চাই দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দলীয় পরিচয়ে নয়, নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি হিসেবে সব ধরনের সুযোগ সুবিধা পাবেন। যদি সেখানে অনিয়ম হয়, দুর্নীতি হয়, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের সঙ্গে জড়ানোর কোনো অভিযোগ ওঠে তাহলে যে দলের নেতাই হন না কেন, রেহাই পাবেন না। বুধবার (৫ সেপ্টেম্বর) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে রাজশাহী ও সিলেট সিটি কর্পোরেশনের নবনির্বাচিত মেয়র ও কাউন্সিলরদের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রীর এই দুর্নীতিবিরোধী অবস্থান সাধুবাদযোগ্য। দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশই এখন জনপ্রত্যাশার কেন্দ্রবিন্দুতে।
ইতিপূর্বে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) এক পর্যবেক্ষণে বলা হয়েছিল- ‘সরকার ও সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের কিছু কিছু দুর্নীতি বিরোধী উদ্যোগ স্বত্ত্বেও প্রয়োগ ও চর্চার ঘাটতির ফলে প্রকটতর হয়েছে দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণ। দুর্নীতি প্রতিরোধ ও দমনের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান দুদকের কার্যকারিতা ও স্বাধীনতা খর্ব করার অপপ্রয়াস যেমন অব্যাহত রয়েছে তেমনি দুদকের নিজস্ব সক্রিয়তা, দৃঢ়তা ও নিরপেক্ষতার ঘাটতি রয়েছে চলমান। এছাড়াও সরকারের নীতি কাঠামো দুর্নীতি সহায়ক, দুর্নীতিতে লাভবান ও দুর্নীতিকে প্রশ্রয়দানকারী মহলের করাভূত হওয়ার ঝুঁকির সম্মুখীন হয়েছে।’
উন্নয়ন অগ্রগতি হচ্ছে, কিন্তু দুর্নীতির লাগাম টেনে ধরা যাচ্ছে না। বাংলাদেশে সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানের দুর্নীতি সর্বজনবিদিত। এ জন্য সমস্যা সমাধানের আগে তা স্বীকার করতে হবে। দুর্নীতির শিকড় সমূলে উপড়ে ফেলতে হলে দুর্নীতি বিরোধী সর্বাত্মক একটি কার্যক্রম চালাতে হবে। দুর্নীতিবাজ যতোই শক্তিশালী হোক না কেন তার বা তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। সংসদ ও দুর্নীতি দমন কমিশনকে আরো কার্যকর করতে হবে। সর্বত্র একটি জবাবদিহিমূলক ব্যবস্থা গড়ে তোলে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে পারলেই দুর্নীতির রাহুগ্রাস থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে।
সর্বোপরি দুর্নীতি বিরোধী একটি পরিবেশ সৃষ্টিতেও সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে যার যার অবস্থান থেকে।
এইচআর/এমএস