পদোন্নতির দাবি
কৃষি ব্যাংকের এমডির আশ্বাসে ফিরে গেলেন ১০ম গ্রেডের কর্মকর্তারা
পদোন্নতির দাবিতে আন্দোলনরত কৃষি ব্যাংকের ১০ম গ্রেডের কর্মকর্তারা ফিরে গেছেন। ব্যাংকটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সঞ্চিয়া বিনতে আলীর আশ্বাসে আন্দোলন স্থগিত করে নিজ নিজ কর্মস্থলে ফিরে গেছেন বৈষম্যবিরোধী অফিসার্স ফোরামের সদস্যরা।
রোববার (১ ডিসেম্বর) দুপুরে কৃষি ব্যাংকের এমডি সঞ্চিয়া বিনতে আলী বৈষম্যবিরোধী অফিসার্স ফোরামের ১০ জন প্রতিনিধির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এসময় তিনি দাবি পূরণে আশ্বাস দেন। এরপর আন্দোলনরত কর্মকর্তারা তাদের কর্মসূচি স্থগিত করেন।
তারা জানিয়েছেন, সাক্ষাৎকালে এমডি তাদের পদোন্নতির ব্যাপারটি গুরুত্বের সঙ্গে দেখছেন বলে জানিয়েছেন। তাছাড়া মন্ত্রণালয়ে ২ হাজার ৫৪৯ জন কর্মকর্তাকে বিশেষ বিবেচনায় পদোন্নতি দেওয়ার জন্য চিঠি দেওয়া হয়েছে।
কর্মকর্তাদের প্রতিনিধিরা এ সময় সব কর্মকর্তার পদোন্নতি হলে ভাইভার প্রয়োজন নেই বলে তাদের দাবি তুলে ধরেন। একই সঙ্গে মন্ত্রণালয় থেকে কোনো ধরনের সদুত্তর আসার আগ পর্যন্ত ভাইভা বন্ধ রাখার আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন
তাদের এ দাবিতে এমডি মেনে নেওয়ার আশ্বাস দেন। তিনি বলেন, ‘সম্ভব হলে এটি বাস্তবায়ন করা হবে।’
গত ৩০ নভেম্বর পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী কৃষি ব্যাংকের ১০ম গ্রেডের প্রায় ১ হাজার ২০০ কর্মকর্তা বৈষম্যবিরোধী অফিসার্স ফোরামের ব্যানারে ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেন। বেলা ১১টা থেকে তাদের কর্মসূচি শুরুর কথা ছিল।
তবে সেখানে ‘জাতীয়তাবাদী ফোরামের ব্যানারে’ সকাল ৯টা থেকে আরেক দল কর্মকর্তা-কর্মচারীরা চট্টগ্রামে আইনজীবী আলিফ হত্যার প্রতিবাদে কর্মসূচি শুরু করেন। এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়।
পরে দশম গ্রেডের কর্মকর্তাদের তোপের মুখে তারা সেখান থেকে সরে যেতে বাধ্য হন। ব্যাংকের সামনে অবস্থান নেন পদোন্নতির দাবিতে আন্দোলনরত বৈষম্যবিরোধী কর্মকর্তারা। দিনভর সেখানে অবস্থান নিলেও এমডির দেখা মেলেনি। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে কিছু কর্মকর্তা সেখানে থেকে যান।
রোববার সকালে আবারও মানববন্ধন করেন তারা। দুপুরে এমডি প্রতিনিধিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে আশ্বাস দেওয়ায় কর্মসূচি স্থগিত করে ফিরে বৈষম্যবিরোধী অফিসার্স ফোরামের সদসরা।
এদিকে ব্যাংকটির এইচআরএমডির ডিজিএম মো. জাহিদ হোসেনের বিরুদ্ধে বদলি বাণিজ্য, জ্যোষ্ঠতা লংঘন করে পদোন্নতি বাণিজ্য, দুর্নীতি ও অপশাসনের অভিযোগ রয়েছে। ফলে সব স্তরের কর্মকর্তাদের মাঝে ব্যাপক ক্ষোভ ও অনাস্থার সৃষ্টি হয়েছে। এজন্য সব স্তরের বেশিরভাগ কর্মকর্তা এইচআরএমডির ডিজিএম জাহিদ হোসেনের পদ থেকে অপসারণ দাবি করেছেন।
এএএইচ/ইএ/এমআইএইচএস/এমএস