গণজাগরণ মঞ্চ : একটি আপাত সফল বহুমাত্রিক বিপ্লব(!)
১৯৭১ সালে বাঙালি জাতি স্বাধীনতা অর্জনের পর সদ্যপাওয়া স্বাধীনতা ভাগাভাগি শুরু হলে রাতারাতি কয়েকটি পক্ষ দাঁড়িয়ে যায়। গবেষণালব্ধ তথ্য ছাড়াই সাদা চোখে এই পক্ষসমূহকে মোটাদাগে ভাগ করলে এক. বঙ্গবন্ধু ও আওয়ামী লীগ, দুই. স্বাধীনতা-বিরোধী রাজাকার ও ধর্মাশ্রয়ী একটি গোষ্ঠী যাদের সঙ্গে পরাজিত পাকিস্তান ও আন্তর্জাতিক শক্তিবলয় যুক্ত হয়ে একটি অত্যন্ত শক্তিশালী স্বাধীনতা-বিরোধী পক্ষ, তিন. মাওলানা ভাসানীসহ একটি সর্বদা অবস্থানপরিবর্তনকারী গোষ্ঠী যাদের সঙ্গে চীনপন্থী রাজনীতির যোগসাজশ ছিল, চার. মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্ব আওয়ামী লীগের হাত থেকে ছিনিয়ে নিতে না পারা একদল মুক্তিযোদ্ধা যারা বঙ্গবন্ধুর বিপরীতে তাজউদ্দিনকে নিয়ে কিছুদিন রাজনীতির খেলা খেলে তারপর নিজেরাই প্রতি-বিপ্লবী শক্তিতে পরিণত হয় এবং পাঁচ. সামরিক ও বেসামরিক আমলা যারা নিজেদের মাথা ছাড়া আর কারো মাথাকে গুণতেও নারাজ, যারা সদ্যলদ্ধ স্বাধীনতাকে বাজির ঘোড়া হিসেবে ব্যবহার করে কেবল নিজেরাই টিকে থাকতে চেয়েছে এবং সে জন্য জাতির পিতাকে হত্যায় অংশ নিতেও কোনো প্রকার দ্বিধাবোধ করেনি।
অতি অল্প কথায় বাঙালি জাতির স্বাধীনতা-পরবর্তী বাংলাদেশ নিয়ে ওপরের বক্তব্য শেষ করার কারণ হলো ২০১৩ সালে যখন স্বাধীনতা-বিরোধী রাজাকার ও আল-বদরগোষ্ঠীর বিচার প্রক্রিয়া একটি চূড়ান্ত অবস্থায় এসে পৌঁছে তখন দেশের তরুণ সমাজ দ্বিতীয় ‘মুক্তিযুদ্ধের’ ডাক দিয়ে শাহবাগে গণজাগরণ মঞ্চ গঠন করে এবং সেখানে মুক্তিযুদ্ধের মতোই সকল স্তরের বাঙালি গিয়ে “আমিও আছি” বলে যোগদান করে যুদ্ধাপরাধের বিচারের দাবিতে। ১৯৭১ সালের পরে বাঙালি খুউব অল্প দিনের মাথাতেই দ্বিতীয় ‘মুক্তিযুদ্ধে’-ও সফলতা লাভ করে। কিন্তু উপরে বর্ণিত ১৯৭১ সালের মতোই ২০১৩ সালে দ্বিতীয় ‘মুক্তিযুদ্ধে’-ও একটি বহু পাক্ষিক ও বহুধাবিভক্ত গণ-আন্দোলণে পরিণত হয়।
গণজাগরণ মঞ্চকে কেন্দ্র করেও এদেশে একাত্তরের মতোই রাজনীতি, রাজনীতিবিদ, সুশীল সমাজ, গণমাধ্যম, সামরিক ও বেসবামরিক আমলারা বিভ্রান্ত, বিচ্ছিন্ন ও বিভক্ত হয়ে পড়েন অত্যন্ত দ্রুতই, একাত্তরের মতোই এদেশের সাধারণ মানুষ কেবল তাদের অবস্থান বদল করে না, তারা একাত্তরে যেমন মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে দৃঢ়ভাবে অবস্থান নিয়েছিল, তেমনই গণজাগরণ মঞ্চে যে দাবি নিয়ে গিয়ে দাঁড়িয়েছিল সেই যুদ্ধাপরাধের বিচার সম্পাদন করেই যে যার কাজে/অবস্থানে ফিরে যায়।
গণজাগরণ মঞ্চকে ঘিরে যে রাজনীতির নতুন সমীকরণ তৈরি হয় তাতে সাধারণ মানুষের অংশগ্রহণতো নেই-ই বরং এ ব্যাপারে আগ্রহও আছে কিনা সন্দেহ। মুক্তিযুদ্ধে বিজয় অর্জনের পর সাধারণ বাঙালি যেমন নিজেদের জীবনযাপন নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ে দেশের রাজনীতিতে যে খুন-যখম-প্রতিবিপ্লব চলছে, রাজধানীতে যে রক্তগঙ্গা বয়ে যাচ্ছে সে ব্যাপারে তারা কতোটুকু কি জানতো তা নিয়ে এখনও ঘোরতর সন্দেহ আছে, অন্ততঃ দেশের গরিষ্ঠ সংখ্যক সাধারণ মানুষ।
শুরু থেকে গণজাগরণ মঞ্চ’র শেষদিন অবধি (এখনও নামে এটি আছে বলে জানা যায়, কার্যতঃ কতোটুকু কি আছে, কী পরিচয়ে আছে সে সম্পর্কে অজ্ঞতা মেনে নিয়েই লিখছি) ঘটনাক্রম পর্যালোচনা করলে মুক্তিযুদ্ধের মতোই বেশ ক’টি পক্ষকে আমরা দেখতে পাই। আলোচনার সুবিধার্থে প্রতিটি পক্ষ সম্পর্কে কয়েকটি বাক্যে পাঠকের সঙ্গে তাদের পরিচয় করিয়ে দিতে চাই।
ক. আন্দোলনে নেতৃত্বদানকারী তরুণগণ: অনেকেই এখন দাবি করেন বা করে চলেছেন যে, তিনি বা তারাই গিয়ে প্রথমে শাহবাগে দাঁড়িয়েছিলেন কাদের মোল্লার ফাঁসির দাবি নিয়ে। আমি কাউকেই ছোট করতে চাইনে কিন্তু একথাও সত্য যে, মুক্তিযুদ্ধের পরে যেমন অনেকেই মুক্তিযোদ্ধা সেজেছেন এবং এখনও সেজে চলেছেন বা অর্থের বিনিময়ে মুক্তিযোদ্ধা সনদ কিনেছেন তেমনই গণজাগরণ মঞ্চেও অনেকে ছিলেন বললেও তারা আদৌ ছিলেন কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন তোলা যায়। কেউ কেউ গণজাগরণ মঞ্চ’র সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন এই সত্য স্বীকারেও এখন দ্বিধান্বিত, কারণ তাতে যদি তার রাজনৈতিক পরিচয়ে কোনো প্রভাব পড়ে, সেই ভয়ে তিনি হয় মিউ মিউ করে গণজাগরণ মঞ্চ’র কথা বলেন, নয় চেপে যান।
খ. মুক্তিযুদ্ধের মতোই গণজাগরণ মঞ্চ প্রায় শুরুতেই বিভক্ত হয়ে পড়ে রাজনৈতিক পরিচয় নিয়ে। বাম দলগুলির ছাত্র সংগঠন ও আওয়ামী লীগের ছাত্র সংগঠনের মধ্যে তীব্র টানাপড়েন শুরু হয় নেতৃত্ব নিয়ে, যেমনটি আমরা দেখেছি মুক্তিযুদ্ধ চলাকালেও। ধর্মাশ্রয়ী ও স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি গণজাগরণ মঞ্চে যোগ দেওয়ার কথা নয়, দেয়ওনি, যেমনটি তারা একাত্তরে করেছিল।
গ. একাত্তরে যেমন স্বাধীনতা-বিরোধী, রাজাকার, যুদ্ধাপরাধীরা কেবল মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করেই ক্ষান্ত হয়নি তারা পাকিস্তানিদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে বাঙালি-নিধনযজ্ঞে নেমেছিল এবং মুক্তিযোদ্ধাদের ইসলামের শত্রু ও ভারতের দালাল বলে আখ্যা দিয়েছিল তেমনই ২০১৩ সালে এসেও তারা একই কাজ করেছে। তারা গণজাগরণ মঞ্চের তরুণদের নাস্তিক, ভারতের দালাল আখ্যা দিয়ে শাহবাগে বেলেল্লাপনা হয় বলে এর বিরোধিতা করেই থামেনি এই তরুণদের বিরুদ্ধে ধর্মবাদীদের উস্কে দিয়ে দেশে এক নতুন যুদ্ধ-পরিস্থিতি তৈরি করে এবং গুপ্ত হত্যা শুরু করে গণজাগরণ মঞ্চের কর্মীদের।
ব্যক্তিগত ব্লগের যে লেখা ইন্টারনেটের যুক্তি-তর্কের বিষয় ছিল তা জাতীয় দৈনিক ফলাও করে প্রকাশ করে যে নতুন ধর্মযুদ্ধের ডাক তারা দিয়েছিল সেটা একাত্তরের বীভৎসতাকে স্মরণ করিয়ে দেয়। কিন্তু এই পক্ষটি একাত্তর ও স্বাধীনতা-পরবর্তী রাজনীতির মতোই মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতি, ব্যক্তিকে প্রাধান্য দিয়ে সমষ্টিকে অগ্রাহ্য করা এবং মুক্তিযুদ্ধকে যেমন ধর্মের বিপরীতে দাঁড় করাতে সফল হয়েছে তেমনই গণজাগরণ মঞ্চকে নাস্তিক প্রমাণ করে দেশের সাধারণ ধর্মপ্রাণ মানুষের সামনে তুলে ধরতে সফল হয়। গণজাগরণ মঞ্চ পরবর্তী রাজনীতি তাই মোটামুটি তাদের দখলেই, এখনও পর্যন্ত।
ঘ. আওয়ামী লীগ তথা সরকার প্রথম থেকেই গণজাগরণ মঞ্চ’র কাছাকাছি থেকে একে সর্বাত্মক সহযোগিতা দিলেও রাজনৈতিক কারণে এটা গোপন রাখাকেই শ্রেয় মনে করে। দেশের যে কোনো গণআন্দোলনে যে আওয়ামী লীগ মানুষের পাশে থাকে তা সে বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন হোক, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ হোক, জাহানারা ইমামের নেতৃত্বে গণআদালতকে কেন্দ্র করে ঘাতক-দালাল-নির্মূল আন্দোলন হোক আর গণজাগরণ মঞ্চই হোক, এটা আবারও প্রমাণিত হয়। কিন্তু বিপ্লব বে-হাত হওয়ার ঘটনাও যে এখানে ঘটেনি তা নয়, অন্ততঃ আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে এই বদনামও আছে যে, গণজাগরণ মঞ্চকে আওয়ামী লীগই বিনষ্ট করেছে এবং যখন এই মঞ্চ’র বিরুদ্ধে নাস্তিক্যবাদের অভিযোগ উঠেছে তখন এই তরুণদের নিরাপত্তা প্রদানে সরকার ব্যর্থতো হয়েইছে সেই সঙ্গে যারা গণজাগরণ মঞ্চকে নাস্তিক আখ্যা দিয়ে ঢাকা দখল করার নামে সরকারকেই ফেলে দিতে ধর্মের তরবারি হাতে মতিঝিলের শাপলা চত্বরের দখল নিয়েছিল সরকার যখন তাদের সঙ্গেই হাত মেলায় তখন এই মঞ্চ’র একদল তরুণ পুরোপুরি দিশেহারা ও আশ্রয়হীন হয়ে পড়ে, এদেশ তখন তাদের কাছে মৃত্যুপুরী হয়ে ওঠে, প্রাণ হাতে নিয়ে পালিয়ে বেড়িয়েও শেষ রক্ষা হয় না, একে একে তারা চাপাতির তলায় পড়তে শুরু করে, প্রাণ হারায় এবং জীবিতদের অনেকেই দেশত্যাগে বাধ্য হয়। প্রায় মুক্তিযুদ্ধোত্তর প্রতিবিপ্লবী চক্রের মতো গণজাগরণ মঞ্চকে ঘিরেও একই ঘটনা ঘটতে থাকে।
ঙ. মজার ব্যাপার হলো গণজাগরণ মঞ্চ’র সময়ে এসে আমরা দেখতে পেলাম যে, এদেশে একদল বুদ্ধিজীবী, সুশীল ও গণমাধ্যম ব্যাক্তিত্ব/প্রতিষ্ঠান রয়েছে যারা আসলে এদেশের মৌলিক যে চেতনা যা মুক্তিযুদ্ধের সঙ্গে সরাসরি সম্পর্কিত, সেটা ধারণ করেন না এবং কেবল রাজনৈতিক ভাবে নয়, তারা সর্বোতভাবেই এর বিরোধিতা করেন। যে কারণে গণজাগরণ মঞ্চ সম্পর্কে এরা সকল মাধ্যমে অপপ্রচার শুরু করেন এবং সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমকে এর বিরুদ্ধে ব্যবহারের জন্য সেই মুক্তিযুদ্ধের মতোই ধর্মকে যথেচ্ছ ব্যবহার করতে শুরু করেন। একাত্তরে যারা মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে দাঁড়িয়েছিলেন ২০১৩ সালে এসেও তারাই গণজাগরণ মঞ্চকে কলমে, বক্তৃতায় এবং অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে সমর্থন জানান আর একাত্তরে বা তার পরো মুক্তিযুদ্ধকে বিতর্কিত করেছেন ২০১৩ সালেও তারা বা তাদের বংশধররাই গণজাগরণ আর ধর্মকে মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দিতে প্রয়াসী হন।
চ. গণজাগরণ মঞ্চ’র নেতৃত্বেও প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় সারির রাজনীতি-বোঝা তরুণদের ভেতর রাজনৈতিক লাভ-লোকসানের হিসেব শুরু হয়। বিশেষ করে প্রাথমিক ভাবে দেশের সাধারণ মানুষের অকুণ্ঠ সহযোগিতা যার আর্থিকমূল্য অনেক তা তুরুপের অভিযোগ ও পাল্টা অভিযোগে মঞ্চ বিতর্কিত হতে শুরু করে। ইতোমধ্যেই শুরু হয়ে যাওয়া রাজনীতিকে কেন্দ্র করে মঞ্চ বহুধা বিভক্ত হয়, বিশেষ করে নেতৃত্বে। একদল টিভি-সেলিব্রিটি রাতারাতি নিজেদের মঞ্চ-বিশেষজ্ঞ ভাবতে শুরু করেন এবং তারা নিজেদেরকে আলাদাই করে ফেলেন গণমাধ্যমে তাদের এক প্রকার পরিচিতি পাওয়ার সুবাদে।
মজার ব্যাপার হলো, মূল নেতৃত্বের সঙ্গে এরাও নিজেদের প্রবল ধর্মবিশ্বাসী প্রমাণের রাজনীতিতে রীতিমতো প্রতিযোগিতা শুরু করেন। বিরোধীপক্ষ নাস্তিক প্রমাণে যতটুকু না নেমেছে তার চেয়ে অধিক নেমে গিয়ে তারা নিজেদের ধর্মপরিচয়কে মুখ্য করে তোলেন। একটি পক্ষ নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষার জন্যই বিদেশে পাড়ি জমায় কিন্তু সেখানে গিয়ে তারা নিজেদের ইসলাম-বিরোধী হিসেবে প্রমাণে মুক্তকচ্ছ হয়ে ওঠে আর গণজাগরণ মঞ্চ’র বিরুদ্ধে বিষোদগারে চ্যাম্পিয়ন হতে শুরু করে। ইমরান এইচ সরকারের বিরুদ্ধে ঢালাও অভিযোগ আনতে শুরু করে যার কোনো ভিত্তি-প্রমাণ দিতে তারা ব্যর্থ হয়। অথচ এদের অনেককেই সরকার ঘনিষ্ঠ ব্যক্তি বা ব্যক্তিবর্গ থেকে সরাসরি সাহায্য নিয়ে বিদেশে গিয়ে নিরাপদ আশ্রয় লাভ করেছেন।
মোদ্দাকথা হলো, গণজাগরণ মঞ্চ হচ্ছে একটি উৎকৃষ্ট উদাহরণ বাঙালি-চরিত্রের বহুমাত্রিক ভিন্নতার, যা আমাদেরকে একাত্তরের স্বাধীনতা-পরবর্তী বাংলাদেশকে স্মরণ করিয়ে দেয়। একদিকে মঞ্চকে নাস্তিক আখ্যা দিয়ে বিএনপি-জামায়াত-হেফাজত চাপাতিবাজিতে সফল হয়েছে আরেকদিকে সরকার যুদ্ধাপরাধের বিচারে সফল হলেও গণজাগরণকে জায়গা করে দিতে চায়নি বা পারেনি- এখন একদল গণজাগরণ মঞ্চকে গাল দেয় (কাল্পনিক সরকার পতনের গল্প থেকে কোটি কোটি টাকা নয়-ছয়ের উদাহরণসহ), একদল এর সঙ্গে সম্পৃক্ততার কারণে নিজেদের কাঙ্খিত জায়গাটি খুঁজে নিয়েছে ঠিকই, কিন্তু এত নিকট অতীত হয়েও গণজাগরণ মঞ্চ যেনো বহু পুরোনো ইতিহাস, যেনো এরকম কোনো জন-উত্থানের ঘটনা এদেশে কখনও ঘটেইনি; এর অভিঘাত একাত্তরের মতোই বহুমাত্রিক এবং বহুধা বিভক্ত হয়ে যাওয়া একটি আপাত সফল কিন্তু নানা মাত্রায় বিফল হওয়া বিপ্লব (কেউ একে বিপ্লব আখ্যা দিতে না চাইলেও অসুবিধে নেই)।
ঢাকা ৫ ফেব্রুয়ারি, সোমবার ২০১৮
[email protected]
লেখক : সাংবাদিক, কলামিস্ট।
এইচআর/পিআর