ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

মাদক ব্যবসায়ী আলোসহ ৬ জন গ্রেফতার

প্রকাশিত: ০৮:০১ এএম, ২৬ ডিসেম্বর ২০১৪

অভিনব পন্থায় ইয়াবা আমদানী ও বিক্রির অভিযোগে মাদক চোরাচালান চক্রের শীর্ষব্যবসায়ী আলোসহ মোট ৬ জনকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)। বৃহস্পতিবার রাত ১২টা থেকে শুক্রবার সকাল পর্যন্ত অভিযান পরিচালনা করে চট্টগ্রাম ও ঢাকার বিভিন্ন স্থান থেকে তাদের আটক করা হয়।

এ সময় তাদের কাছ থেকে ২ লাখ পিস ইয়াবা ও ইয়াবা বিক্রির ১৯ লাখ টাকা, বিদেশী পিস্তল, গুলি ও প্রাইভেটকার উদ্ধার করা হয়।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন- শীর্ষ ইয়াবা ব্যবসায়ী জাহিদুল ইসলাম ওরফে আলো (৩৫), আব্দুল মালেক ওরফে রাসেল (২৭), জসিম উদ্দিন ওরফে রানা (৩৫), জাকির হাওলাদার (২৬), শহিদুল ইসলাম (২৪) এবং মোহাম্মদ জাবেদ (২৫)।

র‌্যাব হেড কোয়াটারের লিগ্যাল ও মিডিয়া উয়িং এর পরিচালক মুফতি মাহমদু খান বলেন, দীর্ঘ দিন থেকে ইয়াবা ব্যবসার সাথে জড়িত জাহিদুল ইসলাম আলো। সে তার পূর্ব পরিচিত সম্পর্কের বোন জামাই সগিরের মাধ্যমে ইয়াবা ব্যবসায় সম্পৃক্ত হয়।

২০১২ সালে জাহিদুল ইসলাম বিপুল পরিমাণ ইয়াবা ট্যাবলেটসহ গ্রেফতারের পর জেল হাজতে ইয়াবা ব্যবসার বিশাল সিন্ডিকেট নেটওয়ার্ক গড়ে তুলে।

তিনি আরও বলেন, বৃহস্পতিবার রাতে র‌্যাব-৭ একটি দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জাহিদুল ইসলাম ওরফে আলো চট্রগ্রাম মহানগরীর হালিশহরের মধ্যরামপুর আমিন কন্ট্রাক্টর রোড এলাকায় ইয়াবা ট্যাবলেট বিক্রয়ের জন্য অবস্থান করছে। এমন খবরের ভিত্তিতে উক্ত স্থানে অভিযান চালিয়ে জাহিদুল ইসলাম, জসিম উদ্দিন রানাকে ১টি বিদেশী পিস্তল, ১টি ম্যাগাজিন, ৩ রাউন্ড গুলি ও ২০ হাজার পিচ ইয়াবা ট্যাবলেট ও ১টি প্রাইভেটকারসহ গ্রেফতার করা হয়।

পরে তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে চক্রের মূল হোতা জাহিদুল ইসলাম আলোর হালিশহরের রামপুর আমিন কন্ট্রাক্টর রোডস্থ ১৪৮২ নং বাড়ীতে তল্লাশি চালিয়ে এক লক্ষ ৯০ হাজার ৩শ পিছ ইয়াবা ও ১৮ লক্ষ ৯৯ হাজার টাকা, ১টি মটরসাইকেল ৩৭টি মোবাইলসেট, ৩টি ল্যাপটপ, ইয়াবা পরিবহনের অভিনব যন্ত্রপাতি এবং বিভিন্ন ব্যাংকের ৮টি চেকবইসহ আব্দুল মালেক রাসেল, মো. শাহেদ, মোঃ জাবেদ, মোঃ জাকিরকে গ্রেফতার করে র‌্যাব।

তাদরে দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে শুক্রবার ভোরে গাজীপুরের টঙ্গী থেকে ৫ হাজার পিচ ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করে র‌্যাব-৭।

আটককৃতরা জিজ্ঞাসাবাদে জানান, তারা মায়ানমার ও চীন থেকে ট্রলার যোগে অভিনব পন্থায় মটর পার্টসের বিভিন্ন কম্পার্টমেন্টের মধ্যে ঢুকিয়ে চট্টগ্রামের বাঁশখালি, আনোয়ারা, ফিরিঙ্গা বাজার যা কর্ণফূলী নদীর তীরবর্তী এলাকা দিয়ে চট্টগ্রামে তার নিজস্ব ও ভাড়াকৃত বাসায় নিয়ে আসতো। সেখান থেকে সুবিধামতো সময়ে গ্রেফতারকৃত আসামীদের মাধ্যমে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করতো।