ভিডিও EN
  1. Home/
  2. মতামত

প্রশ্ন ফাঁসের ফাঁস থেকে কবে মুক্তি?

সম্পাদকীয় | প্রকাশিত: ০৩:৪২ এএম, ২৩ অক্টোবর ২০১৭

এটা খুবই দুঃখজনক যে প্রশ্ন ফাঁসের মত গুরুতর অপরাধের ঘটনা ঘটেই চলেছে। নানা রকম উদ্যোগ স্বত্ত্বেও প্রশ্ন ফাঁস ঠেকানো যাচ্ছে না। বিভিন্ন পাবলিক পরীক্ষা থেকে শুরু করে চাকরির প্রতিযোগিতামূলক নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নও ফাঁস হচ্ছে। সবশেষ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস হয়েছে। এ নিয়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। প্রশ্নফাঁসের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে ১৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কিন্তু এতেই কি সমাধান মিলবে?

গণমাধ্যমের খবর থেকে জানা যায়, গত শুক্রবার অনুষ্ঠিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ঘ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার আগের রাতে কিছু শিক্ষার্থীর কাছে ই-মেইল ও মোবাইল ফোনে ইংরেজির যে প্রশ্ন পাঠানো হয়, তার সঙ্গে পরীক্ষার প্রশ্নপত্রের হুবহু মিল খুঁজে পাওয়া গেছে। রাতে প্রশ্নপত্র পাঠিয়ে সকালে পরীক্ষা শুরু হওয়ার আগে উত্তরও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ প্রশ্ন ফাঁসের বিষয়টি যথারীতি অস্বীকার করেছে। প্রশ্ন হচ্ছে, প্রশ্ন ফাঁস না হলে আসল প্রশ্নের সঙ্গে ফাঁস হওয়া প্রশ্ন মিলে গেল কী করে? আবার প্রশ্ন ফাঁসের কথা অস্বীকার করা হলেও ডিজিটাল জালিয়াতির অভিযোগে ১৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

এটা অস্বীকার করার উপায় নেই যে প্রশ্নফাঁসকারী একাধিক চক্র বিরাজমান। তারা মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে বিভিন্ন পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস করে। তারা প্রযুক্তির অপব্যবহার করেও প্রশ্ন ফাঁস করছে। এদের পেছনে শক্তিশালী হাত থাকাও অসম্ভব কোনো ব্যাপার নয়। অভিযোগ আছে সর্ষের ভেতরেই রয়েছে ভূত। নাহলে এই চক্রকে কেন সামাল দেয়া যাচ্ছে না। প্রশ্নফাঁসের কারণে দেখা দিচ্ছে বিশৃঙ্খলা। পরীক্ষার্থীরা নানা রকম গুজবে কান দিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। অভিভাবকরাও যার পর নাই চিন্তিত। এ অবস্থায় যে কোনো মূল্যে প্রশ্ন ফাঁস রোধ করতে হবে।

প্রশ্নপত্র ফাঁসকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির বিধানসহ আইন রয়েছে। কিন্তু সেই আইনে কারো সাজা হয়েছে এমন নজির মেলা ভার। দুষ্টের দমন ও শিষ্টের লালন ছাড়া সমাজে আইন প্রতিষ্ঠা কঠিন। যত ব্যবস্থার কথাই বলা হোক না কেন অপরাধীর শাস্তি না হলে কোনো অবস্থায়ই অপরাধ বন্ধ করা যাবে না। সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে সর্ষের ভেতরের ভূত আগে তাড়াতে হবে। অভ্যন্তরীণ কোনো সহযোগিতা ছাড়া প্রশ্নফাঁস অসম্ভব ব্যাপার। এই বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে প্রশ্নফাঁস রোধে সর্বাত্মক প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।

এইচআর/জেআইএম

আরও পড়ুন