ভিডিও EN
  1. Home/
  2. মতামত

মিয়ানমারকেই উদ্যোগী ভূমিকা পালন করতে হবে

সম্পাদকীয় | প্রকাশিত: ০১:২৮ পিএম, ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

বাংলাদেশে সফররত ব্রিটেনের পররাষ্ট্র ও কমনওয়েলথ বিষয়ক মন্ত্রী বরিস জনসন মিয়ানমার থেকে আসা রোহিঙ্গাদের দ্রুত প্রত্যাবাসনের ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন। তিনি বলেন, প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ায় বিলম্ব হলে রোহিঙ্গা ইস্যুতে আরও জটিলতা সৃষ্টি হতে পারে। শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তার সরকারি বাসভবন গণভবনে সাক্ষাৎকালে বরিস জনসন এসব কথা বলেন। মানবিক কারণে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছে বাংলাদেশ। কিন্তু এই বিপুল জনসংখ্যার ভার বাংলাদেশ বইতে পারবে না। এজন্য মিয়ানমারকে এগিয়ে আসতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ব্রিটিশ মন্ত্রী বরিসের মন্তব্যের সঙ্গে একমত পোষণ করে বলেন, বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের দ্রুত প্রত্যাবাসনের জন্য মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সুচিকেই উদ্যোগী হতে হবে। রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের পর তাদের দেখভাল করার জন্য ইউএনসিএইচআর এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থাকে অনুমতি দিতে হবে। প্রধানমন্ত্রী রোহিঙ্গাদেরকে বাংলাদেশের জন্য একটি বড় ধরনের বোঝা হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, বাংলাদেশ মানবিক কারণে দশ লাখের অধিক মিয়ানমারের নাগরিকদের অস্থায়ীভাবে আশ্রয় দিয়েছে। তাদেরকে নিজ দেশে ফিরিয়ে নেয়া প্রয়োজন। তারা এখানে মানবেতর জীবন যাপন করছে।

বরিস জনসন রোহিঙ্গা সমস্যাকে ১৯৪৮ সালে ফিলিস্তিনে ঘটে যাওয়া অনুরূপ একটি ঘটনার সঙ্গে তুলনা করে বলেন, তখন ছয় লাখ লোক বাস্তুচ্যুত হয়েছিল। তিনি রোহিঙ্গাদের জীবন বাঁচাতে তাদের পাশে দাঁড়ানো এবং মর্যাদার সঙ্গে তাদেরকে দেশে ফিরিয়ে নিতে শেখ হাসিনার অবস্থানের প্রশংসা করেন।

রোহিঙ্গা শরণার্থীদের নিয়ে বাংলাদেশ যে খুব জটিল অবস্থার মধ্যে রয়েছে সেটি বৃটিশমন্ত্রীর পক্ষ থেকেও স্বীকার করা হচ্ছে। রোহিঙ্গাদের ওপর বর্বর নির্যাতনের পরও বিবেকবান বিশ্ব চুপ থাকতে পারে না। এ কথা ঠিক বাংলাদেশ রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে মানবিকতার পরিচয় দিয়েছে। বহির্বিশ্বে প্রশংসাও পাচ্ছে বাংলাদেশ। কিন্তু দীর্ঘ মেয়াদে এই ভার বহন করা অসম্ভব। আর আধুনিক দুনিয়ায় কিছু সংখ্যক মানুষ শরণার্থী হয়ে থাকবে এটাও শান্তিকামী বিশ্বের চাওয়া হতে পারে না। তাই রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে অতিদ্রুত সমন্বিত পদক্ষেপ নিতে হবে। এ ব্যাপারে মিয়ানমারকেই উদ্যোগী ভূমিকা পালন করতে হবে।

এইচআর/এমএস

আরও পড়ুন