কৃতজ্ঞ পল আন্কা, কৃতঘ্ন সন্তান এবং জনবান্ধব পুলিশিং
পল আন্কা কানাডার মানবীয় গুণী শিল্পী। তিনি একাধারে গীতিকার, শিল্পী ও অভিনেতা। পল তাঁর পিতা মাতার স্মরণে রচনা করেছেন, একাধিক গান, করেছেন একাধিক কনসার্ট। তাঁর "পাপা" শিরোনামে গানটি আজ বিশ্বে হৃদয় নিঙড়ানো গানের মধ্যে একটি। পল বিশ্বে অগুণিত হতাশাচ্ছন্ন প্রবীণদের পাশে থেকে বিভিন্ন সংগঠনের সমন্বয়ে প্রবীণদের বাঁচার সাহস যুগিয়ে চলেছেন।
পৃথিবীর সবচেয়ে চৌম্বকীয় নিখাদ স্বর্গীয় ভালোবাসা মাতাপিতা ও সন্তানের। প্রাণিকুলের শিরোমণি মানব, "সভ্যতার" ক্রমবিকাশের সাথে সাথে যৌথ পরিবারে বাস করে প্রাচীন,মধ্যযুগ পেরিয়ে আধুনিক যুগের যান্ত্রিক সভ্যতায় এসে সোস্যাইটি প্রথার হাইটেক জিনিয়াসে সন্তানেরা হয়ে পড়েছে আত্মকেন্দ্রিক ও চরম স্বার্থপর। সন্তানেরা পিতা মাতার মমত্ববোধকে দুর্বলতা ভেবে কখনো শাসন, কখনো শোষণ করে। কারণ আজ সে আধুনিক পরিবারের রূপকার বৃদ্ধাশ্রমের জন্মদাতা।
যুগে যুগে কবি সাহিত্যিক, শিল্পী বরেণ্য ব্যক্তিত্বরা তাঁদের সৃজিত কর্মে পিতা মাতাকে পরম শ্রদ্ধায় সৃষ্টিকর্তার পরেই আসীন করেছেন। সকল ধর্মেই পিতা মাতা সন্মানিত। এমন কোনো পবিত্র ধর্মগ্রন্থ নেই, মাতা পিতাকে অশ্রদ্ধা কিংবা অবজ্ঞা করা হয়েছে।
জগতপূজ্য ইরানী সুফী সাধক হযরত বায়েজিদ বোস্তামি মায়ের পিপাসা নিবারণে অনেকদূর ঝর্না হতে পানি এনে পাত্র হাতে পরম শ্রদ্ধা মমতা ও কর্তব্যে ঘুমিয়ে থাকা মায়ের শিয়রে সারারাত দাঁড়িয়ে ছিলেন। পাছে জাগানো হলে ঘুমিয়ে থাকা মায়ের ঘুমে ব্যাঘাত হবে তাই! ভোর বেলা মা জেগে দেখে,ছেলে পানির পাত্র হাতে শিয়রে দাঁড়িয়ে আছেন!
মা দোয়া করে বলেছিলেন- "খোদার বরকতে তুমি জগতপূজ্য হও"।
ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর মায়ের টেলিগ্রাম পেয়ে ইংরেজ কর্তার কাছে ছুটি না পেয়ে চাকরি ইস্তফা দেন। ছিলো বর্ষাকাল, আকাশ ঘন অন্ধকার, মুষলধারে বৃষ্টি, উত্তাল খরস্রোতা দামোদর নদী। নদীঘাটে বিদ্যাসাগর এসে দেখলেন, খেয়ানৌকা বন্ধ।
বিদ্যাসাগরের মনে একটামাত্র চিন্তা, মায়ের আদেশ পালন করা। "মা" চিৎকার দিয়ে উত্তাল রগদামোদর নদীতে ঝাঁপিয়ে পরে নির্বিঘ্নে পেরিয়ে গেলেন দামোদর নদী। বর্ণনাগুলো নিছক রুপকথা নয়, চিরস্মরণীয় সত্যি।
আমাদের ছেলেবেলায় বিভিন্ন বাড়ি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে, এমনকি হাতপাখায় সুঁই সূতোর কারুকাজে দেখতে পেতাম-
"মা নাই গৃহে যার,সংসার অরণ্য তার,দেখিলে মায়ের মুখ,ঘুচে যায় সব দুঃখ"
এখন আধুনিক যুগের অমানবিক সমাজ ব্যবস্থা, যান্ত্রিক সভ্যতার কষাঘাতে, অতিরিক্ত ভোগবাদী চিন্তা, ব্যক্তিত্বের সংঘাত, বাণিজ্যিক চিন্তন,অবিমৃষ্য আচরণ কেড়ে নিয়ে গেছে, আমাদের এতোদিনের গর্ব, যৌথ পারিবারিক ব্যবস্থা, মাতা পিতার প্রতি চলে আসা যুগের অহংবোধে শ্রদ্ধা,ভালোবাসা, মানবীয় আচরণ, এমনকি বাবা, মা শব্দটি! সুখের মরীচিকামায়ার পিছু নিয়ে অচিন দেশে পালিয়ে যাচ্ছে মানবীয়তা ও সাম্য।
মানব সভ্যতার চরমশিখরে পদার্পণ করে ও আজ বিশ্বব্যাপী গুণধর সন্তানেরা প্রতিযোগিতায় নেমেছেন, কতো তাড়াতাড়ি তাদের মাতা পিতাকে অমানবিক জেলখানা সদৃশ: বৃদ্ধাশ্রমের প্রকোষ্ঠে বন্দী রাখা যায়? বন্দী রেখে কৃত্রিম ভোগবিলাসে মত্ত থেকে পিতা মাতার ঋণ শোধ করা যায়? অভিজাত বৃদ্ধাশ্রম /হোমের অহংবোধে কিটি পার্টি, পানশালা, ক্লাব,বিলিয়ার্ড রুমে বাঁকা হাসিতে বন্ধুদের সাথে সোস্যাইটি স্মার্ট বয় উপাধি লাভ করা যায়। আরো কতো কি?
গুণধর পুত্র,পরিবার পরিজন এখন বৃদ্ধাশ্রম, হোমের মালিক/ম্যানেজমেন্ট কে এমন শর্তে জর্জরিত করেন,যা এখনো অভিধানে নেই। এমনকি মৃত্যুর সংবাদ ও তাদের কাছে হোমের জানানো নিষেধ। পাছে ঐ দিনে পরিবারের কারো শুভ কাজ,পরীক্ষা,বিদেশ ভ্রমণে প্রভাব পড়ে? নিবাস কর্তৃপক্ষ ছেলে পুলে পরিবার পরিজনদের অমানবীয় সিদ্ধান্তে অনেকাংশে খুশি। কারণ হতভাগ্য নিবাসীদের যতো তাড়াতাড়ি মৃত্যুর টিকেট দিতে পারেন তাই! বৃদ্ধাশ্রম বাণিজ্যিক ভাবনায় ভাবিত হবেই। তাদের তো ব্যবসা। যন্ত্রণায় যাচ্ছেতাই মৃত্যুর পরের সৎকার পর্যন্ত আগেই পরিশোধ করা।
আমার জানামতে এশিয়া বাদই দিলাম, মানবাধিকার বুৎপত্তির শেকড় বাকল জড়ানো তাবড় দেশের হতভাগ্য নিবাসীরাও পরিবার পরিজন ছাড়া কতোটা ভালো সময় তিমির রজনীতে কাটান,তা আমার জানা নেই?
বৃদ্ধাশ্রমের নিবাসীরা পরিবার পরিজন,আত্মজা ছেড়ে অনাদর অবহেলা অপমানে কোন প্রকারে প্রাণ বায়ুটা নিয়ে "আত্নহত্যা মহাপাপ " বাক্যে থিতু করে পরিবারের কোন বিশেষ আপনজনের স্মৃতি বুকে চেপে বৃদ্ধাশ্রমে আসেন। নিবাসের অর্বাচীন খাবারগুলো বেঁচে থাকার নিয়মে অভিযোগ, অনুযোগ ছাড়াই খেয়ে নেন। তাঁর মতো অন্য পরিবারের অস্পৃশ্য নিবাসীরাও একসাথে নীরবে কেঁদে নেন।
তবু ও তাঁরা আশায় বুক বাঁধেন,হয়তো কোনো একদিন,আত্মজা,পরিবারের লোকজন নিয়ে যাবেন, দেখা পাবেন, পরিবারের ভালোমন্দ জানতে পারবেন। নিবাসীরা অসহ্য কষ্টের মাঝে ও তাঁদের আত্নজা,বউ মা প্রতিবেশী, গুণধর বংশধরদের বংশরক্ষার প্রতিদিন শুভ কামনা করেন, চিন্তা করেন, প্রার্থনা করেন।
আমাদের পাশের দেশে ও বৃদ্ধাশ্রমের /নিবাসের রমরমা ব্যবসা প্রকট হচ্ছে। সমাজের নিম্নবিত্ত মধ্যবিত্তরা ও বৃদ্ধাশ্রম সংস্কৃতি হতে পিছিয়ে নেই। নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্তরা একটা সময়ে হাজারো কষ্টের মাঝে পিতা মাতার ভরণ পোষণ নস্যি মনে করলে ও এখন তথাকথিত আধুনিক মরীচিকা সুখের মোহে এ দু শ্রেণির সংসারে ও প্রবীণরা হয়ে উঠেছে,চক্ষুশূল!
কপর্দকহীন বৃদ্ধ মাতা পিতা এখন সন্তানের কাছে পাথরসম ভারী। কেউ তাঁদের ভার বইতে পারছেন না। অশীতিপর এসব প্রবীণদের কখনো ঠাঁই হচ্ছে, মেয়ের বাড়ি, প্রতিবেশী, হৃদয়বান কিংবা কোনো সংগঠনের কাছে। তবু ও যদি (নিজেরা নিজেদের) দেখভাল করতে পারেন।
যদি না পারেন, একটু চিন্তা করে দেখুন তো? কনকনে ঠাণ্ডায় জবুথুবু হয়ে প্রবীণদের কি অবস্থা?এনাদের দেখতে পাবেন,কনকনে ঠাণ্ডার শীতে, গ্রীষ্মে,বর্ষায় ঘরের বারান্দা, চিলেকোঠায়, ঢেঁকি ঘরে,কাছারি, এমন কি গরুঘরে। কি নির্মমতা! তবু ও এঁনারা সহাস্যে কথা বলেন।
এঁনারা কোটরাগত চোখ,কুঁকড়ানো ঝুলে পরা গাল,হাড্ডিসার দেহ,অনেকদিন উপোস থেকে ও কোনো অভিযোগ, অনুযোগ জানান না। এঁনারা পরিবারের সুখে গর্ব করেন,আত্নজা বাড়িতে আসতে দেরি হলে কান্না করেন,খেয়েছে কিনা জিজ্ঞেস করেন? অসুখে প্রার্থনা করেন,এমন কি সম্রাট বাবর পুত্র হুমায়ুনের রোগমুক্তির ব্যর্থ হেকিমের পর নিজের জীবন আল্লাহ কে সমর্পণ করে পুত্রকে সুস্থ করে প্রতিক্ষণে "জীবন বিনিময় " কবিতা রচনা করেন।
এঁনারা ছেলে পুলে,নাতি নাতনী,বউমাদের তর্জন গর্জন,অবহেলা সহাস্যে মেনে নেন, নিজ ভূমে পরবাসী থেকে ও কোথাও যেতে চান না। এখন নিম্নবিত্ত, মধ্যবিত্তরা তাদের, পিতা মাতাদের আর্থিক দৈন্যদশার কারণে বৃদ্ধাশ্রমের বৈতরণী পাড়ি না দিলেও তারা আরো অমানবিক হয়ে পিতা মাতাদের নিয়ে ফেলে দিচ্ছেন, রাস্তায়, ট্রেন, বাস স্টেশন, বন বাদাড়, নির্জন স্থানে। যা ইত্যবসরে কিছু মিডিয়া কভারেজ দিয়েছে। (তাঁদের অশেষ ধন্যবাদ) বাকি অসহায় মাতা পিতা কখন কোথায় কিভাবে অগস্ত্যযাত্রায় শামিল হচ্ছেন, বা হবেন এঁনাদের খবর কে রাখে?
আমাদের দেশে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার প্রবীণদের কল্যাণে পিতা মাতার ভরণ পোষণ আইন, বয়স্ক ভাতা চালু রাখায় গুণধর ছেলে, ছেলের বউ, টাকার টানে ও জেলের ভয়ে কিছুটা ম্রিয়মান হলে ও এঁনাদের প্রতি হিংসা, নির্মমতা, অবহেলা, শাসন,তর্জন গর্জন, অশ্রদ্ধা, খিস্তি খেউড় কিন্তু বন্ধ হয়নি।
আমাদের দেশের গ্রাম, শহর, উপশহর প্রায় সবখানেই বৃদ্ধাশ্রম/হোম ছোট পরিসরে হলে ও গড়ে উঠেছে ক্রমাগত। মানছি পরিবারের কেউ নেই, কিংবা সবাই বিদেশ, দেখভাল করার নিদেন পক্ষে কেউ নেই, ভিন্ন কথা, নিবাসীরা আগ্রহ প্রকাশ করেছে?
কিন্তু যেভাবে অন্যান্য দেশের সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে,হোম /বৃদ্ধাশ্রম সংস্কৃতি? পারিবারিক, সামাজিক অস্থিরতা? যান্ত্রিক সভ্যতার কষাঘাতে, বিকৃত অতিরিক্ত ভোগবাদী চিন্তা, ব্যক্তিত্বের সংঘাতে অদূর ভবিষ্যতে মানবীয়তা, সাম্যবোধ চলে যাবে একেবারে তলানীতে।
প্রচলিত পুলিশিং ব্যবস্থাপনার পাশাপাশি জনবান্ধব পুলিশিং বর্তমানে বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে সমাজের তাগিদে সুচারুরূপে কাজ করে চলেছেন। জনবান্ধব পুলিশিং সফল ব্যক্তিত্ব, পুলিশ সুপার,গাজীপুর,শামসুন্নাহার পিপিএম তাঁর ঋজু ব্যক্তিত্বে, চিন্তন,মনন, প্রজ্ঞার সমন্বয় করে আত্মোপলব্ধিতায় সুদুরপ্রসারী বহুমাত্রিক সামাজিক সমস্যা চিহ্নিত করে প্রবীণ দিবসের প্রতিপাদ্যের পাশাপাশি পিতা মাতার ভরণ পোষণ আইনের যথাযথ প্রয়োগে কাজ করে চলেছেন,অবিরত। মানবীয় সমাজ ব্যবস্থাপনার তাগিদে জনগণের পরস্পর সহমর্মিতা, বিশ্বাস,আস্থা,শৃঙ্খলার তাগিদে সমাজ হতে চিরতরে অমানবীয় পৃথিবীজুড়ে থাকা দৈত্যের মূলোৎপাটন করার তাগিদে প্রতিদিন তাঁর বীক্ষণে স্থান পাচ্ছে, মাদক, বাল্যবিবাহ, যৌতুক, ইভটিজিং, জঙ্গিবাদ, জেন্ডার সমতায় নারীদের আত্নমর্যাদা, প্রবীণ ও শিশুদের নিরাপদ জীবন। প্রবীণদের আত্নমর্যাদা রক্ষা ও নিরাপদ জীবনের তাগিদে চালিয়ে যাচ্ছেন সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলন। আজ সে সামাজিক আন্দোলন ছড়িয়ে পড়েছে সমাজের সবখানে।
আমাদের দেশ এখন পিছিয়ে নেই। জাপানীরা পারলে আমরা পারবোনা কোনো? এক সময়ে জাপানীরা অভাবের /সামাজিক রীতিনীতির কারণে চলৎশক্তি হারানো প্রবীণদের তাদের ছেলেরা পিঠে নিয়ে পাহাড়ের নিচে ফেলে দিতেন। পিঠে থেকে সন্তানের এ অমানবীয় কাজের জন্যে শাস্তি হিসেবে বাবা, মা হাতে খড় খুটো, কিংবা ছোট গাছের ডাল দিয়ে প্রহার করতেন। পাছে যদি সন্তানের অমঙ্গল ঘটে! আজ বিশ্বে মানবীয় আচরণে জাপানীরা এগিয়ে। প্রবীণদের জাপানে এখন সবচেয়ে বেশি সন্মান জানানো হয়। জাপান যান্ত্রিক উৎকর্ষতায় ক্রমাগত বিশ্বশাসন করলেও মানবীয়তার সুশীতল ছায়াতলে একাট্টা হয়ে প্রবীণদের কল্যাণে কাজ করে চলেছেন।
আসলে এ জগতে খারাপ বাবা মা খুঁজে বের করা কষ্টসাধ্য বটে! মা মাকড়শার মতো সহাস্যে জীবন বিলিয়ে দেন। এঁনাদের একটাই চিন্তা সন্তানের সুখ,সমৃদ্ধি শান্তি।
আমাদের দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে সূচক ক্রমশ: উর্ধ্বমুখী। শিক্ষা,চিকিৎসা সেবার হারে ঈর্ষণীয় সাফল্য। কৃষি,শিল্প,বিনিয়োগ, সমুদ্র, রেমিটেন্স,মহাকাশে সাফল্যের কেতন উড়ে চলেছে। বিশ্বমানের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি এখন হাতের মুঠোয়। অচিরেই উন্নত দেশের কাতারে প্রবেশ করতে যাচ্ছি।
শিশু বেলা হতে সবাই বাবা মায়ের হাতে ধরে দাঁড়িয়ে জীবন ভেলায় চড়ে হাঁটি হাঁটি পা পা করে এগিয়ে জীবন বাঁকের ভয়ংকর ঘূর্ণিটা পেরিয়ে নিরাপদ জীবনে থিতু হয়ে ভেলার সহযাত্রী অশীতিপর কাণ্ডারীদের ছুঁড়ে ফেলে না দিয়ে, কৃতঘ্ন না হয়ে নিজ নিজ অবস্থান হতে জনবান্ধব পুলিশিং ব্যবস্থাপনার সফল ব্যক্তিত্ব পুলিশ সুপার গাজীপুর, শামসুন্নাহার, পিপিএম এঁর উদাত্ত মানবীয়, সাম্যের আহ্বানে সাড়া দিয়ে, সম্মিলিত মানবীয় আচরণে পরিবর্তন এনে, একজন জগতপূজ্য সুফী সাধক হযরত বায়েজিদ বোস্তামি কিংবা ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর উপহার দিতে না পারলেও অন্তত: অশীতিপর পিতা মাতাকে বৃদ্ধ নিবাসের জেলে রেখে কৃতঘ্নতা দেখানোর কোনো আত্মজা আর তৈরি হবেনা। এ হোক আমাদের প্রত্যাশায়, আগামীর পথচলা।
লেখক : পুলিশ পরিদর্শক,বাংলাদেশ পুলিশ।
[email protected]
এইচআর/পিআর