নিরাপদ খাদ্যের মিনি ল্যাব উদ্বোধন
বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের সক্ষমতা বাড়াতে আরও একটি মিনি ল্যাব চালু করা হয়েছে।
এই মিনি ল্যাবের মাধ্যমে শুঁটকি মাছে কীটনাশকের উপস্থিতি, শাকসবজি ও ফলমূলে বালাইনাশকের উপস্থিতি ও মাত্রা নির্ণয় করা যাবে। এছাড়াও পাউরুটিতে ক্ষতিকর পটাসিয়াম ব্রোমেটের উপস্থিতি ও মাত্রা, খাদ্যদ্রব্যে হেভি মেটালে বা ভারী ধাতু নির্ণয়, খাদ্যে কৃত্রিম রঙের উপস্থিতি, পানিতে বিদ্যমান মিনারেলের উপস্থিতিও নির্ণয় করা যাবে। এর পাশাপাশি দুধে অ্যান্টিবায়েটিক রেসিডিউয়ের উপস্থিতি, মধুতে টক্সিকের উপস্থিতি ও মাত্রা, খাদ্যপণ্যে মাইক্রোবস শনাক্তকরণ, শিশুখাদ্যে বিদ্যমান ল্যাকটোজেন নির্ণয়, খাদ্যে সালমোনেলা, কলিফর্মসহ অন্যান্য ব্যাকটেরিয়ার উপস্থিতি ও পরিমাণ নির্ণয়সহ আরো অন্যান্য পরীক্ষা যথাযথভাবে করা যাবে এই ল্যাবে।
মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের প্রধান কার্যালয়ে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের সক্ষমতা বৃদ্ধিকরণ প্রকল্পের আওতায় এই ল্যাব উদ্বোধন করা হয়। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন খাদ্য উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার।
এ সময় তিনি বলেন, নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতের জন্য বিভিন্ন ধরনের অবকাঠামো গড়ে তোলা হচ্ছে৷ তারই একটা অংশ হচ্ছে এই ল্যাবরেটরি৷ এর মাধ্যমে নিরাপদ খাদ্যের কার্যক্রম আরো সম্প্রসারিত করা সম্ভব হবে৷
আরও পড়ুন
- পেশিশক্তি-ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের ওপর ভর করে সরকার দায়িত্ব নেয়নি
- পরিকল্পনামন্ত্রীর এলাকা-শেখ পরিবারের নাম থাকলেই প্রকল্প ‘অটোপাস’
তিনি আরও বলেন, আমি আশা করি নিরাপদ খাদ্য যাতে সবাই পায় এবং খাদ্যের জন্য যাতে কারো স্বাস্থ্যগত কোনো সমস্যা না হয়। সেদিকে আমরা আরও নজর দিতে পারব৷
নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতের জন্য জনসচেতনতা বৃদ্ধি, সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধি ও আইন প্রয়োগের ওপর জোর দেওয়ার কথা বলেন খাদ্য উপদেষ্টা। এছাড়া বর্তমান সরকার নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতের জন্য কাজ করবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
এর আগে তিনি নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের মোবাইল ল্যাবরেটরি পরিদর্শন করেন।
দেশের ৮ বিভাগে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের ৮টি মোবাইল ল্যাব রয়েছে। এর মাধ্যমে বিভিন্ন খাদ্যপণ্যের নমুনা সংগ্রহ করে তাৎক্ষণাৎ পরীক্ষা করা সম্ভব।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খাদ্যসচিব মো. মাসুদুল হাসান। সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান জনাব জাকারিয়া।
এনএইচ/এএমএ/এমএস