থার্টি ফাস্ট উদযাপন
বিপুল পরিমাণ আতশবাজি-পটকা-বিস্ফোরক উদ্ধারসহ গ্রেফতার ২
আসন্ন ইংরেজি নববর্ষ-২০২৫ নির্বিঘ্ন ও নিরাপদে উদযাপনের লক্ষ্যে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) বিভিন্ন ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছে। এ উপলক্ষে সব ধরনের আতশবাজি ও পটকা ফোটানো, ফানুস ওড়ানো এবং যে কোনো ধরনের বিস্ফোরকদ্রব্যের ব্যবহার বরাবরের মতো নিষিদ্ধ থাকবে। এরই মধ্যে ডিএমপি নানা ধরনের প্রতিরোধমূলক কার্যক্রম শুরু করেছে। এরই ধারাবাহিকতায় রাজধানীর উত্তরা থেকে বিপুল পরিমাণ অবৈধ আতশবাজি, পটকা ও বিস্ফোরকদ্রব্য উদ্ধারসহ দুজনকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ।
গ্রেফতাররা হলেন- ইমরানুল ইসলাম (২৪) ও শাওন (১৮)। এসময় তাদের কাছ থেকে ১৩ কার্টুন অবৈধ আতশবাজি, পটকা ও বিস্ফোরক উদ্ধার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) রাজধানীর উত্তরা-পূর্ব থানা এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে তাদের গ্রেফতার করে ডিবি-লালবাগ বিভাগের একাধিক টিম।
ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার (দক্ষিণ) মোহাম্মদ নাসিরুল ইসলাম।
আরও পড়ুন
- থার্টি ফার্স্ট নাইটে আতশবাজি-ফানুস ওড়ানো যাবে না
থার্টিফার্স্ট নাইটে নিষেধাজ্ঞা বিষয়ে যা বললেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার সকালে উত্তরা-পূর্ব থানা এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনার সময় ডিবি-লালবাগ বিভাগ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তথ্য পায়, উত্তরা পূর্ব থানার ৬ নম্বর সেক্টরে এসএ পরিবহন কুরিয়ার সার্ভিসের সামনে কয়েকজন অবৈধ আতশবাজি, পটকা ও বিস্ফোরক কেনাবেচা ও পরিবহনের জন্য অবস্থান করছেন। এমন সংবাদের ভিত্তিতে সেখানে অভিযান পরিচালনা করে ডিবির টিম।
পুলিশের উপস্থিতি টের পেরে পালানোর সময় ইমরানুল ইসলাম ও শাওনকে ১৩ বস্তা আতশবাজি ও পটকা (চকলেট বোমা, ক্লাস্টার বোমা এবং তারাবাতি)সহ গ্রেফতার করা হয়। এসময় আরও ২/৩ জন দৌড়ে পালিয়ে যান।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ত তথ্য সম্পর্কে জানা যায়, গ্রেফতাররা আতশবাজি, পটকা ও বিস্ফোরক কেনা-বেচা, মজুত ও পরিবহন চক্রের সদস্য। তারা তাদের সহযোগীদের মাধ্যমে সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে আতশবাজি, পটকা ও বিস্ফোরক সংগ্রহ করে কেনা-বেচার উদ্দেশে ঢাকায় নিয়ে ওই স্থানে সমবেত হয়েছিল বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছেন।
প্রতি বছর আতশবাজি ফুটানোর কঠোর হুঁশিয়ারি দিলেও অনেকেই তা মানেন না। এবার এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত কী হবে জানতে চাইলে যুগ্ম কমিশনার নাসিরুল ইসলাম বলেন, আমাদের কঠোর নজরদারি রয়েছে। আমরা বিভিন্ন স্থানে অভিযান চলমান রয়েছে। আমাদের পক্ষ থেকে চেষ্টা থাকবে অতীতের চেয়ে আরও প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার।
আরও পড়ুন
থার্টি-ফাস্টের রাতে আতশবাজির শব্দে শিশুর মৃত্যু ও ফানুসের কারণে মেট্রোরেল বন্ধের মতো ঘটনা ঘটেছে। তাই আতশবাজি বন্ধে পুলিশ কতটা কঠোর হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা বিপুল পরিমাণ উদ্ধার করেছি। আমরা পণ্যের উৎস থেকেই জব্দের চেষ্টা করেছি।
গত ৫ আগস্ট সারাদেশে থানা থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র লুট হয়েছে। থার্টি-ফাস্ট ঘিরে এসব অস্ত্র কোনো শঙ্কা তৈরি করছে কি না- জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাদের বাড়তি নিরাপত্তা জোরদার আছে। এ ধরনের কোনো শঙ্কা নেই।
টিটি/এমকেআর/জেআইএম
সর্বশেষ - জাতীয়
- ১ নববর্ষে আতশবাজি ও পটকা ফোটানো থেকে বিরত থাকার নির্দেশ
- ২ ১৮ বছর পর দেশে ফিরলেন রবিউল, বাবাকে ছুঁয়ে দেখলো তিন সন্তান
- ৩ গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও প্রতিষ্ঠায় তরুণদের এগিয়ে আসা জরুরি
- ৪ সাবেক মুখ্যসচিব তোফাজ্জলের দুর্নীতির প্রাথমিক প্রমাণ মিলেছে
- ৫ পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতকে আন্তর্জাতিক ট্যুরিস্ট স্পটে রূপ দিতে চাই