বর্ণবাদকে হারিয়ে ফরাসিদের জয় বহুত্ববাদে
রাশিয়া বিশ্বকাপ জিতলো কে? হাস্যকর প্রশ্ন মনে হতেই পারে। স্যাটেলাইট, ইন্টারনেটের এই জেটযুগে খবর ছড়িয়ে পড়ে আলোকবর্ষের গতির চেয়েও দ্রুত। আর এটাতো বিশ্বকাপ ফুটবল। তাও আবার ফাইনাল।বাচ্চাদের কুইজের জন্যও প্রশ্নটা হাস্যকর!
ইন্টারনেট, ফেসবুক জেনারেশনের এটা জানা। টেলিভিশনে যারা দেখেননি তারও জেনে গেছেন, রাশিয়া বিশ্বকাপের চ্যাম্পিয়নের নাম। পত্রিকার পাতায় লাল অক্ষরের শিরোনাম চোখ এড়ানোর সুযোগ নেই। টেলিভিশিনের ডেড লাইন, আপনার চোখ এড়ালেও কান এড়াতে পারেনি। অতএব রাশিয়া বিশ্বকাপে ফ্রান্স চ্যাম্পিয়ন।
এটা গোটা বিশ্বের জানা। ছোট-বড়, সাদা-কালো, দক্ষিণ গোলার্ধ-উত্তর গোলার্ধ পৃথিবীর সব প্রান্তের সব মানুষের মুখে আপাত একটাই নাম- ফ্রান্স। তারা বিশ্বচ্যাম্পিয়ন। আর ফাইনালে তারা হারালো এমন একটা দলকে যারা ফুটবল বিশ্বে নতুন শক্তির উত্থানের আগমনী বার্তা দিয়ে গেলো। সেই দলটার নাম ক্রোয়েশিয়া। ফাইনালের আগে যাদের ঘিরে বিশ্বজুড়ে বইছিল আবেগের স্রোত।
যাদের কঠিন মানসিকতার লড়াই জানান দিল, যুদ্ধ একটা দেশকে শেষ করতে পারে না। কিছু মানুষের প্রাণ কেড়ে নিতে পারে। কিন্তু তাদের পরবর্তী প্রজন্ম শিখে যায়, কীভাবে লড়াই করে বাঁচতে হয়। উঠে দাঁড়াতে হয়। কঠিন মানসিকতা দিয়ে বিশ্বকে জয় করার প্রবল আকাঙ্খা তাদের ভেতর প্রবল থেকে প্রবলতর হয়। দেশের জয়পতাকা উচিয়ে ধরার দুর্নিবার এক ইচ্ছা নিয়েই ক্রোয়েটরা বিশ্বকাপ খেলেছে।
তবে ফাইনালের স্কোর লাইন যা জানান দিলো কিংবা ৫ হাজার ৪শ সেকেন্ডের লড়াই যা জানান দিয়ে গেলো সেটাই সব না। সেটা আংশিক জানা! আর খণ্ডিত ফল। বিশ্বকাপের একুশ কাহন লিখতে গেলে হয়তো এই তথ্য আর স্কোর লাইন যথেষ্ট। তবে বিশ্বকাপটা যেহেতু ফুটবলের, সেখানে আরো অনেক কিছু থেকে যায়। যা পৃথিবীসুদ্ধ মানুষকে আরো অনেক কিছু জানিয়ে গেলো। কারণ, ফুটবল বিশ্বকাপ শুধু খেলা নয়। ফাইনালও শুধু কোন মহাযুদ্ধের শেষ লড়াই নয়। তারচেয়েও বেশি কিছু।
তাই বিশ্বকাপ শেষ মানে কারও কাছে পৃথিবীটা বিষাদময়। বিশ্বকাপ কারও মন খারাপের গল্প। কারও দুঃখ। কারও আনন্দ। কারও হতাশা। কারও স্বপ্নভঙ্গ। ফুটবল বিশ্বকাপ এভাবেই ছুঁয়ে যায় পৃথিবীর প্রায় প্রতিটি মানুষের অনুভূতিকে। বিশ্বকাপ ফুটবল মুর্হূতেই মুছে দিয়ে যায় সব ভৌগোলিক দূরত্ব। সামাজিক যন্ত্রণাগুলোকে। এখানে জেতার তীব্র আকুতি সেটা শুধু লড়াইয়ের একটা অঙ্গ হয়ে থেকে যায়। ফুটবল বিশ্বকাপ শিখিয়ে যায় অচেনা-অজানা মানুষের আনন্দে কীভাবে উদ্বেলিত হতে হয়। পরাজয় কতটা আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করতে শেখায়।
ফুটবল বিশ্বকাপ এক মাসের জন্য হয়ে ওঠে জীবনের পাঠশালা। সেখানে মানুষ কত কিছু শেখে। ক্ষুধা, দারিদ্র্য পীড়িত, অন্যায়-অবিচার, যুদ্ধ-দাঙ্গাদীর্ণ পৃথিবীও হয়ে উঠে মানুষের মিলন মেলা। মানুষের জন্য এক মহা আনন্দযজ্ঞ। সেখানে কে বিশ্বকাপ জিতলো সেটা খুব বড় কোন বিষয় থাকে কী আর!
ফাইনাল শেষে ফ্রান্স দলটা হয়তো আনন্দ-উল্লাসে ফেটে পড়লো। আর ক্রোয়েটরা হয়তো হতাশায় ভেঙে পড়লো। আবার কিছুক্ষণ পরই তারা এক পৃথিবী মানুষকে আরো অনেক কিছু দেখিয়ে দেয়। বিজয়ীরা ছুঁটে গেলেন পরাজিত দলের ফুটবলারদের কাছে। তাদের বুকে টেনে নিলেন। কথা বললেন। কেউ হয়তো জার্সি খুলে আরেকজনকে দিয়ে গেলেন। সেটা শুধু জার্সি বিনিময় নয়। আমরা হয়তো শুধু ওটাই দেখতে পাই। কি বলে সেটা শুনতে পাই না। হয়তো বলেন; ‘আজকের জন্য আমার চ্যাম্পিয়ন। তোমরা হেরেছ বলেই তো আমরা জিতেছি। পৃথিবীর মানুষ হয়তো জানালো না তোমরাও কত বড় চ্যাম্পিয়ন। তা নাহলে আমরাও কী এরকম দুর্দান্ত একটা ফাইনাল খেলতে পারতাম।’
এর আবার অন্য দর্শন আর ব্যাখ্যাও আছে। সাধারণ মানুষ যারা শুধু সাদাচোখে খেলাটাই দেখলেন তাদের কাছে ফাইনালে হার মানে রার্নাস আপ হওয়া। হেরে যাওয়া দলগুলোর মধ্যে শীর্ষে থাকা। তাদের ব্যাখ্যায়; পৃথিবী শুধু চ্যাম্পিয়নকেই মনে রাখে। বাকিদের নয়। কিন্তু সত্যিই কী তাই! এই ক্রোয়েশিয়াকে আপনার মনে রাখতেই হবে। দীর্ঘদিন মনে রাখতে হবে। সেটা কী শুধু মদ্রিচ-রাকিটিচদের লড়াইয়ের জন্য? শুধু কী তাদের বরফ-শীতল মস্তিষ্কের কোচ দালিচের জন্য? নাকি তাদের পঞ্চাশ বছর বয়সী উদ্যমী-প্রাণোচ্ছল, শিক্ষিত, সুন্দরী নারী প্রেসিডেন্টের ফুটবলপ্রেমের জন্য! না; শুধু এসব নয়। আরো অনেক কিছুর জন্য।
ক্রোয়েটরা কাপ জিতলো না। কিন্তু নিজেদের প্রায় তিন দশক বয়সী দেশটাকে তারা যেভাবে বিশ্ববাসীকে চিনিয়ে গেলো, সেটা আপনাকে মনে রাখতে হবে। একজন, মদ্রিচদের জীবনের গল্প বিশ্বকাপ জয়ের গল্পের চেয়ে কম কি! এদের আপনি ভুলে যাবেন কীভাবে এতো তাড়াতাড়ি?
ফুটবলীয় ব্যাখ্যায় হয়তো ঠিক। পৃথিবী শুধু চ্যাম্পিয়নকে মনে রাখে। আবার ঠিক না। এ পর্যন্ত বিশ্বকাপে তেরটা দেশ ফাইনাল খেলেছে। কিন্তু মানুষ মনে রেখেছে আটটা চ্যাম্পিয়নকে। আবার ঠিক না। শুধু চ্যাম্পিয়নরাই যদি শেষ কথা হত তাহলে ফুটবল বিশ্ব কী মনে রাখত একজন হুয়ান ক্রুয়েফকে। একজন মিশেল প্লাতিনিকে। কিংবা একজন সেক্রেটিস অথবা জিকো-কে।
অথবা এই প্রজন্মের একজন মেসি, একজন রোনালদো কিংবা একজন নেইমারকে কি আপনি খুব তাড়াতাড়ি ভুলে যেতে পারবেন! বিশ্বকাপ জিততে পারেনি এমন সেরা একাদশ গড়তে হলেও আপনি কী প্লে মেকারের জায়গাটা মেসিকে না দিয়ে পারবেন! লেফট উইনিং দিয়ে দ্রুত গতির দৌড় দেখতে হলে ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর নামটা আপনাকে লিখতেই হবে।
এই দেশের একটা প্রজন্ম হয়তো বিশ্বকাপ ফুটবল বুঝতে শিখেছে পেলে নামক ব্রাজিলিয়ানে মজে। তার পরের প্রজন্ম হয়তো বিশ্বকাপ আর আর্জেন্টিনায় মজেছে ম্যারাডোনা নামের এক ছোট-খাটো আকারের ফুটবলারকে দেখে। এই প্রজন্মের কাছে বিশ্বকাপ মানে ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা হয়ে গেছে নেইমার, মেসিদের কারণে। তাদের কেউ ছিল না এবার বিশ্বকাপ ফাইনালে। কিন্তু ছিল ফুটবল। ছিল ফাইনাল। যে ফাইনাল অনেক কিছু দেখিয়ে গেলো। অনেক কিছু জানিয়ে গেলো। শুধু ফ্রান্স দলটাকে চ্যাম্পিয়ন বানিয়ে দিলো না।
ফ্রান্সের জয়। শুধু একটা দেশের জয় হয়ে থাকলো না। তাদের বিশ্বকাপ জয় সারা বিশ্বের অভিবাসীদের জয়। উদ্বাস্তু, শরাণার্থী বলে এক সময় যাদের ঘৃণার চোখে দেখা হয়েছে, বলা হয়েছে তোমরা অনাকাঙ্খিত, তারাই ফ্রান্সের স্বপ্ন আর আকাঙ্খাকে পূরণ করলেন। দ্বিতীয়রার বিশ্বকাপটা জিতে নিলো ফরাসিরা। ফ্রান্সের এই জয় বহুত্ববাদের জয়। বহু ভাষা-ধর্ম-বর্ণ-সংস্কৃতির মানুষকে গ্রহণ করে মিলে-মিশে থাকার পুরস্কার ফ্রান্সের এই বিশ্বকাপ জয়।
তাদের প্রথম বিশ্বকাপ জয়ের পেছনেও ছিল এই দর্শন। দ্বিতীয় মহাযুদ্ধে বিদীর্ণ পৃথিবীতে ফরাসিরা প্রথম দেশ গড়ার জন্য নিজেদের পুরনো ঔপনিবেশ থেকে আশ্রয়প্রার্থীদের আশ্রয় দিয়ে কাজে লাগাতে শুরু করেছিল। সেটা গত শতাব্দীর ষাটের দশকে। সেই কাজটা তখন খুব সহজ ছিল না রাজনৈতিক, সামাজিক এবং অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটে। ফরাসি বিপ্লবের শ্লোগান-বিপ্লবের ধ্বনি তখন চারিদিকে। তার মধ্যে দিয়ে ফরাসিরা শরাণার্থীদের অভিবাসী হিসেবে আশ্রয় দেয়ার সাহস দেখিয়েছিল। বিভিন্ন জাতি, ভাষা, ধর্ম, বর্ণ, সংস্কৃতি দেশটাকে দিয়েছে নতুন মাত্রা। বৃদ্ধি করেছে তার প্রাণশক্তি। সেই নতুন প্রাণশক্তির জয় তারা দেখেছে কুড়ি বছর আগে নিজের দেশে প্রথম বিশ্বকাপ জেতার সময়।
এবার দেখলো রাশিয়ায় দ্বিতীয়বার বিশ্বকাপ জয়ের সময়। শরণার্থীরা শুধু একটা দেশের বোঝা নয়, সুযোগ দিলে তারাও নিজেদের প্রতিভার বিকাশ ঘটিয়ে সেই দেশটার ইতিহাস-ঐতিহ্যকে আরো সমৃদ্ধ করতে পারে। সেটাও দেখিয়ে গেলো রাশিয়া বিশ্বকাপ এবং ফ্রান্সের জয়। অভিবাসীরাতো শুধু ফ্রান্স দলে ছিলেন না। বেলজিয়াম, ইংল্যান্ড, সুইজারল্যান্ড অনেক দলেই ছিলেন। তাই রাশিয়া বিশ্বকাপে ফ্রান্সের জয়, অভিবাসীদেরও জয়।
অথচ এদের নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্র্যাম্প এখনো পরোক্ষভাবে কটাক্ষ করেই যাচ্ছেন। নিজের উদ্বেগ প্রকাশ করছেন! ইউরোপে অভিবাসীদের আগমনকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ‘অত্যন্ত দুঃখজনক’ বলেছেন। শংকা প্রকাশ করেছেন; ইউরোপ তার নিজস্ব সংস্কৃতি হারাতে পারে! ফরাসিদের বিশ্বকাপ জয়ের মধ্যে দিয়ে ডোনাল্ড ট্র্যাম্প কী কোন জবাব পেলেন? যদি নাও পান, তাহলে তিনি তার নিজের এবং তাঁর পূর্ব পুরুষদের চেহারাটা একটু আয়নায় দেখে নিতে পারেন।
ট্রাম্পের মা-বাবা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এসেছিলেন অভিবাসী হিসেবে স্কটল্যান্ড থেকে। তার পূর্বসূরি বারাক ওবামা আফ্রিকান আমেরিকান। তারা যদি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সর্বময় ক্ষমতা উপভোগ করার সুযোগ পেতে পারেন, তাহলে ইউরোপে অভিবাসীদের আগামনকে দুঃখজনক বলার অর্থ, অন্যরকম এক সুখবিলাসিতা। অভিবাসীদের পরিশ্রম, তার আশ্রয়দাতা দেশকে অনেকভাবেই সমৃদ্ধ করে। তারপরও ট্র্যাম্প বলেই চলেছেন অভিবাসীদের বিরুদ্ধে।
তার পাশের দেশ মেক্সিকো থেকে যারা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আসছেন তাদের সম্পর্কে মার্কিন প্রেসিডেন্টের মন্তব্য; ‘মেক্সিকো যখন লোক পাঠায় সেরাদের পাঠায় না। ওরা মাদক আনছে। ওরা অপরাধ আনছে। ওরা ধর্ষণকারী।’ বলছেন কে? ডোনাল্ড ট্র্যাম্প! ট্রাম্পের দেশ এবার রাশিয়ায় বিশ্বকাপ খেলার যোগ্যতা অর্জন-ই করতে পারেনি। তারপরও নাকি তিনি কয়েকটা ম্যাচ দেখেছেন। রুশ প্রেসিডেন্টের সংগে বৈঠকের পর সে কথাটাই তিনি বলেছেন।
রুশ প্রেসিডেন্ট মার্কিন প্রেসিডেন্টকে অবশ্য এবাবের বিশ্বকাপের স্মারক হিসেবে একটা অ্যাডিডাস টেলস্টার বল দিয়েছেন। কিন্তু ফুটবল কূটনীতি কী কিছু বুঝলেন ট্র্যাম্প! তিনি তো গায়ের জোরেই সব কিছু জয় করতে চান। যে কারণে ২০২৬ এর বিশ্বকাপ যৌথভাবে মেক্সিকো-কানাডার সাথে আয়োজন করার ঘোষণা দিয়েই বলেছিলেন, যারা আমাদের বিরোধিতা করবে, তাদের সব সাহায্য বন্ধ করে দেয়া হবে। তারা যেন ভুলে না যায়, আমরা পৃথিবীর প্রায় সব মানুষকে বিভিন্নভাবে সাহায্য করি।’ তাহলে পৃথিবী সুদ্ধ মানুষের কী একটাই কাজ হবে মার্কিনিরা যাতে বিশ্বকাপটা জিততে পারে, সে ব্যাপারে সাহায্য করা!
সাহায্য করবে কে? মেক্সিকো থেকে ওমর গাঞ্জালেজের বাবা-মা গিয়েছিলেন মার্কিন দেশে সুন্দর জীবনের আশায়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হয়ে জাতীয় দলে ফুটবল খেলেছেন ওমর গাঞ্জালেজ । কিন্তু তিনি ফিরলেন মেক্সিকোতে। কারণ তিনি বুঝতে পরেছেন তার সুন্দর ফুটবল জীবন নিশ্চিত হতে পারে মেক্সিকোতে। মেক্সিকো সেরাদের পাঠায় না। অপরাধীদের পাঠায়। মাদক পাঠায়। তার প্রতিবাদেই কী গাঞ্জালেজ নিজের সুন্দর ফুটবল ভবিষৎ খুঁজে নিতে দেশে ফিরলেন!
রাশিয়া বিশ্বকাপ ডোনাল্ড ট্র্যাম্পকে ফুটবল কূটনীতির প্রাথমিক পাঠ দিতে পারলো কী না জানি না। তবে টেলিভিশনের পর্দায় দেখা গেছে ক্রোয়েশিয়ার সুন্দরী নারী প্রেসিডেন্ট কিন্তু ন্যাটো সম্মেলনে ট্র্যাম্পকে ক্রোয়েশিয়ার জার্সি উপহার দিয়ে গেছেন। এদিকে, রুশ প্রেসিডেন্ট সেই সুন্দরীকে স্বাগত জানিয়েছিলেন, ফুল দিয়ে। বিনিময়ে পেলেন ক্রোয়েশিয়ার লাল-সাদা জার্সি। পেছনে লেখা পুতিন। আর জার্সি নম্বর-নয়।
ডোনাল্ড ট্রাম্পকে পুতিনের ফুটবল উপহার। ক্রোয়েট প্রেসিডেন্টের কাছ থেকে জার্সি উপহার পাওয়া। ফ্রান্সের কাপ জয়। যে জয় আবার অভিবাসীদের অন্যরকম এক জয়ও। সব মিলিয়ে রাশিয়া বিশ্বকাপে বর্ণবিদ্বেষকে হারিয়ে, ফুটবল, ফুটবলপ্রেম আর খেলোয়াড়ী মনোভাবের জয়-ই দেখলো বিশ্ব। তাহলে ২০১৮ বিশ্বকাপে জয় হলো কার? ফ্রান্স, রাশিয়া নাকি ফুটবলের?
লেখক: সিনিয়র জার্নালিস্ট ও কলাম লেখক।
এইচআর/এমএস