দুদকের সাবেক কমিশনার জহুরুলের দুর্নীতি অনুসন্ধানে তিন সদস্যের দল
দুর্নীতি দমন কমিশনের সদ্য সাবেক কমিশনার মো. জহুরুল হকের বিরুদ্ধে বিভিন্ন দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানে তিন কর্মকর্তার একটি দলকে দায়িত্ব দিয়েছে দুদক।
বুধবার (১ জানুয়ারি) দুদকের ঊর্ধ্বতন সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। জানা যায়, তার বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার করে তদন্তাধীন মামলার আসামি হতে আর্থিক সুবিধা নেওয়া, জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে রাজউক প্লট বরাদ্দ নেওয়া, বড় দুটি টেলিকম অপারেটর হতে শত শত কোটি টাকা ঘুস নেওয়া, অর্জিত অর্থ পাচার করে বিভিন্ন দেশে একাধিক বাড়ি নির্মাণ। এভাবে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধানে তিন কর্মকর্তা নিয়োগ দিয়েছে দুদক।
দুদকের এক সিনিয়র কর্মকর্তা বলেন, গত বছরের ২৯ ডিসেম্বর অভিযোগটি অনুসন্ধানের জন্য দুদকের পরিচালক এস এম এম আখতার হামিদ ভূঞাকে দলনেতা করে তিন সদস্যর একটি কমিটি গঠন করা হয়ছে। দলের বাকি দুই সদস্য হলেন- সহকারী পরিচালক মিনহাজ বিন ইসলাম ও উপসহকারী পরচিালক মো. জাকির হোসেন।
তিনি জানান, ‘বিধি মোতাবেক অভিযোগটির অনুসন্ধানকার্য সম্পন্ন করে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য বলা হয়েছে।’
দুদকের ইতিহাসে এই প্রথমবারের মত কমিশনার পদমর্যাদার কোনো কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর আগে দুদকের কোনো সাবেক বা বর্তমান কমিশনারকে দুর্নীতি বা অবৈধ সম্পদের অভিযোগে অনুসন্ধানের মুখোমুখি হতে হয়নি। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এরই মধ্যে জহুরুলের পাসপোর্ট বাতিল করে তার দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞাও দিয়েছে।
সাবেক জেলা ও দায়রা জজ জহুরুল হক বিডিআর হত্যা মামলার বিচারক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৪ সালে তিনি অবসরে যান। আওয়ামী লীগ সরকার তাকে বিটিআরসির কমিশনার এবং পরে চেয়ারম্যান করে। ২০২১ সালের ১০ মার্চ কমিশনার হিসেবে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) যোগ দেন জহুরুল হক। ক্ষমতার পালাবদলের পর গত ৩০ অক্টোবর তিনি পদত্যাগ করেন।
এসএম/এমএএইচ/জিকেএস