ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

তিন ডাকাতের মধ্যে একজনের বাড়ি গোপালগঞ্জ

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০১:১০ এএম, ২০ ডিসেম্বর ২০২৪

ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জে রূপালী ব্যাংকের জিনজিরা শাখায় কর্মরত ১০ ব্যাংক কর্মকর্তা ও ৬ গ্রাহককে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে এক তরুণ ও দুই কিশোর ডাকাত। পরে অবশ্য তারা যৌথ বাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করে।

আত্মসমর্পণ করা তিন ডাকাতের মধ্যে একজন হলেন গাড়িচালক লিয়ন মোল্লা ওরফে নীরব (২২)। তার বাড়ি গোপালগঞ্জের কাশিয়ানি থানার কুমুরিয়া গ্রাম। বাকি দুজন দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের স্থায়ী বাসিন্দা। তারা হলো মো. আরাফাত (১৬) ও মো. সিফাত (১৬)। আরাফাত স্থানীয় একটি স্কুলের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র ও মো. সিফাত স্থানীয় একটি মাদরাসার ছাত্র।

বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) রাতে কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় আয়োজিত ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) আহম্মদ মুঈদ।

প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, তারা বিদেশি বিভিন্ন সিনেমা ও সিরিজ দেখে অ্যাডভেঞ্চার (রোমাঞ্চকর) অভিজ্ঞতা নেওয়ার জন্য এ ঘটনা ঘটাতে পারে। তবে তাদের দাবি করা মৃত্যুপথযাত্রী (কিডনিজনিত অসুখ) এক রোগীর চিকিৎসার অর্থ জোগাড়ের বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এছাড়া তাদের সঙ্গে আর কেউ জড়িত রয়েছে কি না সে বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

‘তবে তারা যে রোগীর ঠিকানা দিয়েছে সেটি যাচাই-বাছাই চলছে। আদৌ সত্য কি না তা পুলিশ খতিয়ে দেখছে।’

ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার বলেন, তাদের অপরাধী বলা যায় না। তারা হয়তো মিস গাইডেড। তারা অ্যাডভেঞ্চার হিসেবে হয়তো এই ডাকাতি করতে আসে। মুভি দেখে এমন একটি অ্যাডভেঞ্চার হিসেবে ডাকাতি করতে এসেছিল বলে মনে হয়েছে।

অভিযানের বিষয়ে এসপি আহম্মদ মুঈদ বলেন, ঘটনার শুরু থেকেই আইজিপি স্যার লাইভে এসে নির্দেশনা দিয়েছেন। তিনি আমাদের নির্দেশ দিয়েছিলেন কোনো হতাহতের ঘটনা ছাড়া যেন অভিযান শেষ হয়। এজন্য ডাকাতদের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ ধরে কথা বলেছি। ডাকাতদের আইজিপি স্যারের সঙ্গেও কথা বলিয়ে দেওয়া হয়েছিল।

তিনি আরও বলেন, ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জে রূপালী ব্যাংকের জিনজিরা শাখায় কর্মরত ১০ ব্যাংক কর্মকর্তা ও ৬ গ্রাহককে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ফেলে এক তরুণ ও দুই কিশোর ডাকাত। পরবর্তী সময়ে তারা ব্যাংকের কাউন্টার থেকে নগদ ১৫ লাখ টাকা লুট করে একটি ব্যাগে গচ্ছিত রাখে। একই সঙ্গে আরও তিন লাখ টাকা তিনজনের প্যান্টের পকেটে রাখে।

তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল এই ১৮ লাখ টাকা দিয়ে তারা কি করবে? তারা বলেছে, ১৫ লাখ টাকা দেবেন মৃত্যুপথযাত্রী একজন রোগীকে (কিডনি সমস্যায় অসুস্থ)। বাকি তিন লাখ টাকা দিয়ে তাদের আইফোন কেনার পরিকল্পনা ছিল।

দুপুর ২টার দিকে ডাকাতরা ব্যাংকে ঢোকেন। এ সময় পাশের মসজিদের মাইক থেকে ডাকাত পড়ার কথা জানানো হলে আশপাশের কয়েকশ লোক ব্যাংকের ওই শাখাটি ঘেরাও করেন।

টিটি/জেএইচ