তিন সিটির নির্বাচন সুষ্ঠু হোক
রাজশাহী, সিলেট, বরিশাল- এই তিন সিটির নির্বাচন আজ। সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত টানা ভোটগ্রহণ চলবে। নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করাই এখন নির্বাচন কমিশনের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। নির্বাচনে সার্বিক নিরাত্তার জন্য বিজিবি, র্যাব, পুলিশ, এপিবিএন, আনসারসহ আইনশৃংখলা বাহিনী ব্যাপকসংখ্যক সদস্য মোতায়েন থাকবে। নির্বাচন সুষ্ঠু করার জন্য যার যা দায়িত্ব সেটি পালন করতে হবে। যে কোনো মূল্যে সিটি নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে হবে।
তিন সিটিতে মোট ১৭ জন মেয়র প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ৮ লাখ ৮২ হাজার ৩৬ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করে নগর পিতা নির্বাচিত করবেন। এরমধ্যে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে লড়ছেন দুই সাবেক মেয়রসহ ৫ প্রার্থী। এছাড়া সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১৬০ এবং সংরক্ষিত নারী কাাউন্সিলর পদে রয়েছেন ৫২ জন প্রার্থী। এই নগরীর মোট ভোটার ৩ লাখ ১৮ হাজার ১৩৮ জন। এর মধ্যে এক লাখ ৫৬ হাজার ৮৫ জন পুরুষ এবং এক লাখ ৬২ হাজার ৫৩ জন নারী।
সিলেট সিটি নির্বাচনে এবার নির্বাচনে মেয়র পদে ছয়জন, সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ৬২ জন ও সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১৩৪ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এ সিটিতে ১৩৪টি কেন্দ্রে ৩ লাখ ২১ হাজার ৭৩২ ভোটার তাদের ভোট প্রদান করবেন।
বরিশাল সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে ৬ জন, সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৯৪ জন এবং সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ৩৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এবার ২ লাখ ৪২ হাজার ১৬৬ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। এরমধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ২১ হাজার ৪৩৬ জন এবং নারী ভোটার রয়েছেন ১ লাখ ২০ হাজার ৭৩০ জন।
স্থানীয় নির্বাচন হলেও ইতোমধ্যেই তিন সিটির নির্বাচন জাতীয় নির্বাচনের রূপ নিয়েছে। কাজেই নির্বাচন কমিশনের জন্য এই নির্বাচন একটি বড় চ্যালেঞ্জ। ভোটাররা যেন নির্বিঘ্নে ভোটকেন্দ্রে উপস্থিত হয়ে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে সেটি নিশ্চিত করতে হবে যে কোনো মূল্যে। আর একটি নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়ার জন্য স্থানীয় প্রশাসন, প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী, ভোটার ও সমর্থক-কারো ভূমিকা কম নয়। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় তিন সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে সম্পন্ন হোক এটিই কাম্য।
এইচআর/জেআইএম