দীপ্ত টিভির তামিম হত্যা, অন্যতম আসামি মামুন গ্রেফতার
ঢাকার রামপুরা মহানগর প্রজেক্ট এলাকায় বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল দীপ্ত টিভির সম্প্রচার কর্মকর্তা তানজিল জাহান তামিমকে হত্যার ঘটনায় করা মামলার এজাহারভুক্ত অন্যতম আসামি মামুনুর রশিদ মামুনকে গ্রেফতার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
রোববার (২২ ডিসেম্বর) রাজধানীর হাতিরঝিল এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার হয় বলে জানিয়েছেন র্যাব-৩ এর সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ ফয়জুল ইসলাম।
তিনি বলেন, বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল দীপ্ত টিভির সম্প্রচার কর্মকর্তা তানজিল জাহান ইসলাম ওরফে তামিম হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত অন্যতম আসামি মামুনুর রশিদ মামুনকে রাজধানীর হাতিরঝিল এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছে র্যাব।
- আরও পড়ুন
- দীপ্ত টিভির কর্মকর্তা হত্যা, বিএনপিতে রবির পদ স্থগিত
- দীপ্ত টিভির তামিম হত্যার আসামি মাদকের কর্মকর্তা মামুন বরখাস্ত
- হাতিরঝিলে আবাসন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে বিরোধে জমির মালিকের ছেলে খুন
এই মামলার প্রধান দুই আসামির অবস্থান এখনো শনাক্ত করতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। তারা হলেন- মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সাময়িক বরখাস্ত হওয়া উপ-পরিচালক মামুন এবং বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য শেখ রবিউল আলম রবি। যেখানে মামুন এক নম্বর এবং বিএনপি নেতা রবি এজাহারভুক্ত তিন নম্বর আসামি।
ফ্ল্যাটের মালিকানা নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে গত ১০ অক্টোবর সকালে তানজিল হাসান তামিমকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। একই দিন নিহতের বাবা সুলতান আহমদ বাদী হয়ে হাতিরঝিল থানায় একটি মামলা করেন।
নিহতের বাবা সুলতান আহমদ দাবি করেন, ৫ আগস্ট সরকার পতনের তিনদিন পর ৮ আগস্ট বিএনপি নেতা রবির লোকজন গিয়ে তাদের হুমকি-ধমকি দেন। এসময় ফ্ল্যাটের কাজ বন্ধ করে দেওয়ার চেষ্টা করেন। এরপর তারা রবির অফিসে যেতে বলেন। পরে বড় ছেলেকে নিয়ে তিনি (বাদী) রবির অফিসে গেলে তারা সেখানে তার সঙ্গে খারাপ ব্যবহার এবং ছেলেকে মারতে উদ্যত হন। কৌশলে সেখান থেকে জীবন বাঁচিয়ে ফিরে আসেন বলে দাবি বাদীর।
- আরও পড়ুন
- দীপ্ত টিভির তামিম হত্যায় চারজনের দায় স্বীকার
- দীপ্ত টিভির তামিম হত্যা: পাঁচ আসামি ৪ দিনের রিমান্ডে
তিনি আরও জানান, ওইদিনের পর থেকে রবির লোকজন ক্ষতি করার জন্য ওঁৎ পেতে ছিল। ঘটনার দিন (১০ অক্টোবর) সকালে তার ছেলেকে রবির সন্ত্রাসী বাহিনী মারধর করে। পরে হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় ১৬ জনকে আসামি করে থানায় মামলা করে নিহতের পরিবার।
টিটি/এমকেআর/জিকেএস