অনেক প্রত্যাশার রেজিস্টার্ড গ্র্যাজুয়েট নির্বাচন
প্রায় বিশ বছর পর জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে সিনেটে রেজিস্টার্ড গ্র্যাজুয়েট প্রতিনিধি নির্বাচন। এই নির্বাচনকে ঘিরে প্রাণবন্ত উৎসাহ ও উদ্দীপনা লক্ষ করা যাচ্ছে। একেতো দীর্ঘদিন পর নির্বাচন তার ওপর প্রার্থী সংখ্যাও চমক দেওয়ার মতো। ২৫টি আসনের বিপরীতে নির্বাচনী লড়াইয়ে অংশ নিতে যাচ্ছেন শতাধিক রেজিস্টার্ড গ্র্যাজুয়েট।
প্রার্থীদের প্রচারণায় সরগরম হয়ে উঠেছে সমগ্র দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলও। যেখানে যেখানে প্রাক্তন রেজিস্টার্ড গ্র্যাজুয়েটবৃন্দ অবস্থান বা বসবাস করছেন প্রার্থীরা চলে যাচ্ছেন সেখানেই। ফলে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টার্ড গ্র্যাজুয়েট নির্বাচনের আমেজ এককথায় সমগ্র দেশে অল্পবিস্তর ছড়িয়ে পড়েছে। প্রার্থীরা অন্তত জেলা-শহরভিত্তিক একত্রিত হওয়ার মাধ্যমে ভোটারদের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত হওয়ার চেষ্টা করছেন।
এছাড়া, ফোন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এবং এসএমএস তো আছেই। সেই সাথে ক্যাম্পাস জুড়ে এখন প্রার্থীদের ছবিযুক্ত বিশাল বিশাল নির্বাচনী ব্যানারের পাশাপাশি প্রার্থীর ব্যক্তিগত পরিচয়, পেশা, কৃতিত্ব এবং ‘সুন্দর’ ও ‘সমৃদ্ধ’ বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে তোলার প্রত্যয়সহ ছোট ছোট নানা রঙের প্রচারপত্র। এক কথায় বিশ্ববিদ্যালয় এখন নির্বাচনমুখী আমেজে প্রস্তুতপ্রায়। এরূপ পরিবেশে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন রেজিস্টার্ড গ্র্যাজুয়েট হিসেবে আমরা চাই ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া নির্বাচনের মাধ্যমে প্রাক্তনদের মধ্য থেকে সৎ, যোগ্য, সৃষ্টিশীলতায় মেধাবী ও দূরদৃষ্টিসম্পন্ন নেতৃত্ব নির্বাচিত হয়ে আসুক। যাদের সুযোগ্য নেতৃত্বে আমাদের সকলের প্রাণপ্রিয় এই বিশ্ববিদ্যালয়টি বৈশ্বিক মান অর্জনে সক্ষম হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের অগ্রগতি ও উন্নয়নে নির্বাচিত সিনেটরগণ বাস্তবোচিত ও যুগোপযোগী ভূমিকা রাখবেন এটাই আমাদের প্রত্যাশা। তারা আর যাই করুন না কেন অন্তত অতীতের পথে হাঁটবেন না এটাই জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ও বর্তমান সকল শিক্ষার্থীর কাম্য। সকলেরই প্রত্যাশা জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় সৃজনশীল শিক্ষা ও গবেষণায় এগিয়ে যাবে বিশ্বের মানসম্মত বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে তালে তাল মিলিয়ে। এক্ষেত্রে নির্বাচিত সিনেটরগণ তাদের সহায়ক দিকনির্দেশনা আর পরামর্শ দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনায় রাখবেন নান্দনিক ভূমিকা।
একটি বিশ্ববিদ্যালয়কে জ্ঞান ও গরিমায় শীর্ষবিন্দুতে পৌঁছাতে একটি কার্যকর ও পূর্ণাঙ্গ সিনেট থাকা জরুরি। এই কার্যকর সিনেট গঠনে কেবল রেজিস্টার্ড গ্র্যাজুয়েটই নন গণতান্ত্রিক ও নিয়মতান্ত্রিকভাবে বিভিন্ন ক্যাটেগরির সদস্য অন্তর্ভুক্ত থাকেন। যাতে সমাজের বিভিন্ন শ্রেণির প্রতিনিধিদের পরামর্শে বিশ্ববিদ্যালয়টি একটি আদর্শ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়ে উঠতে পারে। এই লক্ষ্যেই জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় অ্যাক্ট ১৯৭৩-এর ১৯ নম্বর ধারাটি প্রযুক্ত আছে।
১৯ (১) (এ) ধারা অনুযায়ী সিনেটের সভাপতি হয়ে থাকেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য। এর পর পদাধিকার বলে ১৯ (১) (বি)১ ১৯, (১) (বি)২, ১৯, (১) (বি)৩ প্রভৃতি ধারা অনুযায়ী উপ-উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষ সিনেটের সদস্য হন। পরের ধাপে অর্থাৎ ১৯ (১) (সি) ধারা মতে সরকারি কর্মকর্তাদের মধ্য থেকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন), ঢাকা বিভাগের কমিশনার, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (বিশ্ববিদ্যালয়), মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, অর্থ মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব (বাজেট) প্রমুখ।
১৯ (১) (ডি) ধারা মোতাবেক জাতীয় সংসদের পাঁচজন সদস্য সিনেট সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত থাকেন। ১৯ (১) (ই) ধারা মোতাবেক পাঁচজন শিক্ষাবিদ এবং ১৯ (১) (এফ) ধারা মোতাবেক পাঁচজন গবেষককে মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য সিনেট সদস্য নিযুক্ত করেন। ১৯ (১) (জি) ধারা মোতাবেক উচ্চ মাধ্যমিক কলেজের পাঁচ জন অধ্যক্ষ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোনীত সদস্য। ১৯ (১) (এইচ) ধারা মোতাবেক ঢাকার মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান সিনেট সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত।
১৯ (১) (আই) ধারা অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন সকল শিক্ষার্থী অর্থাৎ রেজিস্টার্ড গ্র্যাজুয়েটদের মধ্য ধেকে ২৫ জন প্রতিনিধি নির্বাচনের মাধ্যমে অন্তর্ভুক্ত হবেন। এছাড়াও, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মধ্য থেকে ১৯ (১) (জে) ধারা অনুযায়ী ৩৩ জন শিক্ষক নির্বাচনের মাধ্যমে সিনেটের সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হন। উপরে বর্ণিত ১৯ নম্বর ধারার সকল পর্যায়ের প্রতিনিধি সিনেটে বিদ্যমান থাকলেই কেবল তাকে পূর্ণাঙ্গ সিনেট বলা যায়। কিন্তু নানা কারণে কোন বিশ্ববিদ্যালয়েই পূর্ণাঙ্গ সিনেট সব সময় থাকে না। তবে, কোথাও কোথাও দেখা যায় অর্ধেকেরও কম সদস্য নিয়ে সিনেটের কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। যা কখনো কাম্য হতে পারে না।
আবার, নির্বাচিত সদস্যদের সাধারণ মেয়াদ তিন বা দুই বছরের জন্য নির্ধারিত থাকলেও ‘পরবর্তী উত্তরাধিকার’ বা ‘স্থলাভিষিক্ত’ না হওয়া পর্যন্ত কোন কোন পর্ষদ চালিয়ে নেওয়ার এক প্রকার রুগ্ন প্রবণতা সিনেটের ক্ষেত্রেও দেখা যায়। নির্ধারিত সময়ের বিষয়টি আইন বা নিয়মসিদ্ধ থাকলেও তার প্রয়োগ দেখা যায় না। সার্বিকভাবে আমাদের দেশে নিয়ম বা আইনের তেমন অভাব নেই। কিন্তু মানসিকভাবে আমাদের অভাব হলো আইন বা নিয়মের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকা। অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় আমরা আইন বা নিয়ম-এ দুটোর কোনটাই পালন করি না, করতে পারি না, কখনো কখনো করতে দিইও না। আইন ও নিয়ম অনেকটাই শক্তিশালীর পক্ষে থাকে। এজন্যই জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেটে রেজিস্টার্ড গ্র্যাজুয়েট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে ২০ বছর সময় পার করতে হয়েছে। তবে, এবার নির্বাচনটি হতে চলেছে এটিই আনন্দের সংবাদ, আশার সংবাদও বটে।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৯ (১) (আই) ধারা অনুযায়ী রেজিস্টার্ড গ্র্যাজুয়েটদের মধ্য ধেকে ২৫ জন প্রতিনিধি নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার পর থেকেই সকলের মধ্যে আগ্রহ ও কৌতূহল লক্ষ করা গেছে। আমরা ইতোমধ্যে প্রার্থীদের জীবনীসহ তালিকাও দেখতে পেয়েছি। তা দেখে মনে হচ্ছে এ নির্বাচনে প্রার্থীর বৈচিত্র্য আছে। রাজনৈতিক বিবেচনায় এই নির্বাচনে সরকার দলীয় প্রার্থীদের বিভক্ত দুটি প্যানেলের পাশাপাশি আছে বিএনপি সমর্থিত একটি প্যানেল। তিনটি প্যানেলে ৭৫ জন প্রার্থীর অতিরিক্ত আরো প্রায় ৪০জন প্রার্থী স্বতন্ত্র পরিচয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছেন। যদিও বিভক্তিকৃত আওয়ামী সমর্থিত দুটি প্যানেলেই বামঘেঁষা রেজিস্টার্ড গ্র্যাজুয়েটরাও রয়েছেন।
আবার, প্যানেলভুক্ত হতে না পেরে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি উভয় দলের সমর্থক অনেকেই স্বতন্ত্র অবস্থান নিয়ে নির্বাচনে অবতীর্ণ হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। আসন্ন নির্বাচনে নিবন্ধিত রেজিস্টার্ড গ্র্যাজুয়েট ভোটার সংখ্যা কম-বেশি প্রায় সাড়ে চার হাজার। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪৭ বছরের ইতিহাসে সম্ভবত (রেজিস্ট্রার অফিসে এ সংক্রান্ত তথ্য পাওয়া যায়নি। দ্বিতীয় রেজিস্টার্ড গ্র্যাজুয়েট নির্বাচনে নির্বাচিত একজন গ্র্যাজুয়েটের দেওয়া তথ্য) চতুর্থ বারের মতো অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে সিনেটে রেজিস্টার্ড গ্র্যাজুয়েট নির্বাচন।
১৯৭৩ সালের জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাক্ট অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনার সর্বোচ্চ পর্ষদের জন্য প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে সিনেটে ২৫ জন শিক্ষার্থী প্রতিনিধির বাধ্যবাধকতা আছে। এই বাধ্যবাধকতা গণতান্ত্রিক পন্থায় মীমাংসিত হওয়ার রেওয়াজ। কিন্তু প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণমূলক এই নির্বাচন প্রতি তিন বছর অন্তর হওয়ার আইনি বিধিনিষেধ থাকলেও তা নিয়মিত অনুষ্ঠানের নজির খুবই কম। ১৯৭০ সালে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর যতদূর জানা যায় ১৯৮১-৮২ সালে দ্বিতীয় ও ১৯৯৮ সালে তৃতীয় এবং শেষ বারের মতো সিনেটে রেজিস্টার্ড গ্র্যাজুয়েট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। আর ১৯৯৮ সালের পর ২০১৭ সালের ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া এটি চতুর্থ রেজিস্টার্ড গ্র্যাজুয়েট নির্বাচন।
প্রায় বিশ বছর পরের এবারের এই নির্বাচনের প্রতি তাই সবারই ঔৎসুক দৃষ্টি। সবার এই ঔৎসুক দৃষ্টি এখন ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া নির্বাচনের দিকে। তাই একদিকে যেমন আগ্রহ তেমনি উৎসাহেরও কমতি নেই। রেজিস্টার্ড গ্র্যাজুয়েটসহ বর্তমান শিক্ষার্থীদের মধ্যেও সেই আনন্দ উত্তেজনা বিরাজ করছে। দীর্ঘদিন পর অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া এই নির্বাচন হওয়া না-হওয়া নিয়ে নানা তর্ক বিতর্কও আছে। একটি হিসেব এরকমতো সবার কাছেই আছে যে, নিয়মিতভাবে অনুষ্ঠিত হলে এ পর্যন্ত ১৯৯৮ সালের পরে এই নির্বাচন কম পক্ষে ৬ বার হতে পারতো। আর এতে প্রায় ১৫০ জন প্রাক্তন শিক্ষার্থী তাদের নেতৃত্ব এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক কর্মকাণ্ডে তাদের সুচিন্তিত অবদান রাখতে সমর্থ হতেন।
আমরা গণতন্ত্রচর্চা ও নতুন নেতৃত্বের বিকাশের কথা কেবল তাত্ত্বিকভাবে ততটুকু বলে বেড়াই যতটুকু নিজেদের স্বার্থে কাজে লাগে। কিন্তু ১৯৯৮ সালে নির্বাচিত সেই ২৫ জন রেজিস্টার্ড গ্র্যাজুয়েট স্ব-স্ব পদে বহাল থেকে ২০ বছর ধরে ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব সৃষ্টিতে এবং সর্বোপরি ‘নতুন’দের সুযোগ সৃষ্টির প্রতিবন্ধকতা রচনা করেছেন। অবশ্য, এ দোষ তাদের নয়- দোষ কিংবা অবহেলা যাই বলি না কেন তা সর্বোতভাবেই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের। সিনেটে শিক্ষক প্রতিনিধি নির্বাচনটি ৩ বছর মেয়াদান্তে অনুষ্ঠিত না হলেও ৪ বা ৫ বছরের মাথায় হয় ঠিকই।
গ্র্যাজুয়েটরা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দূরে থাকেন বলে, কিছুটা বিচ্ছিন্ন থাকেন বলে প্রশাসন তাদের নিকট থেকে প্রয়োজনীয় ‘চাপ’ অনুভব করতে পারে না। তাই কি ৩ বছরের পরিবর্তে একটি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে প্রায় ২০ বছর সময় লেগে গেল! ১৯৯৮ সালের পর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনে রদবদল হয়েছে অন্তত ছয় বার। কিন্তু কেউ রেজিস্টার্ড গ্র্যাজুয়েট নির্বাচন নিয়ে মাথাা ঘামাননি। মাথা ঘামানো তো পরের কথা বিভিন্ন প্রশাসনে এ নিয়ে চলেছে ‘জল ঘোলা’ করারও মহোৎসব। অবশেষে, বর্তমান প্রশাসন অসীম সাহসিকতার পরিচয় দিয়ে রেজিস্টার্ড গ্র্যাজুয়েট নির্বাচনের দিন-ক্ষণ ঘোষণা করেছেন।
আমরা প্রত্যাশা করছি যোগ্যতমরা নির্বাচিত হয়ে এসে গতিশীল, যুগোপযোগীরাই তাদের দূরদর্শী নেতৃত্বে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়কে নতুন উচ্চতায় পৌঁছে দিবেন। আরো প্রত্যাশা করি, যখন যেই প্রশাসনই থাকুক না কেন জাকসুসহ (জাকসুর নির্দিষ্ট প্রতিনিধিরাও সিনেটের সদস্য থাকেন) বিশ্ববিদ্যালয়ের গণতান্ত্রিক বিভিন্ন পর্ষদগুলোতে গণতন্ত্রচর্চার সুযোগ সৃষ্টি করবে। এটি আসন্ন রেজিস্টার্ড গ্র্যাজুয়েট নির্বাচনে নির্বাচিত সিনেটরদের কাছেও আমাদের চাওয়া।
লেখক : অধ্যাপক, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়।
এইচআর/এমএস