ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

মোহাম্মদপুরে সেনা ক্যাম্পের পর জনমনে স্বস্তি

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৬:৩৭ পিএম, ২৭ অক্টোবর ২০২৪

নিরাপত্তাহীনতায় নিমজ্জিত মোহাম্মদপুরবাসীর জীবনে স্বস্তি আনার লক্ষ্যে অস্থায়ী সেনা ক্যাম্প করেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। এই ক্যাম্প করার খবরে স্বস্তিবোধ করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। রোববার (২৭ অক্টোবর) ঢাকা উদ্যানে তাদের ক্যাম্পের কার্যক্রম শুরু হয়। সন্ত্রাস দমন এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়নে সেনাবাহিনীর কঠোর অবস্থান অব্যাহত থাকবে বলে জানা গেছে।

স্থানীয়রা বাসিন্দারা বলছেন, বেশ কয়েকদিন ধরেই মোহাম্মদপুরে দিনে-দুপুরে ছিনতাই-ডাকাতিতে নিরাপত্তাহীনতায় ছিলেন তারা। সন্ধ্যার পর বাইরে বের হতে ভয় পেতেন তারা।

আগস্টের পর থেকেই রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হয়। তবে এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি অবনতি হয় মোহাম্মদপুর থানা এলাকায়। দিন-দুপুরে ছুরি-চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে লুট করা নেওয়া হয় সবকিছু। এমন পরিস্থিতিতে শনিবার মধ্যরাতে মোহাম্মদপুর এলাকায় চালানো হয় যৌথ অভিযান।

রোববার আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সেনাবাহিনীর যৌথ অভিযানে মোহাম্মদপুরের ঢাকা উদ্যান, চাঁদ উদ্যান এবং নবোদয় হাউজিং থেকে ছিনতাইকারী, চাঁদাবাজ এবং কিশোর গ্যাংয়ের সর্বমোট ৪৫ সদস্য গ্রেফতার করা হয়েছে।

আইএসপিআর জানায়, দেশের চলমান পরিস্থিতিতে জনসাধারণের জানমাল ও সরকারি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাসমূহের সার্বিক নিরাপত্তা এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি বিচারবহির্ভূত কর্মকাণ্ড রোধ ও আইনের শাসন সমুন্নত রাখার লক্ষ্যে দেশব্যাপী নিরপেক্ষতা ও পেশাদারিত্বের সঙ্গে কাজ করছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।

আইএসপিআর আরও জানায়, নিরাপত্তাহীনতায় নিমজ্জিত মোহাম্মদপুরবাসীর জীবনে স্বস্তি আনয়নের লক্ষ্যে যৌথ বাহিনীর এ অভিযান সুপরিকল্পিতভাবে পরিচালিত হয়। এই অভিযানে মোহাম্মদপুর এলাকা থেকে ৪৫ জন অপরাধীকে গ্রেফতার হয়।

ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা প্রাপ্তির পর থেকে মোহাম্মদপুর, আদাবর এবং শেরেবাংলা নগর থানাধীন ১৫২ জন অপরাধী, ১৮টি আগ্নেয়াস্ত্র, ২৭১ রাউন্ড গোলাবারুদ, ১৭২ ধরনের বিভিন্ন দেশি-বিদেশি অস্ত্র, ১টি গ্রেনেড এবং বিপুল পরিমাণ নেশাজাত দ্রব্য উদ্ধার করে সেনাবাহিনী।

সন্ত্রাস দমন এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়নে সেনাবাহিনীর কঠোর অবস্থান অব্যাহত থাকবে বলেও জানিয়েছে আইএসপিআর।

টিটি/এমআইএইচএস/জেআইএম