ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

বিতর্কিত ভোট কেন, সাবেক তিন সিইসির কাছে জানতে চাইতে পারে কমিশন

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৯:২১ পিএম, ২১ নভেম্বর ২০২৪

সাবেক তিন প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে (সিইসি) ডেকে বিতর্কিত নির্বাচন করার কারণ জানতে চাইতে পারে নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন। একই সঙ্গে নির্বাচনী অপরাধের বিষয় যেন তাদের জন্য প্রযোজ্য হয়, সেই সুপারিশ করার কথাও ভাবছে কমিশন।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) গণমাধ্যম সম্পাদকদের সঙ্গে বৈঠক শেষে এমন পরিকল্পনার কথা জানান নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান ড. বদিউল আলম মজুমদার।

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

গত তিন নির্বাচন কমিশনকে সংস্কার কমিশন ডাকবে কি না- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে বদিউল আলম মজুমদার বলেন, সাবেক তিন কমিশন নিয়ে আমরা আলোচনা করেছি। আমরা আবার পর্যালোচনা করছি। নির্বাচনী অপরাধগুলো তাদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হতে পারে। আর এটা যাতে ভবিষ্যতে না হয়, সেটা নিয়েও আমরা পর্যালোচনা করেছি। গত তিন নির্বাচনে কী অনিয়ন হয়েছে, তারা কেন সুষ্ঠু নির্বাচন করতে পারেননি, সেই অনুসন্ধানী প্রতিবেদন যেন গণমাধ্যমও করে। আমরাও তথ্য সংগ্রহ করার চেষ্টা করছি। গত তিন নির্বাচন পর্যালোচনা করে ওই শিক্ষা নিয়ে আমরা প্রস্তাব করবো।

গত তিন কমিশন কেন সুষ্ঠু নির্বাচন করতে পারেনি, আপনারা তাদের ডেকে জানতে চাইবেন কি না, এমন প্রশ্নে নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান বলেন, উনারা কী আসবেন? আমার তো মনে হয় না। আমরা বিবেচনায় নেবো।

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

২০১৪ সালে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রকিবউদ্দীন আহমদের নেতৃত্বাধীন কমিশনের অধীনে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ১৫৩ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন। বিএনপি ও সমমনা দলগুলো ওই নির্বাচনে অংশ নেয়নি।

সিইসি কে এম নূরুল হুদার নেতৃত্বাধীন কমিশনের অধীনে ২০১৮ সালের নির্বাচনে ‘রাতের ভোট’ হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। ওই নির্বাচনে বিএনপি অংশ নিলেও আসন পেয়েছিল পাঁচটি, জোটের হিসেবে পেয়েছিল সাতটি।

বিজ্ঞাপন

এছাড়া সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন কমিশনের অধীনে ২০২৪ সালের নির্বাচনে বিএনপিসহ সমমনা দলগুলো ভোটে অংশ নেয়নি। এ নির্বাচনে ব্যাপক কারচুপির মাধ্যমে অধিক ভোট পড়ার হার দেখানোর অভিযোগ ওঠে।

সংস্কার কমিশনের সঙ্গে বৈঠক শেষে দ্য ডেইলি স্টার বাংলার সম্পাদক গোলাম মোর্তোজা বলেন, আগামী নির্বাচন যদি ভালো করতে চাই এবং যদি পূর্বের অভিজ্ঞতা নিতে চাই, তাহলে পূর্বের তিন কমিশনকে সুনির্দিষ্টভাবে প্রধানদের সঙ্গে বসে প্রকৃত তথ্যটা জানা দরকার। যেসব গণমাধ্যমের সম্পাদকরা বলেছিলেন যে নির্বাচন ভালো হয়েছিল, তাদের ডেকে জিজ্ঞেস করুন কেন তারা এমনটা বলেছেন। আগে যারা দুর্বল নির্বাচন বা ভোটার বিহীন নির্বাচন, রাতের ভোটের নির্বাচনকে কেন জাস্টিফাই করেছিলেন, এগুলো তাদের কাছ থেকে জানা দরকার।

এমওএস/কেএসআর/জেআইএম

বিজ্ঞাপন