ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

স্বামীর দ্বিতীয় বিয়ের জেরে খুন হন আমেনা, সহায়তাকারীরা পুলিশ সদস্য

নিজস্ব প্রতিবেদক | চট্টগ্রাম | প্রকাশিত: ০৭:২৪ পিএম, ২৬ অক্টোবর ২০২৪

গৃহবধূ আমেনা বেগমের অগোচরে স্বামী ইয়াছিন আরেক নারীকে বিয়ে করেন। বিষয়টি জানাজানি হলে শুরু হয় দাম্পত্য কলহ। শেষে পুলিশে চাকরিরত বন্ধুর সঙ্গে বেড়াতে যাওয়ার কথা বলে আনোয়ারায় চায়না ইকোনমিক জোন এলাকায় নিয়ে খুন করা হয় গৃহবধু আমেনাকে।

আমেনা হত্যাকাণ্ডে জড়িত তিনজনকে গ্রেফতারের পর শনিবার (২৬ অক্টোবর) গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) চট্টগ্রাম জেলা ইউনিট।

গ্রেফতাররা হলেন- জাহেদ নাবিদ (৩০), মো. সোহেল (৩৫) ও ইরফান হোসেন (২৯)। তাদের মধ্যে ইরফান বাংলাদেশ পুলিশের কনস্টেবল। তিনি রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলার গুলশাখালী পুলিশ ফাঁড়িতে কর্মরত। ঘটনার পর আমেনার স্বামী ইয়াছিন (২৭) বিদেশে চলে যাওয়ায় তাকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি।

চট্টগ্রাম জেলা পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার শেখ জয়নুদ্দীন বলেন, ‘এ ঘটনায় মূল ঘাতক আমেনার স্বামী এখনো পলাতক। টিকটকের মাধ্যমে আমেনার সঙ্গে সম্পর্কে জড়ান ইয়াছিন। তবে সম্প্রতি আমেনাকে না জানিয়ে বিয়ে করেন ইয়াছিন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ইয়াছিনের বাড়িতে গিয়ে হুমকি দিয়ে আসেন আমেনা। এর জেরে আমেনাকে হত্যার পরিকল্পনা করেন ইয়াছিন, তার বন্ধু পুলিশ কনস্টেবল ইরফান ও নাবিদ।’

স্বামীর দ্বিতীয় বিয়ের জেরে খুন হন আমেনা, সহায়তাকারীরা পুলিশ সদস্য

পিবিআই কর্মকর্তারা জানান, গত ৩ অক্টোবর আনোয়ারার বৈরাগ এলাকার চায়না ইকোনমিক জোন অফিসের পূর্বপাশে একটি পাহাড়ি এলাকা থেকে অজ্ঞাতনামা এক নারীর ক্ষতবিক্ষত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে ফিঙ্গারপ্রিন্টের সহায়তায় ওই নারীর পরিচয় শনাক্ত করেন পিবিআই চট্টগ্রাম জেলা ইউনিটের কর্মকর্তারা।

আমেনা বেগম কুমিল্লার মুরাদনগর এলাকার কামাল উদ্দিনের মেয়ে। তিনি চট্টগ্রাম নগরের কোতোয়ালি থানার বলুয়ার দিঘীর পাড় আবুল কালাম সওদাগরের কলোনিতে থাকতেন।

টিকটকের মাধ্যমে আমেনার সঙ্গে সম্পর্কে জড়ান ইয়াছিন, পরে বিয়ে হয়। ঘটনার কিছুদিন আগে আমেনার অগোচরে ইয়াছিন আরেক নারীকে বিয়ে করেন। বিষয়টি জেনে যান আমেনা। এ নিয়ে উভয়ের মধ্যে দাম্পত্য কলহ সৃষ্টি হয়। এ কারণে ইয়াছিন তার দুই ঘনিষ্ঠ বন্ধু জাহেদ নাবিদ ও ইরফানের সঙ্গে আমেনাকে হত্যা করার পরিকল্পনা করেন।

পরিকল্পনার অংশ হিসেবে ইয়াসিনরা সোহেলের প্রাইভেটকার ভাড়া করেন। এরপর বেড়াতে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে আমেনাকে প্রাইভেট কারে তুলে ইরফানের বাড়িতে নিয়ে যান। সেখান থেকে আনোয়ারার বৈরাগ এলাকার চায়না ইকোনমিক জোন অফিসের পূর্বপাশে একটি পাহাড়ঘেরা পরিত্যক্ত ব্রিকফিল্ডে নিয়ে গিয়ে আমেনাকে হত্যা করেন। ঘটনার পর আমেনার স্বামী ইয়াছিন বিদেশ চলে যান।

চট্টগ্রাম জেলা পিবিআইয়ের উপ-পরিদর্শক (এসআই) শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘মরদেহের পরিচয় শনাক্তের পর তদন্ত করে প্রথমে ১৮ অক্টোবর প্রাইভেটকার চালক সোহেলকে গ্রেফতার করা হয়। তার দেওয়া স্বীকারোক্তি মোতাবেক পরদিন জাহেদ নাবিদ ও ইরফানকে গ্রেফতার করা হয়। তারা তিনজনই আমেনা হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি প্রদান করেন।’

এএজেড/ইএ/জেআইএম