ভিডিও EN
  1. Home/
  2. মতামত

নয়া জোটে জামায়াত ফ্যাক্টর

আমীন আল রশীদ | প্রকাশিত: ০১:০৬ পিএম, ১৬ অক্টোবর ২০১৮

আগামী জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে বিএনপি, গণফোরাম, নাগরিক ঐক্য এবং জেএসডির সমন্বয়ে ‘জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট’ নামে যে নতুন জোট গঠন করা হয়েছে—সেখানে বাদ পড়েছে অথবা বাদ দেয়া হয়েছে বিএনপির অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা, দলের প্রথম মহাসচিব এবং বিএনপি আমলের সাবেক রাষ্ট্রপতি ডা. একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরীর বিকল্পধারাকে। বিকল্পধারার তরফে বলা হচ্ছে, জামায়াত এবং জাতীয় নির্বাচনে আসন বণ্টন ইস্যুতে বিএনপির সাথে তাদের ঐকমত্য হয়নি। এখন প্রশ্ন হলো, বিকল্পধারা কি নতুন কোনো জোট করবে নাকি এককভাবে প্রার্থী দেবে? এককভাবে প্রার্থী দিলে তারা কয়টি আসন পাবে? তবে নির্বাচনের যেহেতু আরও অনেকটা সময় বাকি, তাই এই সময়ের মধ্যে হয়তো নাটকের আরও কিছু অংশ মঞ্চস্থ হবে।

উচ্চ আদালতের নির্দেশে নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধন বাতিল হলেও জামায়াত এখনও বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের শরিক। কিন্তু বিকল্পধারা যুদ্ধাপরাধীদের দল জামায়াত না ছাড়লে বিএনপির সাথে ঐক্যে যাবে না বলে শুরু থেকেই তাদের অবস্থান পরিস্কার করে। সবশেষ ১৩ অক্টোবর জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ঘোষণা দেয়ার দিন সন্ধ্যায় একই সময়ে রাজধানীর বারিধারায় সংবাদ সম্মেলনে বিকল্পধারার প্রেসিডেন্ট বি. চৌধুরী বলেন, স্বাধীনতাবিরোধীদের ছেড়ে জাতীয় ঐক্য গঠনে বিএনপির কাছ থেকে সাড়া পাওয়া যায়নি। তবে ধারণা করা যায়, শুধু জামায়াত ইস্যু নয়, বরং ঐক্য হলে নির্বাচনে বিকল্পধারাকে দেড়শো আসন ছেড়ে দেয়ার দাবিতে বিএনপির সাথে সমঝোতা না হওয়ায় তারা ঐক্যে যায়নি। প্রশ্ন হলো, দেশের রাজনীতিতে বিকল্পধারা কী এমন বড় দল যে, বিএনপি তাদের দেড়শো আসন ছেড়ে দেবে? তাহলে বাকি শরিকদের কতটি আসন দিতে হবে? আর বিএনপি নিজের জন্য কতটি রাখবে? সুতরাং বিএনপির কাছে দেড়শো আসন চাওয়া যে একটা অ্যাবসার্ড দাবি—তাও তর্কের অতীত।

দ্বিতীয় প্রশ্ন, জামায়াত ইস্যুতে যদি বিকল্পধারার সাথে বিএনপির বনিবনা না হয়, তাহলে মি. চৌধুরী বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে রাষ্ট্রপতি হয়েছিলেন কেন? ১৯৯৯ সালে যখন জামায়াতকে নিয়ে বিএনপি চারদলীয় জোট গঠন করে, তখন কি তিনি এর প্রতিবাদ করেছিলেন? যদি না করেন, হঠাৎ করে তারা জামায়াত ইস্যুতে কেন এত বিপ্লবী হয়ে গেলেন? স্বাধীনতাবিরোধীদের সাথে ঐক্য নয়—এই বোধোদয় হতে তাদের এত সময় লাগলো কেন?

সমস্যা হলো, জামায়াত ইস্যুতে বিএনপি বরাবরই কৌশলী। যখনই তাদের এ নিয়ে প্রশ্ন করা হয়, তাদের জবাব—জামায়াতের সাথে তাদের আদর্শিক ঐক্য নেই; বরং এটি নির্বাচনি ঐক্য। আদর্শে মিল না থাকলে নির্বাচনি ঐক্য হয় কি না কিংবা যেহেতু এখন জামায়াতের নিবন্ধনই নেই, সেখানে এই দলটির সাথে নির্বাচনি ঐক্যের কী মাজেজা—তা বিএনপিই ভালো জানে। তবে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ঘোষণার সংবাদ সম্মেলনে জামায়াত ইস্যুতে বিএনপি এবং জোটের বক্তব্য জানতে সাংবাদিকদের কেউ কেউ প্রশ্ন করলেও তা এড়িয়ে যান নেতারা। অনেকে মনে করেন, সম্প্রতি জামায়াত ইস্যুতে বিএনপি তাদের সুর কিছুটা নরম করেছে। কারো কারো মত, জামায়াত প্রশ্নে বিএনপি আপাতত চুপ থাকার নীতি অবলম্বন করেছে। এটি একটি কৌশল। অনেকে এমনও মনে করেন যে, বিএনপিসহ অন্য তিনটি দলের যে নতুন জোট হয়েছে, সেখানে পরোক্ষভাবে জামায়াত আছে। জোট গঠনের পরদিন নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না এবং বিকল্পধারার যুগ্মহাসচিব মাহী বি. চৌধুরীর যে ফোনালাপ প্রকাশ/ফাঁস হয়েছে, সেখানে মাহী বলছেন, ‘আপনারা একটা চক্রান্তের মধ্যে পড়ে গেছেন।’ এই চক্রান্ত শব্দটি দিয়ে তিনি জামায়াতকে ইঙ্গিত করেছেন বলেই মনে হয়।

প্রশ্ন হলো দেশের রাজনীতি ও ভোটের মাঠে জামায়াত এখন আর বড় কোনো ফ্যাক্টর কি না? যুদ্ধাপরাধের দায়ে যে দলের শীর্ষ নেতাদের ফাঁসি হয়েছে, যাদের আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো সরকারের নিয়ন্ত্রণে, যে দলের নেতাকর্মীরা একরকম আত্মগোপনে এবং উচ্চ আদালতের নির্দেশে নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধন বাতিল হওয়ায় যে দল তাদের দাঁড়িপাল্লা প্রতীকে নির্বাচনেও অংশ নিতে পারবে না—সেরকম একটি দলকে এত বেশি গুরুত্ব দিয়ে কেন রাজনীতি ও ভোটের মাঠে গুরুত্বপূর্ণ করে তোলা হচ্ছে? এর দ্বারা কেউ কি আসলে রাজনৈতিকভাবে লাভবান হচ্ছে বা হতে চাচ্ছে?

স্বাধীনতার প্রকাশ্য বিরোধিতাকারী একটি দল কী করে দেশের রাজনীতিতে বিকশিত হলো বা হতে পারলো—সেটি একটি বড় প্রশ্ন। অস্বীকার করার সুযোগ নেই, জিয়াউর রহমানই জামায়াতকে পুনর্বাসিত করেন। কিন্তু এরপরে এরশাদবিরোধী আন্দোলনে বিএনপি তো বটেই, মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী দল আওয়ামী লীগও এই জামায়াতকে সাথে নিয়েই আন্দোলন করে। জামায়াতের সঙ্গ কি তাদের খুব প্রয়োজন ছিল?

এটা ঠিক যে, ধর্মভিত্তিক দলগুলোর মধ্যে একটা সময় পর্যন্ত সবচেয়ে বড় ভোটব্যাংক ছিল জামায়াতের। কিন্তু ধীরে ধীরে তাদের ভোট ও জনসমর্থন যে কমেছে, তা বোধ করি তারা নিজেরাও স্বীকার করবে। স্বাধীনতার পরে দেশের প্রথম যে জাতীয় সংসদ নির্বাচন হয়, সেখানে তারা অংশগ্রহণের সুযোগ পায়নি। তবে ১৯৭৬ সালের ২৪ আগস্ট ডেমোক্রেটিক পার্টি,নেজামে ইসলাম পার্টি, খেলাফতে রব্বানী পার্টি এবং জামায়াতে ইসলামীর নেতৃবৃন্দ ইসলামিক ডেমোক্রেটিক লীগ নামে একটি রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্ম গড়ে তোলেন এবং ১৯৭৯ সালে জিয়াউর রহমানের আমলে দ্বিতীয় জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেন। ওই নির্বাচনে ইসলামিক ডেমোক্রেটি লীগ থেকে মনোনীত জামায়াতের ৬ জন সদস্য নির্বাচিত হন। জাতীয় সংসদে জামায়াতের এটিই প্রথম উপস্থিতি।

এককভাবে জামায়াত জাতীয় নির্বাচনে অংশ নেয় ১৯৮৬ সালে। তৃতীয় জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তারা ৭৬টি আসনে মনোনয়ন দেয় এবং ১০টিতে জয়ী হয়। ওই নির্বাচনে কাদের প্রাপ্ত ভোটের হার ৪ দশমিক ৬০ শতাংশ। ১৯৮৮ সালের চতুর্থ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বিরোধী দলগুলো বর্জন করে। ১৯৯১ সালে পঞ্চম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জামায়াত ১৮টি আসনে জয় পায়। ভোটের শতকরা হার ১২ দশমিক ১৩ ভাগ। ১৯৯৬ সালে তারা ৩টি আসন লাভ করে। ভোট পায় ৮ দশমিক ৬১ শতাংশ। ২০০১ সালে অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জামায়াত ১৭টি আসনে জয়ী হয় এবং শতকরা ৪ দশমিক ২৮ ভাগ ভোট পায়। সবশেষ ২০০৮ সালে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জামায়াতের ভোট আরও কমে। ৪ দশমিক ৬ শতাংশ ভোট পেয়ে তারা দুটি আসনে জয়ী হয়। বিএনপির জোটভুক্ত দল হিসেবে ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচন তারা বর্জন করে।

আওয়ামীবিরোধী ভোটারদের কাছে টানা এবং ধর্মীয় অনুভূতির রাজনীতির মাধ্যমে ভোট বাড়ানোর কৌশল হিসেবেই যে বিএনপি চরম ডানপন্থি দল জামায়াতকে প্রধান সঙ্গী করেছে—এ নিয়ে দ্বিমতের সুযোগ কম। কিন্তু এতে আখেরে বিএনপির কতটুকু লাভ হয়েছে তা বলা মুশকিল। কারণ জামায়াতকে ছাড়াও যে বিএনপি নির্বাচনী বৈতরণী পার হতে পারে, তার অনেক উদাহরণ আছে। বরং জামায়াত সঙ্গে না থাকলে বিএনপি নিজেকে অধিকতর মডারেট দল হিসেবে প্রমাণের সুযোগ পেতো—যা শিক্ষিত তরুণ ভোটারদের মধ্যে তাদের আস্থা বাড়াতো। কিন্তু বিএনপি এই জনগোষ্ঠীর চেয়ে অল্পশিক্ষিত, ধর্মীয় অনুভূতিতে কাতর এবং বুঝে-না বুঝে আওয়ামী লীগ এবং কখনও ভারতবিরোধী সেন্টিমেন্টসর্বস্ব ভোটারদেরই মূল টার্গেট করে। ফলে এই রাজনীতিতে জামায়াতের মতো একটি উগ্রবাদী দলকে তাদের সঙ্গে রাখতে হয়।

অতীতে বিভিন্ন নির্বাচনে দেখা গেছে, জনপ্রিয়তা ও ভোটের হার বিবেচনায় আওয়ামী লীগ ও বিএনপির অবস্থা কাছাকাছি। ১৯৯১, ১৯৯৬ এবং ২০০১ সালের নির্বাচন তাই বলে। ১৯৯১ সালে আওয়ামী লীগের চেয়ে বিএনপি মাত্র শূন্য দশমিক ৭৩ শতাংশ বেশি ভোট পায়। অর্থাৎ ভোটের ব্যবধান এক শতাংশেরও কম। ১৯৯৬ সালে বিএনপির চেয়ে আওয়ামী লীগ ৩ দশমিক ৮৪ শতাংশ এবং ২০০১ সালে আওয়ামী লীগের চেয়ে বিএনপি ১ দশমিক ৩৮ শতাংশ ভোট বেশি পায়। সবশেষ ২০০৮ সালে (যেহেতু ২০১৪ সালের নির্বাচন বিএনপি বর্জন করছে) এ দুটি দলের ভোটপ্রাপ্তির ব্যবধান বাড়লেও (১৫ দশমিক ৮) সেখানে জামায়াতের ভোট যুক্ত করলেই বিএনপি ক্ষমতায় আসতো—এমন নয়।

যুদ্ধাপরাধীদের দল হিসবে জামায়াতের রাজনীতি নিষিদ্ধ করার দাবি বহুদিনের। বিশেষ করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল জামায়াতকে যুদ্ধাপরাধী দল হিসেবে ঘোষণা করা এবং জামায়াত নেতা কাদের মোল্লার ফাঁসির দাবিতে গড়ে ওঠার গণজাগরণ মঞ্চের আন্দোলনেও এই দাবিটি জোরালো হয়। খোদ আইনমন্ত্রীও বলেছিলেন, জামায়াতের রাজনীতি নিষিদ্ধ করা সময়ের ব্যাপার। কিন্তু সেই কথার বাস্তবায়ন হয়নি। ফলে দেশের বড় দুটি দল (আওয়ামী লীগ ও বিএনপি) জামায়াতকে ছাড়া বা নিষিদ্ধ করার উদ্যোগ কেন নেয় না বা নিতে পারে না—সে প্রশ্নও আছে। বলা হয়, জামায়াতকে বড় দুটি দলই তাদের রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার করে। কেননা জামায়াতকে নিষিদ্ধ করা হলে বিএনপিকে ‘যুদ্ধাপরাধের দোসর’ বলে গালি দেয়ার রাজনীতি থাকবে না। আবার বিএনপি যদি জামায়াতকে আনুষ্ঠানিকভাবে ত্যাগ করার ঘোষণা দেয় তাহলে মাঠের রাজনীতিতে বিরোধী পক্ষের সাথে তাদের পেরে ওঠা কঠিন। কেননা আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে মাঠের রাজনীতিতে বিএনপির শক্তি মূলত জামায়াত—এ কথা অস্বীকারের সুযোগ নেই।

স্মরণ করা যেতে পারে, ২০০৮ সালের নির্বাচনী ইশতিহারে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোট একাত্তরের যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের প্রতিশ্রুতি দেয়। এরপর ক্ষমতায় এসে মহাজোট সরকার ২০১০ সালের মার্চ মাসে ট্রাইব্যুনাল গঠন করে যুদ্ধাপরাধের বিচারের আনুষ্ঠানিকতা শুরু করে। যদিও ওই সময়ে জামায়াত নেতাদের বিশ্বাস ছিল এই বিচার প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার আগেই তারা সরকারের পতন ঘটাতে সক্ষম হবে অথবা মহাজোট সরকারের মেয়াদ শেষ হয়ে ক্ষমতার পট পরিবর্তন হবে। কিন্তু তাদের সে ধারণা ভুল প্রমাণিত হয় এবং দলের শীর্ষ নেতাদের ফাঁসির দড়িতে ঝুলতে হয়; কারো কারো দণ্ড মাথায় নিয়ে স্বাভাবিক মৃত্যু হয়।

প্রশ্ন হলো, জামায়াতের কি ওই অর্থে বড় কোনো ভোট ব্যাংক আছে? যুদ্ধাপরাধের বিচার এবং তাদের বিরুদ্ধে জনমত বাড়ার ফলে যখন দলের হার্ডকোর নেতাকর্মী ছাড়া কেউ নিজেকে প্রকাশ্যে জামায়াত কর্মী বলে পরিচয় দেন না—তখন এই প্রশ্নটি আরও বেশি সঙ্গত। বলা যায়, নিষিদ্ধ না হলেও জামায়াত এখন কার্যত আন্ডারগ্রাউন্ড পার্টিতে পরিণত হচ্ছে। অথচ এরকম একটি দল বারবারই আলোচনায় আসছে এবং দুঃখজনক হলেও সত্যি, আওয়ামী লীগসহ অন্য অনেক দলের নেতারা জামায়াত প্রসঙ্গে এত কথা বলেন যে, তাতে মনে হয় জামায়াত বুঝি দেশের রাজনীতিতে আসলেই বড় ফ্যাক্টর বা বিএনপির চেয়ে জামায়াতকে নিয়েই বোধ হয় তাদের মাথাব্যথা বেশি। এটি জনমনে ভুল বার্তা দেয়।

খুব বেশি ভোট বা জনসমর্থন না থাকলেও জামায়াতের নাশকতা করার মতো সাংগঠনিক শক্তি হয়তো এখনও আছে। কিন্তু তাকে প্রতিনিয়ত আলোচনার বিষয়বস্তুতে পরিণত করা হলে তার গুরুত্ব বেড়ে যায়। এরকম একটি দলকে রাজনীতি ও ভোটের মাঠে গুরুত্বপূর্ণ করে তোলার খুব বেশি প্রয়োজন আছে বলে মনে হয় না। বরং জামায়াতকে নিয়ে যত কম কথা বলা যায়, তত তারা শক্তিহীন হবে। গুরুত্বহীন বিষয় নিয়েও যখন বেশি কথাবার্তা বলা হয়, তখন সেটিও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে।

জামায়াত নিয়ে রাজনীতিতে এসব আলোচনার মূল কারণ বোধ করি তিনটি। ১. যুদ্ধাপরাধীদের দল হিসেবে তাদের নিষিদ্ধ করার একটি জোর দাবি আছে; ২. বিএনপিকে চাপে রাখা এবং ৩. জামায়াতের সহিংস চরিত্র—যে কারণে এই দলটিকে নিয়ে অন্য রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে কিছুটা ভীতিও আছে। বিশেষ করে, আগামী নির্বাচনে তারা নিজেদের প্রতীকে অংশ নিতে না পারলেও রাজনৈতিক পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করে তুলতে বা তাদের রাজনৈতিক কোনো মিত্রকে সুবিধা দিতে সহিংস কর্মকাণ্ড শুরু করবে কি না—তা নিয়ে অনেকের মনে আতঙ্ক আছে।

লেখক : সাংবাদিক।

এইচআর/এনএফ/এমএস

আরও পড়ুন