ফলের সাথে মানও ভালো হোক
স্বল্পতম সময়ের মধ্যেই এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল বের হলো। এটা আশাব্যঞ্জক। এবার ৭৭.৭৭ শতাংশ শিক্ষার্থী পাস করেছেন, যাদের মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছেন ১ লাখ ১০ হাজার ৬২৯ জন। গত বছর এ পরীক্ষায় পাসের হার ছিল ৮০ দশমিক ৩৫ শতাংশ, জিপিএ-৫ পেয়েছিল ১ লাখ ৪ হাজার ৭৬১ জন। সেই হিসাবে এবার মাধ্যমিকে পাসের হার কমেছে ২ দশমিক ৫৮ শতাংশ পয়েন্ট। এ ছাড়া জিপিএ ৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেড়েছে ৫ হাজার ৮৬৮ জন। শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ গতকাল রোববার সকালে গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে ফলাফলের অনুলিপি হস্তান্তর করেন। বিভিন্ন শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানরা এসময় তার সঙ্গে ছিলেন।
এসএসসি ও সমমানের আটটি সাধারণ বোর্ডে পাসের হার ৭৯ দশমিক ৪০ শতাংশ। মাদরাসা বোর্ডে ৭০ দশমিক ৮৯ শতাংশ এবং কারিগরি বোর্ডে পাসের হার ৭১ দশমিক ৯৬ শতাংশ। গত ১ ফেব্রুয়ারি থেকে ২৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সারাদেশে ও বিদেশের কয়েকটি কেন্দ্রে একযোগে এসএসসি ও সমমানের লিখিত বিষয়ের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। আর ব্যবহারিক পরীক্ষা ২৬ ফেব্রুয়ারি শুরু হয়ে চলে ৪ মার্চ পর্যন্ত। এ বছর ৩ হাজার ৪১২টি কেন্দ্রে মোট ২০ লাখ ৩১ হাজার ৮৮৯ পরীক্ষার্থী অংশ নেয়। তার মধ্যে ১০ লাখ ২৩ হাজার ২১২ জন ছাত্র, ছাত্রীর সংখ্যা ১০ লাখ ৮ হাজার ৬৮৭ জন।
গত কয়েক বছর ধরে পরীক্ষা শেষ হওয়ার ৬০ দিনের মধ্যেই ফল প্রকাশ করে আসছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এবারও তার ব্যতিক্রম নয়। বলতে গেলে বিশাল সংখ্যক শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে। তৃতীয় বিশ্বের একটি দেশে এত সংখ্যক পরীক্ষার্থীর পরীক্ষায় অংশ নেওয়া ও পাস করা অত্যন্ত আশাব্যঞ্জক। এই পরীক্ষার্থীরাই আগামীতে কলেজে প্রবেশ করবে। শুধু পাসের হার কিংবা জিপিএ ফাইভ পেলেই আত্মতৃপ্তির ঢেঁকুর তোলার কোনো সুযোগ নেই। পরীক্ষার ফলাফলের সাথে এর গুণগত মানও যেন ঠিক থাকে সেটি দেখতে হবে। ফল বিশ্লেষণ করে যে সমস্ত পরীক্ষার্থীরা খারাপ ফল করেছে তার কারণ অনুসন্ধান করতে হবে। সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সমান সুযোগ নিশ্চিত করতে হবে। শতভাগ যেন পাস করতে পারে সে চেষ্টা চালাতে হবে।
পাস করা শিক্ষার্থীরা কলেজে প্রবেশ করবে। সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে হবে। পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁস একটি ব্যাধি হিসেবে দেখা দিয়েছে। এই অভিশাপ থেকে মুক্ত হতে হবে। শিক্ষার্থীদের সুন্দর ও মঙ্গলময় জীবনই কাম্য।
এইচআর/জেআইএম