ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

সড়ক নিরাপত্তা আইন প্রণয়নে সরকারকে আরও সক্রিয় হওয়ার আহ্বান

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৩:৫৪ এএম, ০১ নভেম্বর ২০২৪

সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যু ও আহতের সংখ্যা কমাতে এবং সড়ক নিরাপত্তার জন্য জাতিসংঘের বৈশ্বিক পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে সড়ক নিরাপত্তার বিষয়ে জাতিসংঘের সুপারিশকৃত সেফ সিস্টেম অ্যাপ্রোচের আলোকে সরকারকে একটি ‘সড়ক নিরাপত্তা আইন’ প্রণয়ন করতে হবে। এর জন্য সরকারকে আরও সক্রিয় হতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন আহ্ছানিয়া মিশন ইয়ুথ ফোরাম ফর হেলথ অ্যান্ড ওয়েলবিংয়ের সমন্বয়কারী মারজানা মুনতাহা।

বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) আহ্ছানিয়া মিশন ইয়ুথ ফোরাম ফর হেলথ অ্যান্ড ওয়েলবিংয়ের আয়োজনে নিরাপদ সড়ক জোরদারকরণে ‘সড়ক নিরাপত্তা আইন’ প্রণয়ন শীর্ষক গণমাধ্যমের সঙ্গে তরুণ সংলাপে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনকারী মারজানা মুনতাহা এ দাবি জানান। রাজধানীর ধানমন্ডিতে ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের প্রধান কার্যালয়ে এ সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়।

তিনি বলেন, বিশ্বব্যাপী সড়ক নিরাপত্তা বিষয়ে ব্যাপকভিত্তিক কার্যক্রম পরিলক্ষিত হলেও বাংলাদেশে সড়ক নিরাপত্তা বিষয়টি তুলনামূলকভাবে অনেক পিছিয়ে। ২০১৮ সালের আইন ও ২০২২ সালে সড়ক পরিবহন বিধিমালা জারি হলেও সড়ক নিরাপত্তার আচরণগত ঝুঁকির বিষয়গুলো সংক্ষিপ্ত আকারে উল্লেখ থাকায় সড়ক নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে জটিলতা সৃষ্টি হয়।

একটি সড়ক নিরাপত্তা আইন প্রণয়ন ও তার যথাযথ বাস্তবায়ন করার জন্য সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের সদস্য সচিব তানজীদ মোহাম্মদ সোহরাব রেজা বলেন, নিরাপদ সড়ক সবার মৌলিক অধিকার। আর সেই মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করা সরকারের দায়িত্ব। সরকার যেন যথাযথভাবে দায়িত্ব পালন করে সেজন্য তরুণ সমাজকে এগিয়ে আসতে হবে।

jagonews24

সাংবাদিকদের পক্ষে জাগো নিউজের জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক তৌহিদুজ্জামান তন্ময় বলেন, যখন একটি রোডক্র্যাশ হয় তা নিয়ে গণমাধ্যমে এক/দুই দিন প্রচার হলেও এই প্রতিবেদনের ধারাবাহিকতা থাকে না এবং ক্র্যাশের যথাযথ কারণ পর্যালোচনা করা হয় না। যার ফলে প্রতিবারই হয় চালক, না হয় পথচারী দোষী সাব্যস্ত হন। এখানে নীতিনির্ধারকসহ সড়ক ব্যবস্থাপনায় যারা আছেন তাদের করণীয়গুলো গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে উঠে আসা উচিত।

অনুষ্ঠানে বুয়েটের এক্সিডেন্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউটের সহকারী অধ্যাপক কাজী মো. সাইফুন নেওয়াজ বলেন, সড়ক ব্যবহারকারী বিশেষ করে, ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক, অভিভাবক, গাড়ি চালক, মোটরসাইকেল ব্যবহারকারীকে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ প্রদানের মাধ্যমে নিরাপদে সড়ক ব্যবহার সম্পর্কে সচেতন করতে হবে। পাশাপাশি প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিরাপদ সড়ক সংক্রান্ত কার্যক্রম বাস্তবায়ন কমিটি গঠন করা।

ইয়ুথ ফোরমের সদস্য পারিশা মাহেসারিন এশার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানটির প্রথম পর্বে ইয়ুথ ওরিয়েন্টেশন, দ্বিতীয় পর্বে গণমাধ্যমের সঙ্গে তরুণ সংলাপ এবং শেষ পর্বে জনেসচেতনতা তৈরিতে তরুণ পদযাত্রা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন স্বাস্থ্য ও ওয়াশ সেক্টরের পরিচালক ইকবাল মাসুদ, প্রকল্প সমন্বয়কারী শারমিন রহমন, স্বাস্থ্য সেক্টরের অ্যাডভোকেসি অফিসার (কমিউনিকেশন) তরিকুল ইসলামসহ অনেকে।

টিটি/ইএ