ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

শ্রমখাতের অসন্তোষ নিয়ে যা বললেন শ্রম সচিব

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৪:২৪ পিএম, ২৫ নভেম্বর ২০২৪

শ্রমখাতে বড় ধরনের অসন্তোষ এ মুহূর্তে নেই উল্লেখ করে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব এ এইচ এম সফিকুজ্জামান বলেছেন, আমাদের ১৯টি ফ্যাক্টরি নিয়ে সমস্যা ছিল। তার মধ্যে ৫-৬টি আমরা অ্যাড্রেস করেছি। বাকিগুলো নেগোসিয়েশন চলছে। আশা করছি, শ্রমিক অসন্তোষ দূর হবে।

সোমবার (২৫ নভেম্বর) সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে আন্তর্জাতিক শ্রম বিষয়ক বিশেষ প্রতিনিধি কেলি এম ফে রদ্রিগেজের নেতৃত্বাধীন একটি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।

শ্রম অসন্তোষ নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে শ্রম সচিব বলেন, বার্ডস নামের যে কোম্পানি তারা তিনদিন আশুলিয়ায় রাস্তা বন্ধ করে রেখেছিল, এটা অ্যাড্রেস করা হয়েছে। ডার্ট নামের একটি কোম্পানির শ্রমিকরা তিন বছর ধরে বেতন পাচ্ছিল না, সেটা আমরা অ্যাড্রেস করেছি। টিএনজেড গার্মেন্টস রিসেন্টলি ময়মনসিংহের রাস্তা বন্ধ করেছে, ওটা আমরা অ্যাড্রেস করেছি। অলরেডি এখানে কোনো অসন্তোষ নেই।

তিনি বলেন, জেনারেশন নেক্সট যেটা চন্দ্রাতে আছে, সেটা আমরা অ্যাড্রেস করেছি। মালিকপক্ষ এখন তাদের বেতন দিচ্ছে। বেক্সিমকো আমরা অ্যাড্রেস করেছি। এখন দুই একটা জায়গা আছে, যেমন- নারায়ণগঞ্জের ক্রোনি গার্মেন্টস, সেগুলো নিয়ে আমরা আলোচনা করছি। ঠিক এ মুহূর্তে কোনো অসন্তোষ নেই। কিন্তু নতুন করে অসন্তোষ তৈরি হতে পারে।

তিনি আরও বলেন, আমাদের ১৯টি ফ্যাক্টরি নিয়ে সমস্যা ছিল। তার মধ্যে ৫-৬টি অ্যাড্রেস করেছি। বাকিগুলো নেগোসিয়েশন চলছে। আশা করছি, শ্রমিক অসন্তোষ দূর হবে।

এর আগে বৈঠকের বিষয়ে শ্রম সচিব বলেন, এ টিম এসেছে বাংলাদেশে শ্রমিকদের কি পরিস্থিতি সেটা জানতে। আইএলও’র কিছু রোডম্যাপ রয়েছে। এর বাইরে ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ ইউএসএ’র ১১ পয়েন্টের একটি ইস্যু রয়েছে। ১১ পয়েন্টটি তারা আমাদের দিয়েছিল। এসব বিষয়ে আমরা খুব খোলামেলা কথা বলেছি।

তিনি বলেন, ইউএসএ থেকে যে টিম এসেছে সেখানে যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসসহ বেশকিছু বায়াররা এসেছেন। ১১ দফার বাইরেও বর্তমানে অন্তর্বর্তী সরকার প্রধান ড. ইউনূস ইউএন অ্যাসেম্বলিতে গিয়েছিলেন। সেখানে আইএলও’র মহাপরিচালকের সঙ্গে তার একটি মিটিং হয়েছিল। এছাড়া আমেরিকার অনেক ব্র্যান্ড বায়ার সেখানে তার সঙ্গে মিটিং করেছিলেন। সেই মিটিংয়ে বাংলাদেশের শ্রম আইন, লেবার রাইটসহ বেশ কিছু বিষয় নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা একটু প্রতিশ্রুতি দিয়ে এসেছিলেন। গতকাল বিকেলেও লেবার ইস্যুতে প্রধান উপদেষ্টা যমুনাতে আমাদের সঙ্গে লম্বা সময় বৈঠক করেছেন। সেখানেও এসব বিষয় ওঠে এসেছে।

তিনি আরও বলেন, জেনেভা আইএলও’র গর্ভনিং বডির যে বৈঠক হয়েছিল সেখানে আমরা আইন উপদেষ্টার নেতৃত্বে গিয়েছিলাম। সেখানেও আমরা কিছু প্রতিশ্রুতি দিয়ে এসেছিলাম। এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে পরবর্তী গভর্নিং বডির মিটিং এর আগে আমাদের শ্রম আইনটি সংশোধন করবো। এটা প্রক্রিয়াধীন। সেখানে এ ১১ দফা এবং আইএলও’র রোডম্যাপের প্রতিফলন থাকবে।

শ্রম সচিব বলেন, আমরা এর আগে শ্রমিক নেতাদের সঙ্গে একাধিক বৈঠক করেছি। সেই বৈঠকে আমরা ১৮ দফা নিয়ে আলোচনা করেছি। সেখানে এ ১১ দফাও আলোচনা হয়েছে। এ বিষয়টি আজকের ইউএসএ প্রতিনিধিদল প্রশংসা করেছে। প্রধান উপদেষ্টাও এ বিষয়টি প্রশংসা করেছেন।

এখন কাজ করার জন্য আমাদের হাতে মাত্র তিন মাস সময় আছে। এ তিন মাসে আপনারা দেখবেন আমরা অনেক অনেক অগ্রগতি করবো। সেখানে দু-একটি বিষয় থাকতে পারে যেটি স্বল্পসময় অগ্রগতি করা সম্ভব হবে না। 

সম্প্রতি লেবার রিফর্ম কমিশন গঠন হয়েছে। এ কমিশন আমাদের কাজকে অনেকটা সহজ করে দেবে। আন্তর্জাতিকভাবে বায়াররা ট্রেড ইউনিয়ন এবং লেবার রাইটস নিয়েই কথা বলে। এসব ইস্যুতে ইউএস প্রতিনিধিদল আমাদের সাপোর্ট দেওয়ার কথা জানিয়েছে। তারা বলেছে আমরা একসঙ্গে কাজ করতে চাই। আমরা তাদের বলেছি, আমরা তাদের সঙ্গে নিয়েই কাজ করবো। এছাড়া ১১ দফার যে বিষয়টি আছে সেটা নিয়েও বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। এটা তারা স্বচ্ছতার সঙ্গে করতে বলেছে। যেহেতু বর্তমানে একটি অন্তর্বর্তী সরকার রয়েছে সেহেতু আমরা আশা করছি, এ কাজগুলো স্বচ্ছতার সঙ্গেই করা হবে।

শ্রম সচিব বলেন, আইএলও’র রোডম্যাপ এবং ১১ দফার মধ্যে তেমন কোনো পার্থক্য নেই। এখানে ট্রেড ইউনিয়ন, কাজের পরিবেশ এবং ওয়াশের ইস্যুও রয়েছে। আমরা যে ১৮ দফা নিয়ে কাজ করছি এ ১১ দফার মধ্যে সবকিছুই তার মধ্যে আছে।

এমএএস/এমএএইচ/