‘সাদপন্থিদের আর টঙ্গীতে আলাদা ইজতেমা করতে দেওয়া হবে না’
সাদপন্থিদের আর গাজীপুরের টঙ্গীতে আলাদা ইজতেমার আয়োজন করতে দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন ইসলামি মহাসম্মেলনে অংশ নেওয়া এক মুসল্লি।
মাদারীপুর থেকে আসা আব্দুল ওহাব নামে এই মুসল্লি বলেন, ‘ইজতেমা দুইবার হওয়ার কারণে মানুষ আমাদের সমালোচনা করে। এবার আর সেই সুযোগ দেওয়া হবে না। সাদপন্থিদের আর গাজীপুরের টঙ্গীতে আলাদা ইজতেমার আয়োজন করতে দেওয়া হবে না। আমরা চাই মানুষ যেন এসব কারণে আর সমালোচনা না করে।’
মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) সকালে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এই মহাসম্মেলন শুরু হয়। ওলামা মাশায়েখ বাংলাদেশ এই মহাসম্মেলনের আয়োজন করে।
সারাদেশ থেকে লাখো ধর্মপ্রাণ মুসল্লি এই মহাসম্মেলনে অংশ নেন। সম্মেলনস্থল ও আশপাশের এলাকা ঘুরে দেখা যায়, লোকে লোকারণ্য পুরো এলাকা, যেন তিল ধারণের ঠাঁই নেই।
সম্মেলনে আসা মুসল্লিরা বলছেন, ‘ইসলামি ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে ঐক্যবদ্ধ হয়ে সুন্দর বাংলাদেশ বিনির্মাণে ঐক্যবদ্ধ থাকবে বাংলার মুমিন সমাজ।’
সমাবেশে অংশ নেওয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাসিন্দা হাফেজ ওবাইদুর রহমান সামিত বলেন, ‘মুসলিমদের এক হয়ে থাকতে হবে। আমরা সবাই ভাই ভাই। নিজেদের মধ্যে কোনো বিভেদ থাকা চলবে না। আমরা সবাই দেশের মুসলিম সমাজের স্বার্থে এক ও ঐক্যবদ্ধ থাকবো। দেশে ইজতেমা একবারই হবে। এখন থেকে আর দুইবার হওয়ার সুযোগ নেই।’
- আরও পড়ুন
- দেশে ইজতেমা একবার হবে, দুবার নয়
নারায়ণগঞ্জ থেকে আসা একটি মসজিদের খতিব আসাদ হুসাইন বলেন, ‘আমরা সবাই মুসলিম। এই বিষয়টা আমাদের সবসময় মাথায় রাখতে হবে। অনেকে ভুল পথে আছেন, ভুল জিনিস নিয়ে পড়ে আছেন। তাদের উদ্দেশে বলবো, আপনারা সঠিক পথে আসেন। ভুল নিয়ে মানুষ বেশিদিন টিকে থাকতে পারে না। সত্য সবসময় সুন্দর এবং আজীবন সত্য।’
এদিকে সমাবেশের স্থানসহ শাহবাগ, রমনা, নীলক্ষেত, চাঁনখারপুল, দোয়েল চত্বরসহ আশপাশের এলাকায় লাখো মুসল্লির উপস্থিতি দেখা গেছে। দুপুর সোয়া ১টায় সমাবেশ শেষে মুসল্লিদের হেঁটে সমাবেশ স্থল ত্যাগ করতে দেখা যায়।
এর আগে গত রোববার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এই মহাসম্মেলনের ডাক দেন দেশের ৪১ জন বিশিষ্ট আলেম। দেশের সর্বস্তরের আলেম–ওলামা ও আপামর তাওহিদি জনতাকে মহাসম্মেলনে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানানো হয় বিবৃতিতে।
এতে, ‘দাওয়াত ও তাবলীগ, মাদারেসে ক্বওমিয়া এবং দ্বীনের হেফাজতের লক্ষ্যে’ ওলামা মাশায়েখ বাংলাদেশের উদ্যোগে আজকের এই মহাসম্মেলন আয়োজনের কথা জানানো হয়।
এনএস/ইএ/জিকেএস