ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

পঙ্গু হাসপাতালের সামনে সড়ক আটকে আন্দোলনে জুলাই-আগস্টের আহতরা

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৩:৪০ পিএম, ১৩ নভেম্বর ২০২৪

জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানের (নিটোর) সামনের সড়ক আটকে আন্দোলন করছেন জুলাই-আগস্টে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে আহত শিক্ষার্থীরা।

বুধবার (১৩ নভেম্বর) সরেজমিনে দেখা যায়, দুপুর ১টা ২০ মিনিটের দিকে রাজধানীর আগারগাঁও থেকে শ্যামলীমুখী সড়ক বন্ধ করে আন্দোলন করছেন আহত শিক্ষার্থীরা। ফলে শ্যামলীমুখী গাড়ির চাপ বেড়ে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।

এসময় হাসপাতালের গেটের সামনে বিপুলসংখ্যক পুলিশ অবস্থান নেয়। এছাড়া বিকেল ৩টায় সেখানে সেনাবাহিনীর সদস্যরা আসেন।

কর্তব্যরত এক পুলিশ সদস্য জাগো নিউজকে বলেন, আমরা আন্দোলনকারীদের বোঝাতে চেষ্টা করছি। কিন্তু তাদের আমরা সরাতে পারছি না।

সরেজমিনে দেখা যায়, স্বাস্থ্য উপদেষ্টা প্রায় আড়াই ঘণ্টা ধরে নিটোরে থাকা আহতদের খোঁজখবর নেন। এরপর হাসপাতাল থেকে বের হওয়ার সময় সেখানে সাংবাদিকরা কথা বলতে চাইলে আশপাশে থাকা আহতদের সরে যেতে বলা হয়। এতে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। বিষয়টি হাসপাতালে ছড়িয়ে পড়লে চিকিৎসাধীন আহতরা উপদেষ্টার গাড়ির সামনে ও পথ আটকে দাঁড়ান।

একপর্যায়ে আন্দোলনে আহতদের একজন গাড়ির সামনে বসে পড়েন। আরেকজন উঠে পড়েন গাড়ির ওপর। কিছু সময় তারা গাড়িতে কিল-ঘুসিও মেরে ক্ষোভ দেখাতে থাকেন। নেমে আসতে বলেন গাড়ির চালকসহ অন্যদের। পরে নিরুপায় হয়ে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা ও ঢাকায় নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার অন্য একটি গাড়িতে করে সেখান থেকে বেরিয়ে যান। পরে তারা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ওই গাড়ি ও প্রটোকলে থাকা পুলিশের একটি গাড়ি আটকে দেন এবং রাস্তায় অবস্থান নেন। এখনো আগারগাঁও থেকে শ্যামলীমুখী সড়ক বন্ধ রয়েছে।

জুলাই-আগস্টের আন্দোলনে আহত শিক্ষার্থী মো. হাসান জানান, আমাদের সামান্য ট্রিটমেন্ট দিয়ে তিন মাস বসিয়ে রাখা হয়েছে। আমার পায়ে নয়টি অপারেশন করা হয়েছে, তারপরেও এখন পর্যন্ত সুস্থ হতে পারিনি। আমাদের অপারেশনে শুধু নিয়ে যায়। আমরা চাই তারা সবাই আমাদের সঙ্গে কথা বলুক। আমাদের জন্য ঘোষণা করা সেই এক লাখ টাকা দিক এবং ভালোমানের চিকিৎসাসেবা দিক।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে চিকিৎসাধীন আহতরা জানান, স্বাস্থ্য উপদেষ্টা সিলেকটিভ কিছু রোগীর সঙ্গে কথা বলেছেন, তাদের প্রত্যাশা ছিল তিনি যেন সবার খোঁজ নেন। সমস্যা শুনে সমাধানের কার্যকর উদ্যোগ নেন। কিন্তু মনের কথাগুলো শোনাতে না পেরে তারা ক্ষুব্ধ হয়ে যান। কেউ কেউ খাওয়া-দাওয়ার মান নিয়েও অভিযোগ করেন। এছাড়া তাদের আর্থিকভাবে সহযোগিতা ও ভালো চিকিৎসা দিতে বিদেশে নেওয়ার আবেদন জানালেও ব্যবস্থা নেয়নি কেউ।

এএএম/এমএএইচ/জেআইএম