রাজধানীতে কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া ট্রাফিক!
‘এই দেখ, দেখ, ছেলেটা কি স্মার্ট। রোদের মধ্যে দাঁড়িয়ে ট্রাফিকের দায়িত্ব পালন করছে বেচারা। দেখ না, কেমন করে হাত তুলে বাস, গাড়ি ও রিকশা থামাচ্ছে।’ ধানমন্ডি সিটি কলেজের সামনে রিকশাযাত্রী দুই তরুণী এ কথাগুলো বলে অট্টহাসিতে ভেঙে প্ড়লো। তাদের হাসির শব্দ সিগন্যালে দাঁড়িয়ে কর্তব্যরত ছেলেটির কানেও পৌঁছালো। একটু তাকিয়ে সে আবার যানবাহন নিয়ন্ত্রণে ব্যস্ত হয়ে পড়লো।
আজ (রোববার) ছিল রেড ক্রিসেন্ট দিবস। এ দিবস উপলক্ষে আজ রাজধানীর সায়েন্স ল্যাবরেটরি থেকে গণভবন এবং শাহবাগ থেকে ফার্মগেট পর্যন্ত ঢাকা সিটি রেড ক্রিসেন্ট ইউনিটের সদস্য কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া অর্ধশত শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন পয়েন্টের সিগন্যালে ট্রাফিক পুলিশের সহযোগী হিসেবে দায়িত্ব পালন করে।
ঢাকা সিটি রেড ক্রিসেন্ট ইউনিটের উপ-পরিচালক (ইয়ুথ অ্যান্ড ভলানটিয়ার) রেজিনা ইসলাম বলেন, নগরীর বাসিন্দার ট্রাফিক আইন সঠিকভাবে মেনে চলা সম্পর্কে জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে তাদের সদস্যরা রাজপথে দায়িত্ব পালন করছে।
সায়েন্স ল্যাবরেটরি ও সিটি কলেজ এলাকায় কথা হয় ঢাকা কলেজের হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বষের্র শিক্ষার্থী রবিউল ইসলাম ও মানারাত ইন্টারন্যাশনাল কলেজের ট্রিপল ই বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র মো. মোজাম্মেল হক। তারা জানায়, আজ কয়েক ঘণ্টা কাজ করে তারা বুঝতে পেরেছেন রাজপথে প্রতিনিয়ত ছুটে চলা হাজার হাজার যানবাহন নিয়ন্ত্রণ সত্যিই খুব কঠিন কাজ। মোজাম্মেলের মতে আগের তুলনায় মানুষের মধ্যে ট্রাফিক আইন-কানুন মানার ব্যাপারে সচেতনতা বেড়েছে।
গণভবনের অদূরে সিগন্যালে কর্তব্যরত ঢাকা রেড ক্রিসেন্ট ইউনিটের ই্য়ুথ চীফ অনিক ইসলাম পরাগ জানান, অনেক ড্রাইভার তাদের মতো অপেক্ষাকৃত তরুণদের যানবাহন নিয়ন্ত্রণ করতে দেখে স্বাগত জানিয়েছে।
দুপুর পৌনে ২টায় ওই এলাকায় দায়িত্বরত সার্জেন্ট রকিবুল বলেন, ওরা তো কয়েক ঘণ্টা দাঁড়িয়ে হাপিয়ে উঠেছে। একটু পরেই ওরা চলে যেতে পারবে। কিন্তু আমাদের রাত ১০টা পর্যন্ত থাকতে হবে বলে মৃদু হাসলেন তিনি।
এমইউ/জেএইচ