ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

দুদক চেয়ারম্যান

রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত থেকে ন্যায়নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করবো

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৫:৪৩ পিএম, ১১ ডিসেম্বর ২০২৪

রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত থেকে ন্যায়নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) নতুন চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবদুল মোমেন।

তিনি বলেন, দুর্নীতি একেবারে নির্মূল করতে পারবো, সেই প্রতিশ্রুতি দেওয়া ঠিক হবে না। আমরা যেন সাধ্যমতো কাজ করতে পারি, সেটি দেখতে হবে। ন্যায়নিষ্ঠভাবে আমরা আইন মেনে কাজ করবো।

নতুন কর্মস্থলে যোগদানের প্রথম দিন বুধবার (১১ ডিসেম্বর) বিকেলে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।

আরও পড়ুন

এর আগে বিকেল ৩টায় আবদুল মোমেন রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে গেলে প্রতিষ্ঠানটির অন্য কর্মকর্তারা তাকে অভ্যর্থনা জানান। এসময় তার সঙ্গে কমিশন ভবনে প্রবেশ করেন দুদকে নিয়োগ পাওয়া নতুন কমিশনার অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মিঞা মুহাম্মদ আলি আকবার আজিজী।

নিজের রাজনৈতিক পরিচয় প্রসঙ্গে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, আমি তিনটি রাজনৈতিক সরকার ও দুটি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সঙ্গে কাজ করেছি। এই অন্তর্বর্তী সরকারের অন্য রাজনৈতিক দলের মতো কোনো রাজনৈতিক চরিত্র নেই। রাজনৈতিক চাওয়া নেই। এই সরকারের চাওয়া হচ্ছে জনগণকে নিয়ে এগিয়ে যাওয়া। এখানে রাজনৈতিক সরকার প্রভাবিত করবে না। আমরাও প্রভাবমুক্ত থেকে ন্যায়নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করে যাবো।

তিনি সাংবাদিকদের আরও বলেন, সমাজ যদি দুর্নীতিগ্রস্ত হয়, দুদকও খানিকটা দুর্নীতিগ্রস্ত হতেও পারে। আমার বিরুদ্ধেও অভিযোগ আছে, সেটিও আপনারা দেখবেন। যে কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলে ন্যায়নিষ্ঠভাবে আপনারা দেখবেন।

আগামী সাতদিনের মধ্যে নতুন কমিশনের স্থাবর, অস্থাবর আয়-ব্যয়ের হিসাব প্রকাশ করা হবে বলে জানান নতুন চেয়ারম্যান।

আরও পড়ুন

গতকাল মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) দুদকের চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয় সদ্য পদত্যাগ করা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব ড. মোহাম্মদ আবদুল মোমেনকে। কমিশনার হিসেবে তার সঙ্গী রয়েছেন অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মিঞা মুহাম্মদ আলি আকবার আজিজী ও ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) হাফিজ আহ্সান ফরিদ।

দেশে রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর গত ২৯ অক্টোবর দুদক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ এবং কমিশনার (তদন্ত) মো. জহুরুল হক ও কমিশনার (অনুসন্ধান) মোছা. আছিয়া খাতুন পদত্যাগ করেন।

এসএম/এমকেআর/এমএস