাদের লালন করে নিজের আখের গোছাবেন নাকি সাধারণ শিক্ষার্থীদের যোগ্য মুখপাত্র হয়ে উঠবেন তা সময়ই বলে দিবে।

ছাত্রলীগে যখন কেউ রাজনীতি করতে আসে তার দায়িত্ব অনেক বেড়ে যায় কারণ ছাত্রলীগ বাংলাদেশের জাতির পিতা শেখ মুজিবের নিজের গড়া সংগঠন। যখন কোন ছেলে/মেয়ে ছাত্রলীগের পতাকার নিচে অপকর্ম করে তখন দায় বর্তায় সমগ্র ছাত্রলীগের উপর। কিন্তু এখানে কেউ অপকর্ম করলে, তাকে বহিষ্কার করেই খালাস । তার যথাযত শাস্তি আমরা পেতে দেখি একদম কম। এর ফলে সাধারণ শিক্ষার্থী সর্বোপরি দেশের সাধারণ জনগণের ক্ষোভ দিনদিন বাড়ছে। "

ছাত্রলীগ হ্যান করেছে ত্যান করেছে" এসব বুলি কপচায়ে আসলে এখন আর কোন লাভ নেই বলেই মনে হয়। সময় কিন্তু এখন ছাত্রলীগকে পরিষ্কার করার, অতীতের বুলি না আওড়িয়ে নতুনভাবে ভাল কাজের দৃষ্টান্ত স্থাপন করে, ঐতিহ্যবাহী একটা ছাত্র সংগঠনকে ধরে রাখা কি খুব কঠিন?

লেখক : গণমাধ্যমকর্মী ও শিক্ষার্থী ঢাবি টেলিভিশন, ফিল্ম ও ফটোগ্রাফি ডিপার্টমেন্ট।

এইচআর/পিআর

আরও পড়ুন