ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আইন-আদালত

সাবেক খাদ্যমন্ত্রী কামরুলের নামে মামলা

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৫:০৩ পিএম, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

৬ কোটি ২৯ লাখ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদের অভিযোগে ঢাকা-২ আসনের সাবেক এমপি ও খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলামের নামে একটি মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে মামলাটি দায়ের করা হয়। দুদকের মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) মো. আক্তার হোসেন মামলার বিষয়টি গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন।

এছাড়া কামরুল ইসলামের স্ত্রী তায়েবা ইসলাম, ছেলে ডা. তানজীর ইসলাম ও মেয়ে সেগুপ্তা ইসলামকে পৃথক সম্পদ বিবরণী দাখিল করতে বলেছে দুদক। 

কামরুলের মামলার এজাহারে বলা হয়, তায়েবা ইসলামের সন্দেহজনক সম্পদ থাকতে পারে। ছেলে ডা. তানজীর ইসলামের ১ কোটি ৪৬ লাখ ১৫ হাজার ৭৯৫ টাকা এবং মেয়ে সেগুপ্তা ইসলামের ১ কোটি ১০ লাখ ৪৮ হাজার ৯২৫ টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ পাওয়া যায়।

এছাড়া তাদের নামে-বেনামে আরও সম্পদ থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। গত ১৮ নভেম্বর রাজধানীর উত্তরা-১২ নম্বর সেক্টর কামরুলকে গ্রেফতার করে গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। গত ১৪ অক্টোবর তার বিরুদ্ধে অনুসন্ধানে নামে দুদক। 

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, আসামি কামরুলের নামে ৬ কোটি ২৯ লাখ ১৯ হাজার ১৯৫ টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ পাওয়া যায়, যা দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৭ (১) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

এতে আরও বলা হয়, অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি পাবলিক সার্ভেন্ট ছিলেন এবং তার ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালনকালে ক্ষমতার অপব্যবহার করে আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিবিহীন জ্ঞাত আয় বহির্ভূত অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন, যার গ্রহণযোগ্য ব্যাখ্যা পাওয়া যায়নি। 

এছাড়া মো. কামরুল ইসলামের নিজ এবং তার প্রতিষ্ঠানের নামে বিভিন্ন ব্যাংকে পরিচালিত মোট ১৫টি হিসাবে মোট ২১ কোটি ১৮ লাখ ১৫ হাজার ৪৬৫ টাকা লেনদেন করেন। তিনি এই টাকা সন্দেহজনকভাবে হস্তান্তর, রূপান্তর, স্থানান্তর করেছেন। যা মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ২০১২, এর ৪ (২) ও ৪ (৩) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ। 

২০০৮ থেকে ২০২৪ সবগুলো জাতীয় নির্বাচনে জয় পান এই আওয়ামী লীগের এই জ্যেষ্ঠ নেতা। ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের আইন, বিচার ও সংসদ প্রতিমন্ত্রী ও ২০১৪ সালে খাদ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পান তিনি। আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদে প্রথমে সদস্য ও পরে সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য হলে দলের মধ্যে তার প্রভাব আরও বেড়ে যায়।

২০১৪ সালের নির্বাচনে জয়ের পর তার বিরুদ্ধে নিয়োগ, বদলি ও খাদ্য আমদানিসহ নানা কাজে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। ২০১৫ সালের জুনে ব্রাজিল থেকে ৪০০ কোটি টাকা মূল্যের দুই লাখ টন পচা গম আমদানির ঘটনায় ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েন কামরুল। 

এসএম/এমআরএম