ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

ঢাকা-ইসলামাবাদ সম্পর্কে নতুন টানাপোড়েন

প্রকাশিত: ১০:১৮ এএম, ১২ মে ২০১৬

একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধী ও আলবদর নেতা জামায়াতে ইসলামীর প্রধান মতিউর রহমান নিজামীর ফাঁসি কার্যকর করা নিয়ে ঢাকা-ইসলামাবাদ কূটনৈতিক সম্পর্কে নতুন টানাপোড়েন দেখা দিয়েছে। পাল্টাপাল্টি বিবৃতির পাশাপাশি দুই দেশের হাইকমিশনারদের তলব করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদে বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার মো. নাজমুল হুদাকে তলব করেছে ইসলামাবাদ। এর প্রতিবাদে পাক হাইকমিশনার সুজা আলমকে পাল্টা তলব করেছে ঢাকা। ইসলামাবাদে বাংলাদেশ দূতাবাস পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার নাজমুল হুদাকে তলবের তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিচার নিয়ে ইসলামাবাদের নাক গলানো এই প্রথম নয়। এর আগেও যুদ্ধাপরাধী জামায়াতে ইসলামির নেতাদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের পর বিবৃতি দেয় পাকিস্তান। একই সঙ্গে বাংলাদেশের বিচারব্যস্থা নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করে ধৃষ্টতা দেখায় একাত্তরের গণহত্যায় মেতে উঠা এই দেশ।

পাকিস্তানের এই আচরণের প্রতিবাদে ঢাকায় পাক হাইকমিশনার সুজা আলমকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাল্টা তলব করা হয়েছে। আজ আরো পরের দিকে তিনি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দ্বিপক্ষীয় সচিব ও কনস্যুলারের সঙ্গে দেখা করবেন। এ সময় পাকিস্তানের এ ধরনের আচরণের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাবে বাংলাদেশ।

এর আগে নিজামীর ফাঁসি কার্যকরের পর বুধবার পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদে নিন্দা প্রস্তাব পাস হয়েছে। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে নিজামীর ফাঁসির ঘটনায় পাকিস্তান গভীরভাবে মর্মাহত বলে উল্লেখ করা হয়েছে। এতে আরো বলা হয়, একাত্তরে পাকিস্তানের সংবিধান সমুন্নত রাখতে চেয়েছিলেন নিজামী।

১৯৭১ সালের যুদ্ধাপরাধের দায়ে নিজামীর ফাঁসির রায়ের বিরুদ্ধে করা রিভিউ আবেদন সুপ্রিম কোর্টে খারিজ হয়ে যাওয়ার পর পাক পররাষ্ট্র দফতর ওই বিবৃতি দেয়। বিবৃতিতে নিজামীর ফাঁসির রায় কার্যকর করা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে পাকিস্তান। এর দুদিন পর আবারো পাক পররাষ্ট্র দফতরের বিবৃতি এল।

বিবৃতির প্রতিবাদে ঢাকায় নিযুক্ত পাক রাষ্ট্রদূতকে তলব করে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক না গলাতে পাকিস্তানকে সতর্ক করে দেয় বাংলাদেশ।

তবে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিচারিক কার্যক্রম নিয়ে পাকিস্তানের নাক গলানো এই প্রথম নয়। এর আগেও বাংলাদেশে একাত্তরের যুদ্ধাপরাধে অভিযুক্তদের বিচার নিয়ে বিবৃতি দেয় ইসলামাবাদ।

২০১৩ সালের ১৪ ডিসেম্বর জামায়াতে ইসলামীর আরেক নেতা আব্দুল কাদের মোল্লার মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের পর উদ্বেগ প্রকাশ করে একই ধরনের বিবৃতি দেয় পাকিস্তান।

২০১৫ সালের ১১ এপ্রিল জামায়াত নেতা কামারুজ্জামানের মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের পরও বিবৃতিতে মায়াকান্না দেখা যায় পাকিস্তানের। ইসলামাবাদে পাক জামায়াতও বিক্ষোভ দেখায়।

স্বাধীনতা বিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত বিএনপি নেতা সালাহ উদ্দিন কাদের চৌধুরী ও জামায়াত নেতা আলী আহসান মুহাম্মদ মুজাহিদের ফাঁসি কার্যকর করা নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করে পাকিস্তান। ঢাকায় ২০১৫ সালের ২২ নভেম্বর বিএনপি ও জামায়াতের এ দুই শীর্ষ নেতার ফাঁসি কার্যকর করা হয়।

এসআইএস/এবিএস

আরও পড়ুন