জল্লাদ রাজুর হাতে টান পড়বে নিজামীর ফাঁসির দড়ি
জল্লাদ রাজুর হাতেই এবার মানবতাবিরোধী অপরাধী জামায়াতের আমির মতিউর রহমান নিজামীর ফাঁসির দড়ি টান পড়বে। রাজু এবার আট সদস্যের জল্লাদের নেতৃত্বে থাকছেন। যদিও এর আগে জল্লাদ শাহজাহান বেশ কয়েকটি ফাঁসিতে নেতৃত্বে দিয়েছেন। ইতোমধ্যে রাজুকে কাশিমপুর কারাগার থেকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে নিয়ে আসা হয়েছে।
মঙ্গলবার বিকেল ৩টায় কাশিমপুর কারাগার থেকে জল্লাদ রাজুকে কেন্দ্রীয় কারাগারে আনা হয়। অ্যাম্বুলেন্সে করে নিয়ে আসা হয় জল্লাদ রাজুকে।
কারা সূত্র জানিয়েছে, এবার নিজামীর ফাঁসির রায় কার্যকর করতেই রাজুর হাতে দায়িত্ব বর্তাচ্ছে। রাজুসহ মোট আটজন জল্লাদকে প্রস্তুত করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
কারা সূত্র আরো জানিয়েছে, ফাঁসি কার্যকরের ক্ষেত্রে আর মাত্র একটি ধাপ বাকি। ম্যাজিস্ট্রেট এসে জানতে চাইবেন নিজামী রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা চাইবেন কি না। ক্ষমা চাওয়ার বিষয়টি জানালে সে বার্তা রাষ্ট্রপতির কাছে পৌঁছানো হবে। এক্ষেত্রে শর্ত থাকে যে, সব অপরাধ স্বীকার করে নিজামীকে নিশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করতে হবে। তবে ক্ষমা করা বা না করার বিয়ষটি রাষ্ট্রপতির উপর নির্ভর করছে।
যদিও এর আগে জামায়াতের আইনজীবী তাজুল ইসলাম জানিয়েছেন, নিজামী আল্লাহ ছাড়া কারো কাছে মাথা নত করবেন না। ক্ষমা চাওয়ার প্রশ্নই আসে না।
অন্যদিকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালও জানিয়েছেন, ক্ষমা না চাইলে দ্রুতই ফাঁসি কার্যকর করা হবে।
সোমবার রাতেই মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াতে ইসলামীর আমির মতিউর রহমান নিজামীর সাজা পুনর্বিবেচনার (রিভিউ) আবেদন খারিজের রায় পড়ে শোনানো হয়েছে।
মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ফাঁসির প্রস্তুতি নিয়ে বৈঠক করেছেন কারা কর্তৃপক্ষ। কেন্দ্রীয় কারাগার সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্রে জানা যায়, বৈঠকে অতিরিক্ত কারা মহাপরিদর্শক কর্নেল মো. ইকবাল, ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার জাহাঙ্গীর কবির, জেলার নেসার আলমসহ বেশ কয়েকজন কারা কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন। এর আগে কারাগারের ভেতরে প্রবেশ করে ফাঁসির মঞ্চসহ আশপাশের স্থান পরিদর্শন করেন তারা। বৈঠক শেষে অতিরিক্ত কারা মহাপরিদর্শক কর্নেল মো. ইকবাল বের হয়ে যান। অন্যরা শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত কারাগারের ভেতরে অবস্থান করছিলেন।
জেইউ/এআর/এএস/এসএইচএস/এবিএস