ভিডিও EN
  1. Home/
  2. মতামত

নিশ্চিত করতে হবে গ্যাসের সুষ্ঠু ব্যবহার

সম্পাদকীয় | প্রকাশিত: ০৩:৫১ এএম, ২৬ অক্টোবর ২০১৭

ভোলায় শাহবাজপুরের পাশে নতুন গ্যাসক্ষেত্রের সন্ধান আমাদের দেশের জন্য সুসংবাদ। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে যে, এখানে ৭০০ বিলিয়ন কিউবিক ফুট বা বিসিএফ গ্যাস আছে। আগে যে কূপ আছে সেটা ও নতুন কূপ মিলিয়ে প্রায় এক ট্রিলিয়ন কিউবিক ফুট (ঘন ফুট) গ্যাসের সংস্থান আছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ভোলার শাহবাজপুরের পাশে আবিষ্কৃত নতুন গ্যাসক্ষেত্র থেকে পাওয়া গ্যাস আবাসিক কাজে নয়, বাণিজ্যিক কাজে ব্যবহার করা হবে। বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ এমন তথ্যই গণমাধ্যমকে দিয়েছেন। সত্যিকার অর্থে আমাদের জ্বালানির স্পষ্ট কোনো নীতিমালা নেই। তাই প্রাকৃতিক অমূল্য সম্পদ গ্যাসের সর্বোচ্চ ও সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করতে একটি নীতিমালা প্রণয়ন অত্যন্ত জরুরি হয়ে পড়েছে।

গ্যাস মূল্যবান প্রাকৃতিক সম্পদ। অনেকদিন ধরেই এর সঠিক ব্যবহার নিয়ে যুক্তিতর্ক চলছে। রান্না-বান্নার কাজসহ যানবাহনের জ্বালানি, শিল্পকারখানা এমনকি বিদ্যুত উৎপাদনেও গ্যাসের ব্যবহার হচ্ছে। বিদ্যুৎ-ব্যবস্থা উন্নত রাখার জন্য বিদ্যুৎ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষসহ (পিডিবি) বেসরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোকে বেশি হারে গ্যাস দিতে হচ্ছে। যার প্রভাব পড়ছে আবাসিক গ্যাস সরবরাহে। গ্যাস প্রাকৃতিক সম্পদ। বাংলাদেশের গ্যাসক্ষেত্রগুলোতে কী পরিমাণ গ্যাস মজুদ আছে সেটিও এখন পর্যন্ত সঠিকভাবে বলতে পারছেন না জ্বালানি বিশেষজ্ঞরা। এছাড়া নতুন গ্যাস ক্ষেত্র আবিষ্কারেরও সম্ভাবনা কতটুকু এ নিয়েও পরিষ্কার কোনো ধারণা পাওয়া যাচ্ছে না। বর্তমানে মজুদ গ্যাসে কতদিন চলবে সেটিও নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। অথচ গ্যাস ব্যবহারের সুনির্দিষ্ট কোনো নীতিমালা নেই। একই গ্যাস আমরা ব্যবহার করছি রান্না-বান্নার কাজে। প্রাইভেট পরিবহন থেকে শুরু করে পাবলিক পরিবহন চলছে গ্যাসে। বিদ্যুত উৎপাদনের মতো বড় কাজেও ব্যবহৃত হচ্ছে গ্যাস। একদিকে ব্যবহার করতে গিয়ে অন্যদিকে টান পড়ছে। তাছাড়া এখনই যদি জ্বালানি নীতি ঠিক করা না হয় তাহলে অদূর ভবিষ্যতে যখন গ্যাসের মজুদ ফুরিয়ে আসবে তখন কিভাবে সবকিছু চলবে সেটি কি ভেবে দেখা হয়েছে? মূল্যবান প্রাকৃতিক সম্পদ আমরা রান্না করে শেষ করবো নাকি ধনীদের প্রাইভেটকারের জ্বালানি হবে এই গ্যাস। গ্যাসে রাষ্ট্রীয় ভর্তুকি দেওয়া হয়। এই ভর্তুকির ফল যাতে এদেশের মালিক সাধারণ মানুষ পায় সেটি নিশ্চিত করাটা অত্যন্ত জরুরি।

জ্বালানি নীতিমালাতো করতেই হবে। তারও আগে নিশ্চিত করতে হবে গ্যাসের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা। গ্যাসনির্ভর শিল্প-কারখানা গড়ে তোলার ব্যাপারেও পদক্ষেপ নিতে হবে। । এছাড়া আবাসিক ভবনে এখন যে গ্যাস সংকট চলছে সেটি দূর করতে হবে সবার আগে। গ্যাসের ক্ষেত্রে রেশনিং এর কথা বলা হচ্ছে। প্রয়োজনে সেটি করতে হবে। বন্ধ করতে হবে অপচয়, অপব্যবহার। এছাড়া দুর্নীতির যে অভিযোগ রয়েছে এ ব্যাপারে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। একটি সমন্বিত পদক্ষেপের মাধ্যমে প্রাকৃতিক এই সম্পদের সুফল যাতে সবাই পায় নিশ্চিত করতে হবে সেটিও। নতুন নতুন গ্যাস ক্ষেত্রের অনুসন্ধানও অব্যাহত রাখতে হবে।

এইচআর/আরআইপি

আরও পড়ুন