ভিডিও EN
  1. Home/
  2. মতামত

হত্যা-ক্যু-রক্তের রাজনীতির সঙ্গে ড. কামাল

শেখর দত্ত | প্রকাশিত: ১০:০৮ এএম, ১৯ অক্টোবর ২০১৮

মুক্তিযুদ্ধের বিজয়ের পর নবজাত বাংলাদেশে কেউ বোধকরি ভাবতেই পারেনি যে, দেশ পাকিস্তানি আমলের মতো আবারো হত্যা ও ক্যুয়ের অক্টোপাসের জালে আটকা পড়বে। কিন্তু সাড়ে তিন বছর যেতে না যেতেই সপরিবারে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ইতিহাসের বর্বরতম হত্যাকা-ের ভেতর দিয়ে আবারো হত্যা ও ক্যুয়ের রাজনীতির কবলে পড়ে বাংলাদেশ। এরই ধারাবাহিকতায় ক্যু-পাল্টা ক্যু, হত্যা-খুন চলতে থাকে। জাতীয় চার নেতা জেলখানার অভ্যন্তরে ঘাতকের নিষ্ঠুর বুলেটে নিহত হয় এবং ঠাণ্ডা মাথায় নির্বিচারে হত্যা, হুকুমের বিচারে হত্যা প্রভৃতি চলতেই থাকে। নিতান্ত অন্ধ না হয়ে একটু খেয়াল করলেই লক্ষ করা যাবে, ক্যু-পাল্টা ক্যুয়ের উদ্দেশ্য যেমন থাকে জন্মলগ্নের চেতনা থেকে লক্ষ্যভ্রষ্ট করে বাংলাদেশকে পাকিস্তানি চেতনার ধারায় নিয়ে যাওয়া, তেমনি হত্যা-খুনের টার্গেট হতে থাকেন মুক্তিযুদ্ধের চেতনার রাজনৈতিক নেতা ও সেনা অফিসার-জোয়ানরা।

অপ্রত্যাশিত, অনভিপ্রেত, কলঙ্কজনক, হৃদয়বিদারক, জাতিহন্তারক ঘটনাপ্রবাহ বিবেচনায় নিলে দেখা যাবে, যেন চরমতম নিষ্ঠুরতা নিয়ে নিয়তি পর্দার অন্তরালে থেকে সুচতুরভাবে পরিকল্পিত নীলনকশা ধারাবাহিকভাবে বাস্তবায়ন করে চলেছে। বলাই বাহুল্য এই নীলনকশা ছিল পাকিস্তানি আমলের চাইতেই ভয়াবহ ও নৃশংস। পাকিস্তানি আমলে আইয়ুব ও ইয়াহিয়ার সামরিক অভ্যুত্থান ও ক্ষমতার রদবদলের দিকে তাকালে দেখা যাবে, তা ছিল রক্তপাতহীন। কিন্তু বাংলাদেশের তা হলো রক্তাপ্লুত। এই পার্থক্যটা কেন রচিত হয়েছিল, তা নিঃসন্দেহে হতে পারে গভীর অনুসন্ধানের বিষয়। তবে এটা ঠিক, পাকিস্তানের ক্ষেত্রে তা ছিল জন্মলগ্নের চেতনার ধারা অপরিবর্তিত রেখে কেবলই রাষ্ট্র ক্ষমতার হাতবদল আর বাংলাদেশের ক্ষেত্রে তা ছিল জন্মলগ্নের চেতনার ধারা উল্টোমুখী করে একাত্তরের পরাজয়ের প্রতিশোধ নেয়া।

এই গণবিরোধী ও দেশবিরোধী ধারাকে স্বাধীনতার পর সাড়ে তিন বছরে জাতি হিসেবে আমরা ভাবাদর্শ ও রাজনৈতিকভাবে যেমন পরাজিত করার পথে যেতে পারিনি; তেমনি তখনকার জাতীয় আন্তর্জাতিক পরিস্থিতির চাপ এবং বাঙালির স্বভাবজাত সহজিয়া মনোভাব ও উদারতার কারণে ব্যক্তি-গোষ্ঠী হিসেবেও শাস্তি দিতে পারিনি। ফলে যা হওয়ার তাই হয়েছে। রাজনীতির অভিজ্ঞতা এই যে, শুভশক্তি শত্রুকে ক্ষমা করতে পারে কিন্তু অশুভ শক্তি কখনো শুভকে ক্ষমা করে না, সূচ্যগ্র মেদিনী ছেড়েও কথা বলে না। জমিন দেয়া হবে আর ওরা বসে থাকবে এটা তো হয় না। প্রকৃত বিচারে জমিন পেয়ে ক্ষমতার ভেতরে-বাইরে পরাজিত শত্রুরা শক্তি সঞ্চয় করে ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেছিল।

পরাজয়ের প্রতিশোধের আগুনেই তাই নিক্ষিপ্ত হয়েছিল দেশ। হত্যা-ক্যু-পাল্টা ক্যু প্রভৃতি তাই নিয়তির মতো অনিবার্য হয়ে উঠেছিল। আজ এখন ‘গণতন্ত্র গেল’ ‘গণতন্ত্র গেল’ বলে গলা ফাটানো হচ্ছে। এমনকি ‘ভূতের মুখে রাম নাম’ প্রবাদটাকে সত্য প্রমাণ করে ঘাতক-দালাল বলে চিহ্নিত ব্যক্তি-গোষ্ঠী-দল-মহল পর্যন্ত বলে চলেছে, স্বাধীনতার মর্মবাণী গণতন্ত্র নাকি ভূলুণ্ঠিত করা হচ্ছে। যেন ‘হিমালয় থেকে সুন্দরবন, হঠাৎ বাংলাদেশ’-এর মতো আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে হঠাৎ গণতন্ত্র নস্যাতের দিকে ঠেলে নিয়ে যাচ্ছে। কোনো কিছুই হঠাৎ হয় না। ক্রিয়ার প্রতিক্রিয়া, ঘাত-প্রতিঘাতে সব চলতে থাকে।

এটা তো দিবালোকের মতো বাস্তব সত্য যে, পূর্বপুরুষের অর্জন যেমন উত্তরপুরুষেরা ভোগ করে, তেমনি দায় থেকেও মুক্ত হতে পারে না। আমরা সবাই আজ স্বাধীনতার সুফল ভোগ করছি। যেমন গৃহবধূ খালেদা জিয়া মুক্তিযুদ্ধের সময় হানাদার কবলিত ক্যান্টনম্যান্টে থেকেও ঘটনার ঘাত-প্রতিঘাতে প্রধানমন্ত্রী পর্যন্ত হয়েছিলেন। ঘাতক-দালালদের গাড়িতে-বাড়িতে জাতীয় পতাকা উঠেছিল। অর্জন যেমন ভোগ করছি তেমনি কলঙ্কের দায়ও তো নিতেই হবে। নতুবা ইতিহাসের দায় শোধ করে কীভাবে! হত্যা-ক্যু-পাল্টা ক্যুয়ের ভেতর দিয়ে প্রতিহিংসাজাত যে রক্ত বাংলার মাটিকে সিক্ত করেছে, সেই রক্তের ঋণ জাতি হিসেবে আমাদের শোধ না করে অগ্রসর হওয়া যাবে বলে যারা মনে করেন, তাদের অবুঝ বলা যাবে না, বলতে হবে জাতে মাতাল তালে ঠিক। রক্তের ঋণ শোধ করবেন না আর গাছেরটাও খাবেন আবার তলারটাও কুড়াবেন এটা কখনো হয় নাকি!

এটাই তো জাতির ইতিহাস যে, মুক্তিযুদ্ধের পর পক্ষের অনেক শক্তি ও দল নির্বাচন না করে ‘জাতীয় সরকার’ গঠনের আওয়াজ তুলেছিল। মুক্তিযুদ্ধ তো ছিল জনগণের বিপ্লব, তাই বিপ্লবের পর বিপ্লবী সরকারের দাবি তোলা একটুও অস্বাভাবিক ছিল না। জাতির পিতা পাকিস্তানের কারাগার ও ফাঁসির মঞ্চ থেকে ফিরে এসে আমাদের জাতীয় পছন্দ এবং তাঁর লালিত স্বপ্ন ও অঙ্গীকার অনুযায়ী গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে গণতান্ত্রিক সংবিধান প্রণয়ন করে দেশবাসীকে সংসদীয় গণতন্ত্র উপহার দিয়েছিলেন। একটুও দেরি না করে ওই সংবিধানের ভিত্তিতে নির্বাচনও সম্পন্ন হয়েছিল। কিন্তু গণতন্ত্রের ধারক বাহক রক্ষক হতে পেরেছিল কি জাতি!

‘রাতের বাহিনী’ হয়ে উগ্রবাম স্লোগান দিয়ে রাজকার-আলবদরদের বাহিনীতে নিয়ে পাকিস্তনি অর্থ ও অস্ত্র দিয়ে গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে থানা-হাট-বাজার লুট, রেললাইন উৎপাটন, কলকারখানায় লুটপাট ও আগুন দিয়েছিল কারা! বঙ্গবন্ধু সুবিধাবাদী সুযোগসন্ধানীদের ‘চাটার দল’ বলে এবং এমনকি আর্মি নামিয়ে তাদের দমন করতে চাইলেও তাতে বাধা দিয়েছিল কারা! পঁচাত্তরের পটপরিবর্তনের পর যারা ভোল পাল্টায় তারা কারা ছিল, এ দিয়ে কি সব সুস্পষ্ট হয় না! হত্যা ও ক্যুয়ের পক্ষে অবস্থান নিয়ে হত্যাকারী মুশতাকের সঙ্গে যারা হাত মিলিয়েছিল কিংবা সুবিধাবাদী-সুযোগসন্ধানী ও মধ্য-ডান-বাম দলছুট যারা সেনাশাসক জিয়ার দলে যোগ দিয়েছিল; তাদের চেহারা আয়নায় দেখলেই সবটা পরিষ্কার হয়ে যাবে! কিসিঞ্জারের ‘তলাবিহীন ঝুড়ি’ কথাটির সঙ্গে তাল মিলিয়ে কারা পত্রপত্রিকায় ছেপেছিল জাতির জন্য অমর্যাদাকর বাসন্তীর জাল পরা ছবি!

কারা দিয়েছিল লাখ লাখ নিরীহ আবালবৃদ্ধবনিতার হত্যাকারী গণতন্ত্রের চিহ্নিত শত্রু ঘাতক দালালদের দল করার অধিকার! কারা করেছিল স্বাধীনতাবিরোধীদের রাজনীতিতে পুনর্বাসন! প্রশাসনকে পাকিস্তানিকরণ ও সামরিকীকরণ করেছিল কে বা কারা! কারা জাতীয় চার নীতির পরিবর্তন করেছিল সামরিক ফরমানের এক ঘোষণায়! কারা আমদানি করেছিল পাকিস্তানের সেই ভূত সাম্প্রদায়িকতা! কারা জাতির পিতার নাম নিয়ে রাজনীতি করা নিষিদ্ধ করেছিল! কারা সেনাবাহিনীর ভেতরে ক্যু-পাল্টা ক্যুর নামে মুক্তিযোদ্ধাদের নিশ্চিহ্ন করতে নেমেছিল! হ্যাঁ ভোট-না-ভোট তথা হুকুমের নির্বাচনের প্রহসনের নাটক কারা মঞ্চস্থ করেছিল!

কারা ‘মানি ইজ নো প্রবলেম’ কথা বলে লুটপাটের অর্থনীতি প্রতিষ্ঠা করেছিল! রাজনীতি রাজনীতিকের জন্য ‘ডিফিকাল্ট’ করার পথ রচনা করেছিল কারা! কারা জাতির পিতার হত্যা দিবসে কেক কেটে জন্মদিনে উৎসব করেছিল! কারা শেখ হাসিনাকে বারবার হত্যা করার প্রচেষ্টা নিয়েছিল! ২১ আগস্টেও গ্রেনেড হামলা ঘটনার বিচারের রায়ে তা প্রমাণিত হয়েছে। স্বাধীনতার পর থেকে আজ পর্যন্ত ঘটনাপ্রবাহ বিবেচনা করলে এই তালিকা মহাভারতের আয়তনকেও হার মানাবে।

জাতি হিসেবে যদি এই অগণতান্ত্রিক ও নষ্টামীর ধারাবাহিকতা বিবেচনায় নেয়া যায়, তবে এই অশুভ অনভিপ্রেত ঘটনার দায় সবাইকেই নিতে হবে। এক ভুল সৃষ্টি করে আরো আরো ভুলের। এক হিংসা সৃষ্টি করে আরো প্রতিহিংসার! এক হত্যার পরিবেশ তৈরি করে আরো আরো হত্যার! রক্তের ঋণ শোধ করার দায় থেকে কেউ পরিত্রাণ পেতে পারে না। আসলে রক্তঋণ শোধ করার পথই এখন অনুসন্ধান করছে বাংলাদেশ। ফলেই বৃক্ষের পরিচয়। রাষ্ট্র ও সমাজ জীবন বিজ্ঞানের ল্যাবরেটরির মতো নয় যে, নানা ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা একই সময়ে করা যায়। কাঁটা দিয়ে কাঁটা তোলার লাইন সঠিক নাকি বেঠিক এটা নির্ধারণ করবে ইতিহাস। আজ থেকে ৪৪ বছর আগে বঙ্গবন্ধু উদার হয়ে প্রথমে গণতন্ত্র দিয়ে আর পরে একদল বাকশাল করে কবিগুরুর ভাষায় বাঙালিকে ‘মানুষ’ করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তিনি নিজ জীবন দিয়ে জাতিকে রক্তঋণে আবদ্ধ করে গেছেন।

বঙ্গবন্ধুকন্যা ২০০১ সালে বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো সংবিধান মেনে ক্ষমতা নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাছে হস্তান্তর করে গণতান্ত্রিকভাবে রক্তঋণ শোধ করার পথে অগ্রসর হতে চেয়েছিলেন। কিন্তু পারেননি। অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে এবারে অন্য পথের পরীক্ষা-নিরীক্ষা হচ্ছে। তাতে রক্তের ঋণ শোধ হবে, জাতি পথ খুঁজে পাবে নাকি ঋণের জালে আরো আটকা পড়বে, তা ভবিষ্যৎই বলতে পারবে।

এখানে বলতেই হয় যে, গণতন্ত্রের টিকে থাকার মাহাত্ম্য ও সৌন্দর্য গণতন্ত্রের মধ্যেই নিহিত রয়েছে। বহু মত-পথ গণতন্ত্রে প্রধান বৈশিষ্ট্য। তাই এই পরীক্ষা-নিরীক্ষায় মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পক্ষের সবাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে থাকবে, এমনটা নাও হতে পারে। গণতন্ত্র কখনো এক পদ্ধতি ও পথই সঠিক তা মনে করে না। কিন্তু মুক্তিযুদ্ধের কথা বলে, গণতন্ত্রের বুলি আওড়িয়ে অন্য পথ দেখাতে গিয়ে কোনো ব্যক্তি-গোষ্ঠী-মহল-দল যদি হত্যা-ক্যু-রক্তের রাজনীতির পক্ষে অবস্থান নেয়, তবে এর পরিণতি কি হতে পারে! এটা হবে আগুন নিয়ে খেলে জতুগৃহ সৃষ্টি করে পুড়ে মরারই নামান্তর। বঙ্গবন্ধুর আশীর্বাদপুষ্ট ড. কামাল আসলে শেষ পর্যন্ত সেই পথই নিলেন। হত্যা-ক্যু-রক্তের রাজনীতির সঙ্গে হাত মিলালেন। এই পথ গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য হতেই পারে না। নিছক ক্ষমতার লালসা কিংবা কোনো নির্বাচন বানচালের চক্রান্তের জালে আটকা পড়েই তিনি বেপথু হয়েছেন।

হত্যা-ক্যুয়ের ভেতর দিয়ে ক্যান্টনমেন্ট জন্ম নেয়া এবং সবশেষে লুণ্ঠনের আখড়া হাওয়া ভবন খ্যাত দলের সঙ্গে এক হয়ে গণতন্ত্র চাওয়া আর সোনার হরিণ খুঁজতে যাওয়া একই কথা। এর মধ্যে আছে আবার গোদের ওপর বিষফোঁড়ার মতো জামায়াত। বিএনপি ডান হাতে ধরে রেখেছে জামায়াতকে আর বাম হাতে রাখছে ড. কামালকে। কথায় বলে ডান হাতে করে কারবার আর বাম হাতে ময়লা মোছে। আসলে ইতিহাসের আঁস্তাকুড়ের জন্য এখন দিন গুনতে হবে বাহাত্তরের সংবিধান প্রণেতার।

ডা. বদরুদ্দোজার দৌড়ানি দেখেও ড. কামাল কেন শিক্ষা নিতে পারলেন না, তা ভাবলে এত দেশ-বিদেশের সুপরিচিত বিদ্বান ব্যক্তিটির জন্য কেবল করুণাই হয়। মজা পেলাম যখন আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ঘোষিত হওয়ার পর ঢাকা থেকে টেলিফোন করে এক রাজনৈতিক সহকর্মী বললেন, কোনো এক সময় সভা পরিচালনার সময় নাকি একজন নেতাকে পরিচয় দিতে গিয়ে ‘প্রথিতযশা’ বলতে গিয়ে বলা হয়েছিল ‘পতিত শশা’।

আসলে এই দশা প্রাপ্তির পথই বেছে নিয়েছেন ড. কামাল এবং প্রমাণ করেছেন রাজনীতির একটি সাধারণ সত্যকে। বিরল ব্যতিক্রম বাদে আওয়ামী লীগ থেকে বের হওয়া মানেই জাতিসত্তাবিরোধী ঘরে অবস্থান নেয়া। পাকিস্তানের সময় দলছুট আওয়ামী লীগাররা মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী শিবিরে গিয়েছিল আর এখন যাচ্ছে কার্যত বিএনপি-জামায়াতের সঙ্গে ঐক্যে। ঐক্যফ্রন্টের মঞ্চ থেকে ড. কামাল ঘোষণা করেছেন, ‘কোনো হুমকিকে ভয় করি না। চাইলে আমাকে মেরে ফেলতে পারেন। ট্যাংক-গুলি নিয়ে আসতে পারেন…। ট্যাংক-গুলির সঙ্গে বুকে বুক মিলিয়ে, হাতে হাত ধরে সখ্য করে ওই কথা বলছেন কেন ড. কামাল? ট্যাংক-গুলির প্রতিভূ সেনাশাসক জিয়াকে আড়াল করতে কি? গ্রেনেড হামলাকারী হত্যাকারীদের সাফাই গাইতে কি? ট্যাংক-গুলি-গ্রেনেড চালিয়ে হত্যা করার ইতিহাস আওয়ামী লীগে নেই। বঙ্গবন্ধুর বদান্যতায় ড. কামালের সৌভাগ্য হয়েছিল এমপি-মন্ত্রী হওয়ার, শেখ হাসিনার সহযোগিতায় আওয়ামী লীগ থেকে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন করেছিলেন। আর সময় আসছে যখন নিজেরই সৃষ্ট ইতিহাসের যূপকাষ্ঠে বলি হবেন তিনি।

লেখক : রাজনীতিক ও কলাম লেখক।

এইচআর/জেআইএম

আরও পড়ুন